যখন আমি ছোট ছিলাম
শিশু ছিলাম
মেঘের মতো, ঘাসের মতো, জলের মতো।
শহরের ইট, সিমেণ্ট, রড, কংক্রীট থেকে দূরে...
দূর গ্রাম দেশে। মাটির সাথে মিশে
জলের সাথে ভেসে, শ্রাবণের প্লাবন আমার বন্ধু ছিল।
আকাশের মেঘ মালা আমার ভাল লাগত
হিজল ও অশ্বথ্বের রঙ্গিন ডালে দোলতে দোলতে
চপল মেয়েটির গালে
জোর করে চুমু এঁকে দিতাম।
দুষ্টু মেয়েটির তুলতুলে হাতের চট তখন আমার ভাল লাগত।
------এখন বড় হয়ে
শহরে এসে, শহুরে হয়ে
টকটকে লাল গালওয়ালা সেই মেয়েটিকে ভুলে...
মনে হল দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় এত দিনে
আমি সব খুয়েছি।
কাদা মাটির গন্ধ ভুলে গেছি, মেঘের ডাক ভুলে গেছি,
হিজল অশ্বথ্বের পাতার রঙ্গিন সুর হারিয়েছি।
মেয়েটির সঙ্গে দিঘির ওপারে দাঁড়িয়ে বর্ষামঙ্গল গান শুনতে পায় না আর।
কদম ফুলের ঘ্রান এখন আর অনুভব করিনা।
বৃষ্টি বিলাসী মেয়েটিকে হারিয়ে
এখন হাতড়িয়ে খুঁজি অন্ধকারে অমাবশ্যার গন্ধ,
তাকে না পাওয়ার ব্যর্থতা অভ্যর্ত হৃদয় এখন হূদয়াবদ্ধ ও মুক।
গোপন ভালবাসার কথা মনে হলে কেঁপে কেঁপে উঠে আমার অমানবিক বুক।
বৃষ্টি ভেজা সকালে তার সৌন্দর্য দেখে
হঠাৎ কেঁপে কেঁপে উঠত আমার দু'পা ও ঠোঁট।
বিপন্ন বোধ করতাম সামনে দিয়ে তার চলে যাওয়া দেখে..
সাহস নিয়ে দু'কদম এগিয়ে পেছন থেকে টেনে ধরতাম উড়নার আঁচল,
তখন তার দু'চোখ লাল হয়ে করত টলমল।
শুনা যেত মৃদু গালি ভরা তার কণ্ঠস্বর।
তবুও জোর করে তার ঠোঁট জোড়া কামড়ে দিতাম..
ফুসফুস ভরে টেনে নিতাম তার বিষন্ন দীর্ঘশাস।
চোখ ভরে দেখতাম তার গালের চিবুকের শ্যামল রং।
ঢং মাখা অশ্রু তার চোয়াল বেয়ে গড়িয়ে পড়ত
মনে হত শিশির বিন্দু ঝরছে অবিরত।
শহর কেড়ে নিয়েছে আমার হিজল ও অশ্বথ্ব তলের মাটির মেয়েটি।
কেড়ে নিয়েছে বর্ষাধোয়া সন্ধ্যারাত ও শ্রাবণের অন্ধকার।
শিশু ছিলাম
মেঘের মতো, ঘাসের মতো, জলের মতো।
শহরের ইট, সিমেণ্ট, রড, কংক্রীট থেকে দূরে...
দূর গ্রাম দেশে। মাটির সাথে মিশে
জলের সাথে ভেসে, শ্রাবণের প্লাবন আমার বন্ধু ছিল।
আকাশের মেঘ মালা আমার ভাল লাগত
হিজল ও অশ্বথ্বের রঙ্গিন ডালে দোলতে দোলতে
চপল মেয়েটির গালে
জোর করে চুমু এঁকে দিতাম।
দুষ্টু মেয়েটির তুলতুলে হাতের চট তখন আমার ভাল লাগত।
------এখন বড় হয়ে
শহরে এসে, শহুরে হয়ে
টকটকে লাল গালওয়ালা সেই মেয়েটিকে ভুলে...
মনে হল দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় এত দিনে
আমি সব খুয়েছি।
কাদা মাটির গন্ধ ভুলে গেছি, মেঘের ডাক ভুলে গেছি,
হিজল অশ্বথ্বের পাতার রঙ্গিন সুর হারিয়েছি।
মেয়েটির সঙ্গে দিঘির ওপারে দাঁড়িয়ে বর্ষামঙ্গল গান শুনতে পায় না আর।
কদম ফুলের ঘ্রান এখন আর অনুভব করিনা।
বৃষ্টি বিলাসী মেয়েটিকে হারিয়ে
এখন হাতড়িয়ে খুঁজি অন্ধকারে অমাবশ্যার গন্ধ,
তাকে না পাওয়ার ব্যর্থতা অভ্যর্ত হৃদয় এখন হূদয়াবদ্ধ ও মুক।
গোপন ভালবাসার কথা মনে হলে কেঁপে কেঁপে উঠে আমার অমানবিক বুক।
বৃষ্টি ভেজা সকালে তার সৌন্দর্য দেখে
হঠাৎ কেঁপে কেঁপে উঠত আমার দু'পা ও ঠোঁট।
বিপন্ন বোধ করতাম সামনে দিয়ে তার চলে যাওয়া দেখে..
সাহস নিয়ে দু'কদম এগিয়ে পেছন থেকে টেনে ধরতাম উড়নার আঁচল,
তখন তার দু'চোখ লাল হয়ে করত টলমল।
শুনা যেত মৃদু গালি ভরা তার কণ্ঠস্বর।
তবুও জোর করে তার ঠোঁট জোড়া কামড়ে দিতাম..
ফুসফুস ভরে টেনে নিতাম তার বিষন্ন দীর্ঘশাস।
চোখ ভরে দেখতাম তার গালের চিবুকের শ্যামল রং।
ঢং মাখা অশ্রু তার চোয়াল বেয়ে গড়িয়ে পড়ত
মনে হত শিশির বিন্দু ঝরছে অবিরত।
শহর কেড়ে নিয়েছে আমার হিজল ও অশ্বথ্ব তলের মাটির মেয়েটি।
কেড়ে নিয়েছে বর্ষাধোয়া সন্ধ্যারাত ও শ্রাবণের অন্ধকার।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন