কথায় আছে 'ব্রেস্ট মিল্ক ইজ দ্য বেস্ট মিল্ক'। অর্থাৎ নবজাতকের প্রধান খাদ্যই হলো তার মায়ের দুধ। আর আজকের দিনে অনেক মা-ই তাদের সদ্যজাত শিশুটিকে এই অমূল্য রতন থেকে বঞ্চিত রাখেন। ফল হিসেবে বর্তমানে মা এবং শিশু দু'জনেই নানান অসুখে ভোগেন। একজন শিশুর জন্য যেমন মায়ের দুধ প্রয়োজনীয়, তেমনি একজন মায়ের পক্ষেও এই কাজটি সমানভাবেই প্রয়োজনীয়। মায়ের দুধে প্রোটিন, সুগার, ফ্যাট এবং ভিটামিন থাকে, যা শিশুর জন্য ভীষণ প্রয়োজনীয়। ওষুধ শিশুর রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে পারে না, কিন্তু মায়ের দুধ শিশুর মধ্যে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যে কোনো প্রি-ম্যাচিউর শিশু খুব সহজেই এই খাদ্য হজম করতে পারে। শুধু তাই নয়, অনেক সময় বোতল ভালোভাবে পরিষ্কার করা না হলে শিশুর নানারকম রোগ হতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ ছাড়াও এই খাদ্য ব্যয়সাপেক্ষ নয়। অনেক শিশুই এই সুষম খাদ্য খেয়ে তার বাল্যকাল কাটিয়ে দেয়। শুধু শিশুর জন্য নয়, তার মায়ের জন্যও এটি উপকারী। কারণ সন্তান জন্মানোর পরেই মায়ের কোলেস্টেরল বাড়তে থাকে শরীরে। এমনকি তারা আস্তে আস্তে মোটা হয়; কিন্তু যেসব মা নিয়ম করে সন্তানকে নিজের দুধ খাওয়ায় তাদের মধ্যে এ ধরনের সমস্যা অনেকটাই কম হতে দেখা যায়। এছাড়াও সঠিক পদ্ধতিতে এ প্রক্রিয়া কোনো মা না করে থাকলে তাদের মধ্যে পরবর্তী সময়ে ব্রেস্ট ক্যানসারের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তাছাড়া আরও নানান মেয়েলি রোগের লক্ষণ একে একে দেখা দিতে থাকে। চিকিৎসকরা বলে থাকেন, সন্তান জন্ম নেওয়ার পরই মায়ের উচিত সন্তানকে ব্রেস্ট মিল্ক খাওয়ানো। কারণ, ওই সময় দুধের মধ্যে এক ধরনের হলুদ রংয়ের তরল পদার্থ নিঃসৃত হয়ে থাকে। সেই তরল পদার্থ একজন শিশুর পক্ষে খুবই প্রয়োজনীয় এবং পুষ্টিকর খাদ্য ও রোগ প্রতিরোধক।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন