ডাক্তার : আপনাকে কতবার বলেছি, চর্বিজাতীয় খাবার খাবেন না।
রোগী : খেতে তো চাই না। কিন্ত জিহ্বা যে মানে না।
ডাক্তার : এত বড় একটা শরীর নিয়ে এতটুকুন একটা জিহ্বার সাথে পারেন না, এ কেমন কথা!
রোগী : জিহ্বা তো একা নয়, পেটও যে তাকে সাপোর্ট করে!
লিটন : তোর গরম লাগলে তুই কী করিস?
বাবলু : কী আবার করব? এসির পাশে গিয়ে বসি।
লিটন : তাতেও যদি তোর গরম না কমে?
বাবলু : তখন এসি অন করি
সংগ্রহে : নিশাত নাবিলা বুশরা
গলাচিপা, পটুয়াখালী
ক্রেতা : সবাই এই ঈদে কিছু না কিছু ছাড় দিচ্ছে, আপনারা দিচ্ছেন না কেন?
বিক্রেতা : আমরা এবার এই ‘ছাড়’ শব্দটাকেই ছাড় দিয়েছি!
সংগ্রহে : হোমায়রা হিমু
বাংড়া, শেরপুর, বগুড়া
ক্রেতা : এই ঈদে আপনাদের বিশেষ কোনো অফার আছে?
বিক্রেতা : অবশ্যই। এই ঈদে আমাদের মার্কেট থেকে আপনি যে পরিমাণ শপিং করবেন, পরের ঈদে তার দ্বিগুণ করলেই, তার পরের ঈদে পাবেন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংগ্রহে : রেজাউল করীম মাসরুর
গাছবাড়ী জে. ইউ কামিল মাদ্রাসা
অফিসের বড় সাহেব বলছেন কর্মচারীকে, করিম সাহেব, আপনি নাকি অফিসে এসে সারাদিন ইন্টারনেটে শেয়ার বাজারের ওয়েব সাইটে বসে থাকেন?
করিম সাহেব : দুঃখিত স্যার, আমাকে ক্ষমা করুন।
বড় সাহেব : না না, আমি আপনার উপর খুবই সন্তুষ্ট।
করিম সাহেব (অবাক হয়ে) : কেন স্যার?
বড় সাহেব : আপনার অন্তত অফিসে এসে ঘুমিয়ে পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই!
সংগ্রহে : কামারুল ইসলাম
বিজয়নগর, বি-বাড়িয়া
বাগানে কাজ করছে দুই মালি। একজন গর্ত খুঁড়ছে, অন্যজন তা ভরাট করছে। তা দেখে রাহাত সাহেব বললেন, কী ব্যাপার, তোমরা গর্ত খুঁড়ছো আর ভরাট করছো কেন?
শুনে যে মালি গর্ত খুঁড়ছিল সে ঘুরে দাঁড়িয়ে বলল, আমরা আসলে বাগানে কাজ করি তিনজন। আমি গর্ত খুঁড়ি, আরেকজন তাতে গাছ লাগায়, আর ও গর্ত ভরাট করে। কিন্তু আজকে যে মালি গাছ লাগায় ও আসেনি। তাই বলে তো আর আমরা কাজ না করে বসে থাকতে পারি না! তাই আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি।
সংগ্রহে : আব্দুল্যাহ আল মাহমুদ
সিপাহীবাগ, খিলগাঁও, ঢাকা
এক বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে।
প্রতিবেশীর বাড়িতে অনুসন্ধানের কাজে গেছেন গোয়েন্দা।
গোয়েন্দা : গত রাতে পাশের বাসা থেকে আপনারা কোনো শব্দ শুনতে পেয়েছেন?
প্রতিবেশী : নাহ্! গোলাগুলি, চিৎকার আর ওদের কুকুরটার চেঁচামেচির যন্ত্রণায় কিছু শোনাই যাচ্ছিল না।
সংগ্রহে : নিশাদুল ইসলাম নিশাত
চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ, কক্সবাজার
ছোট্ট রানু গেছে গোয়েন্দাদের অফিসে। দেয়ালে ‘ওয়ান্টেড’-এর তালিকায় টাঙানো অপরাধীদের ছবি দেখে সে গোয়েন্দা অফিসারকে প্রশ্ন করল, তোমরা কি সত্যিই ওদের গ্রেফতার করতে চাও?
গোয়েন্দা : অবশ্যই।
রানু : তাহলে ছবি তোলার সময়ই আটকে রাখলে না কেন?
সংগ্রহে : মোস্তফা ওয়াদুদ
আড়ংবাজার, মতলব, চাঁদপুর
ভিখারি : সাহেব, একটা টাকা দিন।
ভদ্রলোক : কাল এসো।
ভিখারি : এই কালকের চক্করে আমার প্রায় লাখখানেক টাকা আটকে আছে এই পাড়ায়।
সংগ্রহে : রাকিবুল ইসলাম
নলডাংগা, কালিগঞ্জ, ঝিনাইদহ
ঈদের দিন একেবারে ভোরবেলা শপিং কমপ্লেক্সের দারোয়ানের কাছে ফোন এলোÑ ভাই, আপনাদের শপিং কমপ্লেক্স কখন খুলবেন?
দারোয়ান : স্যার আজ তো ঈদের দিন। আজ আর খোলা হবে না। একেবারে ঈদের তিন দিন পর খুলব।
প্লিজ ভাই, আজকে কি একটু খোলা যায় না, মাত্র পাঁচ মিনিটের জন্য? ফোনের ওপাশ থেকে করুণ মিনতি ভেসে এলো।
দারোয়ান বলে, কেন ভাই, আপনার কী এমন জরুরি দরকার? এই ঈদের দিনে আবার কী কিনবেন?
ফোনের ওপাশ থেকে উত্তর আসে, না ভাই, কিছু কিনব না। শপিং কমপ্লেক্স থেকে বের হবো। কাল রাতে বউ-বাচ্চা নিয়ে শপিং করতে এসে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
সংগ্রহে : ওবায়দুল্লাহ
গফরগাঁও, ময়মনসিংহ
ঈদে ট্রেনে করে বাসায় ফিরেছে রাজীব মামা। ভাগনেদের সঙ্গে গল্প করছে রাস্তায় কত কষ্ট হয়েছে তা নিয়েÑ আর বলিস না, সারা রাত ঘুমাতে পারিনি।
ভাগনেরা উদ্বিগ্ন হয়ে জানতে চায়, কেন কেন? ঘুমাতে পারোনি কেন, মামা?
আর বলিস না। আমাকে সিট দিয়েছে ওপরের বার্থে। আর তোরা তো জানিসই আমি আরামপ্রিয় মানুষ, ওপরের বার্থে আমার কিছুতেই ঘুম আসে না।
ভাগনে সোহেল বলে, নিচের বার্থের যাত্রীর সঙ্গে বার্থ চেঞ্জ করে নিলেই পারতে, মামা।
রাজীব মামার নি®প্রভ উত্তর, আরে আমার কি আর সে বুদ্ধি-শুদ্ধি নেই! আমিও তো বার্থ চেঞ্জ করে নেয়ার কথাই ঠিক করে রেখেছিলাম। কিন্তু ট্রেনে উঠে দেখি, নিচের বার্থের যাত্রী ট্রেন মিস করেছে। এখন বল, আমি কার সঙ্গে বার্থ চেঞ্জ করব?
সংগ্রহে : ইমরান হোসেন
দক্ষিণ হালিশহর কেজি স্কুল, চট্টগ্রাম
প্রথমবারের মত সমুদ্র দর্শনে বের হয়েছেন পদার্থবিদ, জীববিদ এবং রসায়নবিদ।
পদার্থবিদ সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ দেখে মোহিত হয়ে ঢেউয়ের ফ্লুইড ডাইনামিক্সের উপর গবেষণা করার কথা চিন্তা করে সাগরে চলে গেলেন। যথারীতি তিনি ডুবে গিয়ে আর ফিরলেন না।
জীববিজ্ঞানী সমুদ্রের ফ্লোরা-ফনার উপর গবেষণা করার জন্য সমুদ্রে গেলেন, কিন্তু তিনিও ঐ পদার্থবিদের মত সাগরে গিয়ে আর ফিরলেন না।
বহুক্ষণ ধরে বাকি দুইজনের জন্য অপেক্ষা করে রসায়নবিদ শেষে পর্যবেক্ষণ লিখলেন, ‘পদার্থবিজ্ঞানী এবং জীববিজ্ঞানী উভয়ই সমুদ্রের পানিতে দ্রবনীয়।’
সংগ্রহে : আরিফুল ইসলাম রাতুল
ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়
মাসিক কিশোরকন্ঠ আগস্ট, ২০১২ ঈদ সংখ্যায় প্রকাশিত
রোগী : খেতে তো চাই না। কিন্ত জিহ্বা যে মানে না।
ডাক্তার : এত বড় একটা শরীর নিয়ে এতটুকুন একটা জিহ্বার সাথে পারেন না, এ কেমন কথা!
রোগী : জিহ্বা তো একা নয়, পেটও যে তাকে সাপোর্ট করে!
লিটন : তোর গরম লাগলে তুই কী করিস?
বাবলু : কী আবার করব? এসির পাশে গিয়ে বসি।
লিটন : তাতেও যদি তোর গরম না কমে?
বাবলু : তখন এসি অন করি
সংগ্রহে : নিশাত নাবিলা বুশরা
গলাচিপা, পটুয়াখালী
ক্রেতা : সবাই এই ঈদে কিছু না কিছু ছাড় দিচ্ছে, আপনারা দিচ্ছেন না কেন?
বিক্রেতা : আমরা এবার এই ‘ছাড়’ শব্দটাকেই ছাড় দিয়েছি!
সংগ্রহে : হোমায়রা হিমু
বাংড়া, শেরপুর, বগুড়া
ক্রেতা : এই ঈদে আপনাদের বিশেষ কোনো অফার আছে?
বিক্রেতা : অবশ্যই। এই ঈদে আমাদের মার্কেট থেকে আপনি যে পরিমাণ শপিং করবেন, পরের ঈদে তার দ্বিগুণ করলেই, তার পরের ঈদে পাবেন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংগ্রহে : রেজাউল করীম মাসরুর
গাছবাড়ী জে. ইউ কামিল মাদ্রাসা
অফিসের বড় সাহেব বলছেন কর্মচারীকে, করিম সাহেব, আপনি নাকি অফিসে এসে সারাদিন ইন্টারনেটে শেয়ার বাজারের ওয়েব সাইটে বসে থাকেন?
করিম সাহেব : দুঃখিত স্যার, আমাকে ক্ষমা করুন।
বড় সাহেব : না না, আমি আপনার উপর খুবই সন্তুষ্ট।
করিম সাহেব (অবাক হয়ে) : কেন স্যার?
বড় সাহেব : আপনার অন্তত অফিসে এসে ঘুমিয়ে পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই!
সংগ্রহে : কামারুল ইসলাম
বিজয়নগর, বি-বাড়িয়া
বাগানে কাজ করছে দুই মালি। একজন গর্ত খুঁড়ছে, অন্যজন তা ভরাট করছে। তা দেখে রাহাত সাহেব বললেন, কী ব্যাপার, তোমরা গর্ত খুঁড়ছো আর ভরাট করছো কেন?
শুনে যে মালি গর্ত খুঁড়ছিল সে ঘুরে দাঁড়িয়ে বলল, আমরা আসলে বাগানে কাজ করি তিনজন। আমি গর্ত খুঁড়ি, আরেকজন তাতে গাছ লাগায়, আর ও গর্ত ভরাট করে। কিন্তু আজকে যে মালি গাছ লাগায় ও আসেনি। তাই বলে তো আর আমরা কাজ না করে বসে থাকতে পারি না! তাই আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি।
সংগ্রহে : আব্দুল্যাহ আল মাহমুদ
সিপাহীবাগ, খিলগাঁও, ঢাকা
এক বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে।
প্রতিবেশীর বাড়িতে অনুসন্ধানের কাজে গেছেন গোয়েন্দা।
গোয়েন্দা : গত রাতে পাশের বাসা থেকে আপনারা কোনো শব্দ শুনতে পেয়েছেন?
প্রতিবেশী : নাহ্! গোলাগুলি, চিৎকার আর ওদের কুকুরটার চেঁচামেচির যন্ত্রণায় কিছু শোনাই যাচ্ছিল না।
সংগ্রহে : নিশাদুল ইসলাম নিশাত
চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ, কক্সবাজার
ছোট্ট রানু গেছে গোয়েন্দাদের অফিসে। দেয়ালে ‘ওয়ান্টেড’-এর তালিকায় টাঙানো অপরাধীদের ছবি দেখে সে গোয়েন্দা অফিসারকে প্রশ্ন করল, তোমরা কি সত্যিই ওদের গ্রেফতার করতে চাও?
গোয়েন্দা : অবশ্যই।
রানু : তাহলে ছবি তোলার সময়ই আটকে রাখলে না কেন?
সংগ্রহে : মোস্তফা ওয়াদুদ
আড়ংবাজার, মতলব, চাঁদপুর
ভিখারি : সাহেব, একটা টাকা দিন।
ভদ্রলোক : কাল এসো।
ভিখারি : এই কালকের চক্করে আমার প্রায় লাখখানেক টাকা আটকে আছে এই পাড়ায়।
সংগ্রহে : রাকিবুল ইসলাম
নলডাংগা, কালিগঞ্জ, ঝিনাইদহ
ঈদের দিন একেবারে ভোরবেলা শপিং কমপ্লেক্সের দারোয়ানের কাছে ফোন এলোÑ ভাই, আপনাদের শপিং কমপ্লেক্স কখন খুলবেন?
দারোয়ান : স্যার আজ তো ঈদের দিন। আজ আর খোলা হবে না। একেবারে ঈদের তিন দিন পর খুলব।
প্লিজ ভাই, আজকে কি একটু খোলা যায় না, মাত্র পাঁচ মিনিটের জন্য? ফোনের ওপাশ থেকে করুণ মিনতি ভেসে এলো।
দারোয়ান বলে, কেন ভাই, আপনার কী এমন জরুরি দরকার? এই ঈদের দিনে আবার কী কিনবেন?
ফোনের ওপাশ থেকে উত্তর আসে, না ভাই, কিছু কিনব না। শপিং কমপ্লেক্স থেকে বের হবো। কাল রাতে বউ-বাচ্চা নিয়ে শপিং করতে এসে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
সংগ্রহে : ওবায়দুল্লাহ
গফরগাঁও, ময়মনসিংহ
ঈদে ট্রেনে করে বাসায় ফিরেছে রাজীব মামা। ভাগনেদের সঙ্গে গল্প করছে রাস্তায় কত কষ্ট হয়েছে তা নিয়েÑ আর বলিস না, সারা রাত ঘুমাতে পারিনি।
ভাগনেরা উদ্বিগ্ন হয়ে জানতে চায়, কেন কেন? ঘুমাতে পারোনি কেন, মামা?
আর বলিস না। আমাকে সিট দিয়েছে ওপরের বার্থে। আর তোরা তো জানিসই আমি আরামপ্রিয় মানুষ, ওপরের বার্থে আমার কিছুতেই ঘুম আসে না।
ভাগনে সোহেল বলে, নিচের বার্থের যাত্রীর সঙ্গে বার্থ চেঞ্জ করে নিলেই পারতে, মামা।
রাজীব মামার নি®প্রভ উত্তর, আরে আমার কি আর সে বুদ্ধি-শুদ্ধি নেই! আমিও তো বার্থ চেঞ্জ করে নেয়ার কথাই ঠিক করে রেখেছিলাম। কিন্তু ট্রেনে উঠে দেখি, নিচের বার্থের যাত্রী ট্রেন মিস করেছে। এখন বল, আমি কার সঙ্গে বার্থ চেঞ্জ করব?
সংগ্রহে : ইমরান হোসেন
দক্ষিণ হালিশহর কেজি স্কুল, চট্টগ্রাম
প্রথমবারের মত সমুদ্র দর্শনে বের হয়েছেন পদার্থবিদ, জীববিদ এবং রসায়নবিদ।
পদার্থবিদ সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ দেখে মোহিত হয়ে ঢেউয়ের ফ্লুইড ডাইনামিক্সের উপর গবেষণা করার কথা চিন্তা করে সাগরে চলে গেলেন। যথারীতি তিনি ডুবে গিয়ে আর ফিরলেন না।
জীববিজ্ঞানী সমুদ্রের ফ্লোরা-ফনার উপর গবেষণা করার জন্য সমুদ্রে গেলেন, কিন্তু তিনিও ঐ পদার্থবিদের মত সাগরে গিয়ে আর ফিরলেন না।
বহুক্ষণ ধরে বাকি দুইজনের জন্য অপেক্ষা করে রসায়নবিদ শেষে পর্যবেক্ষণ লিখলেন, ‘পদার্থবিজ্ঞানী এবং জীববিজ্ঞানী উভয়ই সমুদ্রের পানিতে দ্রবনীয়।’
সংগ্রহে : আরিফুল ইসলাম রাতুল
ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়
মাসিক কিশোরকন্ঠ আগস্ট, ২০১২ ঈদ সংখ্যায় প্রকাশিত
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন