প্রিয় পাঠক লক্ষ্য করুন

জোনাকী অনলাইন লাইব্রেরীতে আপনাকে স্বাগতম | জোনাকী যদি আপনার ভালো লাগে তবে আপনার বন্ধুদের সাথে লিংকটি শেয়ার করার অনুরোধ জানাচ্ছি | এছাড়াও যারা ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করতে আগ্রহী তারা jaherrahman@gmail.com এ মেইল করার অনুরোধ করা হচ্ছে | আপনার অংশগ্রহণে সমৃদ্ধ হোক আপনার প্রিয় অনলাইন লাইব্রেরী। আমাদের সকল লেখক, পাঠক- শুভানুধ্যায়ীদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা- অভিনন্দন।

আশ্চর্য কবিতা - সুকুমার রায়


চণ্ডীপুরের ইংরাজি স্কুলে আমাদের ক্লাশে একটি নূতন ছাত্র আসিয়াছে। তার বয়স বারো-চোদ্দোর বেশি নয়। সে স্কুলে আসিয়া প্রথম দিনই সকলকে জানাইল, "আমি পোইট্রি লিখতে পারি!" এ কথা শুনিয়া ক্লাশসুদ্ধ সকলে অবাক হইয়া গেল; কেবল দু-একজন হিংসা করিয়া বলিল, "আমরাও ছেলেবেলায় ঢের ঢের কবিতা লিখেছি।" নূতন ছাত্রটি বোধ হয় ভাবিয়াছিল, সে কবিতা লিখিতে পারে, শুনিয়া ক্লাশে খুব হুলুস্থল পড়িয়া যাইবে, এবং কবিতার নমুনা শুনিবার জন্য সকলে হাঁ হাঁ করিয়া উঠিবে। যখন সেরূপ কিছুরই লক্ষণ দেখা গেল না, তখন বেচারা, যেন আপন মনে কি কথা বলিতেছে, এরূপভাবে, যাত্রার মত সুর করিয়া একটা কবিতা আওড়াইতে লাগিল-


হযবরল - সুকুমার রায়


বেজায় গরম। গাছতলায় দিব্যি ছায়ার মধ্যে চুপচাপ শুয়ে আছি, তবু ঘেমে অস্থির। ঘাসের উপর রুমালটা ছিল, ঘাম মুছবার জন্য যেই সেটা তুলতে গিয়েছি অমনি রুমালটা বলল "ম্যাও!" কি আপদ! রুমালটা ম্যাও করে কেন?
চেয়ে দেখি রুমাল তো আর রুমাল নেই, দিব্যি মোটা-সোটা লাল টক্টকে একটা বেড়াল গোঁফ ফুলিয়ে প্যাট্ প্যাট্ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে!
আমি বললাম, "কি মুশকিল! ছিল রুমাল, হয়ে গেল একটা বেড়াল।"
অমনি বেড়ালটা বলে উঠল, "মুশকিল অবার কি? ছিল একটা ডিম, হয়ে গেল দিব্যি একটা প্যাঁক্পেঁকে হাঁস। এ তো হামেশাই হচ্ছে।"
আমি খানিক ভেবে বললাম, "তা হলে তোমায় এখন কি বলে ডাকব? তুমি তো সত্যিকারের বেড়াল নও, আসলে তুমি হচ্ছ রুমাল।"
বেড়াল বলল, "বেড়ালও বলতে পার, রুমালও বলতে পার, চন্দ্রবিন্দুও বলতে পার।" আমি বললাম, "চন্দ্রবিন্দু কেন?"


ছুটি - সুকুমার রায়


          ছুটি! ছুটি! ছুটি!
মনের খুশি রয়না মনে হেসেই লুটোপুটি।
ঘুচল এবার পড়ার তাড়া অঙ্ক কাটাকুটি
দেখ্‌ব না আর পন্ডিতের ঐ রক্ত আঁখি দুটি।
আর যাব না স্কুলের পানে নিত্য গুটি গুটি
এখন থেকে কেবল খেলা কেবল ছুটোছুটি।
পাড়ার লোকের ঘুম ছুটিয়ে আয়রে সবাই জুটি
গ্রীষ্মকালের দুপুর রোদে গাছের ডালে উঠি
আয়রে সবাই হল্লা ক'রে হরেক মজা লুটি
একদিন নয় দুই দিন নয় দুই দুই মাস ছুটি।


বড়াই - সুকুমার রায়


গাছের গোড়ায় গর্ত করে ব্যাং বেঁধেছেন বাসা,
মনের সুখে গাল ফুলিয়ে গান ধরেছেন খাসা।
রাজার হাতি হাওদা -পিঠে হেলে দুলে আসে-
বাপরে ব'লে ব্যাং বাবাজি গর্তে ঢোকেন ত্রাসে!


গ্রীষ্ম - সুকুমার রায়


সর্বনেশে গ্রীষ্ম এসে বষর্শেষে রুদ্রবেশে
আপন ঝোঁকে বিষম রোখে আগুন ফোকে ধরার চোখে।
তাপিয়ে গগন কাঁপিয়ে ভুবন মাত্‌ল তপন নাচল পবন।
রৌদ্র ঝলে আকাশতলে অগ্নি জ্বলে জলে স্থলে।
ফেল্‌ছে আকাশ তপ্ত নিশাস ছুটছে বাতাস ঝলসিয়ে ঘাস,
ফুলের বিতান শুকনো শ্মশান যায় বুঝি প্রান হায় ভগবান।
দারুণ তৃষায় ফিরছে সবায় জল নাহি পায় হায় কি উপায়,
তাপের চোটে কথা না ফোটে হাপিয়ে ওঠে ঘর্ম ছোটে।
বৈশাখী ঝড় বাধায় রগড় করে ধড়্‌ফড়্ ধরার পাঁজর,
দশ দিক হয় ঘোর ধুলিময় জাগে মহাভয় হেরি সে প্রলয়।
করি তোলপাড় বাগান বাদাড় ওঠে বারবার ঘন হুন্কার,
শুনি নিয়তই থাকি থাকি ওই হাঁকে হৈ হৈ মাভৈ মাভৈঃ।


কানা-খোঁড়া সংবাদ - সুকুমার রায়


পুরাতন কালে           ছিল দুই রাজা,
          নাম ধাম নাহি জানা,
একজন তার           খোড়া অতিশয়,
          অপর ভূপতি কানা।
মন ছিল খোলা,           অতি আলো ভোলা
          ধরমেতে ছিল মতি,
পর ধনে সদা           ছিল দোঁহাকার
          বিরাগ বিকট অতি।


অন্ধ মেয়ে - সুকুমার রায়


গভীর কালো মেঘের পরে রঙিন ধনু বাঁকা,
রঙের তুলি বুলিয়ে মেঘে খিলান যেন আঁকা!
গবুজ ঘাসে রোদের পাশে আলোর কেরামতি
রঙিন্ বেশে রঙিন্ ফুলে রঙিন্ প্রজাপতি!
অন্ধ মেয়ে দেখ্ছে না তা - নাইবা যদি দেখে-
শীতল মিঠা বাদল হাওয়া যায় যে তারে ডেকে!
শুনছে সে যে পাখির ডাকে হরয কোলাকুলি
মিষ্ট ঘাসের গন্ধে তারও প্রাণ গিয়েছে ভুলি!
দুঃখ সুখের ছন্দে ভরা জগৎ তারও আছে,
তারও আধার জগৎখানি মধুর তারি কাছে।।


টিক্-টিক্-টিক - সুকুমার রায়


টিক্-টিক্ চলে ঘড়ি টিক্-টিক্,টিক্,
একটা ইঁদুর এল সে সময়ে ঠিক্!
ঘড়ি দেখে এক লাফে তাহাতে চড়িল,
টং করে অমনি ঘড়ি বাজিয়া উঠিল।
অমনি ইঁদুর ভায়া লেজ গুটাইয়া,
ঘড়ির উপর থেকে পড়ে লাফাইয়া!
ছুটিয়া পালায়ে গেল আর না আসিল
টিক্-টিক্-টিক্- ঘড়ি চলিতে লাগিল!


প্রতিবিম্ব by মু. নূরুল হাসান


তর্জনীটা ছবির গালে একবার বুলিয়ে নিয়ে নিজের ঠোঁটে স্পর্শ করে চুক চুক জাতীয় একটা আদুরে শব্দ করলেন মহিলা, আর মুখে বললেন, পু-ও-র বয় ...। সেদিনের পত্রিকার প্রথম পাতা জুড়ে ছাপা ছিলো হিথ লেজারের মুখ। হলিউডের সদ্য প্রয়াত নায়ক। জাতে অস্ট্রেলিয়ান ছিলেন। মৃত্যুর পরপরই এখানকার মিডিয়ায় তাই কদিন ধরেই ফোকাসে ছিলেন এই মানুষটা, টিভি কি পত্রিকা, সবখানেই।


অভিজ্ঞতা by মোঃ সাইফুদ্দিন


একবার আমি ও আমার এক বন্ধু সফর শেষে বাড়ি ফেরার সময় হোটেলে যাই কিছু খাওয়ার জন্য। হোটেল বয়কে আমরা হাফ বাটি করে হালিম, ১টি করে সিঙ্গাড়া ও ছোট মিষ্টি আনতে বললাম। কিছুক্ষণ পর হোটেল বয় ফুল বাটি করে হালিম, দুটি করে সিঙ্গাড়া ও বড় মিষ্টি নিয়ে এল। দেখেই আমরা তাকে কিছু বলতে যাচ্ছিলাম, ঠিক তখনই হোটেল মালিক হাসিমুখে বলে উঠল, ‘কম করে জিনিস খাইয়ে আমরা কি অপরাধী সাজব, যত পারেন খেয়ে যান, চিন্তা কইরেন না।’ আমরা তার কথার মাথামুণ্ডু কিছু না বুঝলেও আর আপত্তি করিনি। খাওয়া শেষে যখন বিল দিতে গেলাম, তখন ঘটল আরেক কাণ্ড। হোটেল মালিক বলল—‘টাকা লাগব না, আপনারা চইল্যা যান।’ তারপরও আমি তাকে টাকা দিতে চাইলাম, কিন্তু তিনি টাকা নিলেন না। আমার বন্ধু বলল—বিনা টাকায় এত খাতির এই যুগে তো মহাপ্রাপ্তির ব্যাপার। পরে জানতে পারি, সেদিন শহরের শামীম চৌধুরীর নাতি ও তার বন্ধুর সেই হোটেলে আসার কথা ছিল।


সোনার বরণী কন্যা by জসীম উদ্দিন


সোনার বরণী কন্যা সাজে নানা রঙ্গে,
কালো মেঘ যেন সাজিলরে।
সিনান করিতে কন্যা হেলে দুলে যায়,
নদীর ঘাটেতে এসে ইতি উতি চায়।
বাতাসে উড়িছে শাড়ী, ঘুরাইয়া চোখ,
শাসাইল তারে করি কৃত্রিম রোখ।


পূর্ণিমা by জসীম উদ্দিন


পূর্নিমাদের আবাস ছিল টেপাখোলার গাঁয়,
একধারে তার পদ্মনদী কলকলিয়ে যায়।
তিনধারেতে উধাও হাওয়া দুলতো মাঠের কোলে,
তৃণফুলের গন্ধে কভু পড়তো ঢলে ঢলে।
সেখান দিয়ে পুর্ণিমারা ফিরতো খেলে নিতি,
বাঁকাপথে বাজতো তাদের মুখর পায়ের গীতি।


মা ও খোকন by জসীম উদ্দিন


মা বলিছে, খোকন আমার! যাদু আমার মানিক আমার!
উদয়তারা খোকন আমার! ঝিলিক মিলিক সাগর-ফেনার!
ফিনকি হাসি ক্ষণিকজ্বলা বিজলী-মালার খোকন আমার!
খোকন আমার দুলকি হাসি, ফুলকি হাসি জোছনা ধারার।
তোমায় আমি দোলার উপর দুলিয়ে দিয়ে যাই যে দুলে, -
যাই যে দুলে, সকল ভুলে, রাঙা মেঘের পালটি তুলে,
দেই তোমারে দোলায় দুলে।


রাতের পরী by জসীম উদ্দিন


রাতের বেলায় আসে যে রাতের পরী,
রজনীগন্ধা ফুলের গন্ধে সকল বাতাস ভরি।
চরণের ঘায়ে রাতের প্রদীপ নিভিয়া নিভিয়া যায়,
হাসপাতালের ঘর ভরিয়াছে চাঁদিমার জোছনায়।
মানস সরের তীর হতে যেন ধবল বলাকা আসে,
ধবল পাখায় ঘুম ভরে আনে ধবল ফুলের বাসে।


বাস্তু ত্যাগী by জসীম উদ্দিন


দেউলে দেউলে কাঁদিছে দেবতা পূজারীরে খোঁজ করি,
মন্দিরে আজ বাজেনাকো শাঁখ সন্ধ্যা-সকাল ভরি।
তুলসীতলা সে জঙ্গলে ভরা, সোনার প্রদীপ লয়ে,
রচে না প্রণাম গাঁয়ের রুপসী মঙ্গল কথা কয়ে।
হাজরাতলায় শেয়ালের বাসা, শেওড়া গাছের গোড়ে,
সিঁদুর মাখান, সেই স্থান আজি বুনো শুয়োরেরা কোড়ে।


বস্তীর মেয়ে by জসীম উদ্দিন


বস্তীর বোন, তোমারে আজিকে ছেড়ে চলে যেতে হবে,
যত দূরে যাব তোমাদের কথা চিরদিন মনে রবে।
মনে রবে, সেই ভ্যাঁপসা গন্ধ অন্ধ-গলির মাঝে,
আমার সে ছোট বোনটির দিন কাটিছে মলিন সাজে।
পেটভরা সে যে পায় না আহার, পরনে ছিন্নবাস,
দারুণ দৈন্য অভাবের মাঝে কাটে তার বারোমাস।


জলের কন্যা by জসীম উদ্দিন


জলের উপরে চলেছে জলের মেয়ে,
ভাঙিয়া টুটিয়া আছড়িয়া পড়ে ঢেউগুলি তটে যেয়ে।
জলের রঙের শাড়ীতে তাহার জড়ায়ে জড়ায়ে ঘুরি,
মাতাল বাতাস অঙ্গের ঘ্রাণ ফিরিছে করিয়া চুরি।
কাজলে মেখেছে নতুন চরের সবুজ ধানের কায়া,
নয়নে ভরেছে ফটিকজলের গহন গভীর মায়া।


এ লেডী উইথ এ ল্যাম্প by জসীম উদ্দিন


গভীর রাতের কালে,
কুহেলী আঁধার মূর্ছিত প্রায় জড়ায়ে ঘুমের জালে।
হাসপাতালের নিবিয়াছে বাহি; দমকা হাওয়ার ঘায়,
শত মুমূর্ষু রোগীর কাঁদন শিহরিছে বেদনায়।
কে তুমি চলেছ সাবধান পদে বয়স-বৃদ্ধা-নারী!
দুই পাশে তব রুগ্ন-ক্লিন্ন শুয়ে আছে সারি সারি।


অনুরোধ by জসীম উদ্দিন


ছিপ ছিপে তার পাতলা গঠন, রাঙা যে টুকটুক
সোনা রূপায় ঝলমল দেখলে তাহার মুখ।
সেই মেয়েটি বলল মোরে দিয়ে একখান খাতা,
সেই মেয়েটি বলল মোরে দিয়ে একখান খাতা,
লিখো কবি ইহার মাঝে যখন খুশী যা তা।


কবিতা by জসীম উদ্দিন


তাহারে কহিনু, সুন্দর মেয়ে! তোমারে কবিতা করি,
যদি কিছু লিখি ভুরু বাঁকাইয়া রবে না ত দোষ ধরি।”
সে কহিল মোরে, “কবিতা লিখিয়া তোমার হইবে নাম,
দেশে দেশে তব হবে সুখ্যাতি, আমি কিবা পাইলাম ?”
স্তব্ধ হইয়া বসিয়া রহিনু কি দিব জবাব আর,
সুখ্যাতি তরে যে লেখে কবিতা, কবিতা হয় না তার।


উপহার by জসীম উদ্দিন


ফুলদিয়ে গেলে মেয়ে!
এরে রাখিব কেমন ছলে,
এরে মালায় পরিলে জ্বালা
গলে শৃঙ্খল হযে দোলে।
এরে ধরিতে ছুঁইতে করে
এ যে, ভোরের শিশির ফোঁটা
এ যে, খনেক জীবন ধরে।


আর একদিন আসিও বন্ধু by জসীম উদ্দিন


আর একদিন আসিও বন্ধু-আসিও এ বালুচরে,
বাহুতে বাঁধিয়া বিজলীর লতা রাঙা মুখে চাঁদ ভরে।
তটিনী বাজাবে পদ-কিঙ্কিণী, পাখিরা দোলবে ছায়া,
সাদা মেঘ তব সোনার অঙ্গে মাখাবে মোমের মায়া।
আসিও সজনি, এই বালুচলে, আঁকা-বাঁকা পথখানি;
এধারে ওধারে ধান ক্ষেত তারে লয়ে করে টানাটানি।


কাল সে আসিয়াছিল by জসীম উদ্দিন


কাল সে আসিয়াছিল ওপারের বালুচরে,
এতখানি পথ হেঁটে এসেছিল কি জানি কি মনে করে।
কাশের পাতায় আঁচড় লেগেছে তাহার কোমল গায়,
দুটি রাঙা পায়ে আঘাত লেগেছে কঠিন পথের ঘায়।
সারা গাও বেয়ে ঘাম ঝরিতেছে, আলসে অবশ তনু,
আমার দুয়ারে দাঁড়াল আসিয়া দেখিয়া অবাক হনু।


উড়ানীর চর by জসীম উদ্দিন


উড়ানীর চর ধূলায় ধূসর
যোজন জুড়ি,
জলের উপরে ভাসিছে ধবল
বালুর পুরী।
ঝাঁকে বসে পাখি ঝাঁকে উড়ে যায়
শিথিল শেফালি উড়াইয়া বায়;


মুসাফির by জসীম উদ্দিন


চলে মুসাফির গাহি,
এ জীবনে তার ব্যথা আছে শুধু, ব্যথার দোসর নাহি।
নয়ন ভরিয়া আছে আঁখিজল, কেহ নাই মুছাবার,
হৃদয় ভরিয়া কথার কাকলি, কেহ নাই শুনিবার।
চলে মুসাফির নির্জন পথে, দুপুরের উঁচু বেলা,
মাথার উপরে ঘুরিয়া ঘুরিয়া করিছে আগুন-খেলা।


প্রতিদান by জসীম উদ্দিন


আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা, আমি বাঁধি তার ঘর,
আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর।
যে মোরে করিল পথের বিবাগী, -
পথে পথে আমি ফিরি তার লাগি।


মামার বাড়ি by জসীম উদ্দিন


আয় ছেলেরা, আয় মেয়েরা,
ফুল তুলতে যাই,
ফুলের মালা গলায় দিয়ে
মামার বাড়ি যাই।
মামার বাড়ি পুন্যিপুকুর
গলায় গলায় জল,


আমার বাড়ি by জসীম উদ্দিন


আমার বাড়ি যাইও ভোমর,
বসতে দেব পিঁড়ে,
জলপান যে করতে দেব
শালি ধানের চিঁড়ে।
শালি ধানের চিঁড়ে দেব,
বিন্নি ধানের খই,
বাড়ির গাছের কবরী কলা,
গামছা-বাঁধা দই।


উজান গাঙের নাইয়া by জসীম উদ্দিন


উজান গাঙের নাইয়া!
কইবার নি পাররে নদী
গেছে কতদূর?
যে কূল ধইরা চলেরে নদী
সে কূল ভাইঙ্গা যায়,
আবার আলসে ঘুমায়া পড়ে


নদীর কূল নাই-কিনার নাইরে by জসীম উদ্দিন


নদীর কূল নাই-কিনার নাইরে;
আমি কোন কূল হইতে কোন কূলে যাব
কাহারে শুধাইরে?
ওপারে মেঘের ঘটা, কনক বিজলী ছটা,
মাঝে নদী বহে সাঁই সাঁইরে;


উজান গাঙের নাইয়া by জসীম উদ্দিন


উজান গাঙের নাইয়া!
কইবার নি পাররে নদী
গেছে কতদূর?
যে কূল ধইরা চলেরে নদী
সে কূল ভাইঙ্গা যায়,
আবার আলসে ঘুমায়া পড়ে


আজ আমার মনে ত না মানেরে by জসীম উদ্দিন


আজ আমার মনে ত না মানেরে
সোনার চান,
বাতাসে পাতিয়া বুকরে
শুনি আকাশের গান।
আজ নদীতে উঠিয়া ঢেউ আমার কূলে আইসা লাগে,
রাতের তারার সাথে ঘরের প্রদীপ জাগেরে।


সার্থক রজনী by জসীম উদ্দিন


আজকে রাতরে যাইতে দেব না, শুধু শুধু কথা কয়ে,
তারা ফুটাইব, হাসি ছড়াইব আঁধারের লোকালয়ে।
গোলাপী ঠোঁটের কৌটায় করে রাখিব রাতেরে ভরি,
তোমার দু-খানি রঙিন বাহুর বাঁধনে তাহারে ধরি।


রূপ by জসীম উদ্দিন


রূপেরে কহিনু ডাকি
হায় রূপ! তুমি কেন চলে যাও,
তুমি কেন একখানে
স্থির হয়ে রহিতে না পাও!
তুমি কি জান না রূপ,
আঁখিতে কাজল-লতা একেঁ,


গৌরী গিরির মেয়ে by জসীম উদ্দিন


হিমালয় হতে আসিলে নামিয়া তুষার বসন ত্যাজি,
হিমের স্বপন অঙ্গে মাখিয়া সাঁঝের বসনে সাজি।
হে গিরি দুহিতা তোমার নয়নে অলকার মেঘগুলি,
প্রতি সন্ধ্যায় পরাইয়া যেত মায়া-কাজলের তুলি।
তুহিন তুষারে অঙ্গ মাজিতে দুগ্ধধবল কায়,
রবির কিরণ পিছলি পিছলি লুটাত হিমানী বায়!


কল্যাণী by জসীশ উদ্দিন


শোন, শোন মেয়ে, কার ঘর তু িজড়ায়েছ জোছনায়,
রাঙা অনুরাগ ছড়ায়েছ তুমি কার মেহেদির ছায়!
কার আঙিনার ধূলি রাঙা হল চুমি ওই পদতল,
কারে দিলে তুমি সুশীতল ছায়া প্রসারিয়া অঞ্চল!


অনুরোধ by জসীম উদ্দিন


তুমি কি আমার গানের সুরের
পূবালী বাতাস হবে,
তুমি কি আমার মনের বনের
বাঁশীটি হইয়া রবে!
রাঙা অধরের রামধনুটিরে,
ছড়াবে কি তুমি মোর মেঘ-নীড়ে,


ফুল নেয়া ভাল নয় by জসীম উদ্দিন


ফুল নেয়া ভাল নয় মেয়ে।
ফুল নিলে ফুল দিতে হয়, -
ফুলের মতন প্রাণ দিতে হয়।
যারা ফুল নিয়ে যায়,
যারা ফুল দিয়ে যায়,
তারা ভুল দিয়ে যায়,
তারা কুল নিয়ে যায়।


কৈশর যৌবন দুহু মেলি গেল by জসীম উদ্দিন


এখনো গন্ধ বন্ধ কোরকে, দুএকটি রাঙা দল,
উকি ঝুঁকি দিয়ে পান করিতেছে ভোরের শিশির জল।
রঙিন অধরে সরল হাসিটি, বিহান বেলার আগে,
মেঘগুলি যেন রঙে ডুগুডুগু ঊষসীর অনুরাগে।
এ হাসি এখনি কৌতুক হয়ে নাচিবে নানান ঢঙে,
মেঘের আড়ালে কভু লুকোচুরি খেলিবে কতা রঙে।


হলুদ বাঁটিছে মেয়ে by জসীশ উদ্দিন


হলুদ বাঁটিছে হলুদ বরণী মেয়ে,
হলুদের পাটা হাসিয়া গড়ায় রাঙা অনুরাগে নেয়ে।
দুই হাতে ধরি কঠিন পুতারে ঘসিছে পাটার পরে,
কাঁচের চুড়ী যে রিনিক ঝিনিকি নাচিছে খুশীর ভরে।
দুইটি জঙ্ঘা দুইধারে মেলা কাঠ-গড়া কামনার,
তাহার উপর উঠিতে নামিতে সোনার দেহটি তার;


রাখালের রাজগী by জসীশ উদ্দিন


রাখালের রাজা! আমাদের ফেলি কোথা গেলে ভাই চলে,
বুক হতে খুলি সোনা লতাগুলি কেন পায়ে দলে?
জানিতেই যদি পথের কুসুম পথেই হইবে বাসি,
কেন তারে ভাই! গলে পরেছিলে এতখানি ভালবাসি?
আমাদের দিন কেটে যাবে যদি গলেতে কাজের ফাঁসি
কেন শিখাইলে ধেনু চরাইতে বাজায়ে বাঁশের বাঁশী?


পুরান পুকুর by জসীশ উদ্দিন


পুরান পুকুর, তব তীরে বসি ভাবিয়া উদাস হই,
খেজুরের গোড়ে বাঁধা ছোট ঘাট, করে জল থই থই;
রাত না পোহাতে গাঁয়ের বধুরা কলসীর কলরবে,
ঘুম হতে তোমা জাগাইয়া দিত প্রভাতের উৎসবে।
সারাদিন ধরি ঘড়ায় ঘড়ায় তব অমৃতরাশি,
বধুদের কাঁখে ঢলিয়া ঢলিয়া ঘরে ঘরে যেত হাসি।


যাব আমি তোমার দেশে by জসীশ উদ্দিন


পল্লী-দুলাল, যাব আমি-যাব আমি তোমার দেশে,
আকাশ যাহার বনের শীষে দিক-হারা মাঠ চরণ ঘেঁষে।
দূর দেশীয়া মেঘ-কনেরা মাথায় লয়ে জলের ঝারি,
দাঁড়ায় যাহার কোলটি ঘেঁষে বিজলী-পেড়ে আঁচল নাড়ি।
বেতস কেয়ার মাথায় যেথায় ডাহুক ডাকে বনের ছায়ায়,
পল্লী-দুলাল ভাইগো আমার, যাব আমি যাব সেথায়।


পল্লী বর্ষা by জসীম উদ্দিন


আজিকের রোদ ঘুমায়ে পড়িয়া ঘোলাট-মেঘের আড়ে,
কেয়া-বন পথে স্বপন বুনিছে ছল ছল জল-ধারে।
কাহার ঝিয়ারী কদম্ব-শাখে নিঝ্ঝুম নিরালায়,
ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে অস্ফুট কলিকায়!
বাদলের জলে নাহিয়া সে মেয়ে হেসে কুটি কুটি হয়,
সে হাসি তাহার অধর নিঙাড়ি লুটাইছে বনময়।


ধানক্ষেত by জসীশ উদ্দিন


পথের কেনারে পাতা দোলাইয়া করে সদা সঙ্কেত,
সবুজে হদুদে সোহাগ ঢুলায়ে আমার ধানের খেত।
ছড়ায় ছড়ায় জড়াজড়ি করি বাতাসে ঢলিয়া পড়ে,
ঝাঁকে আর ঝাঁকে টিয়ে পাখিগুলে শুয়েছে মাঠের পরে।
কৃষাণ কনের বিয়ে হবে, তার হলদি কোটার শাড়ী,
হলুদে ছোপায় হেমন্ত রোজ কটি রোদ রেখা নাড়ি।


কৃষাণী দুই মেয়ে by জসীশ উদ্দিন


কৃষাণী দুই মেয়ে
পথের কোণে দাঁড়িয়ে হাসে আমার পানে চেয়ে।
ওরা যেন হাসি খুশীর দুইটি রাঙা বোন,
হাসি-খুশীর বেসাত ওরা করছে সারাখন।
ঝাকড়া মাথায় কোঁকড়া চুলে, লেগেছে খড়কুটো,
তাহার নীচে মুখ দুখানি যেন তরমুজফালি দুটো।


তরুণ কিশোর by জসীম উদ্দিন


তরুণ কিশোর ! তোমার জীবনে সবে এ ভোরের বেলা,
ভোরের বাতাস ভোরের কুসুমে জুড়েছে রঙের খেলা।
রঙের কুহেলী তলে,
তোমার জীবন ঊষার আকাশে শিশু রবি সম জ্বলে।
এখনো পাখিরা উঠেনি জাগিয়া, শিশির রয়েছে ঘুমে,
কলঙ্কী চাঁদ পশ্চিমে হেলি কৌমুদী-লতা চুমে।


রাখালী by জসীশ উদ্দিন


এই গাঁয়েতে একটি মেয়ে চুলগুলি তার কালো কালো,
মাঝে সোনার মুখটি হাসে আঁধারেতে চাঁদের আলো।
রানতে বসে জল আনতে সকল কাজেই হাসি যে তার,
এই নিয়ে সে অনেক বারই মায়ের কাছে খেয়েছে মার।
সান করিয়া ভিজে চুলে কাঁখে ভরা ঘড়ার ভারে
মুখের হাসি দ্বিগুণ ছোটে কোনমতেই থামতে নারে।


রাখাল ছেলে by জসীম উদ্দিন


“রাখাল ছেলে ! রাখাল ছেলে ! বারেক ফিরে চাও,
বাঁকা গাঁয়ের পথটি বেয়ে কোথায় চলে যাও?”
ওই যে দেখ নীল-নোয়ান সবুজ ঘেরা গাঁ,
কলার পাতা দোলায় চামর শিশির ধোয়ায় পা,
সেথায় আছে ছোট কুটির সোনার পাতায় ছাওয়া,
সাঁঝ-আকাশের ছড়িয়ে-পড়া আবীর রঙে নাওয়া,
সেই ঘরেতে একলা বসে ডাকছে আমার মা-
সেথায় যাব, ও ভাই এবার আমায় ছাড় না।”


জল টলমল by মোহাম্মদ সাদিক


 জলের ভেতরে মাছ, মাছের ভেতরে নদী

      জল কি ইলিশ?

      ঘড়ার ভেতরে জল, পৃথিবীর তিন ভাগ

      শরীরে সতস্ত আয়ু জলে ঢাকা

      আমি সেই জলে ভাসমান নদী, নদীতে আকণ্ঠ জল

      নৌকার ছইয়ের ভেতর জলচোখ

      পাটাতনে জলের আওয়াজ

      এইসব জল নিয়ে জল টলমন আমি যদি

      মাছ হই, যদি সে ইলিশ

      লোনা জল ছেড়ে আসি তোমাদের দেশে

      অথবা ইলিশ নই, মেঘ হয়ে বিকেলে বৃষ্টির দেশে।


আমি কোন আগান্তক নই by আহসান হাবীব



    • Avmgv‡bi Zviv ¯^v¶x
      ¯^v¶x GB Rwg‡bi dzj, GB
      wbwkivBW euvkevMvb we¯—i †RvbvwK ¯^v¶x
      ¯^v¶x GB Rvi“j Avgiyj, ¯^v¶x
      c~‡e©i cyKzi, Zvi SvKov Wygy‡ii cv‡j w¯’i`„wó
      gvQivOv Avgv‡K †P‡b

  • জোনাকী: ফোল্ডারের বেকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করুন


    জোনাকী: ফোল্ডারের বেকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করুন: "আজ আমি আপনাদের একটি সফটওয়্যার নিয়ে কথা বলব।এর নাম Windows paper XPএ মাধ্যমে আপনি আপনার পিসির বিভিন্ন ফোল্ডারের টেক্সট কালার,বেকগ্রাউন্ড কালা..."


    ফোল্ডারের বেকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করুন


    আজ আমি আপনাদের একটি সফটওয়্যার নিয়ে কথা বলব।এর নাম Windows paper XPএ মাধ্যমে আপনি আপনার পিসির বিভিন্ন ফোল্ডারের টেক্সট কালার,বেকগ্রাউন্ড কালার, বেকগ্রাউন্ড ইমেজ চেঞ্জ করতে পারবেন।এতে আপনার ফোল্ডারগুলো দেখতে আরো আকরসনীয় হবে।প্রথমে এই লিংক থেকে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন।তারপর এটি ইনিস্টল করুন।প্রথমে Select Folder এ ক্লিক করে কোন ফোল্ডারটির পরিবর্তন চাচ্ছেন সেটি সিলেক্ট করুন।এবার যদি ফোল্ডারটির বেকগ্রাউন্ডে কোনো ইমেজ দেখতে চান তাহলে Change Image এ ক্লিক করে কোন ইমেজ চান সেটি সিলেক্ট করুন।এবার Text color পরিবর্তন করতে চাইলে Change Text Color এ ক্লিক করে Color সিলেক্ট করন।তারপর Exit এ ক্লিক করে বের হয়ে আসুন।
    ফোল্ডারটি খুলে দেখুন কাঙ্খিত পরিবর্তন এসেছে কিনা।


    আমার মাটির মেয়েটি হারিয়ে ফেলেছি by নিজাম কুতুবী


    যখন আমি ছোট ছিলাম
    শিশু ছিলাম
    মেঘের মতো, ঘাসের মতো, জলের মতো।
    শহরের ইট, সিমেণ্ট, রড, কংক্রীট থেকে দূরে...
    দূর গ্রাম দেশে। মাটির সাথে মিশে
    জলের সাথে ভেসে, শ্রাবণের প্লাবন আমার বন্ধু ছিল।
    আকাশের মেঘ মালা আমার ভাল লাগত
    হিজল ও অশ্বথ্বের রঙ্গিন ডালে দোলতে দোলতে
    চপল মেয়েটির গালে
    জোর করে চুমু এঁকে দিতাম।
    দুষ্টু মেয়েটির তুলতুলে হাতের চট তখন আমার ভাল লাগত।
    ------এখন বড় হয়ে


    আমাকে আমার মত থাকতে দাও


    আমাকে আমার মতো থাকতে দাও
    আমি নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছি
    যেটা ছিলোনা ছিলোনা
    সেটা না পাওয়াই থাক
    সব পেলে নষ্ট জীবন
    তোমার এই দুনিয়ার ঝাপসা আলো
    কিছু সন্ধ্যের বুড়ো হওয়া কাঁচের মতো
    যদি উড়ে যেতে চাও তবে গা ভাসিয়ে দাও
    দূরবীনে চোখ রাখবো না......না......না......না



    আমাদের অতি পরিচিত টক-জাতীয় খাদ্যের মধ্যে তেঁতুল অন্যতম। একটা সময় ছিল তেঁতুল কেবলমাত্র মেয়েদের খাবার হিসেবে গণ্য হতো। কিন্তু আজ দেখা যায়, তেঁতুলে ঔষধি গুণ থাকার কারণে এটি সব বয়সে সবার জন্যই প্রয়োজন হতে পারে।
    তেঁতুলের বোটানিক্যাল নাম Tomarindus Indeca linn. এর আয়ুর্বেদিক নাম যমদূতিকা। সমুদ্র তীরবর্তী লবণাক্ত অঞ্চলের অধিবাসীদের রক্তের চাপ বেশি থাকতে দেখা যায়। সেই চাপ কমানোর জন্য এসব অঞ্চলে তেঁতুলের ব্যবহার হয় সব সময়। এটি তাদের আহারের অন্যতম উপাদান। কোনো কোনো জায়গায় একে ইসলিও বলা হয়ে থাকে।


    গরীব মানুষ কি কখনো ন্যায় বিচার পাবে? by সৈয়দ আরিফুল ইসলাম


    আমাদের দেশের আইন গুলো হচ্ছে ধনী বান্ধব । যে কারনে কখনো গরীবরা ন্যায় বিচার পায়না। কখনো মুলা চোরের ফাঁসি হচ্ছে, অন্যদিকে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যার মত মহান কাজের জন্য ক্ষমা পাচ্ছেন রাষ্টপতি নামক ক্ষমার ব্যাংকের প্রধান শাখা থেকে।
    বড় বড় ব্যবসায়ী-নেতারা ব্যাংকের থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে সুদ দুরে থাক মূল টাকা ফেরত দিচ্ছেনা। কখনো আবার এর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভনর কেও থাপ্পড় খেতে হচ্চে। অন্য দিকে কৃষি ঋণের সামান্য ৫,০০০ টাকার জন্য কৃষক কে কখনো জেলে যেতে হয়, অথবা জীবনের শেষ সম্বল ভিটে-মাটিটুকু ও হারাতে হয়।


    চাকুরির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন by রহিম রায়হান


    বেশ কিছুদিন ধরে ভাবছিলাম আমাদের তরুণদের জন্য একটা কিছু লিখব। বিশেষ করে যেসব তরুণ পড়াশোনা প্রায় শেষ করে ফেলেছেন। কিছুদিন পরেই তো তাদের চাকুরির বাজারে প্রতিযোগিতায় নামতে হবে। অনেকের কাছেই চাকুরি পাওয়া সহজ। কেউ কেউ দুই বছরে চারটে চাকুরিও বদল করেন। আবার অনেকে চাকুরিই পান না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খুব ভালো সাবজেক্টে পড়াশোনা করে জুতসই চাকরি পাননি, এমন অনেক ভাইকে আমি চিনি। আবার গ্রামের কলেজ থেকে পাশ করে বড় কোম্পানীকে যোগ দিয়েছেন, তিন-চার বছরেই গাড়ি কিনেছেন, ফ্ল্যাটের বুকিং দিয়েছেন, এমনও অনেককে দেখছি।


    মোবাইল ফোন, খিটিমিটি ফোন!


    অষ্টম শ্রেণীতে শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের রচনা লিখতে দিলেন। রচনার বিষয় : মোবাইল ফোন। ছাত্রছাত্রীরা পড়ল মহা ফাঁপরে। তারা মুখস্থ করে এসেছে গরুর রচনা। গরুর সঙ্গে মোবাইল ফোনের কোনো মিল বা লেশমাত্র সম্পর্ক আছে বলে তাদের জানা নেই। আজকে সবাই ধরা খাবে। এই স্যার আবার ভীষণ রাগী। একটু টের বেটের হলেই সপাং সপাং বেত্রাঘাত। উনার দিলে কোনো রহম নাই। কোমলমতি বালক-বালিকা এরা সব। এক ত্যাঁদড় ছাত্র ফোঁস করে উঠল। দাঁড়িয়ে সে মাথা চুলকানো শুরু করল। স্যার অবাক চোখে তাকিয়ে বললেন,


    ভুল ভেঙে এসো বন্ধু হই...




    ভুল করে যদি তোমায়
    কষ্ট দিয়ে থাকি
    ক্ষমা কর বন্ধু আমায়
    একথা বলে রাখি।
    এমনতো কথা ছিল না
    তুমি শত্রু হবে;
    হবেই যদি শত্রু তুমি
    বন্ধু কেন হতে গেলে?
    শত্রু যদি হবেই হবে
    তবে কেন হাত বাড়ালে
    কেন তুমি আপন করে
    দূরে শেষে ঠেলে দিলে?
    এমন হবার কথা ছিলোনা
    তোমার সাথে জানি
    ভুল ছিল হয়ত আমার
    এ কথাটি মানি।
    সব ভুলে এসো তুমি
    ফের বন্ধু হয়ে যাই;
    পৃথিবীটাকে আবার
    আমাদের রঙে রাঙাই।
    ১৭.০১.২০১১


    Jonaaki Logo



    জোনাকী লোগো, (সাময়িক সবার জন্য)



    শেয়ার বাজার


    শেয়ার বাজারে ঘটে গেল যা
    আমজনতা জানেনাকি তা!
    লাটির চোটে মাথা ফাটে
    ফিনকি দিয়ে রক্ত ছোটে।
    পায়নি ক্ষমা সেও
    বিনিয়োগকারী সেই বুড়ো।
    শেয়ার বাজারে আজ
    জুড়ারীদেরই রাজ্।


    সেদিন...


     সেদিন যখন বিষন্ন মনে
    দাঁড়িয়ে ছিলাম একা
    বট বৃক্ষের ছায়...
    হেটে এল পায়...
    দিয়েছিলে দেখা।


    অসুখ by অয়ন খান


    অনেকদিন পর মাসুদের সাথে আমার দেখা - অফিসপাড়ায়। ডাক্তার মাসুদ আমার স্ড়্গুলের সময়ের খুব ভালো বন্ধু, কিন্তু অনেকদিন কোন যোগাযোগ ছিল না। আমি ভাষা হারিয়ে ফেললাম, কাছের একটা হোটেলে গিয়ে বসলাম, আর মনে করতে চেষ্টা করলাম সেসব বিষয় আর ঘটনা যেগুলো একসময় আমরা ভুলে যেতে চেষ্টা করেছি।


    ফেরা by অয়ন খান


    ছোট্ট মফস্বল শহরটা ধূলো ওড়া শীত দুপুরের রোদে নির্জন দাঁড়িয়ে আছে। দূরে বড় গাছটার ছায়ার ওপাশে লাল ইটের একটা পুরনো ভবন ছাড়া আর সবগুলো বাড়িই বৈচিত্র্যহীন। রাস্তাগুলো নিশ্চল ফটোগ্রাফের মত বোবা। দো’তলা একটা বাড়ির ছাদে কতগুলো কাপড় রোদে উড়ে উড়ে শুকাচ্ছে। একপাশ দিয়ে টুং টাং শব্দ করতে করতে একটা আইসক্রীমের ভ্যান চলে গেল।


    পুনরুত্থান by অয়ন খান


    যতদূর চোখ যায় - মানুষ আর সাদা চাদর, সাদা চাদর আর মানুষ। উত্তর দিকে, দক্ষিণ দিকে, পূর্ব ও পশ্চিম দিকে দিগন্ত পর্যন্ত খোলা প্রায়ান্ধকার মাঠে লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি মানুষ শুয়ে আছে - সার বেঁধে শুয়ে আছে। এগুলো কি লাশ! না, কারণ মাঝে মধ্যেই নড়ে উঠছে এরা, কারো কারো মুখে হঠাৎ করে ঝিলিক দিয়ে যাচ্ছে হাসি - ঘুমের মধ্যেই।


    ছায়া by অয়ন খান



    ছোট একটা পরিবার আর অ্যাকাউন্টেন্টের একটা চাকরী নিয়ে হামিদের দিনকাল ভালোই কেটে যাচ্ছিল। কিন্তু প্রত্যেকের জীবনেই কখনো না কখনো কঠিন সময় আসে, হামিদের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হল না। অবশ্য এটা যে তার একেবারে নতুন সমস্যা তাও না, ছেলেবেলা থেকেই সে কিছুটা বদমেজাজী বলে পরিচিত ছিল। ইদানীং তার সেই খারাপ চেহারাটা একটু বেশি নিয়মিত দেখা যাচ্ছিল, এই যা।


    নাসির উদ্দিন হোজ্জার কৌতুক | ৬ |


    মুদ্রা গ্রহণ
    হাটবারের দিন রাস্তায় দাঁড়িয়ে জড়বুদ্ধির মতো আচরণ করতেন হোজ্জা, ফলে নির্বোধ ভেবে মানুষ তাকে মুদ্রা দান করত। কিন্তু তার সামনে দুটি মুদ্রা তুলে ধরা হলে, সর্বদাই তিনি ছোট মুদ্রাটি গ্রহণ করতেন, যতবারই, যেভাবেই দেয়া হোক না কেন।
    একদিন সদাশয় এক ব্যক্তি তাকে বললেন, "নাসিরুদ্দীন, তুমি তো বড় মুদ্রাটা নিতে পার। এতে তোমার দ্রুত বেশ কিছু টাকা-পয়সা জমে যাবে আর মানুষও আগের মতো তোমাকে নিয়ে তামাশা করতে পারবে না।"
    "হুমম, আপনি যা বলছেন তা হয়তো ঠিক হতে পারে। কিন্তু আমি ভাবছি, আমি যদি সবসময় বড় মুদ্রাটা গ্রহণ করি, তাহলে মানুষ আমাকে তাদের চেয়েও নির্বোধ ভেবে যে আনন্দটা পায়, সে আনন্দটা আর পাবে না, ফলে দান হয়তো একেবারেই বন্ধ করে দিবে।" হোজ্জা জবাব দেন।


    নাসির উদ্দীনের বেদুইনকে দৌঁড়ানো
    "আমি যখন মরুভূমিতে ছিলাম," এক স্মৃতিচারণায় বললেন হোজ্জা, "তখন রক্তলোলুপ, নৃশংস একদল বেদুইনকে দৌঁড়িয়েছিলাম।"
    "খালি হাতে!" বিস্ময়ে প্রশ্ন করে দর্শক।
    "হ্যাঁ, কেবল ছোট একটা লাঠি ছিল আমার হাতে।"
    "কিন্তু এ কীভাবে সম্ভব, হোজ্জা!"
    "খুবই সহজ। আমি ঝড়ের বেগে দৌঁড়াচ্ছিলাম, আর তারাও আমার পেছন পেছন দৌঁড়াচ্ছিল।"


    আমি আপনাদের কারণে এবং আপনারা আমার কারণে !
    গোধূলি বেলায় নির্জন মরুপথে একাকি হাঁটতে হাঁটতে হোজ্জা দেখলেন ধূলিঝড় উঠিয়ে একদল ঘোড়সওয়ার আসছে তার দিকে। চিন্তার ঝড় খেলতে লাগল তাঁর মনে, কল্পনায় তিনি নিজেকে দেখতে লাগলেন বন্দী, ডাকাতির শিকার কিংবা নিহত অবস্থায়। উৎকণ্ঠায় হৃদপিণ্ড তাঁর গলায় উঠে আসার উপক্রম হলো। দ্রুত এক কবরস্থানের দেয়ালে বেয়ে অন্যপাশে চলে গেলেন তিনি, তারপর খোলা এক কবরে মরার মতো পড়ে রইলেন।
    তার এই অদ্ভুত ব্যবহার লক্ষ করল ঘোড়সওয়ারগণ এবং অনুসরণ করে তার কাছে এসে পড়ল। হোজ্জা তখন ভয়ে কাঁপছেন।
    "এই কবরে আপনি কী করছেন? আমরা দেখলাম আপনি দৌঁড়ে চলে গেলেন। আমরা কি কোনো সাহায্য করতে পারি আপনার?" কোমল গলায় দলনেতা জানতে চান।
    "আপনি একটি প্রশ্ন করেছেন, তার মানে এই নয় যে এর সরল-সোজা কোনো উত্তর আছে।" বিপদ কেটে গেছে বুঝতে পেরে হোজ্জা বলতে লাগলেন। " আসলে ব্যাপারটি নির্ভর করে দৃষ্টিভঙ্গির উপর। আর যদি সত্যি সত্যি জানতে চান, তাহলে বলি, আমি এখানে এসেছি আপনাদের কারণে, আর আপনারা এখানে এসেছেন আমার কারণে।"


    তোমায় শুধু কাছে পেতে চাই by রিয়াদ


    ঝিলের ধারে জোনাক জ্বলে-
    জোনাক আলোয় দেখেছি তোমার রূপ,
    সেই রূপের-ই পাগল আমি-
    “ভালবাসি তোমায় আমি” বলতে শুধু চাই,
    সত্য কথা বলছি আমি-
    মিথ্যে যে তা নয়।


    সকল লোকের তরে





    ই চরাচর হোক নিরাপদ
    সকল লোকের তরে;
    এই ধরণী সুন্দর হোক
    পূণ্যে ও প্রেমে ভরে।


    নাসির উদ্দিন হোজ্জার কৌতুক | ৫ |


    নাসির উদ্দীন হোজ্জার থাপ্পড়!
    নাসিরুদ্দীন হোজ্জা ছিলেন বেশ চালাক চতুর। এমনকি বলা যায় ধূর্তও
    সে খুবই হিসেবী এবং খুবই সতর্ক। বাড়ীতে তার এক চাকর নতুন কাজে যোগ দিয়েছে। তাই তার মনে কেবলই ঘুরপাক খায় বেটাকে ঠিকঠাক মতো তালিম দিয়ে নিতে হবে। তা না হলে কী না কী ক্ষতি করে বসে। মানে ভুল-চুক আরকি।
    তো একটা গ্লাস দিয়ে নাসিরুদ্দীন তার চাকরকে বললো, “এ্যাই শোন, ওটা কিন্তু কাঁচের। খুব দামী। ভেঙে যায়না যেনো। খুব সাবধান!”
    কিন্তু সে এটা বলেও নিজেকে স্থির রাখতে পারছিলেন না। মনে খুঁতখুঁতি কখন ভেঙে ফেলে। এতোকিছু কিন্তু মাত্র কয়েক সেকেন্ডের চিন্তা। হঠাৎ করেই,
    “এ্যাই শিগগীর এদিকে, গ্লাসটা দেতো!” (খুব সাবধানে নিজেই এগিয়ে গিয়ে গ্লাসটা হাতে নিয়ে টেবিলে রাখলেন।)। এরপর চাকরকে কষে একটা চড়!
    বললেন, “কাঁচের গ্লাস কোনোদিন ধরেছিস? খুব সাবধানে ধরতে হয় বুঝলি? দেখিস খুব সাবধান ভাঙেনা যেন” এটা বলে খুব সাবধানে গ্লাসটা চাকরের হাতে দিলেন। চাকরটি কাচুমাচু-অপ্রস্তুত-কিংকর্তব্যবিমূঢ়ের মতো কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি নিজেকে ঠিক করে নিলো। মনিবরা এমন করতেই পারে।
    হোজ্জার বন্ধুরা এমন অবাক কাণ্ডে কিছু না বলে পারলো না। বললো, “সে কী হে হোজ্জা! এ কি করলে? গরীব ছেলেটা কাজ করতে এসেছে। কোনো কারণ ছাড়াই ওকে মারলে যে!”
    হোজ্জার উত্তর, “আরে ভাই, সেটাই তো সমস্যা। যদি ওটা ভেঙে ফেলে তাই আগেই সতর্ক করে দেয়া। ও যে গরীব ওকে তো জরিমানা করলে আমার ঠকা হবে।”

    এ হচ্ছে আমি
    একদা শিষ্যদের নিয়ে মেলায় গেলেন হোজ্জা। এক জায়গায় দেখতে পেলেন তীর নিক্ষেপ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। খেলায় অংশগ্রহণ করে প্রথম তীরটি নিক্ষেপ করলেন হোজ্জা। কিন্তু তীর গিয়ে পড়ল মাত্র কয়েক হাত দূরে। সবাই তাকে নিয়ে হাসাহাসি করছে দেখে হোজ্জা বললেন, "আসলে এমনটি ঘটে সে মানুষের ক্ষেত্রে যে নিজেকে সবসময় ছোট ভাবে।"
    "আর এমনটি ঘটে..." তীর নিক্ষেপ করেন হোজ্জা। নির্ধারিত জায়গার উপর দিয়ে বেশ দূরে গিয়ে পড়ে তীরটি এবার, আবারও হাসতে থাকে জনতা। "..এমনটি ঘটে যে মানুষ উদ্ধত আত্মবিশ্বাসে ভুগে, তার ক্ষেত্রে।"
    "আর এ হচ্ছে..."আবারও তীর নিক্ষেপ করেন হোজ্জা, ঠিক জায়গামত বিদ্ধ হয় এবার। হোজ্জা শান্ত গলায় বলেন, "এ হচ্ছে আমি।"


    গল্পের সিঁড়ি ধরে by আবু মকসুদ


    মাথার উপর আকাশ টাঙিয়ে গল্প শুনায়
    দুলন্ত শব্দেরা, গল্পের পথ ধরে গুটিকয়
    শিউলি লতা চলে যায় সোনাঝুরি গ্রামে।
    ক্ষয়কাল শেষে ফিরে আসে পাটভাঙা
    জামদানি শাড়ি, বুনোপাখি উল্লাসে ঝাপটায়
    গল্পের ডালপালা বৈচিত্রে ভরপুর, উর্ধ্বে আরোহণ


    যদি ভালবাসা by স্বপ্নবাজ


    দি ভালোবাসা দাও.....
    দুঃখের গায়ে সুখের
    প্রলেপ মাখিয়ে দেবো।

    যদি ভালোবাসা দাও.....
    তোমার কসম
    দুঃখের সাথে বসত করবো।


    তুমি আমার


    ছবি : ইন্টারনেট

    তুমি আমার মন নদীতে
    ঘোলা করা জল
    তুমি আমার অবুঝ মনে
    শান্ত কোলাহল।

    তুমি আমার তপ্ত বুকে
    শীতল তরুর ছায়া
    তুমি আমার মনের বনে
    জুঁই, জামেলী, বকুল।


    মাথা মুন্ডু by আজমান আন্দালিব


    টি একটি এলে বেলে টাইপের লেখা। লেখাটি পাঠে কেউ গভীর তাৎপর্যময় কিছু খুঁজতে যাবেন না। আর গেলেও নিজ দায়িত্বে। এটি একটি হ-য-ব-র-ল লেখা। লেখাটি পাঠে কেউ নিজকে হেয় মনে করলে করতে পারেন, তবে দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণ তার নিজের। উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে ভেসে কিংবা শত দুঃখ কষ্টের মধ্যে বেঁচে থেকেও আমরা যারা প্রাণ খুলে হাসতে চেষ্টা করি, তাদের জন্যই এই লেখা। প্রতিটি মুহূর্ত আতঙ্কিত থেকে থেকে আমরা যারা প্রাণ খুলে হাসতে ভুলে গেছি, তাদের জন্যই এই লেখা।


    নাসির উদ্দিন হোজ্জার কৌতুক | ৪ |


    গাধাকে তোমার খাওয়ান লাগবে
    কবার নাসিরুদ্দিন হোজ্জা অসুস্থ।নিজের গাধাটাকে খাওয়ানোর জন্য বিবিকে বললেন।হোজ্জার বিবি একটু ত্যাদড় টাইপের।সে গাধা কে খাবার দিতে অস্বীকার করল।দুজনের মধ্যে এই নিয়ে তুমুল ঝগড়া।তারপর একটা সমঝোতা হল, যে আগে কথা বলবে সে গাধাকে খাওয়াবে।হোজ্জা বাজিতে জেতার ব্যপারে ডিটারমাইন্ড ছিল।
    সেইদিনই, হোজ্জার বিবি বাইরে গেছে, খালি বাসা দেখে একটা চোর ঘরে ঢুকল।হোজ্জা বাসায় ছিল, কিন্তু বাজিতে হেরে যাওয়ার ভয়ে চোরকে কিছু বলল না।চোর নির্বিঘ্নে ঘরের সব কিছু নিয়ে চলে গেল।হোজ্জার স্ত্রী বাসায় ফিরে এসে যখন দেখল সব কিছু খালি, চিৎকার দিয়ে বলল, হায় আল্লা! কি হইছে?
    হোজ্জা খুশিতে লাফিয়ে উঠল, আমি জিতছি বাজিতে, এখন তোমারেই গাধাকে খাওয়ান লাগবে।

    লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছিনা!
    একদিন রাত্রে দুজনের পায়ের শব্দ পেয়ে নাসিরুদ্দীন ভয়ে একটা আলমারিতে ঢুকে লুকিয়ে রইল। লোক দুটো ছিল চোর। তারা বাক্সপ্যাটরা সবই খুলছে, সেই সঙ্গে আলমারিটাও খুলে দেখল তাতে মোল্লাসাহেব ঘাপটি মেরে বসে আছেন।
    চোর : কী হল মোল্লাসাহেব, লুকিয়ে কেন?
    মোল্লাসাহেব : লজ্জায়।
    চোর : লজ্জায়?
    মোল্লাসাহেব : হ্যাঁ, লজ্জায়। আমার বাড়িতে তোমাদের নেবার মতো কিছুই নেই, তাই লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছি না!


    নির্বাচিত বিষয়গুলো দেখুন

    কবিতা ছোটগল্প গল্প নিবন্ধ ছড়া টিপস রম্য গল্প প্রেমের কবিতা স্বাস্থ্য কথা কৌতুক ইসলামী সাহিত্য কম্পিউটার টিপস জানা অজানা লাইফ স্ট্যাইল স্বাধীনতা স্থির চিত্র ফিচার শিশুতোষ গল্প ইসলাম কবি পরিচিতি প্রবন্ধ ইতিহাস চিত্র বিচিত্র প্রকৃতি বিজ্ঞান রম্য রচনা লিরিক ঐতিহ্য পাখি মুক্তিযুদ্ধ শরৎ শিশু সাহিত্য বর্ষা আলোচনা বিজ্ঞান ও কম্পিউটার বীরশ্রেষ্ঠ লেখক পরিচিতি স্বাস্থ টিপস উপন্যাস গাছপালা জীবনী ভিন্ন খবর হারানো ঐতিহ্য হাসতে নাকি জানেনা কেহ ছেলেবেলা ফল ফুল বিরহের কবিতা অনু গল্প প্রযুক্তি বিউটি টিপস ভ্রমণ মজার গণিত সংস্কৃতি সাক্ষাৎকার ঔষধ ডাউনলোড প্যারডী ফেসবুক মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য রম্য কবিতা সাধারণ জ্ঞান সাহিত্যিক পরিচিতি সায়েন্স ফিকশান স্বাধীনতার কবিতা স্বাধীনতার গল্প কৃষি তথ্য চতুর্দশপদী প্রেমের গল্প মোবাইল ফোন রুপকথার গল্প কাব্য ক্যারিয়ার গবেষণা গৌরব জীবনের গল্প ফটোসপ সবুজ সভ্যতা
    অতনু বর্মণ অদ্বৈত মারুত অধ্যাপক গোলাম আযম অনন্ত জামান অনিন্দ্য বড়ুয়া অনুপ সাহা অনুপম দেব কানুনজ্ঞ অমিয় চক্রবর্তী অরুদ্ধ সকাল অর্ক অয়ন খান আ.শ.ম. বাবর আলী আইউব সৈয়দ আচার্য্য জগদীশচন্দ্র বসু আজমান আন্দালিব আতাউর রহমান কাবুল আতাউস সামাদ আতোয়ার রহমান আত্মভোলা (ছন্দ্রনাম) আদনান মুকিত আনিসা ফজলে লিসি আনিসুর রহমান আনিসুল হক আনোয়ারুল হক আন্জুমান আরা রিমা আবদুল ওহাব আজাদ আবদুল কুদ্দুস রানা আবদুল গাফফার চৌধুরী আবদুল মান্নান সৈয়দ আবদুল মাবুদ চৌধুরী আবদুল হাই শিকদার আবদুল হামিদ আবদুস শহীদ নাসিম আবিদ আনোয়ার আবু মকসুদ আবু সাইদ কামাল আবু সাঈদ জুবেরী আবু সালেহ আবুল কাইয়ুম আহম্মেদ আবুল মোমেন আবুল হাসান আবুল হায়াত আবুল হোসেন আবুল হোসেন খান আবেদীন জনী আব্দুল কাইয়ুম আব্দুল মান্নান সৈয়দ আব্দুল হালিম মিয়া আমানত উল্লাহ সোহান আমিনুল ইসলাম চৌধুরী আমিনুল ইসলাম মামুন আরিফুন নেছা সুখী আরিফুর রহমান খাদেম আল মাহমুদ আলম তালুকদার আশীফ এন্তাজ রবি আসমা আব্বাসী আসাদ চৌধুরী আসাদ সায়েম আসিফ মহিউদ্দীন আসিফুল হুদা আহমদ - উজ - জামান আহমদ বাসির আহমেদ আরিফ আহমেদ খালিদ আহমেদ রাজু আহমেদ রিয়াজ আহসান হাবিব আহসান হাবীব আহাম্মেদ খালিদ ইকবাল আজিজ ইকবাল খন্দকার ইব্রাহিম নোমান ইব্রাহীম মণ্ডল ইমদাদুল হক মিলন ইলিয়াস হোসেন ইশতিয়াক ইয়াসির মারুফ উত্তম মিত্র উত্তম সেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী এ কে আজাদ এ টি এম শামসুজ্জামান এ.বি.এম. ইয়াকুব আলী সিদ্দিকী একরামুল হক শামীম একে আজাদ এনামুল হায়াত এনায়েত রসুল এম আহসাবন এম. মুহাম্মদ আব্দুল গাফফার এম. হারুন অর রশিদ এরশাদ মজুদার এরশাদ মজুমদার এস এম নাজমুল হক ইমন এস এম শহীদুল আলম এস. এম. মতিউল হাসান এসএম মেহেদী আকরাম ওমর আলী ওয়াসিফ -এ-খোদা ওয়াহিদ সুজন কবি গোলাম মোহাম্মদ কমিনী রায় কাজী আনিসুল হক কাজী আবুল কালাম সিদ্দীক কাজী নজরুল ইসলাম কাজী মোস্তাক গাউসুল হক শরীফ কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম কাপালিক কামরুল আলম সিদ্দিকী কামাল উদ্দিন রায়হান কার্তিক ঘোষ কায়কোবাদ (কাজেম আলী কোরেশী) কৃষ্ণকলি ইসলাম কে এম নাহিদ শাহরিয়ার কেজি মোস্তফা খন্দকার আলমগীর হোসেন খন্দকার মুহাম্মদ হামিদুল্লাহ্ খান মুহাম্মদ মইনুদ্দীন খালেদ রাহী গাজী গিয়াস উদ্দিন গিরিশচন্দ সেন গিয়াস উদ্দিন রূপম গোলাম কিবরিয়া পিনু গোলাম নবী পান্না গোলাম মোস্তফা গোলাম মোহাম্মদ গোলাম সরোয়ার চন্দন চৌধুরী চৌধুরী ফেরদৌস ছালেহা খানম জুবিলী জ. রহমান জসিম মল্লিক জসীম উদ্দিন জহির উদ্দিন বাবর জহির রহমান জহির রায়হান জাওয়াদ তাজুয়ার মাহবুব জাকির আবু জাফর জাকির আহমেদ খান জাকিয়া সুলতানা জান্নাতুল করিম চৌধুরী জান্নাতুল ফেরদাউস সীমা জাফর আহমদ জাফর তালুকদার জাহাঙ্গীর আলম জাহান জাহাঙ্গীর ফিরোজ জাহিদ হোসাইন জাহিদুল গণি চৌধুরী জায়ান্ট কজওয়ে জিয়া রহমান জিল্লুর রহমান জীবনানন্দ দাশ জুবাইদা গুলশান আরা জুবায়ের হুসাইন জুলফিকার শাহাদাৎ জেড জাওহার জয়নাল আবেদীন বিল্লাল ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া ড. কাজী দীন মুহম্মদ ড. ফজলুল হক তুহিন ড. ফজলুল হক সৈকত ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ ড. মুহা. বিলাল হুসাইন ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ড. রহমান হাবিব ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ডক্টর সন্দীপক মল্লিক ডা. দিদারুল আহসান ডা: সালাহ্উদ্দিন শরীফ তমিজ উদদীন লোদী তাজনীন মুন তানজিল রিমন তাপস রায় তামান্না শারমিন তারক চন্দ্র দাস তারাবাঈ তারেক রহমান তারেক হাসান তাসনুবা নূসরাত ন্যান্সী তাসলিমা আলম জেনী তাহমিনা মিলি তুষার কবির তৈমুর রেজা তৈয়ব খান তৌহিদুর রহমান দর্পণ কবীর দিলওয়ার হাসান দেলোয়ার হোসেন ধ্রুব এষ ধ্রুব নীল নঈম মাহমুদ নবাব আমিন নাইমুর রশিদ লিখন নাইয়াদ নাজমুন নাহার নাজমুল ইমন নাফিস ইফতেখার নাবিল নাসির আহমেদ নাসির উদ্দিন খান নাহার মনিকা নাহিদা ইয়াসমিন নুসরাত নিজাম কুতুবী নির্জন আহমেদ অরণ্য নির্মলেন্দু গুণ নিসরাত আক্তার সালমা নীল কাব্য নীলয় পাল নুরে জান্নাত নূর মোহাম্মদ শেখ নূর হোসনা নাইস নৌশিয়া নাজনীন পীরজাদা সৈয়দ শামীম শিরাজী পুলক হাসান পুষ্পকলি প্রাঞ্জল সেলিম প্রীতম সাহা সুদীপ ফকির আবদুল মালেক ফজল শাহাবুদ্দীন ফররুখ আহমদ ফাতিহা জামান অদ্রিকা ফারুক আহমেদ ফারুক নওয়াজ ফারুক হাসান ফাহিম আহমদ ফাহিম ইবনে সারওয়ার ফেরদৌসী মাহমুদ ফয়সাল বিন হাফিজ বাদশা মিন্টু বাবুল হোসেইন বিকাশ রায় বিন্দু এনায়েত বিপ্রদাশ বড়ুয়া বেগম মমতাজ জসীম উদ্দীন বেগম রোকেয়া বেলাল হোসাইন বোরহান উদ্দিন আহমদ ম. লিপ্স্কেরভ মঈনুল হোসেন মজিবুর রহমান মন্জু মতিউর রহমান মল্লিক মতিন বৈরাগী মধু মনসুর হেলাল মনিরা চৌধুরী মনিরুল হক ফিরোজ মরুভূমির জলদস্যু মর্জিনা আফসার রোজী মশিউর রহমান মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর মা আমার ভালোবাসা মাইকেল মধুসূদন দত্ত মাওলানা মুহাম্মাদ মাকসুদা আমীন মুনিয়া মাখরাজ খান মাগরিব বিন মোস্তফা মাজেদ মানসুর মুজাম্মিল মানিক দেবনাথ মামুন হোসাইন মারজান শাওয়াল রিজওয়ান মারুফ রায়হান মালিহা মালেক মাহমুদ মাসুদ আনোয়ার মাসুদ মাহমুদ মাসুদা সুলতানা রুমী মাসুম বিল্লাহ মাহফুজ উল্লাহ মাহফুজ খান মাহফুজুর রহমান আখন্দ মাহবুব আলম মাহবুব হাসান মাহবুব হাসানাত মাহবুবা চৌধুরী মাহবুবুল আলম কবীর মাহমুদা ডলি মাহমুদুল বাসার মাহমুদুল হাসান নিজামী মাহ্‌মুদুল হক ফয়েজ মায়ফুল জাহিন মিতা জাহান মু. নুরুল হাসান মুজিবুল হক কবীর মুন্সি আব্দুর রউফ মুফতি আবদুর রহমান মুরাদুল ইসলাম মুস্তাফিজ মামুন মুহম্মদ নূরুল হুদা মুহম্মদ শাহাদাত হোসেন মুহাম্মদ আনছারুল্লাহ হাসান মুহাম্মদ আবু নাসের মুহাম্মদ আমিনুল হক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল মুহাম্মদ মহিউদ্দিন মুহাম্মাদ হাবীবুল্লাহ মুহিউদ্দীন খান মেজবাহ উদ্দিন মেহনাজ বিনতে সিরাজ মেহেদি হাসান শিশির মো. আরিফুজ্জামান আরিফ মো: জামাল উদ্দিন মোঃ আহসান হাবিব মোঃ তাজুল ইসলাম সরকার মোঃ রাকিব হাসান মোঃ রাশেদুল কবির আজাদ মোঃ সাইফুদ্দিন মোমিন মেহেদী মোর্শেদা আক্তার মনি মোশাররফ মোশাররফ হোসেন খান মোশারেফ হোসেন পাটওয়ারী মোহসেনা জয়া মোহাম্মদ আল মাহী মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন মোহাম্মদ নূরুল হক মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ্ মোহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ মোহাম্মদ সা'দাত আলী মোহাম্মদ সাদিক মোহাম্মদ হোসাইন মৌরী তানিয় যতীন্দ্র মোহন বাগচী রজনীকান্ত সেন রণক ইকরাম রফিক আজাদ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রহমান মাসুদ রহিম রায়হান রহিমা আখতার কল্পনা রাখাল রাজিব রাজিবুল আলম রাজীব রাজু আলীম রাজু ইসলাম রানা হোসেন রিয়াজ চৌধুরী রিয়াদ রুমা মরিয়ম রেজা উদ্দিন স্টালিন রেজা পারভেজ রেজাউল হাসু রেহমান সিদ্দিক রোকনুজ্জামান খান রোকেয়া খাতুন রুবী শওকত হোসেন শওকত হোসেন লিটু শওগাত আলী সাগর শফিক আলম মেহেদী শরীফ আতিক-উজ-জামান শরীফ আবদুল গোফরান শরীফ নাজমুল শাইখুল হাদিস আল্লামা আজীজুল হক শামছুল হক রাসেল শামসুজ্জামান খান শামসুর রহমান শামস্ শামীম হাসনাইন শারমিন পড়শি শাহ আব্দুল হান্নান শাহ আলম শাহ আলম বাদশা শাহ আহমদ রেজা শাহ নেওয়াজ চৌধুরী শাহ মুহাম্মদ মোশাহিদ শাহজাহান কিবরিয়া শাহজাহান মোহাম্মদ শাহনাজ পারভীন শাহাদাত হোসাইন সাদিক শাহাবুদ্দীন আহমদ শাহাবুদ্দীন নাগরী শাহিন শাহিন রিজভি শিউল মনজুর শিরিন সুলতানা শিশিরার্দ্র মামুন শুভ অংকুর শেখ হাবিবুর রহমান সজীব সজীব আহমেদ সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত সাইদা সারমিন রুমা সাইফ আলি সাইফ চৌধুরী সাইফ মাহাদী সাইফুল করীম সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদূদী সাকিব হাসান সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ সানজানা রহমান সাবরিনা সিরাজী তিতির সামছুদ্দিন জেহাদ সামিয়া পপি সাযযাদ কাদির সারোয়ার সোহেন সালমা আক্তার চৌধুরী সালমা রহমান সালেহ আকরাম সালেহ আহমদ সালেহা সুলতানা সিকদার মনজিলুর রহমান সিমু নাসের সিরহানা হক সিরাজুল ইসলাম সিরাজুল ফরিদ সুকান্ত ভট্টাচার্য সুকুমার বড়ুয়া সুকুমার রায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সুফিয়া কামাল সুভাষ মুখোপাধ্যায় সুমন সোহরাব সুমনা হক সুমন্ত আসলাম সুমাইয়া সুহৃদ সরকার সৈয়দ আরিফুল ইসলাম সৈয়দ আলমগীর সৈয়দ আলী আহসান সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন সিরাজী সৈয়দ তানভীর আজম সৈয়দ মুজতবা আলী সৈয়দ সোহরাব হানিফ মাহমুদ হামিদুর রহমান হাসান আলীম হাসান ভূইয়া হাসান মাহবুব হাসান শরীফ হাসান শান্তনু হাসান হাফিজ হাসিনা মমতাজ হুমায়ূন আহমেদ হুমায়ূন কবীর ঢালী হেলাল মুহম্মদ আবু তাহের হেলাল হাফিজ হোসেন মাহমুদ হোসেন শওকত হ্নীলার বাঁধন

    মাসের শীর্ষ পঠিত

     
    রায়পুর তরুণ ও যুব ফোরাম

    .::jonaaki online::. © ২০১১ || টেমপ্লেট তৈরি করেছেন জোনাকী টিম || ডিজাইন ও অনলাইন সম্পাদক জহির রহমান || জোনাকী সম্পর্কে পড়ুন || জোনাকীতে বেড়াতে আসার জন্য ধন্যবাদ