ভালোভাবে চলাচলের জন্য মানুষের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই অত্যন্ত জরুরি। তবে বাহ্যিক নানা কাজ সুষ্ঠুভাবে সমাধান করতে হাত ও পা বেশি প্রয়োজন। হাতের আঙ্গুল দিয়েই সব কাজ সম্পন্ন করা যায়। শারীরিক নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সঙ্গেই আঙ্গুলের রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। আঙ্গুলের আছে নিজস্ব ভাষা। যেমন আমাদের দেশে কাউকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখানোর অর্থই হচ্ছে তাকে অপমান বা ব্যঙ্গ করা। কিন্তু আমেরিকায় বৃদ্ধাঙ্গুল দেখানোর মানে হচ্ছে ওকে অর্থাৎ সব ঠিক আছে। তবে লাতিন আমেরিকায় বৃদ্ধাঙ্গুল আর তর্জনীর অগ্রভাগ মিলিয়ে বৃত্ত এঁকে দেখানো মানে কাউকে অপমান করা! কিন্তু ফ্রান্সে এর অর্থ হচ্ছে জিরো বা মূল্যহীন, কাজের নয় ইত্যাদি। যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও অনেক দেশের লোক দুই আঙ্গুলের সাহায্যে 'ভি' চিহ্ন দিয়ে প্রকাশ করেন শান্তি বা বিজয়। আর হাতের তালুটি যদি ভেতরের দিকে থাকে, তাহলে ব্রিটিশরা অপমানবোধ করে! আফ্রিকার কিছু দেশে কনিষ্ঠা আর তর্জনী উঠিয়ে মাঝখানের দুটি আঙ্গুল ভাঁজ করে নামিয়ে রাখলেই ভাবে বিপদ বুঝি দোরগোড়ায়। অবশ্য মধ্যপ্রাচ্যের লোকেরা বিদ্রুপ বোঝানোর জন্য মাঝের আঙ্গুল উঁচিয়ে ধরে। পকেটে হাত দিয়ে কথা বললে কেউ কিছু মনে করে সত্য, তবে জাপানে এটি চূড়ান্ত অভদ্রতা। হাতের থাবার দিকটি সামনে বাড়িয়ে দিলেই পশ্চিম আফ্রিকাবাসী অপমানিত হন। তবে গ্রিসে এর অর্থ হচ্ছে বিবাদের শুরু। আমেরিকানরা ভাবে কাজের বিরতি। কপালে বৃদ্ধাঙ্গুল ছুঁইয়ে বসে থাকাও সমস্যা। এমনটি করলে হল্যান্ডবাসী ধরেই নেয় লোকটি পাগল। আর আমেরিকানরা ভাবে লোকটি কী স্মার্ট! আমেরিকানরা সাধারণত তর্জনী সামান্য উঁচিয়ে বৃদ্ধাঙ্গুল একটু বাড়িয়ে ওয়েটারদের ডাকে। কিন্তু জাপানিরা এ ধরনের ইশারায় ওয়েটারদের ডাকা একেবারেই পছন্দ করে না। আবার জার্মানিরা এ ধরনের ইশারা করলে ওয়েটাররা আরও দুটি ড্রিঙ্কস নিয়ে এসে হাজির হয়। মালয়েশিয়ানরা বাতাসে একটু আঁকিঝুঁকি কেটে ওয়েটারদের ডাকে। তবে ওই দেশে তর্জনী বাঁকানো মানেই উগ্রতা। ভাবুন একবার, একই অঙ্গের কত রূপ।
সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন