সুপারম্যান, ব্যাটম্যানের মতোই হলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় স্পাইডারম্যান। মাকড়সার জালের মতো দেখতে রঙিন পোশাকে স্পাইডারম্যান দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষদের কী অনায়াসেই না জব্দ করে। বন্দুক বা অন্য কোনো আগ্নেয়াস্ত্র নয়। শত্রু দমনে মাকড়সা মানবের একমাত্র ভরসা মাকড়সার জাল। দুই হাতের কব্জি আর তালুর ঠিক মাঝখানের অংশটিতে পোশাকের তলায় স্পাইডারম্যানের লুকানো থাকে দুটি বিশেষ সুইচ বা বোতাম। এতে চাপ পড়লেই বেরিয়ে আসে মাইলের পর মাইলের দীর্ঘ মাকড়সার দুর্ভেদ্য জাল। আর এই জালে জড়িয়ে বদমায়েশের দল কেমন কুপোকাত হয় তা তো তোমরা মোটামুটি সবাই জান। শুধু মানুষই বা বলি কেন, স্পাইডারম্যানের এহেন অস্ত্রের জোরে বড় বড় পাথর, রেল আরও কতসব ভারী জিনিসপত্র উলটপালট খায়। স্পাইডারম্যানের সিনেমা যতই লোমহর্ষক হোক না কেন, সামান্য মাকড়সার জালের যে তেমনটা জোর নেই একথাই আমরা সাধারণত ভেবে থাকি। সিনেমার গরু গাছে ওঠে যে! কিন্তু এবার মনে হয় এসব ভাবনাচিন্তা মন থেকে ঝেড়ে ফেলাই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ, বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি জানিয়েছেন, মাকড়সার জালের অদ্ভুত শক্তির কথা। বিস্তর গবেষণার পর তাদের বক্তব্য, দেখতে সামান্য মনে হলেও ঘরের আনাচে-কানাচে জমে থাকা মাকড়সার জাল (চলতি কথায় যাকে আমরা ঝুল বলি, দেয়ালে বেশি জমলে ঝাটা দিয়ে পরিষ্কার করে দেই আমরা) ইস্পাতের চেয়েও কঠিন। আবার তুলো বা নাইলনের চেয়েও পাতলা।
ফ্রুক গ্রদার হেডেলসবার্গ ইনস্টিটিউটের একজন সুপরিচিত বিজ্ঞানী।
মাকড়সার জাল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বহু পড়াশোনা করেছেন। সম্প্রতি তিনি এ সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মাকড়সার জাল বলতে সাধারণত আমরা যা দেখি তা মাকড়সার দেহ নিঃসৃত এক ধরনের রস। যার মধ্যে এক ধরনের বিশেষ আঠালো পদার্থ ছাড়াও কেলাসাকার জাতীয় জিনিস রয়েছে। এখন ফ্রুক গ্রদারের গবেষণায় জানা যাচ্ছে, এই দুই আলাদা আলাদাভাবে বিশেষ তাৎপর্য বহন না করলেও যখনই এরা নিজেদের মধ্যে মিশে যাবে সঙ্গে সঙ্গে এই যৌগ পদার্থটি আশ্চর্য রকমের কঠিন এবং সেই সঙ্গে শক্তিশালী হয়ে উঠবে। অথচ সমান তালে স্থিতিস্থাপকও হবে। মাকড়সার জাল বা তার দেহ নিঃসৃত এই বিশেষ ধরনের আঠালো পদার্থটির আণবিক গঠনের চুলচেরা বিশ্লেষণ করে এই বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, মাকড়সার জালের এই ইস্পাতকঠিন অথচ স্থিতিস্থাপকতা বহুদিন পর্যন্ত মানুষের অজানা ছিল। এ বিজ্ঞানীর দাবি, তার তীক্ষ্ন পর্যবেক্ষণের ফলেই অষ্ট পদবিশিষ্ট মাকড়সার জালের যাবতীয় রহস্য এবার আলোর সামনে চলে এল।
ফ্রুক গ্রদার হেডেলসবার্গ ইনস্টিটিউটের একজন সুপরিচিত বিজ্ঞানী।
মাকড়সার জাল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বহু পড়াশোনা করেছেন। সম্প্রতি তিনি এ সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মাকড়সার জাল বলতে সাধারণত আমরা যা দেখি তা মাকড়সার দেহ নিঃসৃত এক ধরনের রস। যার মধ্যে এক ধরনের বিশেষ আঠালো পদার্থ ছাড়াও কেলাসাকার জাতীয় জিনিস রয়েছে। এখন ফ্রুক গ্রদারের গবেষণায় জানা যাচ্ছে, এই দুই আলাদা আলাদাভাবে বিশেষ তাৎপর্য বহন না করলেও যখনই এরা নিজেদের মধ্যে মিশে যাবে সঙ্গে সঙ্গে এই যৌগ পদার্থটি আশ্চর্য রকমের কঠিন এবং সেই সঙ্গে শক্তিশালী হয়ে উঠবে। অথচ সমান তালে স্থিতিস্থাপকও হবে। মাকড়সার জাল বা তার দেহ নিঃসৃত এই বিশেষ ধরনের আঠালো পদার্থটির আণবিক গঠনের চুলচেরা বিশ্লেষণ করে এই বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, মাকড়সার জালের এই ইস্পাতকঠিন অথচ স্থিতিস্থাপকতা বহুদিন পর্যন্ত মানুষের অজানা ছিল। এ বিজ্ঞানীর দাবি, তার তীক্ষ্ন পর্যবেক্ষণের ফলেই অষ্ট পদবিশিষ্ট মাকড়সার জালের যাবতীয় রহস্য এবার আলোর সামনে চলে এল।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন