গাধা তো আসলে গাধাই, তাই না? গাধা না হয়ে তার নাম 'হাঁদা' হলেও বেশ মানাতো। কেননা একটু হাবাগোবা হিসেবেই তাকে প্রাণীরা জানে। এতে গাধার কিছু এসে যায় না। সে নিজেকে চতুর মনে করে।
গাধা হাঁদা হলেও বনে তার যে বন্ধু নেই এমন নয়। এই যেমন পিচ্চি খরগোশ, দুষ্টু কাঠবিড়ালী, পণ্ডিত ভালুক এমন কি জেব্রা মামাও গাধার বন্ধু। বন্ধুরা কত বলে, ও গাধা এবার একটু চালাক হও। আর কত বোকা হয়ে থাকবে?
কিন্তু কে শোনে কার কথা। তবে এ নিয়ে গাধার যে একেবারেই লজ্জাবোধ নেই তাও নয়। একবার তো রাগ করে সে খরগোশের সঙ্গে কথা বলাই বন্ধ করে দিলো। আসলে সেদিন হয়েছে কি, খরগোশটা কি কারণে যেন গাধার পেছনে লেগেছে। বিভিন্নভাবে গাধাকে ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা করছে। তাকে তাল দিয়ে যাচ্ছে জেব্রা। জেব্রার আস্কারা পেয়ে খরগোশের মস্করা গেলো আরো বেড়ে। একসময় সে গাধাকে বলেই ফেললো, গাধা তুমি সবসময় পিঠে বেশী বোঝা চাপাও কেন? কম বোঝা নিলে তোমার হাঁটতে কষ্ট হয় বুঝি?
শুনেই গাধার মেজাজ গেলো বিগড়ে। এ কেমন কথা! কেউ কী কখনও চায় নিজের পিঠে বেশী বোঝা চাপাতে? গাধা রেগে উল্টো জানতে চাইলো, তোমায় কে বলেছে আমি পিঠে কম বোঝা নিয়ে হাঁটতে পারি না?
সবাই বলে তো তাই জানতে চাইলাম, বললো খরগোশ। গাধা বলে, কে বললো এমন কথা?
খরগোশ এবার কাঠবিড়ালী এবং জেব্রার দিকে তাকিয়ে এ কথা ঠিক কিনা জানতে চায়। কাঠবিড়ালী শুনেই লাফিয়ে হ্যাঁ, ঠিক্ ঠিক বলে ওঠে।
জেব্রাও মুচকি হেসে লেজ নাড়াতে নাড়াতে বলে, আমিও শুনেছি, একদম ঠিক্।
এবার গাধা বিব্রত হয়। লজ্জায়, অভিমানে চোখে পানি এসে যায়। তাই দেখে পিচ্চি খরগোশ আর দুষ্ট কাঠবিড়ালীর সে কি হি হি হি হি হাসি! ওদের হাসি দেখে গাধার পিত্তি জ্বলে যায়। ভাগ্যিস ভালুক পাশ দিয়েই যাচ্ছিলো। হৈ চৈ শুনে ভালুক এগিয়ে এসে দেখে, সবাই মিলে গাধার পিছনে লেগেছে। গাধার অসহায় অবস্থা দেখে ভালুকের খুব মায়া হয়। সে সবাইকে ধমক দিয়ে বলে, এই খবরদার! চুপ, একদম চুপ!
ভালুকের ধমক খেয়ে চুপসে যায় সবাই। ভালুক কাঠবিড়ালীকে আচ্ছা করে শাসিয়ে বলে, এরপর ওর পেছনে লাগবি তো তোর লেজ ছিঁড়ে দেবো।
ভালুক খরগোশকেও খুব করে বকা দিয়ে বলে, তোর কান টেনে আরো লম্বা বানিয়ে দেবো।
আর জেব্রা? জেব্রা ভালুককে দেখেই ভয়ে লেজ গুটিয়ে উল্টো দিকে হাঁটতে শুরু করে। সেদিনের পর থেকেই গাধা খরগোশের সঙ্গে কথা বলে না।
আড়ি।
আড়ি।
আড়ি।
কিন্তু তারপরও কীভাবে কীভাবে যেন গাধার সব কথা দুষ্টু খরগোশটা জেনে যায়। তারপর এ-কান ও-কান হয়ে সেই ঘটনা জেনে যায় পুরো বন। গাধার পানি ঘোলা করে খাওয়ার ঘটনাও এভাবে বনে ছড়িয়ে পড়ে। অথচ গাধা বুঝে উঠতে পারে না এখানে তার ভুলটা কোথায়?
একদিনের ঘটনা। হয়েছে কী, অনেকদিন বৃষ্টির দেখা নেই বনে। তার উপর খা খা রোদ্দুর। তেষ্টায় গলা শুকিয়ে গলা খসখসে হয়ে গেছে গাধার। পানি পান না করলেই নয়। বনের বাম পাশে ছোট্ট নদী, ডান পাশে সরু রূপালী ঝর্ণা। হেঁটে নদীর পাড়ে যেতে লাগবে বড়জোর বিশ মিনিট। অন্যদিকের ঝর্ণা বেশ দূরে। গাধা ভাবনায় পড়ে গেলো সে কোনদিকে যাবে? শেষে অনেক চিন্তা করে গাধা দেখলো কষ্ট না করলে তো আর কেষ্ট মিলবে না। দূর হয়েছে তাতে কী, সে ওদিকটার ঝর্ণাতেই যাবে। এই না হলে গাধা! যেমন ভাবা তেমন কাজ। গাধা হেলেদুলে হাঁটতে শুরু করলো। অর্ধেক পথ যেতেই তার দম বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম। তার অবস্থা দেখে গাছের মগডালে পাতার আড়াল থেকে মুখ বাড়িয়ে কাঠবিড়ালী জানতে চাইলো, ও গাধা, কই যাও?
যাচ্ছি ঝর্ণার দিকে। খুব তেষ্টা পেয়েছে। বলে গাধা।
তাহলে তো তুমি নদীতে গেলেই পারতে! কাঠবিড়ালী বলে আবার।
এ কথা শুনে গাধা আরো জোড়ে পা চালালো। সে কথা বাড়িয়ে হাসির পাত্র হতে রাজী নয়। এমনিতে তার সবকিছুতেই অন্যেরা বোকামী খুঁজে পায়। এ সুযোগ সে আর কাউকে দিতে চায় না। অনেক কষ্টে একসময় গাধা ঠিকই ঝর্ণার কাছে গিয়ে পৌঁছালো।
পাহাড়ের ওপর থেকে সরু ঝর্ণার স্বচ্ছ পানি সমতলে এসে ছোট্ট ঝিল তৈরী করেছে। সেই ঝিলের চারপাশে নাম না জানা পাখি আর প্রজাপতিদের ওড়াউড়ি দেখে গাধার ক্লান্তি মুহূর্তেই দূর হয়ে গেলো। ঝিলের চারপাশটা কত সবুজ আর শান্ত। একটু দূরে হরিণের দল আনমনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একটা হরিণকে গাধার খুব মনে ধরলো। আহা! কী টানাটানা চোখ। মায়াভরা মুখ। সেই মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে গাধা পানি পান করার কথা বেমালুম ভুলে গেলো। হরিণের দিকে গাধার ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকা দেখে ঝিলের পাখিরাও যেন মজা পেলো। দোয়েল তো লেজ দোলাতে দোলাতে শীষ বাজাতে শুরু করলো। শীষ শুনে হুঁশ ফিরলো গাধার। বেচারার তখন লজ্জায় মাথা কাটা যাওয়ার উপক্রম! লজ্জা ঢাকতে তাড়াতাড়ি পানি পান করার জন্য ঝিলের জলে মুখ নামাতেই ঘটলো বিপত্তি। এ কি! তার আগেই সেখানে আরেকটি গাধা এলো কীভাবে? এ যে হুবহু তার মতো দেখতে। গাধা ঝিলের জলে মুখ নামালে সেও মুখ নামায়। গাধা তাকে তাড়ানোর জন্য দাঁত-মুখ খিচিয়ে ভয় দেখালে সেও ভয় দেখায়। ভারী বিপদ তো! এতো কষ্ট করে এতো দূর এসে তারই জাতি ভাই একটা গাধার জন্য সে পিপাসা মেটাতে পারবে না? এ হতে পারে না। তাছাড়া অই পাখিগুলোই বা এখন কী ভাববে? মেজাজটাই খারাপ হয়ে যায় গাধার। এবার সে ঝিলের পানিতে নেমে দাঁত-মুখ খিচিয়ে, হাত-পা ছুড়ে সেই গাধাকে তাড়ানোর চেষ্টা করলো। ফলে মুহূর্তেই ঝিলের স্বচ্ছ পানিতে কাদামাটি মিশে ঘোলা হয়ে গেলো এবং সেই ঘোলা পানিতে গাধার চেহারা আর দেখা গেলো না।
যাক্ বাবা, বাঁচা গেলো! বলে গাধা হাপ ছাড়লো। অবশেষে গাধাটাকে সে তাড়াতে পেরেছে! এবার নিশ্চিন্ত মনে গাধা ঝিলের সেই ঘোলা পানি খেয়ে তেষ্টা মেটালো।
এই ঘটনার পর থেকেই বনের দুষ্টু পশু-পাখিরা বলে বেড়ায় গাধা নাকি পানি ঘোলা করে খায়। কেন যে ওরা সবাই এমন কথা বলে গাধা আজো তা বুঝতে পারে না।
গাধা হাঁদা হলেও বনে তার যে বন্ধু নেই এমন নয়। এই যেমন পিচ্চি খরগোশ, দুষ্টু কাঠবিড়ালী, পণ্ডিত ভালুক এমন কি জেব্রা মামাও গাধার বন্ধু। বন্ধুরা কত বলে, ও গাধা এবার একটু চালাক হও। আর কত বোকা হয়ে থাকবে?
কিন্তু কে শোনে কার কথা। তবে এ নিয়ে গাধার যে একেবারেই লজ্জাবোধ নেই তাও নয়। একবার তো রাগ করে সে খরগোশের সঙ্গে কথা বলাই বন্ধ করে দিলো। আসলে সেদিন হয়েছে কি, খরগোশটা কি কারণে যেন গাধার পেছনে লেগেছে। বিভিন্নভাবে গাধাকে ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা করছে। তাকে তাল দিয়ে যাচ্ছে জেব্রা। জেব্রার আস্কারা পেয়ে খরগোশের মস্করা গেলো আরো বেড়ে। একসময় সে গাধাকে বলেই ফেললো, গাধা তুমি সবসময় পিঠে বেশী বোঝা চাপাও কেন? কম বোঝা নিলে তোমার হাঁটতে কষ্ট হয় বুঝি?
শুনেই গাধার মেজাজ গেলো বিগড়ে। এ কেমন কথা! কেউ কী কখনও চায় নিজের পিঠে বেশী বোঝা চাপাতে? গাধা রেগে উল্টো জানতে চাইলো, তোমায় কে বলেছে আমি পিঠে কম বোঝা নিয়ে হাঁটতে পারি না?
সবাই বলে তো তাই জানতে চাইলাম, বললো খরগোশ। গাধা বলে, কে বললো এমন কথা?
খরগোশ এবার কাঠবিড়ালী এবং জেব্রার দিকে তাকিয়ে এ কথা ঠিক কিনা জানতে চায়। কাঠবিড়ালী শুনেই লাফিয়ে হ্যাঁ, ঠিক্ ঠিক বলে ওঠে।
জেব্রাও মুচকি হেসে লেজ নাড়াতে নাড়াতে বলে, আমিও শুনেছি, একদম ঠিক্।
এবার গাধা বিব্রত হয়। লজ্জায়, অভিমানে চোখে পানি এসে যায়। তাই দেখে পিচ্চি খরগোশ আর দুষ্ট কাঠবিড়ালীর সে কি হি হি হি হি হাসি! ওদের হাসি দেখে গাধার পিত্তি জ্বলে যায়। ভাগ্যিস ভালুক পাশ দিয়েই যাচ্ছিলো। হৈ চৈ শুনে ভালুক এগিয়ে এসে দেখে, সবাই মিলে গাধার পিছনে লেগেছে। গাধার অসহায় অবস্থা দেখে ভালুকের খুব মায়া হয়। সে সবাইকে ধমক দিয়ে বলে, এই খবরদার! চুপ, একদম চুপ!
ভালুকের ধমক খেয়ে চুপসে যায় সবাই। ভালুক কাঠবিড়ালীকে আচ্ছা করে শাসিয়ে বলে, এরপর ওর পেছনে লাগবি তো তোর লেজ ছিঁড়ে দেবো।
ভালুক খরগোশকেও খুব করে বকা দিয়ে বলে, তোর কান টেনে আরো লম্বা বানিয়ে দেবো।
আর জেব্রা? জেব্রা ভালুককে দেখেই ভয়ে লেজ গুটিয়ে উল্টো দিকে হাঁটতে শুরু করে। সেদিনের পর থেকেই গাধা খরগোশের সঙ্গে কথা বলে না।
আড়ি।
আড়ি।
আড়ি।
কিন্তু তারপরও কীভাবে কীভাবে যেন গাধার সব কথা দুষ্টু খরগোশটা জেনে যায়। তারপর এ-কান ও-কান হয়ে সেই ঘটনা জেনে যায় পুরো বন। গাধার পানি ঘোলা করে খাওয়ার ঘটনাও এভাবে বনে ছড়িয়ে পড়ে। অথচ গাধা বুঝে উঠতে পারে না এখানে তার ভুলটা কোথায়?
একদিনের ঘটনা। হয়েছে কী, অনেকদিন বৃষ্টির দেখা নেই বনে। তার উপর খা খা রোদ্দুর। তেষ্টায় গলা শুকিয়ে গলা খসখসে হয়ে গেছে গাধার। পানি পান না করলেই নয়। বনের বাম পাশে ছোট্ট নদী, ডান পাশে সরু রূপালী ঝর্ণা। হেঁটে নদীর পাড়ে যেতে লাগবে বড়জোর বিশ মিনিট। অন্যদিকের ঝর্ণা বেশ দূরে। গাধা ভাবনায় পড়ে গেলো সে কোনদিকে যাবে? শেষে অনেক চিন্তা করে গাধা দেখলো কষ্ট না করলে তো আর কেষ্ট মিলবে না। দূর হয়েছে তাতে কী, সে ওদিকটার ঝর্ণাতেই যাবে। এই না হলে গাধা! যেমন ভাবা তেমন কাজ। গাধা হেলেদুলে হাঁটতে শুরু করলো। অর্ধেক পথ যেতেই তার দম বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম। তার অবস্থা দেখে গাছের মগডালে পাতার আড়াল থেকে মুখ বাড়িয়ে কাঠবিড়ালী জানতে চাইলো, ও গাধা, কই যাও?
যাচ্ছি ঝর্ণার দিকে। খুব তেষ্টা পেয়েছে। বলে গাধা।
তাহলে তো তুমি নদীতে গেলেই পারতে! কাঠবিড়ালী বলে আবার।
এ কথা শুনে গাধা আরো জোড়ে পা চালালো। সে কথা বাড়িয়ে হাসির পাত্র হতে রাজী নয়। এমনিতে তার সবকিছুতেই অন্যেরা বোকামী খুঁজে পায়। এ সুযোগ সে আর কাউকে দিতে চায় না। অনেক কষ্টে একসময় গাধা ঠিকই ঝর্ণার কাছে গিয়ে পৌঁছালো।
পাহাড়ের ওপর থেকে সরু ঝর্ণার স্বচ্ছ পানি সমতলে এসে ছোট্ট ঝিল তৈরী করেছে। সেই ঝিলের চারপাশে নাম না জানা পাখি আর প্রজাপতিদের ওড়াউড়ি দেখে গাধার ক্লান্তি মুহূর্তেই দূর হয়ে গেলো। ঝিলের চারপাশটা কত সবুজ আর শান্ত। একটু দূরে হরিণের দল আনমনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একটা হরিণকে গাধার খুব মনে ধরলো। আহা! কী টানাটানা চোখ। মায়াভরা মুখ। সেই মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে গাধা পানি পান করার কথা বেমালুম ভুলে গেলো। হরিণের দিকে গাধার ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকা দেখে ঝিলের পাখিরাও যেন মজা পেলো। দোয়েল তো লেজ দোলাতে দোলাতে শীষ বাজাতে শুরু করলো। শীষ শুনে হুঁশ ফিরলো গাধার। বেচারার তখন লজ্জায় মাথা কাটা যাওয়ার উপক্রম! লজ্জা ঢাকতে তাড়াতাড়ি পানি পান করার জন্য ঝিলের জলে মুখ নামাতেই ঘটলো বিপত্তি। এ কি! তার আগেই সেখানে আরেকটি গাধা এলো কীভাবে? এ যে হুবহু তার মতো দেখতে। গাধা ঝিলের জলে মুখ নামালে সেও মুখ নামায়। গাধা তাকে তাড়ানোর জন্য দাঁত-মুখ খিচিয়ে ভয় দেখালে সেও ভয় দেখায়। ভারী বিপদ তো! এতো কষ্ট করে এতো দূর এসে তারই জাতি ভাই একটা গাধার জন্য সে পিপাসা মেটাতে পারবে না? এ হতে পারে না। তাছাড়া অই পাখিগুলোই বা এখন কী ভাববে? মেজাজটাই খারাপ হয়ে যায় গাধার। এবার সে ঝিলের পানিতে নেমে দাঁত-মুখ খিচিয়ে, হাত-পা ছুড়ে সেই গাধাকে তাড়ানোর চেষ্টা করলো। ফলে মুহূর্তেই ঝিলের স্বচ্ছ পানিতে কাদামাটি মিশে ঘোলা হয়ে গেলো এবং সেই ঘোলা পানিতে গাধার চেহারা আর দেখা গেলো না।
যাক্ বাবা, বাঁচা গেলো! বলে গাধা হাপ ছাড়লো। অবশেষে গাধাটাকে সে তাড়াতে পেরেছে! এবার নিশ্চিন্ত মনে গাধা ঝিলের সেই ঘোলা পানি খেয়ে তেষ্টা মেটালো।
এই ঘটনার পর থেকেই বনের দুষ্টু পশু-পাখিরা বলে বেড়ায় গাধা নাকি পানি ঘোলা করে খায়। কেন যে ওরা সবাই এমন কথা বলে গাধা আজো তা বুঝতে পারে না।
সূত্র : সমকাল
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন