প্রিয় পাঠক লক্ষ্য করুন

জোনাকী অনলাইন লাইব্রেরীতে আপনাকে স্বাগতম | জোনাকী যদি আপনার ভালো লাগে তবে আপনার বন্ধুদের সাথে লিংকটি শেয়ার করার অনুরোধ জানাচ্ছি | এছাড়াও যারা ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করতে আগ্রহী তারা jaherrahman@gmail.com এ মেইল করার অনুরোধ করা হচ্ছে | আপনার অংশগ্রহণে সমৃদ্ধ হোক আপনার প্রিয় অনলাইন লাইব্রেরী। আমাদের সকল লেখক, পাঠক- শুভানুধ্যায়ীদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা- অভিনন্দন।

ক্যালিগ্রাফি | সৈয়দ লুত্ফুল হক


মূলত লেখার নান্দনিক রূপকে ক্যালিগ্রাফি বলা হয়। গ্রিক ভাষায় ‘কাল্লা’ অর্থ সুন্দর হাতের লেখা। যা দিয়ে লিখিত অক্ষরকে বোঝানো হয়েছে, যার মধ্যে একটি গতি এবং ছন্দময়তা রয়েছে। এটি কলম কিংবা তুলির মাধ্যমে লিখিত হয়ে থাকে।
ক্যালিগ্রাফি প্রাচীন লেখার সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম অংশ। কিছু কিছু দেশ, যেমন চীন ক্যালিগ্রাফিকে শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটিকে শিল্পের চেয়েও বেশি গুরুত্ব প্রদান করা হয়ে থাকে।
পৃথিবীর নানা দেশে ক্যালিগ্রাফি চর্চা আদিকাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত চলে আসছে, যেমন—বাংলা, ইংরেজি, আরবি এবং ফার্সি ভাষাসহ পৃথিবীর নানা ভাষায়। তুর্কি, আরবি এবং ফার্সি ভাষায় যতটা সাবলীল ক্যালিগ্রাফির চর্চা লক্ষণীয়, অন্য ভাষায় ততটা নয়। বিশেষ করে কোরআন রচনার ক্ষেত্রে এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে।
কোরআন নাজেল হয়েছিল মক্কায়, পাঠ করা হয়েছে মিসরে আর লিখিত হয়েছে ইস্তাম্বুলে দশম শতাব্দীতে। তখন তুর্কিরা পশ্চিমের দিকে ধাবিত হচ্ছিল, যা ছিল তাদের নিজস্ব আবাসভূমি। জায়গাটি ছিল উত্তর-পশ্চিম চীন অঞ্চলে। তারা মূলত তুর্কিস্তান, আফগানিস্তান এবং ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্যে যায় ইসলামী বিশ্বের সঙ্গে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য। তুর্কিদের ধর্মান্তরিত হওয়া ছিল স্থান পরিবর্তনের মূল কারণ, যার ফলে উইঘোর অক্ষর তারা গ্রহণ করেছিল। আরবি পাণ্ডুলিপিতে ১৯২৮ সালের আগে প্রায় এক হাজার বছর তুর্কি অক্ষর প্রচলিত ছিল, যার মধ্যে এক ধরনের নান্দনিকতা লক্ষ্য করা যায়। তাছাড়া আরবি অক্ষরগুলো নানারকম ফর্মে পরিবর্তন করে উপস্থাপন করা হয়।
তুর্কি অটোমান সাম্রাজ্যের আমলে বিভিন্ন আঙ্গিকে এই আরবি অক্ষরগুলোকে বিন্যস্ত করা হয়। এসব অক্ষর নান্দনিক এবং আন্তরিকতার সঙ্গে স্বাভাবিক নিয়মে বিস্তৃতি ঘটায় অটোমানরা ।
প্রাচীনকালে আরবদের পাণ্ডুলিপির পঞ্চাশ বছর পেছনে গেলে দেখা যাবে, হিজিরা (ঐবমরত্ধ) পদ্ধতিতে পাণ্ডুলিপি লেখা হতো সম্ভবত ৫৬৪ খ্রিস্টাব্দে। এসব লেখার ফর্ম ছিল প্রাচীন সিরীয় পাণ্ডুলিপির আদলে, যা (ঘধনধঃর) নবতি পাণ্ডুলিপির ধারা।
ইসলামের বিকাশের সময়কালে আরবি অক্ষরের আদল পুরনো সিরীয় আদলের কিছুটা পরিবর্তন ঘটিয়ে ব্যবহার করতে শুরু হয়। এই অক্ষরগুলো কুফিক হিসাবে পরিচিত। এই অক্ষর প্রথম ব্যবহৃত হয় ইরাকের কুফা শহরে। কুফিক উপজাতি যারা হজরত মুহাম্মদ (দঃ) অনুসারী ছিল। কুফিক উপজাতির ওমর, ওসমান এবং আলী মহানবীর (সা:) অনুসারী ছিলেন। কোরআন প্রথম লিপিবদ্ধ হয় খেজুর পাতায়, তার কিছুকাল আগে কাগজে লিখিত হয়েছিল। এ ধরনের পাণ্ডুলিপি থুলুত (ঞযঁষঁঃয) এবং নাসকি (ঘধংশযর) নামে পরিচিত ছিল। কুফিক পাণ্ডুলিপি খলিফা মেহমুদ বিন মনসুরের সময়কালের।
থুলুত ও নাসকিতে অনেকটা পরিবর্তন আসে। এসব পাণ্ডুলিপির বিষয়ে ইসাক বিন হাম্মাদ নামে একজন নকশাবিদ আভেলের (অযাধষ) কাছ থেকে ১৪ শতাব্দির প্রথমার্ধে হিজিরা পাণ্ডুলিপি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেন। ৬২৩ হিজরিতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর আলী বিন হেলাল বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। তিনি ইবনে বেভারের অধস্তন ছিলেন। একই সময়ে ক্যালিগ্রাফিতে রোহানি এবং মোহাক্কাক পাণ্ডুলিপির উন্নয়ন ঘটান। এর মধ্যে পাণ্ডুলিপির সেসব বিষয় সম্পৃক্ত ছিল। তখন পারসিকরা তালিফ ক্যালিগ্রাফির উন্নয়ন ঘটায়। কুফিক এবং পেহেলভি পাণ্ডুলিপি তখন ইরানে প্রচলিত ছিল, যা হোকাইরো আল নামে পরিচিত ছিল ক্যালিওগ্রাফারদের মধ্যে।
তত্সত্ত্বেও বাগদাদের আব্বাসীয় খলিফা কামালউদ্দিন ইয়াকুত মোস্তাসামি এলমাসতার একজন ক্রীতদাস ছিলেন। তিনি ক্যালিগ্রাফিকে একটি সূক্ষ্মতার পর্যায়ে নিয়ে যান। তত্কালীন ক্যালিগ্রাফার হিসেবে তার খ্যাতি সপ্তম শতাব্দীতে আরববিশ্বে ছড়িয়ে পরে। ৯৯৮ হিজরিতে (১২৮০ খ্রিস্টাব্দ) তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনিই প্রথম ক্যালিগ্রাফার যিনি খাগজাতীয় কলমের সাহায্যে অক্ষরের নান্দনিক রূপ ফুটিয়ে তোলেন। তিনিই ছিলেন সে সময়ের সূক্ষ্মতর ক্যালিগ্রাফার।
তাঁর অনেক সঙ্গী ছিলেন। এদের মধ্যে আবদুল্লাহ ইরগুন, নাসিরউদ্দীন মোতা, তাপরিপ, মোবারক শাহকুতুব, ইউসুফ খোরসান, মীর হায়দার, আহমদ সোহরাওয়ার্দী এবং আবদুল্লাহ শরীফ—এরা সবাই বিখ্যাত ক্যালিগ্রাফার ছিলেন।
ফতেহর সময়কার সবচেয়ে সুন্দর ক্যালিগ্রাফি দেখা যায় জেলি থুলুত পাণ্ডুলিপিতে ‘বাবে হুমায়ুন’ প্রাসাদের বাইরের অংশে। তোপাকাপু জাদুঘর ইস্তাম্বুলে প্রথম দরজার প্যানেলে এই কাজটি অত্যন্ত খ্যাতিমান। আলী সুফি করেছিলেন। তিনি ছিলেন আবদুল্লাহ সাইয়েফির ছাত্র।
পঞ্চম শতাব্দীর মধ্যভাগে ইস্তাম্বুল নতুন রাজধানী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ‘আনাতোলিয়ান আমিরাত’ এবং সালজুক রাজ্য ক্যালিগ্রাফির অত্যন্ত উন্নত মানের কেন্দ্র ছিল। শেখ হামিদুল্লাহ ১৪৩৬ থেকে ১৫২০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সুলতান বায়োজিদ দ্বিতীয় নতুন ধারার ক্যালিগ্রাফির স্টাইল তৈরির চেষ্টা চালান। থুলুত, নকশি এবং মোহাক্কাক ধারার কাছাকাছি ছিল তাদের ক্যালিগ্রাফির কাজ। তাছাড়া ইয়াকুত এবং অন্য সদস্যরা একই স্কুলের ছাত্র।
শেখ হামিদুল্লাহ আমাসিয়ার প্রতিবেশী ছিলেন। তিনি দীক্ষা নিয়েছিলেন থুলুত ও নকশি ক্যালিগ্রাফার মারসার হাইরোদ্দিনের কাছ থেকে। ইয়াকুত স্কুল অব ক্যালিগ্রাফির সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। তার এই নান্দনিক কর্ম বায়োজিদের রাজকুমার শেহজাদকে আকৃষ্ট করেছিল। সে সময় শেহজাদ আমাসিয়ার গভর্নর ছিলেন। শেহজাদ তার ছেলেকে ক্যালিগ্রাফি শিক্ষার জন্য শেখ হামিদুল্লাহর কাছে পাঠিয়েছিলেন। বায়োজিদের পরে শেহজাদ সুলতান হন। তিনি ক্যালিওগ্রাফারকে দাওয়াত দেন মসজিদের দেয়ালে ক্যালিগ্রাফি করার জন্য, যাতে তার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকে।
শেখ হামিদুল্লাহ যখন ইস্তাম্বুলে, তিনি নতুন ক্যালিগ্রাফির স্কুল চালু করেন। এ সময় সুলতানের ব্যক্তিগত সংগৃহীত ক্যালিগ্রাফিগুলো শেখ হামিদুল্লাহকে প্রদান করেন এবং এগুলো নতুন করে অঙ্কনের জন্য অনুরোধ জানান। এখানে ছয় ধরনের ক্যালিগ্রাফি ছিল। হামিদুল্লাহ এগুলো হুবহু সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন।
তুরস্কের তোপাকাপু রাজপ্রাসাদে শেখ হামিদুল্লাহর ক্যালিগ্রাফিগুলো সংরক্ষিত আছে। যেগুলো থুলুত, নকশি মোহাক্কাক রিকা, তিভকি এবং ডিভানি পাণ্ডুলিপির ধারায় অত্যন্ত সুন্দরভাবে কোরআনে অলঙ্কৃত করা হয়েছে, যা ১৬ শতাব্দীর ক্যালিগ্রাফির স্কুলগুলোতে দেখতে পাই। শেখ হামিদুল্লাহর ‘কিবলাতুল কুতুব’-এ এর অপূর্ব সমন্বয় লক্ষ্য করা যায়। এসব পাণ্ডুলিপির স্কুলগুলোতে নকশি ক্যালিগ্রাফিতে হাজার হাজার বই রচনা করা হতো, যা এখন লাইব্রেরি ও জাদুঘরে পাওয়া যায়।
একই সময়ে বিখ্যাত ক্যালিগ্রাফির মাস্টার আহমদ কোরাইশি (১৪৬৮-১৫৫৬) ক্যালিগ্রাফিতে নতুন স্টাইলের সূচনা করেন, যা সম্পূর্ণভাবে আলাদা। কোরাইশির ক্যালিগ্রাফিতে আসাদুল্লাহ কিরমানির প্রাধান্য ছিল, যার মধ্যে ইয়াহিয়া সুফির বিষয়বস্তু পরিলক্ষিত হয়। ইয়াকুত স্কুলে এসব বিষয় প্রচলিত ছিল। পরে কোরাইশির ছেলে হাসান সেলেবি এটি অনুসরণ করেছিলেন।
কোরাইশি তত্কালীন সময়ের খ্যাতিমান ক্যালিগ্রাফার ছিলেন। তাঁর দু’টি অত্যন্ত সুন্দর ক্যালিগ্রাফি কোরআন শরিফে শোভা পাচ্ছে—একটি একটু বড় অন্যটি মধ্যম সাইজের, যেগুলো তোপাকাপু জাদুঘরে রক্ষিত আছে। এই বড় আকৃতির কোরআন মোহাক্কাক থুলুত, নকশি এবং রেহানি ধারায় করা হয়েছে। প্রতিটি পৃষ্ঠা সজ্জিত করা হয়েছে চারটি কোশতোকের মাধ্যমে। কোরআন মূলত অত্যন্ত সূক্ষ্ম ক্যালিগ্রাফিতে রচিত হয়েছে, যার নকশা অতি উজ্জ্বল হয়ে আমাদের সম্মুখে বিদ্যমান।
অটোমান সাম্রাজ্যের আমলে মসজিদ, প্রাসাদ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ক্যালিগ্রাফির মাস্টারদের নান্দনিক শিল্পকর্ম এখনও শোভা পাচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যে এই ক্যালিগ্রাফির স্কুলগুলোর সমাপ্তি ঘটে, তথাপি ‘ডেমিরচি কুলু ইউসুফের ক্যালিগ্রাফি’ ফিলিক আলপাশা ও মসজিদে তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে শোভা পাচ্ছে।
শেখ হামিদুল্লাহর এই অসাধারণ নান্দনিক ক্যালিগ্রাফিগুলো অতি উজ্জ্বল হয়ে বর্তমান পর্যন্ত দৃষ্টিনন্দন হয়ে থাকবে। এই বিখ্যাত তুর্কি ক্যালিগ্রাফার সে স্কুলের সূচনা করে গেছেন। ক্যালিগ্রাফিগুলো এতই সুন্দর যে, সারাবিশ্বে প্রাধান্য বিস্তার করেছিল।
হামিদুল্লাহর ধারা যেসব ক্যালিগ্রাফার অনুসরণ করেছেন, তারা হলেন—শেখ হামিদুল্লাহর ছেলে মুস্তফা ডেট, তার পালকপুত্র শুকরুল্লা হেলিথ, তার পৌত্র দারভিস মুহাম্মদ সাইদ, মুহাম্মদ ডেট, আবদুল্লাহ কিরমানি, হাসান স্কুদারি, হালিদ ইরজুরমি, মেহমুদ বিগরেদি, দারবিশ আল ইসকি, স্থাল জোদি, হোসেইন হাবলি এবং মোস্তফা কোথাই।
তুর্কি ক্যালিগ্রাফির আরেকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হাফিজ ওসমানের। তিনি নকশি ক্যালিগ্রাফিকে অত্যন্ত সূক্ষ্মতায় পৌঁছে দেন, যার নাম ‘সোহসেনি’ বলে পরিচিত।
১২ শতাব্দীর শেষে এবং ১৩ শতাব্দীর পুরো সময় হাগিরায় অনেক ক্যালিগ্রাফারের আগমন ঘটেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় যেমন—থুলুত, জেল থুলুত। নকশি ধারায় খ্যাতিমান হলেন—কাতিব জেদ মোহাম্মদ, রফি রোদিশ ইব্রাহিম, আবু বাকের রশিদ কনিয়ার, সরাই হোকেসি ইউসুফ, শেখের জেদ মাহমুদ শফিক, মুহসীন জেদ আবদুল্লাহ, আবদুল্লাহ জোদাই, ভাদেতি, আসাদ ইয়াসারি, ইয়াসির জেদ মুসতবাইজ্জত, ইয়াহিয়া ইলমি এবং মোহাম্মদ শেরকি। তুরস্কের নানা মসজিদে এবং অন্যান্য স্থাপনায়, ডোমে ও দরজায় এদের কাজগুলো শোভা পাচ্ছে।
অটোমানরা বিভিন্ন কারণে তালিক ধারার বিরোধিতা করলেও ইরানিয়ান তালিক ধারাকে সম্মানের চোখে দেখত। তালিক ধারার সামান্য কিছু পরিবর্তন করে ‘কাতিবজাদ’ মোহাম্মদ রফি এবং পরে ইয়াসিরি অটোমানদের সময়ে প্রচলিত ছিল। মোহাম্মদ আসাদ ইয়াসিরি, মোস্তফা ইজ্জত ইয়াফেন্দির পুত্র পিতার ধারাকে অনুসরণ করেন, যিনি তালিত পাণ্ডুলিপির মাস্টার ছিলেন। পিতা ও পুত্র মিলে ইস্তাম্বুলের অনেক স্থাপনায়, মসজিদের দরজায়, ছাদে, ঝরনায় এবং স্কুলে পাথরে খোদাই করে অনেক ক্যালিগ্রাফি চিত্রিত করেছেন।
তুরস্কে তালিত ক্যালিগ্রাফির উন্নয়ন তাঁরাই ঘটিয়েছিলেন। এই বিখ্যাত ক্যালিওগ্রাফাররা ছিলেন সেমি এফেনডিক ধারার। কামাল বাতেনি, নাজমুদ্দিন এফেনডি এবং হুলুসি এফেনডি ছিলেন জেলি থুলুত ধারার মাস্টার।
থুলুত ও নকশি পাণ্ডুলিপির উন্নয়ন ঘটিয়েছিলেন বিখ্যাত ক্যালিগ্রাফার মোস্তফা রাকিম, যা তিনি শিখেছিলেন সেভকি এফেন্দিসের কাছ থেকে। অন্য একজন বিখ্যাত তুর্কি ক্যালিগ্রাফার হাসান লেলেবির দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন, যার নাম হামিদ আতিক। বর্তমানের শ্রেষ্ঠ ক্যালিওগ্রাফার। ১৯৮২ সালে তিনি মারা যান। তুর্কি ক্যালিগ্রাফিতে একটি ধারাবাহিক উন্নতির ছাপ আমরা দেখতে পাই। যেমন—জিভানি, সিয়াকাত, টেডকি এবং রিকা অধিকাংশই তৈরি করা হয়েছে বছরব্যাপী। প্রতিটি ক্যালিগ্রাফি উপস্থাপিত হয়েছে সৌন্দর্য ও দক্ষতার সঙ্গে।
তুর্কি ক্যালিগ্রাফি নিঃসন্দেহে উত্সাহ জুগিয়েছে অন্যান্য ভাষার ক্যালিগ্রাফি নির্মাণের ক্ষেত্রে, যেমন—আরবি, ফার্সি, উর্দু ও অন্যান্য ভাষার ক্ষেত্রে। তুর্কি সুলতানদের ক্যালিগ্রাফির প্রতি দুর্বলতার সুযোগ ক্যালিওগ্রাফাররা পুরোপুরি গ্রহণ করেছে চিত্রকলা, সাজসজ্জা ও স্থাপত্যের ক্ষেত্রেও।
অটোমান সম্রাটরা ক্যালিওগ্রাফারদের সহযোগিতা দিয়েছেন, যার ফলে রাষ্ট্রীয় প্রশাসকরাও এ বিষয়ে শিক্ষিত হয়েছিলেন। অটোমান সুলতান শিল্পকলা ও ক্যালিগ্রাফি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। তিনি ক্যালিওগ্রাফারদের সম্মানের চোখে দেখতেন। বিখ্যাত ক্যালিগ্রাফার শেখ হামাদউল্লাহকে সাধারণ মানুষ শিক্ষক হিসেবে জানতেন।
সুলতান আহমেদ প্রথম এবং মাহমুদ দ্বিতীয় উভয়ে মোস্তফা রাকিমকে দক্ষ ক্যালিগ্রাফারের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন।

Stumble
Delicious
Technorati
Twitter
Facebook

0 Comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন

নির্বাচিত বিষয়গুলো দেখুন

কবিতা ছোটগল্প গল্প নিবন্ধ ছড়া টিপস রম্য গল্প প্রেমের কবিতা স্বাস্থ্য কথা কৌতুক ইসলামী সাহিত্য কম্পিউটার টিপস জানা অজানা লাইফ স্ট্যাইল স্বাধীনতা স্থির চিত্র ফিচার শিশুতোষ গল্প ইসলাম কবি পরিচিতি প্রবন্ধ ইতিহাস চিত্র বিচিত্র প্রকৃতি বিজ্ঞান রম্য রচনা লিরিক ঐতিহ্য পাখি মুক্তিযুদ্ধ শরৎ শিশু সাহিত্য বর্ষা আলোচনা বিজ্ঞান ও কম্পিউটার বীরশ্রেষ্ঠ লেখক পরিচিতি স্বাস্থ টিপস উপন্যাস গাছপালা জীবনী ভিন্ন খবর হারানো ঐতিহ্য হাসতে নাকি জানেনা কেহ ছেলেবেলা ফল ফুল বিরহের কবিতা অনু গল্প প্রযুক্তি বিউটি টিপস ভ্রমণ মজার গণিত সংস্কৃতি সাক্ষাৎকার ঔষধ ডাউনলোড প্যারডী ফেসবুক মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য রম্য কবিতা সাধারণ জ্ঞান সাহিত্যিক পরিচিতি সায়েন্স ফিকশান স্বাধীনতার কবিতা স্বাধীনতার গল্প কৃষি তথ্য চতুর্দশপদী প্রেমের গল্প মোবাইল ফোন রুপকথার গল্প কাব্য ক্যারিয়ার গবেষণা গৌরব জীবনের গল্প ফটোসপ সবুজ সভ্যতা
অতনু বর্মণ অদ্বৈত মারুত অধ্যাপক গোলাম আযম অনন্ত জামান অনিন্দ্য বড়ুয়া অনুপ সাহা অনুপম দেব কানুনজ্ঞ অমিয় চক্রবর্তী অয়ন খান অরুদ্ধ সকাল অর্ক আ.শ.ম. বাবর আলী আইউব সৈয়দ আচার্য্য জগদীশচন্দ্র বসু আজমান আন্দালিব আতাউর রহমান কাবুল আতাউস সামাদ আতোয়ার রহমান আত্মভোলা (ছন্দ্রনাম) আদনান মুকিত আনিসা ফজলে লিসি আনিসুর রহমান আনিসুল হক আনোয়ারুল হক আন্জুমান আরা রিমা আবদুল ওহাব আজাদ আবদুল কুদ্দুস রানা আবদুল গাফফার চৌধুরী আবদুল মান্নান সৈয়দ আবদুল মাবুদ চৌধুরী আবদুল হাই শিকদার আবদুল হামিদ আবদুস শহীদ নাসিম আবিদ আনোয়ার আবু মকসুদ আবু সাইদ কামাল আবু সাঈদ জুবেরী আবু সালেহ আবুল কাইয়ুম আহম্মেদ আবুল মোমেন আবুল হায়াত আবুল হাসান আবুল হোসেন আবুল হোসেন খান আবেদীন জনী আব্দুল কাইয়ুম আব্দুল মান্নান সৈয়দ আব্দুল হালিম মিয়া আমানত উল্লাহ সোহান আমিনুল ইসলাম চৌধুরী আমিনুল ইসলাম মামুন আরিফুন নেছা সুখী আরিফুর রহমান খাদেম আল মাহমুদ আলম তালুকদার আশীফ এন্তাজ রবি আসমা আব্বাসী আসাদ চৌধুরী আসাদ সায়েম আসিফ মহিউদ্দীন আসিফুল হুদা আহমদ - উজ - জামান আহমদ বাসির আহমেদ আরিফ আহমেদ খালিদ আহমেদ রাজু আহমেদ রিয়াজ আহসান হাবিব আহসান হাবীব আহাম্মেদ খালিদ ইকবাল আজিজ ইকবাল খন্দকার ইব্রাহিম নোমান ইব্রাহীম মণ্ডল ইমদাদুল হক মিলন ইয়াসির মারুফ ইলিয়াস হোসেন ইশতিয়াক উত্তম মিত্র উত্তম সেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী এ কে আজাদ এ টি এম শামসুজ্জামান এ.বি.এম. ইয়াকুব আলী সিদ্দিকী একরামুল হক শামীম একে আজাদ এনামুল হায়াত এনায়েত রসুল এম আহসাবন এম. মুহাম্মদ আব্দুল গাফফার এম. হারুন অর রশিদ এরশাদ মজুদার এরশাদ মজুমদার এস এম নাজমুল হক ইমন এস এম শহীদুল আলম এস. এম. মতিউল হাসান এসএম মেহেদী আকরাম ওমর আলী ওয়াসিফ -এ-খোদা ওয়াহিদ সুজন কবি গোলাম মোহাম্মদ কমিনী রায় কাজী আনিসুল হক কাজী আবুল কালাম সিদ্দীক কাজী নজরুল ইসলাম কাজী মোস্তাক গাউসুল হক শরীফ কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম কাপালিক কামরুল আলম সিদ্দিকী কামাল উদ্দিন রায়হান কায়কোবাদ (কাজেম আলী কোরেশী) কার্তিক ঘোষ কৃষ্ণকলি ইসলাম কে এম নাহিদ শাহরিয়ার কেজি মোস্তফা খন্দকার আলমগীর হোসেন খন্দকার মুহাম্মদ হামিদুল্লাহ্ খান মুহাম্মদ মইনুদ্দীন খালেদ রাহী গাজী গিয়াস উদ্দিন গিয়াস উদ্দিন রূপম গিরিশচন্দ সেন গোলাম কিবরিয়া পিনু গোলাম নবী পান্না গোলাম মোস্তফা গোলাম মোহাম্মদ গোলাম সরোয়ার চন্দন চৌধুরী চৌধুরী ফেরদৌস ছালেহা খানম জুবিলী জ. রহমান জয়নাল আবেদীন বিল্লাল জসিম মল্লিক জসীম উদ্দিন জহির উদ্দিন বাবর জহির রহমান জহির রায়হান জাওয়াদ তাজুয়ার মাহবুব জাকিয়া সুলতানা জাকির আবু জাফর জাকির আহমেদ খান জান্নাতুল করিম চৌধুরী জান্নাতুল ফেরদাউস সীমা জাফর আহমদ জাফর তালুকদার জায়ান্ট কজওয়ে জাহাঙ্গীর আলম জাহান জাহাঙ্গীর ফিরোজ জাহিদ হোসাইন জাহিদুল গণি চৌধুরী জিয়া রহমান জিল্লুর রহমান জীবনানন্দ দাশ জুবাইদা গুলশান আরা জুবায়ের হুসাইন জুলফিকার শাহাদাৎ জেড জাওহার ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া ড. কাজী দীন মুহম্মদ ড. ফজলুল হক তুহিন ড. ফজলুল হক সৈকত ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ ড. মুহা. বিলাল হুসাইন ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ড. রহমান হাবিব ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ডক্টর সন্দীপক মল্লিক ডা: সালাহ্উদ্দিন শরীফ ডা. দিদারুল আহসান তমিজ উদদীন লোদী তাজনীন মুন তানজিল রিমন তাপস রায় তামান্না শারমিন তারক চন্দ্র দাস তারাবাঈ তারেক রহমান তারেক হাসান তাসনুবা নূসরাত ন্যান্সী তাসলিমা আলম জেনী তাহমিনা মিলি তুষার কবির তৈমুর রেজা তৈয়ব খান তৌহিদুর রহমান দর্পণ কবীর দিলওয়ার হাসান দেলোয়ার হোসেন ধ্রুব এষ ধ্রুব নীল নঈম মাহমুদ নবাব আমিন নাইমুর রশিদ লিখন নাইয়াদ নাজমুন নাহার নাজমুল ইমন নাফিস ইফতেখার নাবিল নাসির আহমেদ নাসির উদ্দিন খান নাহার মনিকা নাহিদা ইয়াসমিন নুসরাত নিজাম কুতুবী নির্জন আহমেদ অরণ্য নির্মলেন্দু গুণ নিসরাত আক্তার সালমা নীল কাব্য নীলয় পাল নুরে জান্নাত নূর মোহাম্মদ শেখ নূর হোসনা নাইস নৌশিয়া নাজনীন পীরজাদা সৈয়দ শামীম শিরাজী পুলক হাসান পুষ্পকলি প্রাঞ্জল সেলিম প্রীতম সাহা সুদীপ ফকির আবদুল মালেক ফজল শাহাবুদ্দীন ফয়সাল বিন হাফিজ ফররুখ আহমদ ফাতিহা জামান অদ্রিকা ফারুক আহমেদ ফারুক নওয়াজ ফারুক হাসান ফাহিম আহমদ ফাহিম ইবনে সারওয়ার ফেরদৌসী মাহমুদ বাদশা মিন্টু বাবুল হোসেইন বিকাশ রায় বিন্দু এনায়েত বিপ্রদাশ বড়ুয়া বেগম মমতাজ জসীম উদ্দীন বেগম রোকেয়া বেলাল হোসাইন বোরহান উদ্দিন আহমদ ম. লিপ্স্কেরভ মঈনুল হোসেন মজিবুর রহমান মন্জু মতিউর রহমান মল্লিক মতিন বৈরাগী মধু মনসুর হেলাল মনিরা চৌধুরী মনিরুল হক ফিরোজ মরুভূমির জলদস্যু মর্জিনা আফসার রোজী মশিউর রহমান মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর মা আমার ভালোবাসা মাইকেল মধুসূদন দত্ত মাওলানা মুহাম্মাদ মাকসুদা আমীন মুনিয়া মাখরাজ খান মাগরিব বিন মোস্তফা মাজেদ মানসুর মুজাম্মিল মানিক দেবনাথ মামুন হোসাইন মায়ফুল জাহিন মারজান শাওয়াল রিজওয়ান মারুফ রায়হান মালিহা মালেক মাহমুদ মাসুদ আনোয়ার মাসুদ মাহমুদ মাসুদা সুলতানা রুমী মাসুম বিল্লাহ মাহফুজ উল্লাহ মাহফুজ খান মাহফুজুর রহমান আখন্দ মাহবুব আলম মাহবুব হাসান মাহবুব হাসানাত মাহবুবা চৌধুরী মাহবুবুল আলম কবীর মাহমুদা ডলি মাহমুদুল বাসার মাহমুদুল হাসান নিজামী মাহ্‌মুদুল হক ফয়েজ মিতা জাহান মু. নুরুল হাসান মুজিবুল হক কবীর মুন্সি আব্দুর রউফ মুফতি আবদুর রহমান মুরাদুল ইসলাম মুস্তাফিজ মামুন মুহম্মদ নূরুল হুদা মুহম্মদ শাহাদাত হোসেন মুহাম্মদ আনছারুল্লাহ হাসান মুহাম্মদ আবু নাসের মুহাম্মদ আমিনুল হক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল মুহাম্মদ মহিউদ্দিন মুহাম্মাদ হাবীবুল্লাহ মুহিউদ্দীন খান মেজবাহ উদ্দিন মেহনাজ বিনতে সিরাজ মেহেদি হাসান শিশির মো: জামাল উদ্দিন মো. আরিফুজ্জামান আরিফ মোঃ আহসান হাবিব মোঃ তাজুল ইসলাম সরকার মোঃ রাকিব হাসান মোঃ রাশেদুল কবির আজাদ মোঃ সাইফুদ্দিন মোমিন মেহেদী মোর্শেদা আক্তার মনি মোশাররফ মোশাররফ হোসেন খান মোশারেফ হোসেন পাটওয়ারী মোহসেনা জয়া মোহাম্মদ আল মাহী মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন মোহাম্মদ নূরুল হক মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ্ মোহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ মোহাম্মদ সা'দাত আলী মোহাম্মদ সাদিক মোহাম্মদ হোসাইন মৌরী তানিয় যতীন্দ্র মোহন বাগচী রজনীকান্ত সেন রণক ইকরাম রফিক আজাদ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রহমান মাসুদ রহিম রায়হান রহিমা আখতার কল্পনা রাখাল রাজিব রাজিবুল আলম রাজীব রাজু আলীম রাজু ইসলাম রানা হোসেন রিয়াজ চৌধুরী রিয়াদ রুমা মরিয়ম রেজা উদ্দিন স্টালিন রেজা পারভেজ রেজাউল হাসু রেহমান সিদ্দিক রোকনুজ্জামান খান রোকেয়া খাতুন রুবী শওকত হোসেন শওকত হোসেন লিটু শওগাত আলী সাগর শফিক আলম মেহেদী শরীফ আতিক-উজ-জামান শরীফ আবদুল গোফরান শরীফ নাজমুল শাইখুল হাদিস আল্লামা আজীজুল হক শামছুল হক রাসেল শামসুজ্জামান খান শামসুর রহমান শামস্ শামীম হাসনাইন শারমিন পড়শি শাহ আব্দুল হান্নান শাহ আলম শাহ আলম বাদশা শাহ আহমদ রেজা শাহ নেওয়াজ চৌধুরী শাহ মুহাম্মদ মোশাহিদ শাহজাহান কিবরিয়া শাহজাহান মোহাম্মদ শাহনাজ পারভীন শাহাদাত হোসাইন সাদিক শাহাবুদ্দীন আহমদ শাহাবুদ্দীন নাগরী শাহিন শাহিন রিজভি শিউল মনজুর শিরিন সুলতানা শিশিরার্দ্র মামুন শুভ অংকুর শেখ হাবিবুর রহমান সজীব সজীব আহমেদ সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত সাইদা সারমিন রুমা সাইফ আলি সাইফ চৌধুরী সাইফ মাহাদী সাইফুল করীম সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদূদী সাকিব হাসান সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ সানজানা রহমান সাবরিনা সিরাজী তিতির সামছুদ্দিন জেহাদ সামিয়া পপি সাযযাদ কাদির সারোয়ার সোহেন সালমা আক্তার চৌধুরী সালমা রহমান সালেহ আকরাম সালেহ আহমদ সালেহা সুলতানা সিকদার মনজিলুর রহমান সিমু নাসের সিরহানা হক সিরাজুল ইসলাম সিরাজুল ফরিদ সুকান্ত ভট্টাচার্য সুকুমার বড়ুয়া সুকুমার রায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সুফিয়া কামাল সুভাষ মুখোপাধ্যায় সুমন সোহরাব সুমনা হক সুমন্ত আসলাম সুমাইয়া সুহৃদ সরকার সৈয়দ আরিফুল ইসলাম সৈয়দ আলমগীর সৈয়দ আলী আহসান সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন সিরাজী সৈয়দ তানভীর আজম সৈয়দ মুজতবা আলী সৈয়দ সোহরাব হানিফ মাহমুদ হামিদুর রহমান হাসান আলীম হাসান ভূইয়া হাসান মাহবুব হাসান শরীফ হাসান শান্তনু হাসান হাফিজ হাসিনা মমতাজ হুমায়ূন আহমেদ হুমায়ূন কবীর ঢালী হেলাল মুহম্মদ আবু তাহের হেলাল হাফিজ হোসেন মাহমুদ হোসেন শওকত হ্নীলার বাঁধন

মাসের শীর্ষ পঠিত

 
রায়পুর তরুণ ও যুব ফোরাম

.::jonaaki online::. © ২০১১ || টেমপ্লেট তৈরি করেছেন জোনাকী টিম || ডিজাইন ও অনলাইন সম্পাদক জহির রহমান || জোনাকী সম্পর্কে পড়ুন || জোনাকীতে বেড়াতে আসার জন্য ধন্যবাদ