প্রিয় পাঠক লক্ষ্য করুন

জোনাকী অনলাইন লাইব্রেরীতে আপনাকে স্বাগতম | জোনাকী যদি আপনার ভালো লাগে তবে আপনার বন্ধুদের সাথে লিংকটি শেয়ার করার অনুরোধ জানাচ্ছি | এছাড়াও যারা ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করতে আগ্রহী তারা jaherrahman@gmail.com এ মেইল করার অনুরোধ করা হচ্ছে | আপনার অংশগ্রহণে সমৃদ্ধ হোক আপনার প্রিয় অনলাইন লাইব্রেরী। আমাদের সকল লেখক, পাঠক- শুভানুধ্যায়ীদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা- অভিনন্দন।

মুক্তমানবী | সুবহে সাদিক


তুষার পড়া থেমেছে আজ দু’দিন হলো। রাস্তায় ইতিমধ্যে জমা বরফগুলো সবে গলতে শুরু করেছে। জানালার কাছে দাঁড়িয়ে তুষারে ঢাকা মাঠ, রাস্তাঘাটের দিকে তাকিয়ে ক্যাথেরিন মেঘলা মলিন আবহাওয়া নিয়ে ভাবছিলো। আজ কি আবার তুষারপাত হবে? ওয়েদার ফোরকাষ্টে অবশ্য শুধু মেঘলা আকাশের কথা বলা আছে। নিতান্তই সাদামাটা মেঘলা আকাশ তার পছন্দ না, আকাশের স্থির মেঘগুলো কেমন যেন মন খারাপ করে দেয়। এর চেয়ে তুষার পড়াই ভালো। অবশ্য আজকের দিনটির কথা ভিন্ন। আজ ক্যাথেরিন মনে মনে চাইছে কোনভাবেই যেন তুষারপাত শুরু না হয়। কিছুক্ষনের মধ্যে তাকে বের হতে হবে। এখান থেকে প্রায় ৪০ মাইল দূরের একটা শহরে তার চাকুরী হয়েছে। আজকে তার জীবনে প্রথম অফিসে যাওয়া।

আজ আরো একটি কাজ সে প্রথমবারের মতো করতে যাচ্ছে। কিন্তু এই দ্বিতীয় কাজটির কথা সে তার বাবা-মা কে জানায়নি। অবশ্য জানানোর কথাও নয়। বাবা-মা’র সাথে গত কয়েকমাস ধরে তার সম্পর্ক শীতল। এখানে যতদিন থাকবে সম্পর্কের আরো অবনতি হবে। তাই সে ঠিক করেছে চাকরীস্থল ব্র্যাডফোর্ডেই সে বাসা নিয়ে থাকবে, সপ্তাহান্তে মা-বাবার সাথে দেখা করতে এখানে আসবে।
‘ক্যাথি, তুমি কি এখন নাস্তা করবে?’ নীচতলার সিঁড়ির কাছ থেকে ক্যাথি তার মায়ের ডাক শুনতে পেল।
‘হ্যাঁ, আমি আসছি মা’, ক্যাথি জবাব দিল।
কাপড় চোপড়, কাগজপত্র সব ব্যাগে গুছিয়ে রেডী করে রেখে ক্যাথি নাস্তা করার জন্য নীচে নামল।
‘ব্র্যাডফোর্ডে কি তোমার বাসা ঠিক হয়েছে?’ খাওয়ার টেবিলে বসে বাবা জিজ্ঞেস করল।
‘হ্যাঁ হয়েছে’, ক্যাথি জবাব দিল।

‘তুমি এখন যথেষ্ট বড় হয়েছো ক্যাথি। কাজেই নিজের ভালোমন্দ তুমি নিজেই বুঝতে পারো। কিন্তু আমি তোমাকে আগে যে কথাটি বলেছিলাম সেটা মনে রেখ। আরো কিছুদিন সময় নাও, তারপর চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারো’।

ক্যাথি মাথানিচু করে বসে আছে। সে তার বাবার কথার উত্তরে কিছুই বলল না। মাথানিচু করে রাখলেও সে স্পষ্ট বুঝতে পারছে বাবার পাশে বসা তার মা উত্তরের আশায় তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছেন। মা-ই প্রথম ক্যাথির ধর্মান্তরের বিষয়টি বুঝতে পারেন। মাসখানেক ধরে তিনি মেয়ের আচরনে কিছুটা অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করছিলেন। ক্যাথি অবশ্য ছোটবেলা থেকেই একটু অন্যরকম, সে তার আর দুই ভাইবোনের মতো নয়। বন্ধুবান্ধব নিয়ে হৈ-হুল্লা করার বা উইক এন্ডে পার্টি দেয়ার, এলকোহল পান করার, কিংবা ধুমপান করার অভ্যাস ওর কখনোই ছিল না। তবে তিনি যখন খেয়াল করলেন সে পর্ক খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে তখনই সেটা তার কাছে অস্বাভাবিক মনে হলো। তিনি খেয়াল করলেন মেয়ের পোশাক আশাকেও কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। টাইট-ফিট জামা ছেড়ে সে ফুলহাতা লুজ জামা কাপড় পড়ছে। কিন্তু সেটা সাধারনত ধর্মীয় পোশাক বলতে যা বুঝায় তা নয়। স্কার্ফ দিয়ে মাথা ঢাকতেও তাকে তিনি কখনো দেখেননি। তাই ধর্মান্তরের বিষয়ে তিনি নিশ্চিত ছিলেন না। তিনি মেয়েকে বিষয়টি সরাসরি জিজ্ঞেস করেলন। মায়ের সুতীক্ষ্ণ জিজ্ঞাসার সামনে ক্যাথি ধর্মান্তরিত হওয়ার বিষয়টি সরাসরি স্বীকার করতে পারলো না। কিছুক্ষণ দ্বিধাদ্বন্দ্বে থেকে শেষে জানালো সে ধর্মান্তরিত হওয়ার বিষয়টি চিন্তা করছে। মা তাকে আর কিছু বলেননি।

সেই রাতে বাবা তার রুমে আসলেন। বাবা এর আগে কখনো তার রুমে আসেননি। ক্যাথি বুঝতে পারলো বাবা বিষয়টা খুব সিরিয়াসলী নিয়েছেন। সে কি বলবে সেটা মনে মনে গুছিয়ে নিচ্ছিল। বাবা বললেন, ‘আমি বিষয়টি তোমার মা’র কাছে শুনেছি। যাহোক, এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার পক্ষে তোমার বয়স এখনো অনেক কম। কাজেই আমি বলব সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আরো কিছুদিন সময় নাও। তুমি যথেষ্ট বুদ্ধিমতি একটা মেয়ে। আমার বিশ্বাস তুমি ভুল কোন সিদ্ধান্ত নেবে না’।

ক্যাথি কোন কথা বলল না। অবশ্য বাবা সম্ভবত তার কাছে কোন উত্তর আশা করেননি। তিনি তার কথাগুলো বলেই গুডনাইট জানিয়ে চলে গেলেন। বাবা রুম থেকে চলে যাওয়ার পর ক্যাথি একটি স্বস্তির নিঃশাস ফেলল।বাবা-মা জানার পর তাদের প্রতিক্রিয়া কি হবে সেটা নিয়ে সে চিন্তিত ছিল। খুব সহজভাবে তারা ব্যাপারটা মেনে নেবে সেটা সে আশা করেনি।

তবে সে যতটা ভেবেছিল পরিস্থিতি এর পরের কয়েকদিনে আরো কঠিন হয়ে উঠল। মা তার চলাফেরা, চালচলনের উপর সজাগ নজর রাখতেন লাগলেন, সুযোগ বুঝে তীর্যক কথাবার্তাও বলতে লাগলেন। যেমন একদিন সকালবেলা ক্যাথি লিভিংরুমে বসে টিভি দেখছিল। বাবা-মা দু’জনও ছিলেন। মা হঠাৎ করে সেদিনকার পত্রিকার একটা খবরে আফগানিস্তানের কোন এক গ্রামের সম্পূর্ণ বোরকা পরিহিতা দুই মহিলার ছবির দিকে ইংগিত করে বাবাকে বলতে লাগলেন, ‘এই হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যত ক্যাথি’। আরেকদিন রাতে খাবার টেবিলে নিতান্তই অপ্রাসঙ্গিকভাবে হাসতে হাসতে বললেন, ‘জানো তো ক্যাথি, তোমার ঐ নতুন ধর্মের মেয়েদের বিয়ের পর রাস্তায় হাঁটার সময় স্বামী থেকে কমপক্ষে তিনহাত পিছনে থাকতে হয়!’ ক্যাথি বুঝতে পারে এসব তীর্যক কথাবার্তার উত্তরে সে অনেক কিছু বলতে পারে, কিন্তু সে কিছুই বলে না। সে জানে এর উত্তর দেয়া মানে এগুলোকে আরো উস্কে দেয়া। সে বুঝতে পারছিলো এসব থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় এই বাসা ছেড়ে চলে যাওয়া। তাই সে কিছুদিন হন্যে হয়ে চাকরী খুঁজল।

সৌভাগ্যক্রমে সে অন্য একটি শহরে চাকুরী পেয়েছে। এখন অনায়াসে সে চাকুরীর কথা বলে এখান থেকে দূরে থাকতে পারবে। যদিও একা বাসা নিয়ে থাকা কিংবা চাকুরী করা কোনটাই তার পছন্দ নয়, তবুও বাব-মা’র সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক না পর্যন্ত সে এভাবেই থাকতে চায়। অন্তত, এখন নামাজ পড়ার সময় তাকে আর তটস্থ থাকতে হবে না যে কখন মা ঘরে এসে পড়ে, কিংবা নীচ থেকে ডাকাডাকি শুরু করে। প্রথম যেদিন সে নামাজ পড়ে সেদিন সে প্রায় ধরা পড়ে যাচ্ছিল। নামাজের নিয়ম কানুন সদ্য শিখে সে সবে নামাজ পড়তে শুরু করেছে, অমনি কি জন্য যেন মা তাকে নীচ তলা থেকে ডাকতে শুরু করলেন। তার সাড়া না পেয়ে তিনি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে শুরু করলেন। তাদের ভিক্টোরিয়ান স্টাইলের এই বাড়িটির সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গেলে বড্ড শব্দ হয়। শব্দ শুনে ক্যাথি মনে মনে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেলো। ভাগ্যিস তখনি নীচ তলার লিভিংরুম থেকে ফোনটা বেজে উঠল। মা ফোনে কথা শেষ করে যখন ক্যাথির রুমে আসলেন তখন দেখা গেলো সে ঘুমুচ্ছে; আসলে সে ঘুমোচ্ছিলো না।
তবে তার জন্য সবচেয়ে কৌতুহল আর আনন্দের সময় ছিল রমজান মাসটা। রমজান মাসে রোজা রাখার বিষয়টা সে শিখেছিল ছিল ইন্টারনেট থেকে। তার ধর্মান্তরের দেড় মাস পরেই ছিল রমজান মাস। রোজা রাখার বিষয়টি অবশ্য তার বাসার কেউ জানতে পারেনি। কিন্তু সেই সময়টা সে উৎকন্ঠা নিয়ে কাটিয়েছিল, মা কোন কারনে ডাকলেই মনের ভিতর একটা আশংকা ভর করত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আশংকাজনক কিছু হয়নি। না খেয়ে থাকার ব্যাপারটা নিয়ে তার মধ্যে সামান্য ভয়ও ছিল, সে বুঝতে পারছিলো না এতোটা সময় সে না খেয়ে থাকতে পারবে কি-না। তবে এটা নিয়েও তার কোন সমস্যা হয়নি। বরং স্বেচ্ছায় সারাদিন না খেয়ে থাকার মধ্যে যে এমন পবিত্র অনুভূতি থাকতে পারে সে এটা আগে কল্পনাও করতে পারেনি। প্রথমদিন রোজা রাখার পর তার মনে মুক্তির যে অনুভূতি জেগে উঠল সেটা এর আগে সে কখনো অনুভব করেনি। তার মনে হয়েছে এখন সে নির্দ্ধিধায় তার নতুন ধর্মের কথা সবাইকে জানাতে পারে। যেন সে এতোদিনের সকল ভয়, সংকোচ, আড়ষ্টতার উর্দ্ধে চলে গেছে।
তবু সে তার সংকোচ পুরোপুরি দূর করতে পারেনি। সে জানে তার জন্য মুখমন্ডল এবং হাতের কিছু অংশ ছাড়া আর কিছু জনসন্মুখে অনাবৃত রাখা বৈধ নয়। কিন্তু এই কাজটি সে করতে পারছে না। সে লং স্লিভ জামা পড়ে এখন, শুধু টাইটস পড়ে সে এখন আর বাইরে বের হয় না, যতটা মেনে চললে তার মা-বাবা বুঝতে পারবে না ততটা সে মেনে চলছে। বেশ কয়েকবার সে ভেবেছিল স্কার্ফ পড়া শুরু করবে। কিন্তু সেটা এমন একটা কাজ যেটা গোপনে বা সবার অলক্ষ্যে করা যায় না। সে কি করবে বুঝতে পারে না। এমন দ্বৈত আচরণ সে কিছুতেই মন থেকে মেনে নিতে পারছিল না। একদিন মার্কেটে গিয়ে সে একটি স্কার্ফ কিনেও নিয়ে আসল। কিন্তু পরার সাহস পায়নি। সেটা তার হ্যান্ড ব্যাগের মধ্যেই পড়ে থাকে, মাঝে মাঝে বের করে দেখে, কিন্তু পরা হয় না।

অবশেষে সে সিদ্ধান্ত নেয় সে স্কার্ফটি পরবে। যেদিন সে তার চাকুরী হওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হলো সেদিনই সে ঠিক করে তার প্রথম অফিসে যাওয়ার দিন থেকেই সে স্কার্ফ পড়বে। এতো সহজ অথচ এতো কঠিন সিদ্ধান্তটি নেয়ার পরপর সে শিহরন অনুভব করে, সে বুঝতে পারে সেটা তার জীবনকে বদলে দেবে, তার নতুনত্বকে সম্পুর্ন করবে। সে অপেক্ষা করতে থাকে দিনটির জন্য। আজ সেইদিন।

বাস স্টপেজে দাঁড়িয়ে ক্যাথি বার বার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছে। বাস আসতে এখনো তিন মিনিট বাকী। বাসে করে ট্রেন স্টেশন পর্যন্ত যেতে ১৫ মিনিট লাগবে, ট্রেন ছাড়ার ৪/৫ মিনিট আগে আগে হয়তো সে স্টেশনে পৌঁছাবে। বাসা থেকে বের হতেই দেরী হয়ে গেলো। বাবা সম্ভবত তার স্বেচ্ছায় দূরে থাকার বিষয়টা আঁচ করতে পেরেছেন, তাই শেষ মুহুর্তে অনেক উপদেশ, পরামর্শ দিলেন। মা বলেছেন একটা বিদেশী ধর্মের জন্য নিজের ইচ্ছা, নিজের স্বাধীনতাকে নিজেই নষ্ট করার কোন কারনই তিনি দেখতে পাননা। কিন্তু ক্যাথি বুঝে উঠতে পারে না সে কিভাবে বাবা-মা কে বোঝাবে যে সে আগের চেয়ে অনেক বেশী মুক্ত। এতোদিন সে অনেকের খেয়াল খুশি মতো চলেছে, অনেকের আঁকা ছকে নিজেকে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করেছে। এখন সে কেবল একজনের ইচ্ছামতো চলার চেষ্টা করছে।

ট্রেন স্টেশনে পৌঁছেই দ্রুত টিকেট দেখিয়ে ক্যাথি স্টেশনে ঢুকে পরে। ট্রেন খুঁজে নিয়ে কামরায় উঠতে উঠতেই ট্রেন ছাড়ার সময় প্রায় হয়ে গেলো। কামরায় যত যাত্রী থাকবে ভেবেছিল তার চেয়ে বেশীই আছে। প্রায় সব সিটই ভর্তি। তাকে তাড়াহুড়ো করে উঠতে দেখে তার আশেপাশের সীটের যাত্রীরা তার দিকে তাকালো। ক্যাথি দ্রুততার সাথে তার হ্যান্ড ব্যাগ থেকে স্কার্ফটি বের করল। কিন্তু তখনই তার মনে পড়ল, সে তো স্কার্ফ বাঁধতে পারে না, সে আগে কখনো চেষ্টা করে দেখেনি, অন্য কাউকেও স্বচক্ষে বাঁধতে দেখেনি যদিও স্কার্ফ পরা অবস্থায় অনেককে দেখেছে। এটা নিশ্চয় খুব কঠিন কাজ হবে না, একটু চেষ্টা করলেই হয়ত পারবে। কিন্তু এরপর দ্বিতীয় সমস্যা দেখা দিল। নিজে নিজে পরতে গেলেতো অন্তত একটা আয়না লাগবে যেখানে দেখে দেখে সে পড়বে। সে একই সাথে উদ্বেলিত ও উদ্বিগ্ন হয়ে স্কার্ফ হাতে এদিকে ওদিকে তাকাতে লাগল। কামরার প্রায় মাঝখানে যেখানে ব্যাগ, লাগেজ রাখার জন্য একপাশে তাকের মতো আছে সেখানে তাকের এক পাশেই একটা স্টিলের ডাস্টবিন তার চোখে পড়ল। মুহুর্তেই তার মনে হলো ডাস্টবিনটির চকচকে আবরনকে আয়না হিসেবে ব্যবহার করা যায়। প্রায় সাথে সাথেই সে বিনটার সামনে চলে গেলো। ইতিমধ্যে ট্রেন চলতে শুরু করেছে।

উত্তেজনায় তার হাত কাঁপছে। নিতান্তই অনভিজ্ঞ হাতে বিনের অবয়বের দিকে তাকিয়ে ক্যাথি বার বার স্কার্ফটি বাঁধার চেষ্টা করছে। ট্রেনের বেশীর ভাগ যাত্রী এখন তার দিকে তাকিয়ে আছে। অধিকাংশই অবজ্ঞা ভরে তাকাচ্ছে, কেউ কেউ কৌতুহলী চোখে দেখছে মেয়েটার কর্মকান্ড। কিন্তু সে দিকে ক্যাথির বিশেষ নজর নেই। সে আপ্রান চেষ্টা করছে স্কার্ফটা যথাসম্ভব সুন্দরভাবে পরতে। শেষ পর্যন্ত সে বাঁধতে সফল হলো। বাঁধাটা খুব বেশী সুন্দর হয়নি, কিন্তু সে বিনটার দেয়ালের ঝাপসা অবয়বে নিজেকে দেখে পুরোপুরি অভিভুত হলো। নিজের সত্তাকে সে নতুনভাবে অনুভব করল এবং এই প্রথম সে নিজেকে সম্পুর্ন মুক্ত অবস্থায় আবিষ্কার করল।।

বিঃ দ্রঃ- ঘটনাটি অনেকটাই বাস্তব।

http://www.sonarbangladesh.com/articles/SubehSadiq

Stumble
Delicious
Technorati
Twitter
Facebook

0 Comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন

নির্বাচিত বিষয়গুলো দেখুন

কবিতা ছোটগল্প গল্প নিবন্ধ ছড়া টিপস রম্য গল্প প্রেমের কবিতা স্বাস্থ্য কথা কৌতুক ইসলামী সাহিত্য কম্পিউটার টিপস জানা অজানা লাইফ স্ট্যাইল স্বাধীনতা স্থির চিত্র ফিচার শিশুতোষ গল্প ইসলাম কবি পরিচিতি প্রবন্ধ ইতিহাস চিত্র বিচিত্র প্রকৃতি বিজ্ঞান রম্য রচনা লিরিক ঐতিহ্য পাখি মুক্তিযুদ্ধ শরৎ শিশু সাহিত্য বর্ষা আলোচনা বিজ্ঞান ও কম্পিউটার বীরশ্রেষ্ঠ লেখক পরিচিতি স্বাস্থ টিপস উপন্যাস গাছপালা জীবনী ভিন্ন খবর হারানো ঐতিহ্য হাসতে নাকি জানেনা কেহ ছেলেবেলা ফল ফুল বিরহের কবিতা অনু গল্প প্রযুক্তি বিউটি টিপস ভ্রমণ মজার গণিত সংস্কৃতি সাক্ষাৎকার ঔষধ ডাউনলোড প্যারডী ফেসবুক মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য রম্য কবিতা সাধারণ জ্ঞান সাহিত্যিক পরিচিতি সায়েন্স ফিকশান স্বাধীনতার কবিতা স্বাধীনতার গল্প কৃষি তথ্য চতুর্দশপদী প্রেমের গল্প মোবাইল ফোন রুপকথার গল্প কাব্য ক্যারিয়ার গবেষণা গৌরব জীবনের গল্প ফটোসপ সবুজ সভ্যতা
অতনু বর্মণ অদ্বৈত মারুত অধ্যাপক গোলাম আযম অনন্ত জামান অনিন্দ্য বড়ুয়া অনুপ সাহা অনুপম দেব কানুনজ্ঞ অমিয় চক্রবর্তী অয়ন খান অরুদ্ধ সকাল অর্ক আ.শ.ম. বাবর আলী আইউব সৈয়দ আচার্য্য জগদীশচন্দ্র বসু আজমান আন্দালিব আতাউর রহমান কাবুল আতাউস সামাদ আতোয়ার রহমান আত্মভোলা (ছন্দ্রনাম) আদনান মুকিত আনিসা ফজলে লিসি আনিসুর রহমান আনিসুল হক আনোয়ারুল হক আন্জুমান আরা রিমা আবদুল ওহাব আজাদ আবদুল কুদ্দুস রানা আবদুল গাফফার চৌধুরী আবদুল মান্নান সৈয়দ আবদুল মাবুদ চৌধুরী আবদুল হাই শিকদার আবদুল হামিদ আবদুস শহীদ নাসিম আবিদ আনোয়ার আবু মকসুদ আবু সাইদ কামাল আবু সাঈদ জুবেরী আবু সালেহ আবুল কাইয়ুম আহম্মেদ আবুল মোমেন আবুল হায়াত আবুল হাসান আবুল হোসেন আবুল হোসেন খান আবেদীন জনী আব্দুল কাইয়ুম আব্দুল মান্নান সৈয়দ আব্দুল হালিম মিয়া আমানত উল্লাহ সোহান আমিনুল ইসলাম চৌধুরী আমিনুল ইসলাম মামুন আরিফুন নেছা সুখী আরিফুর রহমান খাদেম আল মাহমুদ আলম তালুকদার আশীফ এন্তাজ রবি আসমা আব্বাসী আসাদ চৌধুরী আসাদ সায়েম আসিফ মহিউদ্দীন আসিফুল হুদা আহমদ - উজ - জামান আহমদ বাসির আহমেদ আরিফ আহমেদ খালিদ আহমেদ রাজু আহমেদ রিয়াজ আহসান হাবিব আহসান হাবীব আহাম্মেদ খালিদ ইকবাল আজিজ ইকবাল খন্দকার ইব্রাহিম নোমান ইব্রাহীম মণ্ডল ইমদাদুল হক মিলন ইয়াসির মারুফ ইলিয়াস হোসেন ইশতিয়াক উত্তম মিত্র উত্তম সেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী এ কে আজাদ এ টি এম শামসুজ্জামান এ.বি.এম. ইয়াকুব আলী সিদ্দিকী একরামুল হক শামীম একে আজাদ এনামুল হায়াত এনায়েত রসুল এম আহসাবন এম. মুহাম্মদ আব্দুল গাফফার এম. হারুন অর রশিদ এরশাদ মজুদার এরশাদ মজুমদার এস এম নাজমুল হক ইমন এস এম শহীদুল আলম এস. এম. মতিউল হাসান এসএম মেহেদী আকরাম ওমর আলী ওয়াসিফ -এ-খোদা ওয়াহিদ সুজন কবি গোলাম মোহাম্মদ কমিনী রায় কাজী আনিসুল হক কাজী আবুল কালাম সিদ্দীক কাজী নজরুল ইসলাম কাজী মোস্তাক গাউসুল হক শরীফ কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম কাপালিক কামরুল আলম সিদ্দিকী কামাল উদ্দিন রায়হান কায়কোবাদ (কাজেম আলী কোরেশী) কার্তিক ঘোষ কৃষ্ণকলি ইসলাম কে এম নাহিদ শাহরিয়ার কেজি মোস্তফা খন্দকার আলমগীর হোসেন খন্দকার মুহাম্মদ হামিদুল্লাহ্ খান মুহাম্মদ মইনুদ্দীন খালেদ রাহী গাজী গিয়াস উদ্দিন গিয়াস উদ্দিন রূপম গিরিশচন্দ সেন গোলাম কিবরিয়া পিনু গোলাম নবী পান্না গোলাম মোস্তফা গোলাম মোহাম্মদ গোলাম সরোয়ার চন্দন চৌধুরী চৌধুরী ফেরদৌস ছালেহা খানম জুবিলী জ. রহমান জয়নাল আবেদীন বিল্লাল জসিম মল্লিক জসীম উদ্দিন জহির উদ্দিন বাবর জহির রহমান জহির রায়হান জাওয়াদ তাজুয়ার মাহবুব জাকিয়া সুলতানা জাকির আবু জাফর জাকির আহমেদ খান জান্নাতুল করিম চৌধুরী জান্নাতুল ফেরদাউস সীমা জাফর আহমদ জাফর তালুকদার জায়ান্ট কজওয়ে জাহাঙ্গীর আলম জাহান জাহাঙ্গীর ফিরোজ জাহিদ হোসাইন জাহিদুল গণি চৌধুরী জিয়া রহমান জিল্লুর রহমান জীবনানন্দ দাশ জুবাইদা গুলশান আরা জুবায়ের হুসাইন জুলফিকার শাহাদাৎ জেড জাওহার ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া ড. কাজী দীন মুহম্মদ ড. ফজলুল হক তুহিন ড. ফজলুল হক সৈকত ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ ড. মুহা. বিলাল হুসাইন ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ড. রহমান হাবিব ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ডক্টর সন্দীপক মল্লিক ডা: সালাহ্উদ্দিন শরীফ ডা. দিদারুল আহসান তমিজ উদদীন লোদী তাজনীন মুন তানজিল রিমন তাপস রায় তামান্না শারমিন তারক চন্দ্র দাস তারাবাঈ তারেক রহমান তারেক হাসান তাসনুবা নূসরাত ন্যান্সী তাসলিমা আলম জেনী তাহমিনা মিলি তুষার কবির তৈমুর রেজা তৈয়ব খান তৌহিদুর রহমান দর্পণ কবীর দিলওয়ার হাসান দেলোয়ার হোসেন ধ্রুব এষ ধ্রুব নীল নঈম মাহমুদ নবাব আমিন নাইমুর রশিদ লিখন নাইয়াদ নাজমুন নাহার নাজমুল ইমন নাফিস ইফতেখার নাবিল নাসির আহমেদ নাসির উদ্দিন খান নাহার মনিকা নাহিদা ইয়াসমিন নুসরাত নিজাম কুতুবী নির্জন আহমেদ অরণ্য নির্মলেন্দু গুণ নিসরাত আক্তার সালমা নীল কাব্য নীলয় পাল নুরে জান্নাত নূর মোহাম্মদ শেখ নূর হোসনা নাইস নৌশিয়া নাজনীন পীরজাদা সৈয়দ শামীম শিরাজী পুলক হাসান পুষ্পকলি প্রাঞ্জল সেলিম প্রীতম সাহা সুদীপ ফকির আবদুল মালেক ফজল শাহাবুদ্দীন ফয়সাল বিন হাফিজ ফররুখ আহমদ ফাতিহা জামান অদ্রিকা ফারুক আহমেদ ফারুক নওয়াজ ফারুক হাসান ফাহিম আহমদ ফাহিম ইবনে সারওয়ার ফেরদৌসী মাহমুদ বাদশা মিন্টু বাবুল হোসেইন বিকাশ রায় বিন্দু এনায়েত বিপ্রদাশ বড়ুয়া বেগম মমতাজ জসীম উদ্দীন বেগম রোকেয়া বেলাল হোসাইন বোরহান উদ্দিন আহমদ ম. লিপ্স্কেরভ মঈনুল হোসেন মজিবুর রহমান মন্জু মতিউর রহমান মল্লিক মতিন বৈরাগী মধু মনসুর হেলাল মনিরা চৌধুরী মনিরুল হক ফিরোজ মরুভূমির জলদস্যু মর্জিনা আফসার রোজী মশিউর রহমান মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর মা আমার ভালোবাসা মাইকেল মধুসূদন দত্ত মাওলানা মুহাম্মাদ মাকসুদা আমীন মুনিয়া মাখরাজ খান মাগরিব বিন মোস্তফা মাজেদ মানসুর মুজাম্মিল মানিক দেবনাথ মামুন হোসাইন মায়ফুল জাহিন মারজান শাওয়াল রিজওয়ান মারুফ রায়হান মালিহা মালেক মাহমুদ মাসুদ আনোয়ার মাসুদ মাহমুদ মাসুদা সুলতানা রুমী মাসুম বিল্লাহ মাহফুজ উল্লাহ মাহফুজ খান মাহফুজুর রহমান আখন্দ মাহবুব আলম মাহবুব হাসান মাহবুব হাসানাত মাহবুবা চৌধুরী মাহবুবুল আলম কবীর মাহমুদা ডলি মাহমুদুল বাসার মাহমুদুল হাসান নিজামী মাহ্‌মুদুল হক ফয়েজ মিতা জাহান মু. নুরুল হাসান মুজিবুল হক কবীর মুন্সি আব্দুর রউফ মুফতি আবদুর রহমান মুরাদুল ইসলাম মুস্তাফিজ মামুন মুহম্মদ নূরুল হুদা মুহম্মদ শাহাদাত হোসেন মুহাম্মদ আনছারুল্লাহ হাসান মুহাম্মদ আবু নাসের মুহাম্মদ আমিনুল হক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল মুহাম্মদ মহিউদ্দিন মুহাম্মাদ হাবীবুল্লাহ মুহিউদ্দীন খান মেজবাহ উদ্দিন মেহনাজ বিনতে সিরাজ মেহেদি হাসান শিশির মো: জামাল উদ্দিন মো. আরিফুজ্জামান আরিফ মোঃ আহসান হাবিব মোঃ তাজুল ইসলাম সরকার মোঃ রাকিব হাসান মোঃ রাশেদুল কবির আজাদ মোঃ সাইফুদ্দিন মোমিন মেহেদী মোর্শেদা আক্তার মনি মোশাররফ মোশাররফ হোসেন খান মোশারেফ হোসেন পাটওয়ারী মোহসেনা জয়া মোহাম্মদ আল মাহী মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন মোহাম্মদ নূরুল হক মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ্ মোহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ মোহাম্মদ সা'দাত আলী মোহাম্মদ সাদিক মোহাম্মদ হোসাইন মৌরী তানিয় যতীন্দ্র মোহন বাগচী রজনীকান্ত সেন রণক ইকরাম রফিক আজাদ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রহমান মাসুদ রহিম রায়হান রহিমা আখতার কল্পনা রাখাল রাজিব রাজিবুল আলম রাজীব রাজু আলীম রাজু ইসলাম রানা হোসেন রিয়াজ চৌধুরী রিয়াদ রুমা মরিয়ম রেজা উদ্দিন স্টালিন রেজা পারভেজ রেজাউল হাসু রেহমান সিদ্দিক রোকনুজ্জামান খান রোকেয়া খাতুন রুবী শওকত হোসেন শওকত হোসেন লিটু শওগাত আলী সাগর শফিক আলম মেহেদী শরীফ আতিক-উজ-জামান শরীফ আবদুল গোফরান শরীফ নাজমুল শাইখুল হাদিস আল্লামা আজীজুল হক শামছুল হক রাসেল শামসুজ্জামান খান শামসুর রহমান শামস্ শামীম হাসনাইন শারমিন পড়শি শাহ আব্দুল হান্নান শাহ আলম শাহ আলম বাদশা শাহ আহমদ রেজা শাহ নেওয়াজ চৌধুরী শাহ মুহাম্মদ মোশাহিদ শাহজাহান কিবরিয়া শাহজাহান মোহাম্মদ শাহনাজ পারভীন শাহাদাত হোসাইন সাদিক শাহাবুদ্দীন আহমদ শাহাবুদ্দীন নাগরী শাহিন শাহিন রিজভি শিউল মনজুর শিরিন সুলতানা শিশিরার্দ্র মামুন শুভ অংকুর শেখ হাবিবুর রহমান সজীব সজীব আহমেদ সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত সাইদা সারমিন রুমা সাইফ আলি সাইফ চৌধুরী সাইফ মাহাদী সাইফুল করীম সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদূদী সাকিব হাসান সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ সানজানা রহমান সাবরিনা সিরাজী তিতির সামছুদ্দিন জেহাদ সামিয়া পপি সাযযাদ কাদির সারোয়ার সোহেন সালমা আক্তার চৌধুরী সালমা রহমান সালেহ আকরাম সালেহ আহমদ সালেহা সুলতানা সিকদার মনজিলুর রহমান সিমু নাসের সিরহানা হক সিরাজুল ইসলাম সিরাজুল ফরিদ সুকান্ত ভট্টাচার্য সুকুমার বড়ুয়া সুকুমার রায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সুফিয়া কামাল সুভাষ মুখোপাধ্যায় সুমন সোহরাব সুমনা হক সুমন্ত আসলাম সুমাইয়া সুহৃদ সরকার সৈয়দ আরিফুল ইসলাম সৈয়দ আলমগীর সৈয়দ আলী আহসান সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন সিরাজী সৈয়দ তানভীর আজম সৈয়দ মুজতবা আলী সৈয়দ সোহরাব হানিফ মাহমুদ হামিদুর রহমান হাসান আলীম হাসান ভূইয়া হাসান মাহবুব হাসান শরীফ হাসান শান্তনু হাসান হাফিজ হাসিনা মমতাজ হুমায়ূন আহমেদ হুমায়ূন কবীর ঢালী হেলাল মুহম্মদ আবু তাহের হেলাল হাফিজ হোসেন মাহমুদ হোসেন শওকত হ্নীলার বাঁধন

মাসের শীর্ষ পঠিত

 
রায়পুর তরুণ ও যুব ফোরাম

.::jonaaki online::. © ২০১১ || টেমপ্লেট তৈরি করেছেন জোনাকী টিম || ডিজাইন ও অনলাইন সম্পাদক জহির রহমান || জোনাকী সম্পর্কে পড়ুন || জোনাকীতে বেড়াতে আসার জন্য ধন্যবাদ