এখন চলুন, আলোচ্য বিষয়টির ব্যাপারে কুরআন, হাদীস ও বিবেক-বুদ্ধির তথ্যগুলো পর্যালোচনা করা যাক।
মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য সম্বন্ধে বিবেক-বুদ্ধির তথ্যসমূহ
তথ্য-১
কোন বস্তু বা বিষয়ের সঙ্গে প্রত্য ও পরোভাবে যে সকল বিষয় সম্পর্ক যুক্ত থাকে, তার একটি বা এক বিশেষ গ্রুপ হয় ঐ বস্তু বা বিষয় সৃষ্টি বা প্রণয়নের উদ্দেশ্য। আর বাকি সব হয় তার পাথেয় অর্থাৎ উদ্দেশ্যটি সাধনের জন্যে প্রয়োজনীয় বা সহায়ক বিষয়। দু’টি উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে আশা করি। উদাহরণ-১
একটি কলমের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বস্তু বা বিষয়গুলো হচ্ছে লেখা, কালি, কাগজ, কলমের নিব ও শরীর, কলম ও কালি তৈরির কারখানা। এর মধ্যে লেখাটা হচ্ছে কলম তৈরির উদ্দেশ্য। আর বাকি সবগুলো পাথেয়। অর্থাৎ ঐ উদ্দেশ্য সাধনের জন্যে প্রয়োজনীয় বস্তু বা বিষয়সমূহ।
উদাহরণ-২
ডাক্তারী বিজ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন বস্তু বা বিষয়সমূহ হচ্ছে-চিকিৎসা করা, ডাক্তার, নার্স, মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল, ঔষধ, মেডিকেল যন্ত্রপাতি ইত্যাদি। এর মধ্যে চিকিৎসা করা হচ্ছে ডাক্তারী বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য আর বাকি সব হচ্ছে তার পাথেয়।
মানুষের জীবনের সঙ্গেও নানা ধরনের বিষয় সম্পর্কযুক্ত এবং ঐ বিষয়গুলোকে ৪টি গ্রুপে ভাগ করা যায়। যথা- উপাসনামূলক কাজ, ন্যায়-অন্যায় কাজ, শরীর-স্বাস্থ্য গঠনমূলক কাজ এবং পরিবেশ পরিস্থিতি গঠনমূলক কাজ। তাহলে বিবেক-বুদ্ধির রায় অনুযায়ী ঐ ৪ গ্রুপের মধ্যে এক গ্রুপের কাজই হবে মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য। আর বাকি সবগুলো হবে মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য সাধনের পাথেয়।
তথ্য-২
কোন সৃষ্টিকারক যখন কোন উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে একটি জিনিস সৃষ্টি বা প্রণয়ন করেন, তখন ঐ জিনিসের গঠনটি তিনি এমনভাবে করেন যেন ঐ বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্যে তা সরাসরি ও সুনির্দিষ্টভাবে সহায়ক হয়। এটাও একটা চির সত্য কথা। নিষ্প্রাণ জিনিসের বেলায় সেই গঠন হয় শুধু শারীরিক। আর সপ্রাণ জিনিসের বেলায় তা হয় শারীরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক। অর্থাৎ একটা সপ্রাণ সৃষ্টির-
ক. বুদ্ধিবৃত্তিক গঠন হবে এমন যেন সে জন্মগতভাবে (কোন পড়াশুনা, শিক্ষাদীক্ষা ছাড়াই) বুঝতে পারে, কোন বিষয়টি বা বিষয়গুলো তার সৃষ্টির উদ্দেশ্য। তা না হলে যে প্রাণীদের পড়াশুনা বা শিক্ষাদীক্ষার ব্যবস্থা নেই তারাতো বুঝতে বা জানতে পারবে না, তাদের সৃষ্টির উদ্দেশ্য কী। আবার যে মানুষটির শিার সুযোগ হয়নি বা যেখানে শিক্ষাদীক্ষার সুযোগ নেই, সেখানকার মানুষ তো বুঝতে পারবে না তার বা তাদের সৃষ্টির উদ্দেশ্য কী। তাছাড়া অন্য মানুষের (নবী-রাসূল বাদে) নিকট থেকে শিখতে হলে তারা সৃষ্টির উদ্দেশ্যটা সঠিকভাবে শিখাচ্ছেন কিনা, সে ব্যাপারে সন্দেহ সবসময়ই থাকবে।
খ. শারীরিক গঠন হবে এমন যেন সেই গঠন ঐ প্রাণীর জন্য তার উদ্দেশ্য সাধনের পথে সরাসরিভাবে সহায়ক হয়। কারণ, তা না হলেও তার জন্যে তার সৃষ্টির উদ্দেশ্য সাধন করা দুষ্কর বা অসম্ভব হবে।
মানুষ সৃষ্টি করতে পারে শুধু নিষ্প্রাণ জিনিস বা বস্তু। এই চির সত্য কথা অনুযায়ী তাই দেখা যায়, মানুষের সৃষ্টি করা প্রতিটি বস্তুর শারীরিক গঠন ব্যতিক্রম ছাড়াই এমন হয় যে, তা সরাসরিভাবে তার উদ্দেশ্য সাধনে সহায়ক হয়। উদাহরণস্বরূপ একটা ছুরিকে ধরা যায়। ছুরি সৃষ্টি বা বানানোর উদ্দেশ্য হচ্ছে, কোন কিছু কাটা। তাই সকল ছুরির প্রস্তুতকারক ছুরির শারীরিক গঠন অবশ্যই এমন করেন যেন, তা দিয়ে সহজেই কোন কিছু কাটা যায়।
মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য সম্বন্ধে বিবেক-বুদ্ধির তথ্যসমূহ
তথ্য-১
কোন বস্তু বা বিষয়ের সঙ্গে প্রত্য ও পরোভাবে যে সকল বিষয় সম্পর্ক যুক্ত থাকে, তার একটি বা এক বিশেষ গ্রুপ হয় ঐ বস্তু বা বিষয় সৃষ্টি বা প্রণয়নের উদ্দেশ্য। আর বাকি সব হয় তার পাথেয় অর্থাৎ উদ্দেশ্যটি সাধনের জন্যে প্রয়োজনীয় বা সহায়ক বিষয়। দু’টি উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে আশা করি। উদাহরণ-১
একটি কলমের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বস্তু বা বিষয়গুলো হচ্ছে লেখা, কালি, কাগজ, কলমের নিব ও শরীর, কলম ও কালি তৈরির কারখানা। এর মধ্যে লেখাটা হচ্ছে কলম তৈরির উদ্দেশ্য। আর বাকি সবগুলো পাথেয়। অর্থাৎ ঐ উদ্দেশ্য সাধনের জন্যে প্রয়োজনীয় বস্তু বা বিষয়সমূহ।
উদাহরণ-২
ডাক্তারী বিজ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন বস্তু বা বিষয়সমূহ হচ্ছে-চিকিৎসা করা, ডাক্তার, নার্স, মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল, ঔষধ, মেডিকেল যন্ত্রপাতি ইত্যাদি। এর মধ্যে চিকিৎসা করা হচ্ছে ডাক্তারী বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য আর বাকি সব হচ্ছে তার পাথেয়।
মানুষের জীবনের সঙ্গেও নানা ধরনের বিষয় সম্পর্কযুক্ত এবং ঐ বিষয়গুলোকে ৪টি গ্রুপে ভাগ করা যায়। যথা- উপাসনামূলক কাজ, ন্যায়-অন্যায় কাজ, শরীর-স্বাস্থ্য গঠনমূলক কাজ এবং পরিবেশ পরিস্থিতি গঠনমূলক কাজ। তাহলে বিবেক-বুদ্ধির রায় অনুযায়ী ঐ ৪ গ্রুপের মধ্যে এক গ্রুপের কাজই হবে মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য। আর বাকি সবগুলো হবে মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য সাধনের পাথেয়।
তথ্য-২
কোন সৃষ্টিকারক যখন কোন উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে একটি জিনিস সৃষ্টি বা প্রণয়ন করেন, তখন ঐ জিনিসের গঠনটি তিনি এমনভাবে করেন যেন ঐ বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্যে তা সরাসরি ও সুনির্দিষ্টভাবে সহায়ক হয়। এটাও একটা চির সত্য কথা। নিষ্প্রাণ জিনিসের বেলায় সেই গঠন হয় শুধু শারীরিক। আর সপ্রাণ জিনিসের বেলায় তা হয় শারীরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক। অর্থাৎ একটা সপ্রাণ সৃষ্টির-
ক. বুদ্ধিবৃত্তিক গঠন হবে এমন যেন সে জন্মগতভাবে (কোন পড়াশুনা, শিক্ষাদীক্ষা ছাড়াই) বুঝতে পারে, কোন বিষয়টি বা বিষয়গুলো তার সৃষ্টির উদ্দেশ্য। তা না হলে যে প্রাণীদের পড়াশুনা বা শিক্ষাদীক্ষার ব্যবস্থা নেই তারাতো বুঝতে বা জানতে পারবে না, তাদের সৃষ্টির উদ্দেশ্য কী। আবার যে মানুষটির শিার সুযোগ হয়নি বা যেখানে শিক্ষাদীক্ষার সুযোগ নেই, সেখানকার মানুষ তো বুঝতে পারবে না তার বা তাদের সৃষ্টির উদ্দেশ্য কী। তাছাড়া অন্য মানুষের (নবী-রাসূল বাদে) নিকট থেকে শিখতে হলে তারা সৃষ্টির উদ্দেশ্যটা সঠিকভাবে শিখাচ্ছেন কিনা, সে ব্যাপারে সন্দেহ সবসময়ই থাকবে।
খ. শারীরিক গঠন হবে এমন যেন সেই গঠন ঐ প্রাণীর জন্য তার উদ্দেশ্য সাধনের পথে সরাসরিভাবে সহায়ক হয়। কারণ, তা না হলেও তার জন্যে তার সৃষ্টির উদ্দেশ্য সাধন করা দুষ্কর বা অসম্ভব হবে।
মানুষ সৃষ্টি করতে পারে শুধু নিষ্প্রাণ জিনিস বা বস্তু। এই চির সত্য কথা অনুযায়ী তাই দেখা যায়, মানুষের সৃষ্টি করা প্রতিটি বস্তুর শারীরিক গঠন ব্যতিক্রম ছাড়াই এমন হয় যে, তা সরাসরিভাবে তার উদ্দেশ্য সাধনে সহায়ক হয়। উদাহরণস্বরূপ একটা ছুরিকে ধরা যায়। ছুরি সৃষ্টি বা বানানোর উদ্দেশ্য হচ্ছে, কোন কিছু কাটা। তাই সকল ছুরির প্রস্তুতকারক ছুরির শারীরিক গঠন অবশ্যই এমন করেন যেন, তা দিয়ে সহজেই কোন কিছু কাটা যায়।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন