ভোলাকে কেহ হাসাতে পারল না
একবার এক অভিনব কৌতুক প্রতিযোগিতার আয়োজন হলো। সর্বমোট ১০০টি কৌতুক বলা হবে। যে ব্যক্তি পুরো ১০০টি কৌতুক শোনার পরও একটুও হাসবে না, তাকে পুরস্কৃত করা হবে। তো, এই খবর শুনে ভোলা বন্ধুবান্ধব নিয়ে লাফাতে লাফাতে সেখানে গিয়ে হাজির। ভোলাসহ সব প্রতিযোগী নিজ নিজ আসনে বসে আছে। সামনে চলছে কৌতুক পরিবেশন। কৌতুক শুনে সবাই হো হো করে হাসতে হাসতে একজন একজন করে বাদ পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু ভোলার মুখে কোনো হাসি নেই। এভাবে ৯৯টা কৌতুক শেষ এর পরও ভোলাকে কেউ হাসাতে পারল না। কিন্তু ১০০ নম্বর কৌতুক শুনেই পেট চেপে ধরে হাসতে হাসতে ভোলা গড়াগড়ি দিচ্ছিল। তার বন্ধুরা তো এবার রেগে অগ্নিশর্মা। পাশ থেকে বলতে লাগল, ‘আরে বুদ্ধু, এই শেষবেলায় এসে হাসছিস কেন? পুরস্কারটা তো আমাদের হাতছাড়া করে দিলি। সব বরবাদ হয়ে গেল’ ভোলা বলল, ‘আরে দোস্ত, আমি কী করব? এইমাত্র কানে লাগানো ছিপিটা খুলে গেল যে।
চিঠিটা এখনো হাতে এসে পৌছায়নি
একবার ভোলার কাছে তার বন্ধু রামের একটি চিঠি এল। চিঠিতে লেখা, ‘ভোলাজি, আমি একটা মহা ঝামেলায় পড়েছি, একমাত্র তুমিই পার এই ঝামেলা থেকে আমাকে মুক্তি দিতে। দয়া করে যদি তুমি আমাকে ১০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দাও, তাহলে বর্তে যাই আমি। ছয় মাস পরই ধারের টাকা শোধ করে দেব।’ এই চিঠি পেয়ে ভোলার মাথা তো একদম গরম। ওই ব্যাটা রাম যে একটা জোচ্চোর তা ভালো করেই জানে ভোলা। মরে গেলেও সে কিছুতেই এ টাকা শোধ করবে না। মহা চিন্তায় পড়ল ভোলা। ভাবতে ভাবতে হুট করেই বুদ্ধি করল, এবার তাকে একটা পাল্টা চিঠি পাঠিয়ে দিই। ভোলা চিঠিতে লিখে দিল, ‘ভাই রামজি, আমি খুবই দুঃখিত যে, তুমি ১০ হাজার টাকা চেয়ে যে চিঠিটি আমার ঠিকানায় পাঠিয়েছ, তা হয়তো ভুল করে অন্য কারও কাছে গেছে। তাই সেই চিঠিটি এখনো আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি। তাই তোমাকে টাকাটা দিতে পারলাম না বলে ক্ষমা কোরো।’
ভোলানাথের রেস্তোরা ব্যবসা
ভোলানাথ আর তার কাকা একবার ব্যবসা করার পরিকল্পনা করল। অনেক ভেবেচিন্তে তারা ঠিক করল রেস্তোরাঁর ব্যবসা করবে। যেই ভাবা সেই কাজ। রেস্তোরাঁ তৈরি হলো। রান্নাবান্নাও হলো। তারপর তারা ক্রেতার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। কিন্তু কোনো ক্রেতাই সেদিন আর এল না। এভাবে এক দিন দুই দিন করে সপ্তাহ পার হলো, কিন্তু ক্রেতার কোনো দেখা নেই।
শেষে জানা গেল, ভোলানাথ তাদের রেস্তোরাঁর সামনে বড় করে লিখে দিয়েছিল ‘দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ’।
তো ব্যর্থ হয়ে তারা ভাবল, তাদের দিয়ে আর যা-ই হোক রেস্তোরাঁর ব্যবসা হবে না। এবার তারা আবার মোটর গ্যারেজের ব্যবসা শুরু করল। যন্ত্রপাতিও কেনা হলো। কিন্তু ‘যাহা কদু তাহাই লাউ’য়ের মতো অবস্থা। দিনমান অপেক্ষার পরও কোনো গাড়িই তাদের গ্যারেজে ঢুকল না। এভাবে এক দিন দুই দিন করে সপ্তাহই শেষ, কিন্তু গাড়ির কোনো খবর নেই। তো, তাদের গ্যারেজে কোনো গাড়ি না আসার কারণ হলো, গ্যারেজটি ছিল একটি ভবনের তৃতীয় তলায়।
ভোলানাথের শহর ভ্রমণ
জীবনের প্রথম ভোলানাথ গ্রাম থেকে শহরে এসে একটা হোটেলে উঠেছে। হোটেলবয় তাকে কক্ষ দেখানোর জন্য নিয়ে যাওয়ার পর ছোট্ট একটা কক্ষে ঢুকতেই দরজা বন্ধ হয়ে গেল। ভোলানাথ দেখল সেখানে আরও একজন লোক দাঁড়িয়ে আছে। তো তাকে ভোলানাথ বলল, ‘মশাই, দেখুন তো, আমি গ্রাম থেকে এসেছি। টাকাও সব শোধ করে দিয়েছি। কিন্তু এই ব্যাটারা কত ছোট্ট একটা ঘর আমাকে দিয়েছে। থাকার কথা ছিল আমার একার কিন্তু এখন দেখছি, মশাই, আপনিও আমার ঘরে। তারপর ওপরে আবার বিছানা নেই, নেই বাতাস ঢোকার কোনো ব্যবস্থা। ব্যাটারা কেমন জোচ্চোর বুঝুন।’
এমন সময় হোটেলবয় এসে জানাল, ‘আরে মশাই, এটা তো আপনার কক্ষ নয়। এটা তো লিফট।’
হাসুন প্রাণ খুলে ১ম পর্ব পড়ুন
একবার এক অভিনব কৌতুক প্রতিযোগিতার আয়োজন হলো। সর্বমোট ১০০টি কৌতুক বলা হবে। যে ব্যক্তি পুরো ১০০টি কৌতুক শোনার পরও একটুও হাসবে না, তাকে পুরস্কৃত করা হবে। তো, এই খবর শুনে ভোলা বন্ধুবান্ধব নিয়ে লাফাতে লাফাতে সেখানে গিয়ে হাজির। ভোলাসহ সব প্রতিযোগী নিজ নিজ আসনে বসে আছে। সামনে চলছে কৌতুক পরিবেশন। কৌতুক শুনে সবাই হো হো করে হাসতে হাসতে একজন একজন করে বাদ পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু ভোলার মুখে কোনো হাসি নেই। এভাবে ৯৯টা কৌতুক শেষ এর পরও ভোলাকে কেউ হাসাতে পারল না। কিন্তু ১০০ নম্বর কৌতুক শুনেই পেট চেপে ধরে হাসতে হাসতে ভোলা গড়াগড়ি দিচ্ছিল। তার বন্ধুরা তো এবার রেগে অগ্নিশর্মা। পাশ থেকে বলতে লাগল, ‘আরে বুদ্ধু, এই শেষবেলায় এসে হাসছিস কেন? পুরস্কারটা তো আমাদের হাতছাড়া করে দিলি। সব বরবাদ হয়ে গেল’ ভোলা বলল, ‘আরে দোস্ত, আমি কী করব? এইমাত্র কানে লাগানো ছিপিটা খুলে গেল যে।
চিঠিটা এখনো হাতে এসে পৌছায়নি
একবার ভোলার কাছে তার বন্ধু রামের একটি চিঠি এল। চিঠিতে লেখা, ‘ভোলাজি, আমি একটা মহা ঝামেলায় পড়েছি, একমাত্র তুমিই পার এই ঝামেলা থেকে আমাকে মুক্তি দিতে। দয়া করে যদি তুমি আমাকে ১০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দাও, তাহলে বর্তে যাই আমি। ছয় মাস পরই ধারের টাকা শোধ করে দেব।’ এই চিঠি পেয়ে ভোলার মাথা তো একদম গরম। ওই ব্যাটা রাম যে একটা জোচ্চোর তা ভালো করেই জানে ভোলা। মরে গেলেও সে কিছুতেই এ টাকা শোধ করবে না। মহা চিন্তায় পড়ল ভোলা। ভাবতে ভাবতে হুট করেই বুদ্ধি করল, এবার তাকে একটা পাল্টা চিঠি পাঠিয়ে দিই। ভোলা চিঠিতে লিখে দিল, ‘ভাই রামজি, আমি খুবই দুঃখিত যে, তুমি ১০ হাজার টাকা চেয়ে যে চিঠিটি আমার ঠিকানায় পাঠিয়েছ, তা হয়তো ভুল করে অন্য কারও কাছে গেছে। তাই সেই চিঠিটি এখনো আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি। তাই তোমাকে টাকাটা দিতে পারলাম না বলে ক্ষমা কোরো।’
ভোলানাথের রেস্তোরা ব্যবসা
ভোলানাথ আর তার কাকা একবার ব্যবসা করার পরিকল্পনা করল। অনেক ভেবেচিন্তে তারা ঠিক করল রেস্তোরাঁর ব্যবসা করবে। যেই ভাবা সেই কাজ। রেস্তোরাঁ তৈরি হলো। রান্নাবান্নাও হলো। তারপর তারা ক্রেতার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। কিন্তু কোনো ক্রেতাই সেদিন আর এল না। এভাবে এক দিন দুই দিন করে সপ্তাহ পার হলো, কিন্তু ক্রেতার কোনো দেখা নেই।
শেষে জানা গেল, ভোলানাথ তাদের রেস্তোরাঁর সামনে বড় করে লিখে দিয়েছিল ‘দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ’।
তো ব্যর্থ হয়ে তারা ভাবল, তাদের দিয়ে আর যা-ই হোক রেস্তোরাঁর ব্যবসা হবে না। এবার তারা আবার মোটর গ্যারেজের ব্যবসা শুরু করল। যন্ত্রপাতিও কেনা হলো। কিন্তু ‘যাহা কদু তাহাই লাউ’য়ের মতো অবস্থা। দিনমান অপেক্ষার পরও কোনো গাড়িই তাদের গ্যারেজে ঢুকল না। এভাবে এক দিন দুই দিন করে সপ্তাহই শেষ, কিন্তু গাড়ির কোনো খবর নেই। তো, তাদের গ্যারেজে কোনো গাড়ি না আসার কারণ হলো, গ্যারেজটি ছিল একটি ভবনের তৃতীয় তলায়।
ভোলানাথের শহর ভ্রমণ
জীবনের প্রথম ভোলানাথ গ্রাম থেকে শহরে এসে একটা হোটেলে উঠেছে। হোটেলবয় তাকে কক্ষ দেখানোর জন্য নিয়ে যাওয়ার পর ছোট্ট একটা কক্ষে ঢুকতেই দরজা বন্ধ হয়ে গেল। ভোলানাথ দেখল সেখানে আরও একজন লোক দাঁড়িয়ে আছে। তো তাকে ভোলানাথ বলল, ‘মশাই, দেখুন তো, আমি গ্রাম থেকে এসেছি। টাকাও সব শোধ করে দিয়েছি। কিন্তু এই ব্যাটারা কত ছোট্ট একটা ঘর আমাকে দিয়েছে। থাকার কথা ছিল আমার একার কিন্তু এখন দেখছি, মশাই, আপনিও আমার ঘরে। তারপর ওপরে আবার বিছানা নেই, নেই বাতাস ঢোকার কোনো ব্যবস্থা। ব্যাটারা কেমন জোচ্চোর বুঝুন।’
এমন সময় হোটেলবয় এসে জানাল, ‘আরে মশাই, এটা তো আপনার কক্ষ নয়। এটা তো লিফট।’
হাসুন প্রাণ খুলে ১ম পর্ব পড়ুন
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন