আমার বন্ধু শাকিল। ছেলেটি মোটামুটি সব দিক থেকে ভালো। তার একটাই সমস্যা, সে প্রচণ্ড ফেসবুক-আসক্ত। বাংলাদেশে বিভিন্ন মাদকাসক্তিকেন্দ্রের মতো যদি কোনো ফেসবুক আসক্তিকেন্দ্র থাকত তাহলে তাকে সেখানে ভর্তি করিয়ে দিতাম।
বছর খানেক আগের কথা। তখন আমরা এক স্যারের কাছে পড়তে যেতাম। শাকিলও সেখানে পড়ত। সে নিয়মিত পড়তে যেত। একদিন দেখি, তার এ নিয়মিত আসাটা অনিয়মিত হয়ে গেছে। একদিন আসে তো তিন দিন আসে না। জিজ্ঞেস করলাম, ‘কিরে, প্রাইভেটে এলি না কেন?’ শাকিল বলল, ‘নতুন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেছি তো। তাই প্রাইভেটের সময়টা ফেসবুকের পেছনে ব্যয় করছি।’
আমি তো হতবাক! প্রাইভেট বাদ দিয়ে ফেসবুক! এর কয়েক দিন পর দেখি, সে স্কুলেও অনিয়মিত হয়ে যাচ্ছে। জিজ্ঞেস করতেই বলল, ‘নতুন একটা মেয়েবন্ধু খুঁজে পেয়েছি ফেসবুকে। তাই ভাবলাম, বন্ধু যখন, সময় তো দেওয়া দরকার। তাই...।’ আর বুঝতে বাকি থাকল না, ব্যাটাকে ভালোভাবেই ফেসবুক রোগে পেয়েছে। একদিন দেখলাম শাকিল তড়িঘড়ি করে হেঁটে চলে যাচ্ছে। আমি ডাকলাম, ‘শাকিল, শোন, কথা আছে।’ সে বলল, ‘দোস্ত, তাড়া আছে, ফেসবুকে যোগাযোগ কর!’ এভাবে যেতে যেতে কিছুদিন পর আমাদের পরীক্ষার রুটিন দিল। শাকিল কিছুই জানে না। তাকে ফোন করলাম, ‘হ্যালো, শাকিল, পরীক্ষার রুটিন দিয়েছে। নিবি না?’ সে বলল, ‘দোস্ত, এক কাজ কর, রুটিনটা আমার ওয়াল-এ পেস্ট করে দে!’ এর বেশ কিছুদিন পর হঠাৎ খবর পেলাম, শাকিল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে। তাড়াতাড়ি তাকে দেখতে গেলাম। দেখি তার সারা শরীরে ব্যান্ডেজ আর সে ব্যথায় কাতরাচ্ছে। আমাকে দেখেই শাকিল অসুগ্গট স্বরে বলল, ‘দোস্ত, একটা ফটো তোল। আমার ফেসবুক অ্যালবামে রাখব!’
বছর খানেক আগের কথা। তখন আমরা এক স্যারের কাছে পড়তে যেতাম। শাকিলও সেখানে পড়ত। সে নিয়মিত পড়তে যেত। একদিন দেখি, তার এ নিয়মিত আসাটা অনিয়মিত হয়ে গেছে। একদিন আসে তো তিন দিন আসে না। জিজ্ঞেস করলাম, ‘কিরে, প্রাইভেটে এলি না কেন?’ শাকিল বলল, ‘নতুন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেছি তো। তাই প্রাইভেটের সময়টা ফেসবুকের পেছনে ব্যয় করছি।’
আমি তো হতবাক! প্রাইভেট বাদ দিয়ে ফেসবুক! এর কয়েক দিন পর দেখি, সে স্কুলেও অনিয়মিত হয়ে যাচ্ছে। জিজ্ঞেস করতেই বলল, ‘নতুন একটা মেয়েবন্ধু খুঁজে পেয়েছি ফেসবুকে। তাই ভাবলাম, বন্ধু যখন, সময় তো দেওয়া দরকার। তাই...।’ আর বুঝতে বাকি থাকল না, ব্যাটাকে ভালোভাবেই ফেসবুক রোগে পেয়েছে। একদিন দেখলাম শাকিল তড়িঘড়ি করে হেঁটে চলে যাচ্ছে। আমি ডাকলাম, ‘শাকিল, শোন, কথা আছে।’ সে বলল, ‘দোস্ত, তাড়া আছে, ফেসবুকে যোগাযোগ কর!’ এভাবে যেতে যেতে কিছুদিন পর আমাদের পরীক্ষার রুটিন দিল। শাকিল কিছুই জানে না। তাকে ফোন করলাম, ‘হ্যালো, শাকিল, পরীক্ষার রুটিন দিয়েছে। নিবি না?’ সে বলল, ‘দোস্ত, এক কাজ কর, রুটিনটা আমার ওয়াল-এ পেস্ট করে দে!’ এর বেশ কিছুদিন পর হঠাৎ খবর পেলাম, শাকিল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে। তাড়াতাড়ি তাকে দেখতে গেলাম। দেখি তার সারা শরীরে ব্যান্ডেজ আর সে ব্যথায় কাতরাচ্ছে। আমাকে দেখেই শাকিল অসুগ্গট স্বরে বলল, ‘দোস্ত, একটা ফটো তোল। আমার ফেসবুক অ্যালবামে রাখব!’
সূত্র: প্রথম আলো
1 Comment:
‘দোস্ত, একটা ফটো তোল। আমার ফেসবুক অ্যালবামে রাখব!’
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন