তোমরা সবাই দোলনায় চড়তে ভালো বাসো, তাই না? তা বলি, এই দোলনা এলো কী ভাবে? জানি, তোমরা একেক জন একেক রকম করে বিষয়টা জানো। আমিও কিন্তু জানি। কাছে এসো। কানটা ঠিকঠাক করে নাও। শোনো, এবার বলছি-অনেক দিন আগে নীলা, নীহা, টুকি, রিপা, মিলা, মিরা, তিহা, মিনা, বীথি ও নোহা নামের দশ বান্ধবী খেলছিলো। হঠাৎ ওরা দেখতে পেলো, এক বানর গাছের ডাল ধরে ঝুলছে। তা দেখে দশ বন্ধুরও ঝুলতে ইচ্ছে হলো। কিন্তু ওরা তো বানরের মতো গাছে চড়তে পারে না! তারা কী করবে, কী করবে যখন ভাবছিলো; তখন তারা কাছাকাছি একটা মোটা দড়ি ও বেশ বড়-সড় কাঠের টুকরো দেখলো। তাড়াহুড়ো করে তারা দড়িটা গাছে বেঁধে তাতে কাঠ চাপিয়ে নিলো। তারপর দোল খেলায় মেতে উঠলো। তারা একবারের জন্যও ভাবার সময় পেলো না যে, তারা কেমন করে চটাচট এসব করে পেলতে পারলো। তারা দেখলো, খেলাটা বেশ মজার! তো এর একটা নামওতো চাই? একজন বললো, বানরঝোলা, একজন বললো, ঝুলুনি। আরেকজন বললো, দুলুনি। এভাবে বলতেই থাকলো। কোনো সমাধান বের হলো না। নয় জন দায়িত্ব দিলো রিপাকে। তাদের দলের সবচে বুদ্ধিমান রিপা। তারা বলে, তুই একটা নাম দে না বুদ্ধিমতী! রিপা মুখে আঙুল দিয়ে ভেবে-টেবে নাম দিলো- দোলনা। সবার মনে ধরে গেলো নামটা। তাদের মুখ থেকে মুখ হয়ে নামটা ছড়িয়ে পড়লো পুরো দুনিয়ায়। পুঁচকে পাঁচকেরা তো নামটা খেয়ে ফেলতেই চাইলো। কিন্তু নাম যে খাওয়া যায় না। তাই তারা দিনমান তাতে চড়তে শুরু করে দিলো। সেই থেকে আজও দোলনা নামটা চড়িয়ে আছে।
সূত্র : সমকাল
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন