বাংলাদেশের এমন কোনো শহর-নগর বা হাটবাজার পাওয়া যাবে না যেখানে পানের দোকান নেই। তার কারণ এ দেশে পান খাওয়ার অভ্যাস আছে অনেক মানুষের। শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষের এ অভ্যাসের মাত্রা একটু বেশি। পান আমাদের বাঙালি ঐতিহ্যেরই একটি অংশ। প্রাচীনকাল থেকেই বাংলার মানুষ ভোজনের পর পান খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলেছে। মাঝবয়সী এবং বয়স্ক লোকেরাই পান খান বেশি। পান খাওয়া, পানের মসলা এবং বাহারি জাতের পানের রয়েছে খানদানি ইতিহাস।
প্রাচীনকাল থেকেই ভারতবর্ষে বাংলা পান পাওয়া যেত। সে পান ছিল আকারে বড় এবং ঝাঁজ বেশি। আবার কম ঝাঁজ, নরম ও সুগন্ধি পানও পাওয়া যেত। এ পানের নাম 'সাচিপান'। এক সময় সোনারগাঁওয়ের 'কাফুরিপান' বিখ্যাত ছিল। ছোট, পাতলা, মচমচে এবং খুবই সুগন্ধিযুক্ত। এ পান উপহার হিসেবে পাঠানো হতো আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের বাড়ি।
এখনো আমাদের সমাজে পানের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া বিয়ে হয় না। আত্মীয়-স্বজনকে খাওয়ানোর পর পান না দিলে যেন অপমান করা হয়। প্রাচীনকালে যুদ্ধে জেতার জন্য যোদ্ধারা সুরমা আর পানের বিড়া সঙ্গে নিত। বিদায়কালে নারীরা তাদের স্বামীকে পান খাওয়াত। কিংবদন্তী আছে, শ্রী কৃষ্ণ প্রেম নিবেদন করে পানের খিলি পাঠিয়েছিলেন শ্রীমতী রাধিকাকে। পান খাওয়ার আবার রকমফের আছে। কেউ শুধু সুপারি দিয়ে পান খায়, কেউবা চুন-সুপারি, জর্দা, খয়ের ইত্যাদি মসলা দিয়ে পান খায়। আর কেউ খায় দেশ-বিদেশের বাহারি মসলা দিয়ে। ইদানীং আমাদের দেশে কিছু অভিজাত পানের দোকান গড়ে উঠেছে। এখানে ১ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে বিলাসী পান পাওয়া যায়। নাটোর শহরে এক পানওয়ালা ৫০০ টাকা দামের পানও বিক্রি করে থাকেন। ঢাকার সদরঘাটের পানের খিলি একসময় বিখ্যাত ছিল আর এ নিয়ে রচিত হয়েছে বিখ্যাত গানও। পান রাখার জন্য আছে শৌখিন বাসন। এলাকাভেদে এ বাসনের নাম কাঁসদান, পানদান, বাটা, ডাবর, পিকদা, গলদান ইত্যাদি। পান আমাদের বাঙালি সমাজের ঐতিহ্য। পান থাকুক প্রাণে প্রাণে।
প্রাচীনকাল থেকেই ভারতবর্ষে বাংলা পান পাওয়া যেত। সে পান ছিল আকারে বড় এবং ঝাঁজ বেশি। আবার কম ঝাঁজ, নরম ও সুগন্ধি পানও পাওয়া যেত। এ পানের নাম 'সাচিপান'। এক সময় সোনারগাঁওয়ের 'কাফুরিপান' বিখ্যাত ছিল। ছোট, পাতলা, মচমচে এবং খুবই সুগন্ধিযুক্ত। এ পান উপহার হিসেবে পাঠানো হতো আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের বাড়ি।
এখনো আমাদের সমাজে পানের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া বিয়ে হয় না। আত্মীয়-স্বজনকে খাওয়ানোর পর পান না দিলে যেন অপমান করা হয়। প্রাচীনকালে যুদ্ধে জেতার জন্য যোদ্ধারা সুরমা আর পানের বিড়া সঙ্গে নিত। বিদায়কালে নারীরা তাদের স্বামীকে পান খাওয়াত। কিংবদন্তী আছে, শ্রী কৃষ্ণ প্রেম নিবেদন করে পানের খিলি পাঠিয়েছিলেন শ্রীমতী রাধিকাকে। পান খাওয়ার আবার রকমফের আছে। কেউ শুধু সুপারি দিয়ে পান খায়, কেউবা চুন-সুপারি, জর্দা, খয়ের ইত্যাদি মসলা দিয়ে পান খায়। আর কেউ খায় দেশ-বিদেশের বাহারি মসলা দিয়ে। ইদানীং আমাদের দেশে কিছু অভিজাত পানের দোকান গড়ে উঠেছে। এখানে ১ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে বিলাসী পান পাওয়া যায়। নাটোর শহরে এক পানওয়ালা ৫০০ টাকা দামের পানও বিক্রি করে থাকেন। ঢাকার সদরঘাটের পানের খিলি একসময় বিখ্যাত ছিল আর এ নিয়ে রচিত হয়েছে বিখ্যাত গানও। পান রাখার জন্য আছে শৌখিন বাসন। এলাকাভেদে এ বাসনের নাম কাঁসদান, পানদান, বাটা, ডাবর, পিকদা, গলদান ইত্যাদি। পান আমাদের বাঙালি সমাজের ঐতিহ্য। পান থাকুক প্রাণে প্রাণে।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন