বিড়াল আর ইঁদুরে বড়ই ভাব। সিদ্ধান্ত নিলো তারা একসঙ্গে এক চালের নিচে বাস করবে। যেই বলা সেই কাজ। শুরু হলো একই বাড়িতে বসবাস। শীতকালে খাবার-দাবারের খুবই অভাব। শীতের জন্য তারা কিনলো একটি চর্বির পাত্র। লুকিয়ে রাখলো দূরের একটি গির্জার পেছনে। যখন খাবারে টান পড়বে তখন এই পাত্রের খাবার খাবে তারা।
একদিন বিড়ালটি বলল, শোনো পুচ্চি ইঁদুর, আমার চাচাতো বোনের চাঁদের মতো ফুটফুটে একটি ছেলে হয়েছে। তার ছেলেটির উৎসর্গের দিনে আমার সেখানে নিমন্ত্রণ। তাই তোমাকে একাকী এখানে রেখে আমাকে যেতে হবে।
ঠিক আছে, যাও। তবে ভালো খাবার পেলে আমার কথাও একটু ভেবো। কতদিন আমি লাল তেঁতুলের শরবত খাই না, বলল ইঁদুরটি।
বিড়ালটি সোজা চলে গেল গির্জার পেছনে। লুকিয়ে রাখা চর্বির পাত্রের ওপর থেকে খানিকটা চর্বি হাপুস হুপুস করে খেয়ে নিল। তারপর ধীর পায়ে চলে গেল শহরে। বাড়ি ফিরলো সন্ধ্যার পরে।
নিশ্চয়ই বেশ ভালোই কেটেছে তোমার সময়টা। তা কী নাম রাখলে ভাগ্নের? ইঁদুর জিজ্ঞাসা করলো। টফ-অফ, টফ-অফ নাম রেখেছি ভাগ্নের।
টফ-অফ, ভারি মজার নাম তো! এমন নাম তো আগে কখনো শুনিনি।
কিছুক্ষণ পর আর একটি ফন্দি আঁটলো বিড়ালটি।
সে ইঁদুরটিকে ডেকে বলল, আমাকে আবার দ্বিতীয় ভাগ্নেটির কাছে যেতে হবে। আজ তার হাতে সাদা আংটি পরাতে যেতে হবে। আমি বোনটাকে না বলতে পারিনি। তোমাকে এবারও আমাকে সাহায্য করতে হবে। বাড়িটির দিকে একটু নজর রেখো ভাই।
মাথা নেড়ে সায় দিল ইঁদুরটি। চতুর বিড়াল গির্জার পেছনে গিয়ে চর্বির অর্ধেকটা খেয়ে কিছুক্ষণ পর বাড়ি ফিরে এলো।
আচ্ছা, তোমার বোনটির নাম তো জানা হলো না। কী নাম তার? ইঁদুর জিজ্ঞাসা করলো।
হাফ-গন!
হাফ-গন! কী বলছো তুমি! এমন নামতো আমি জীবনেও শুনিনি! নামের বইয়েও তো এ রকম নাম খুঁজে পাওয়া যাবে না।
বিড়ালটির মাথায় তখনো চর্বির কৌটার চিন্তা।
তৃতীয়বারের মতো আমাকে তারা দাওয়াত করেছে। এবারের ভাগ্নেটা কালো। কিন্তু তার পা দুটো সাদা। সারা শরীরে আর কোথাও সাদা রঙ নেই। এমন ঘটনা খুব কমই দেখতে পাওয়া যায়। যাই হোক তুমি আমাকে যাওয়ার জন্য অনুমতি দাও। বিড়ালটি হাসতে হাসতে বলল।
টফ-অফ, হাফ-গন! নামগুলো বেশ রহস্যের মধ্যে ফেলছে আমাকে। ঠিক আছে, যাও_ ইঁদুর বলল। ইঁদুরটি ছিল হাবাগোবা। বাড়ি, ঘরদোর সে সুন্দরভাবে পরিষ্কার করে রাখে। আর এর মধ্যে চর্বির কৌটা থেকে সবটুকু চর্বি খেয়ে সাবাড় করে ফেলেছে ধূর্ত বিড়াল। রাতে বেশ চনমনে হয়ে বাড়ি ফিরলো বিড়ালটি।
তৃতীয় ভাগ্নেটির নাম কী রাখলে বল্পুব্দ?
অল-গান!
অল-গন! বেশ ভয়ঙ্কর নাম তো! এ নামের অর্থ কী? কোনো বইপত্রে এমন নাম দেখিনি! মাথা নাড়তে নাড়তে ঘুমোতে গেল বেচারা ইঁদুর।
চতুর্থবারের মতো কেউ আর বিড়ালটিকে দাওয়াত করলো না। অবশেষে শীতকাল চলে এলো। খাবার-দাবারের খুবই অভাব।
ইঁদুর বিড়ালকে বলল, চলো গির্জার পেছন থেকে লুকিয়ে রাখা চর্বির কৌটাটি নিয়ে আসি।
দু'জন সেখানে গিয়ে খুঁজে পেল খালি কৌটাটি।
বুঝতে পারলাম তোমার চালাকি। তুমি তাহলে এখানেই এসেছ দাওয়াত খেতে। প্রথমবার টফ-অফ, দ্বিতীয় বার হাফ-গন, আর তৃতীয়বার অল-গন?
চুপ করো। বেশি হম্বিতম্বি করলে আমি তোমাকেই খেয়ে ফেলবো।
ধমক শুনে থমকে গেল বেচারা ইঁদুর।
তৃতীয় ভাগ্নের নাম তাহলে অল-গান। বলেই বিড়াল তাকে ধরে ফেলার পূর্বেই মাথা নিচু করে দিল ভোঁ-দৌড়। পেছনে তার বল্পুব্দরূপী চতুর বিড়াল।
সূত্র : সমকাল
একদিন বিড়ালটি বলল, শোনো পুচ্চি ইঁদুর, আমার চাচাতো বোনের চাঁদের মতো ফুটফুটে একটি ছেলে হয়েছে। তার ছেলেটির উৎসর্গের দিনে আমার সেখানে নিমন্ত্রণ। তাই তোমাকে একাকী এখানে রেখে আমাকে যেতে হবে।
ঠিক আছে, যাও। তবে ভালো খাবার পেলে আমার কথাও একটু ভেবো। কতদিন আমি লাল তেঁতুলের শরবত খাই না, বলল ইঁদুরটি।
বিড়ালটি সোজা চলে গেল গির্জার পেছনে। লুকিয়ে রাখা চর্বির পাত্রের ওপর থেকে খানিকটা চর্বি হাপুস হুপুস করে খেয়ে নিল। তারপর ধীর পায়ে চলে গেল শহরে। বাড়ি ফিরলো সন্ধ্যার পরে।
নিশ্চয়ই বেশ ভালোই কেটেছে তোমার সময়টা। তা কী নাম রাখলে ভাগ্নের? ইঁদুর জিজ্ঞাসা করলো। টফ-অফ, টফ-অফ নাম রেখেছি ভাগ্নের।
টফ-অফ, ভারি মজার নাম তো! এমন নাম তো আগে কখনো শুনিনি।
কিছুক্ষণ পর আর একটি ফন্দি আঁটলো বিড়ালটি।
সে ইঁদুরটিকে ডেকে বলল, আমাকে আবার দ্বিতীয় ভাগ্নেটির কাছে যেতে হবে। আজ তার হাতে সাদা আংটি পরাতে যেতে হবে। আমি বোনটাকে না বলতে পারিনি। তোমাকে এবারও আমাকে সাহায্য করতে হবে। বাড়িটির দিকে একটু নজর রেখো ভাই।
মাথা নেড়ে সায় দিল ইঁদুরটি। চতুর বিড়াল গির্জার পেছনে গিয়ে চর্বির অর্ধেকটা খেয়ে কিছুক্ষণ পর বাড়ি ফিরে এলো।
আচ্ছা, তোমার বোনটির নাম তো জানা হলো না। কী নাম তার? ইঁদুর জিজ্ঞাসা করলো।
হাফ-গন!
হাফ-গন! কী বলছো তুমি! এমন নামতো আমি জীবনেও শুনিনি! নামের বইয়েও তো এ রকম নাম খুঁজে পাওয়া যাবে না।
বিড়ালটির মাথায় তখনো চর্বির কৌটার চিন্তা।
তৃতীয়বারের মতো আমাকে তারা দাওয়াত করেছে। এবারের ভাগ্নেটা কালো। কিন্তু তার পা দুটো সাদা। সারা শরীরে আর কোথাও সাদা রঙ নেই। এমন ঘটনা খুব কমই দেখতে পাওয়া যায়। যাই হোক তুমি আমাকে যাওয়ার জন্য অনুমতি দাও। বিড়ালটি হাসতে হাসতে বলল।
টফ-অফ, হাফ-গন! নামগুলো বেশ রহস্যের মধ্যে ফেলছে আমাকে। ঠিক আছে, যাও_ ইঁদুর বলল। ইঁদুরটি ছিল হাবাগোবা। বাড়ি, ঘরদোর সে সুন্দরভাবে পরিষ্কার করে রাখে। আর এর মধ্যে চর্বির কৌটা থেকে সবটুকু চর্বি খেয়ে সাবাড় করে ফেলেছে ধূর্ত বিড়াল। রাতে বেশ চনমনে হয়ে বাড়ি ফিরলো বিড়ালটি।
তৃতীয় ভাগ্নেটির নাম কী রাখলে বল্পুব্দ?
অল-গান!
অল-গন! বেশ ভয়ঙ্কর নাম তো! এ নামের অর্থ কী? কোনো বইপত্রে এমন নাম দেখিনি! মাথা নাড়তে নাড়তে ঘুমোতে গেল বেচারা ইঁদুর।
চতুর্থবারের মতো কেউ আর বিড়ালটিকে দাওয়াত করলো না। অবশেষে শীতকাল চলে এলো। খাবার-দাবারের খুবই অভাব।
ইঁদুর বিড়ালকে বলল, চলো গির্জার পেছন থেকে লুকিয়ে রাখা চর্বির কৌটাটি নিয়ে আসি।
দু'জন সেখানে গিয়ে খুঁজে পেল খালি কৌটাটি।
বুঝতে পারলাম তোমার চালাকি। তুমি তাহলে এখানেই এসেছ দাওয়াত খেতে। প্রথমবার টফ-অফ, দ্বিতীয় বার হাফ-গন, আর তৃতীয়বার অল-গন?
চুপ করো। বেশি হম্বিতম্বি করলে আমি তোমাকেই খেয়ে ফেলবো।
ধমক শুনে থমকে গেল বেচারা ইঁদুর।
তৃতীয় ভাগ্নের নাম তাহলে অল-গান। বলেই বিড়াল তাকে ধরে ফেলার পূর্বেই মাথা নিচু করে দিল ভোঁ-দৌড়। পেছনে তার বল্পুব্দরূপী চতুর বিড়াল।
সূত্র : সমকাল
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন