মাত্র দুই চা চামচ পানি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন বিশ্বের সবচেয়ে ছোট অ্যাকুয়ারিয়ামটি বানিয়েছেন রাশিয়ার ৫৭ বছর বয়সী আনাতোলি কোনানকো। মাত্র ৩০ মিলিমিটার দীর্ঘ, ২৪ মিলিমিটার উঁচু ও ১৪ মিলিমিটার গভীর অ্যাকুয়ারিয়ামটি হাতের তালুতে রাখা যাবে অনায়াসেই। অ্যাকুয়ারিয়ামে ঠিকভাবে পানি ভরার জন্য ১০ মিলিমিটার ধারণক্ষমতার একটি বিশেষ সিরিঞ্জ এবং মাছ ঢোকানোর জন্য ব্যবহার করা হয় বিশেষ হাতজাল। কোনানকো তাঁর এই সৃষ্টিকে বলেছেন 'অতিক্ষুদ্র শিল্প'_'আমি এটি বানিয়েছি স্রেফ কৌতূহলে। এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট অ্যাকুয়ারিয়াম এবং এর পানি ধারণক্ষমতা মাত্র ১০ মিলিলিটার।' তিনি আরো বলেন, 'এক চা চামচে যদি ৫ মিলিলিটার পানি ধরে তাহলে এই অ্যাকুয়ারিয়ামে মাত্র দুই চা চামচ পানি ধরবে।' তিন দশক ধরে চাল, পোস্তদানা, এমনকি মানুষের চুলসহ নানা জিনিসের ওপর মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে এ ধরনের শিল্পকর্ম বানিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর উল্লেখযোগ্য সৃষ্টিকর্মের মধ্যে রয়েছে একটি সুঁইয়ের ওপর ১২টি উটচালিত বিশেষ ক্যারাভান, একটি বোতলের ভেতরে মাত্র দশমিক ২৫ মিলিমিটার উঁচু একটি জাহাজ তৈরি। তাঁর আরেকটি বিশেষ সৃষ্টি হচ্ছে এক জোড়া জুতা, যা একটি ম্যাচের কাঠির চেয়েও ছোট।
১৯৯৬ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তাঁর নাম উঠেছিল সবচেয়ে ছোট বই বানানোর জন্য। রাশিয়ার লেখক আন্তন চেকভের 'ক্যামেলিয়ন' উপন্যাসটি বই আকারে প্রকাশ করে তিনি এই রেকর্ডের অধিকারী হন। ২৯ পৃষ্ঠার বইটি দৈর্ঘ্য-প্রস্থে মাত্র দশমিক ৯ মিলিমিটার।
১৯৯৬ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তাঁর নাম উঠেছিল সবচেয়ে ছোট বই বানানোর জন্য। রাশিয়ার লেখক আন্তন চেকভের 'ক্যামেলিয়ন' উপন্যাসটি বই আকারে প্রকাশ করে তিনি এই রেকর্ডের অধিকারী হন। ২৯ পৃষ্ঠার বইটি দৈর্ঘ্য-প্রস্থে মাত্র দশমিক ৯ মিলিমিটার।
সূত্র : কালের কন্ঠ
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন