নিল আর্মস্ট্রং
(জন্ম আগস্ট ৫, ১৯৩০-মৃত্যু: আগস্ট ২৫, ২০১২)
একজন মার্কিন নভোচারী ও বৈমানিক। তিনি চাঁদে অবতরণকারী প্রথম মানুষ হিসাবে পৃথিবীর ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন। তাঁর প্রথম মহাকাশ অভিযান হয় ১৯৬৬ খ্রীস্টাব্দে, জেমিনি ৮ নভোযানের চালক হিসাবে। এই অভিযানে তিনি ও ডেভিড স্কট মিলে সর্ব প্রথম দুইটি ভিন্ন নভোযানকে মহাকাশে একত্রে যুক্ত করেন।
আর্মস্ট্রং-এর দ্বিতীয় মহাকাশ মিশন ছিল এপোলো-১১ এর মিশন কমান্ডার হিসাবে। ১৯৬৯ সালের জুলাই মাসে এডউইন অলড্রিনকে সঙ্গে নিয়ে নিল আর্মস্ট্রং চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেন এবং প্রায় আড়াই ঘন্টা সেখানে অবস্থান করেন। সে সময়ে মাইকেল কলিন্স মূল নভোযানে অবস্থান করেন। তাঁরা তিনজনই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের সময়ে "প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম" পদকে ভূষিত হোন।
২০১২ সালের ২৫ আগস্ট নিল আর্মস্ট্রং ওহাইও-এর সিনসিনাটিতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
প্রাথমিক জীবনঃ
নিল আর্মস্ট্রং ১৯৩০ সালের ৫ আগষ্ট জন্মগ্রহন করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওর স্টেফান কনিগ আর্মস্ট্র ও ভায়োলা লুইসা দম্পতির প্রথম সন্তান নিল আর্মস্ট্রং। তিনি বংশানুক্রিমক ভাবে স্কটিশ ও জার্মান। নিল আমস্ট্রংয়ের আরও দুজন সহোদর ছিল। ছেলেবেলা থেকে নিল আর্মস্ট্রংয়ের আমেরিকার ২০ টি ভিন্ন শহরে থাকার অভিজ্ঞতা ছিল। মাত্র দুবছর বয়সে তিনি তার পিতার সাথে ক্লীভল্যান্ড এয়ার রেস দেখতে গিয়েছিলেন। ১৯৩৬ সালের ২০ জুলাই তিনি প্রথম বিমানে চড়ার অভিজ্ঞতা লাভ করেন।[
পড়াশুনাঃ
আর্মস্টং পড়াশোনা করেন পার্ডু বিশ্ববিদ্যালয় এ, এবং পরে ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়াতে। নভোচারী হওয়ার আগে আর্মস্ট্রং মার্কিন নৌবাহিনীর বৈমানিক ছিলেন। তিনি কোরীয় যুদ্ধে অংশ নেন। এর পর তিনি ড্রাইডেন ফ্লাইট রিসার্চ সেন্টারের পরীক্ষামূলক বিমান চালক হিসাবে যোগ দেন। বিভিন্ন পরীক্ষামূলক বিমান নিয়ে তিনি ৯০০ এর ও অধিক বার উড্ডয়ন করেন।
চন্দ্র অভিযানঃ
আর্মস্ট্রং এর পরবর্তী ও শেষ অভিযান হয় এপোলো ১১ নভোযানের অভিযান নেতা হিসাবে। [৭] [৮]এই অভিযানে তিনি ১৯৬৯ খ্রীস্টাব্দের জুলাই ২৬ তারিখের গ্রীনউইচ মান সময় ১২:৩৬ পিএম এ চাঁদে অবতরণ করেন। প্রথম মানুষ হিসাবে চাঁদে পা রাখার সময় তিনি মন্তব্য করেন:
This is a small step for (a) man, but a giant leap for mankind
অর্থাৎ, এটি একজন মানুষের জন্য ক্ষুদ্র একটি পদক্ষেপ, কিন্তু মানবজাতির জন্য এক বিশাল অগ্রযাত্রা।
চাঁদে আর্মস্ট্রং ও এডুইন অল্ড্রিন জুনিয়র অবতরণ করেন, ও ২.৫ ঘণ্টা কাটান।
জীবনঃ
অ্যাপোলো ১১ এর পরে আর্মস্ট্রং আর মহাকাশ অভিযানে যান নাই। তিনি ১৯৭৯ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি অফ সিনসিনাটির ঊড্ডয়ন প্রকৌশলের অধ্যাপক হিসাবে কাজ করেন।
মৃত্যুঃ
৮২ বছরে বাইপাস সার্জারির কিছুদিন পর ২০১২ সালের ২৫ আগষ্ট তিনি মৃত্যুবরন করেন।
সম্মাননাঃ
নভেম্বর ২০১১ তে আরো তিন নভোচারীর সঙ্গে নিল আর্মস্ট্রং যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল অর্জন করেছেন।
একনজরে নিল আর্মস্ট
জাতীয়তা : মার্কিনি
জন্ম: আগস্ট ৫, ১৯৩০ ওয়াপাকোনেটা, ওহাইও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মৃত্যু : আগস্ট ২৫, ২০১২ (৮২ বছর) কলম্বাস, ওহাইও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
পূর্বতন পেশা : বৈমানিক
মহাকাশে অবস্থানকাল: ৮ দিন, ১৪ ঘন্টা, ১২ মিনিট, ৩১ সেকেন্ড
মনোনয়ক : 1958 Man In Space Soonest
1960 Dyna-Soar
1962 NASA Group 2
সর্বমোট অভিযান : ১
সর্বমোট অভিযানের সময়কাল : ২ ঘন্টা ৩১ মিনিট
অভিযান : জেমিনি ৮, Apollo 11
সূত্র : উইকিপিডিয়া
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন