অনেকেই মনে করেন আধুনিক যুগে, মুক্ত তথ্য প্রবাহের যুগে বই নিষিদ্ধ করার প্রবণতা কমে গেছে। তবে পরিসংখ্যান বলছে উল্টো কথা। শুধু ২০১০ সালেই ৩৪৮টি বই নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হয়। নিষিদ্ধ তালিকায় জগত্ কাঁপানো হ্যারি পটার সিরিজের বইও রয়েছে। জনপ্রিয় ওই উপন্যাস নিষিদ্ধ করার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, উপন্যাসটিতে খ্রিস্ট ধর্মবিরোধী ইন্দ্রজাল প্রসারের প্রচেষ্টা রয়েছে।
স্থান-কালভেদে বই নিষিদ্ধ হতে পারে। আমাদের সমাজে যে বই নিষিদ্ধ, তা পশ্চিমা সমাজে অবলীলায় বিক্রি হতে পারে। আবার এর উল্টোটাও সত্য হতে পারে কখনও কখনও। সাধারণভাবে মনে করা হয় সরকার বা রাষ্ট্র বই নিষিদ্ধ করে থাকে। তবে দেখা যায় যে কোনো কর্তৃপক্ষ, পাঠাগার, কোনো বিদ্যালয় বা বিশেষ কোনো অঞ্চলবিশেষ কোনো বই নিষিদ্ধ করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের মতো অগ্রসর সমাজেও বহু বই নিষিদ্ধ আছে। তবে সেখানে বই নিষিদ্ধ করা হয় সাধারণত শিশুদের কথা মাথায় রেখে। যেসব বই শিশুদের সুস্থ চিন্তা বিকাশের অন্তরায় মনে করা হয়, সেগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়। দেখা যায়, কোনো বই হয়তো শিশুদের পাঠ্যক্রম হিসেবে নিষিদ্ধ, কিন্তু কিশোরদের জন্য তা নিষিদ্ধ নয়।
বই নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে সব সমাজেই একটি বিষয় লক্ষ্য করা যায়। কোনো বই নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে সেই সমাজের সবাই কখনও একমত হতে পারে না। যেমনটি দেখা গেছে হ্যারি পটার সিরিজের ক্ষেত্রেও। অনেকেই মনে করেন, শিশুদের চিন্তাশক্তি বিকাশের জন্য এটি একটি চমত্কার বই। কিন্তু অন্যরা বলে থাকেন যে, শিশুদের ওপর বইটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, সব বই সবার জন্য উপযোগী নয়। কিন্তু বিচিত্র ধরনের বই মানুষের শিক্ষা ও কল্পনাশক্তি বিকাশের জন্যই অপরিহার্য।
বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখক হুমায়ুন আজাদের লেখা ‘নারী’ অথবা তসলিমা নাসরিনের লেখা ‘লজ্জা’ উপন্যাস নিষিদ্ধ হওয়ার কথা আমরা সবাই জানি। তবে বিতর্ক থাকলেও বহুকাল আগে থেকেই বই নিষিদ্ধ করার প্রথা চলে আসছে। ১২৩৪ সালে জেমস ওয়ানের সময়ে বাইবেল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। এখনও ইরিত্রিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মতো অনেক দেশে বাইবেল সেন্সর করা হয় কিংবা এর বিতরণ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
অশ্লীলতার দায়ে মেরি শেলীর সাড়া জাগানো উপন্যাস ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’কে ১৯৫৫ সালে নিষিদ্ধ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার। এরিখ মারিয়া রেমার্কের লেখা যুদ্ধবিরোধী উপন্যাস ‘অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট’ (১৯২৯) নিষিদ্ধ করেছিল জার্মানির নাত্সী সরকার। জন মিল্টনের প্রবন্ধ ‘অ্যারোপাগিটিকা’ (১৬৪৪) নিষিদ্ধ করেছিল ইংল্যান্ডের রাজা।
যশবন্ত সিংয়ের লেখা ‘জিন্নাহ : ইন্ডিয়া-পার্টিশন-ইন্ডিপেনডেন্স’ (২০০৯) নিষিদ্ধ করে গুজরাটের হিন্দু মৌলবাদী রাজ্য-সরকার। পাকিস্তান সরকার স্ট্যানলি ওলপার্টের লেখা জীবনীগ্রন্থ ‘জিন্নাহ অব পাকিস্তান’ (১৯৮২) নিষিদ্ধ করেছিল জিন্নাহ সম্পর্কে বিতর্কিত তথ্য প্রকাশের জন্য।
চরমপন্থী মতাদর্শ থাকার কারণে জার্মানির শাসক হিটলারের আত্মজীবনী ‘মেইন ক্যাম্প’ (১৯২৫) ইউরোপের অনেক দেশ ও রাশিয়ায় নিষিদ্ধ। ইসলামকে অবমাননার দায়ে সালমান রুশদির লেখা ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ (১৯৮৮) মুসলিম বিশ্বের বহু দেশেই নিষিদ্ধ। ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধ সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য প্রকাশ করায় ভারতে নিষিদ্ধ বারট্রান্ড রাসেলের গ্রন্থ ‘আনয়ার্মড ভিক্টরি’ (১৯৬৩)। নোয়াম চমস্কির রাজনীতি বিষয়ক বই ‘হোয়াট আঙ্কল সাম রিয়েলি ওয়ান্টস’ (২০০২) নিষিদ্ধ দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীতে।
স্থান-কালভেদে বই নিষিদ্ধ হতে পারে। আমাদের সমাজে যে বই নিষিদ্ধ, তা পশ্চিমা সমাজে অবলীলায় বিক্রি হতে পারে। আবার এর উল্টোটাও সত্য হতে পারে কখনও কখনও। সাধারণভাবে মনে করা হয় সরকার বা রাষ্ট্র বই নিষিদ্ধ করে থাকে। তবে দেখা যায় যে কোনো কর্তৃপক্ষ, পাঠাগার, কোনো বিদ্যালয় বা বিশেষ কোনো অঞ্চলবিশেষ কোনো বই নিষিদ্ধ করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের মতো অগ্রসর সমাজেও বহু বই নিষিদ্ধ আছে। তবে সেখানে বই নিষিদ্ধ করা হয় সাধারণত শিশুদের কথা মাথায় রেখে। যেসব বই শিশুদের সুস্থ চিন্তা বিকাশের অন্তরায় মনে করা হয়, সেগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়। দেখা যায়, কোনো বই হয়তো শিশুদের পাঠ্যক্রম হিসেবে নিষিদ্ধ, কিন্তু কিশোরদের জন্য তা নিষিদ্ধ নয়।
বই নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে সব সমাজেই একটি বিষয় লক্ষ্য করা যায়। কোনো বই নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে সেই সমাজের সবাই কখনও একমত হতে পারে না। যেমনটি দেখা গেছে হ্যারি পটার সিরিজের ক্ষেত্রেও। অনেকেই মনে করেন, শিশুদের চিন্তাশক্তি বিকাশের জন্য এটি একটি চমত্কার বই। কিন্তু অন্যরা বলে থাকেন যে, শিশুদের ওপর বইটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, সব বই সবার জন্য উপযোগী নয়। কিন্তু বিচিত্র ধরনের বই মানুষের শিক্ষা ও কল্পনাশক্তি বিকাশের জন্যই অপরিহার্য।
বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখক হুমায়ুন আজাদের লেখা ‘নারী’ অথবা তসলিমা নাসরিনের লেখা ‘লজ্জা’ উপন্যাস নিষিদ্ধ হওয়ার কথা আমরা সবাই জানি। তবে বিতর্ক থাকলেও বহুকাল আগে থেকেই বই নিষিদ্ধ করার প্রথা চলে আসছে। ১২৩৪ সালে জেমস ওয়ানের সময়ে বাইবেল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। এখনও ইরিত্রিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মতো অনেক দেশে বাইবেল সেন্সর করা হয় কিংবা এর বিতরণ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
অশ্লীলতার দায়ে মেরি শেলীর সাড়া জাগানো উপন্যাস ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’কে ১৯৫৫ সালে নিষিদ্ধ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার। এরিখ মারিয়া রেমার্কের লেখা যুদ্ধবিরোধী উপন্যাস ‘অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট’ (১৯২৯) নিষিদ্ধ করেছিল জার্মানির নাত্সী সরকার। জন মিল্টনের প্রবন্ধ ‘অ্যারোপাগিটিকা’ (১৬৪৪) নিষিদ্ধ করেছিল ইংল্যান্ডের রাজা।
যশবন্ত সিংয়ের লেখা ‘জিন্নাহ : ইন্ডিয়া-পার্টিশন-ইন্ডিপেনডেন্স’ (২০০৯) নিষিদ্ধ করে গুজরাটের হিন্দু মৌলবাদী রাজ্য-সরকার। পাকিস্তান সরকার স্ট্যানলি ওলপার্টের লেখা জীবনীগ্রন্থ ‘জিন্নাহ অব পাকিস্তান’ (১৯৮২) নিষিদ্ধ করেছিল জিন্নাহ সম্পর্কে বিতর্কিত তথ্য প্রকাশের জন্য।
চরমপন্থী মতাদর্শ থাকার কারণে জার্মানির শাসক হিটলারের আত্মজীবনী ‘মেইন ক্যাম্প’ (১৯২৫) ইউরোপের অনেক দেশ ও রাশিয়ায় নিষিদ্ধ। ইসলামকে অবমাননার দায়ে সালমান রুশদির লেখা ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ (১৯৮৮) মুসলিম বিশ্বের বহু দেশেই নিষিদ্ধ। ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধ সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য প্রকাশ করায় ভারতে নিষিদ্ধ বারট্রান্ড রাসেলের গ্রন্থ ‘আনয়ার্মড ভিক্টরি’ (১৯৬৩)। নোয়াম চমস্কির রাজনীতি বিষয়ক বই ‘হোয়াট আঙ্কল সাম রিয়েলি ওয়ান্টস’ (২০০২) নিষিদ্ধ দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীতে।
সূত্র : আমার দেশ
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন