আজ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ— একাত্তরের এই দিনে এ দেশের মুক্তিকামী মানুষের প্রত্যাশাকে ধারণ করে রমনার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) লাখো জনতার সামনে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান বজ্রকণ্ঠে উচ্চারণ করেন তার ঐতিহাসিক ঘোষণা—‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
একই সঙ্গে তিনি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া আহূত ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের জন্য চারটি দাবি উত্থাপন করেন। রেসকোর্স ময়দানে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের ঘোষণাটি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা নয়। কিন্তু ওই সময় তার এই ভাষণই মুক্তিকামী মানুষকে উদ্দীপ্ত ও অনুপ্রাণিত করে।
একাত্তরের ৭ মার্চ দুপুরের পর রেসকোর্স ময়দানে ছিল শুধু মানুষ আর মানুষ। লাঠি হাতে প্রতিবাদী মানুষ, শহরের মানুষ, গ্রামের মানুষ, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, ধনী-গরিব, বৃদ্ধ-যুবা— সর্বস্তরের মানুষ। এর আগের ঘটনাপ্রবাহে সেদিনের জনসভাটি পরিণত হয় স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষের মিলন মোহনায়।
এই দিনে শেখ মুজিব মাত্র ২০ মিনিটের ভাষণে পাকিস্তানি বাহিনীর সম্ভাব্য আক্রমণ ঠেকাতে যার যা আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকার নির্দেশসহ এদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের প্রাণের দাবি উত্থাপন করেন। সেদিন প্রতিটি মিছিলেরই গন্তব্য ছিল রেসকোর্স ময়দান। পরাধীনতার দীর্ঘ প্রহর শেষে এমন একটি মাহেন্দ্রক্ষণের জন্যই যেন অধীর অপেক্ষায় ছিল পুরো জাতি।
এই ঐতিহাসিক ভাষণ ‘ঢাকা বেতার কেন্দ্র’ সম্প্রচার না করায় বাঙালি কর্মচারীরা এ দিন কাজ বন্ধ করে দেন। ফলে সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে টেলিভিশনে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ সম্প্রচার করা হলেও এ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা বেতার কেন্দ্রের কর্মচারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে। ফলে টেলিভিশনের অনুষ্ঠান সম্প্রচারও বন্ধ হয়ে যায়। গভীর রাতে ঢাকা বেতার কেন্দ্রের কর্মচারীদের সঙ্গে সামরিক কর্তৃপক্ষের দীর্ঘ আলোচনার পর ৮ মার্চ (সোমবার) সকাল ৬টা হতে রেডিও সম্প্রচার শুরু এবং সাড়ে ৮টায় রেসকোর্সের বক্তৃতার পূর্ণ বিবরণী ঢাকাসহ দেশের সকল কেন্দ্র থেকে সম্প্রচারের সিদ্ধান্ত হয়। অন্যদিকে ‘স্বাধীন বাংলার’ দাবিতে এদিন (৭ মার্চ ) ব্রিটেন প্রবাসী প্রায় ১০ হাজার বাঙালি লন্ডনস্থ পাকিস্তান হাই কমিশনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিক্ষোভকারীরা শত শত ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডসহ ‘ভুট্টোর বিচার চাই’ বলে সেম্লাগান দেয়।
দিনটি উপলক্ষে রাজধানীতে আজ আওয়ামী লীগের গণর্যালি অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল ৩টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানস্থ শিখা চিরন্তনের সামনে থেকে শুরু হয়ে এ গণর্যালিটি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হবে। বিরোধী দলের ১২ মার্চের ঢাকা চলো কর্মসূচির বিপরীতে শো-ডাউন করতে ক্ষমতাসীন দলের গুচ্ছ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ গণর্যালি অনুষ্ঠিত হবে। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ কর্মসূরি ডাক দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ কর্মসূচি উদ্বোধনের কথা রয়েছে। বিএনপির ঢাকা চলো কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে আজকের গণর্যালি ছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট আগামী ১১ মার্চ ঢাকায় মানববন্ধন ও ১৪ মার্চ জনসভা করবে। এছাড়া আগামী ৯ মার্চ জেলায় জেলায় ১৪ দলের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এক বিবৃতিতে দলের পক্ষ থেকে গৃহীত এ কর্মসূচি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য সংগঠনের সকল শাখাসহ আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসমূহের নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী, সর্বস্তরের জনগণ ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান তার বাণীতে বলেন, “১৯৭১ সালের ৭ মার্চ স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তত্কালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশে বজ্রকন্ঠে যে ভাষণ প্রদান করেন তা বাঙালি জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছে। এই ভাষণ ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ। এ ভাষণে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান আমলের ২৩ বছরের শোষণ ও বঞ্চনার ইতিহাস তুলে ধরে ভবিষ্যত্ করণীয়, মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত আহ্বান জানান। ঐতিহাসিক সেই ভাষণ এদেশের জনগণকে বিপুল শক্তি ও সাহস যোগায় এবং মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করে। এই ভাষণের ধারাবাহিকতায় ২৬শে মার্চ ১৯৭১ জাতির পিতা বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ মহান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি বহু কাঙ্ক্ষিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে তাই ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাত্পর্য অপরিসীম। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ কেবল বাঙালি জাতিকে নয়, পৃথিবীর স্বাধীনতাকামী নিপীড়িত ও বঞ্চিত জনগণের আশার দিশারী হিসেবে পথ দেখাবে। বঙ্গবন্ধুর ওই ভাষণ আমাদের প্রেরণার চিরন্তন উত্স হয়ে থাকবে বলে আমার দৃঢ়বিশ্বাস”।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, “বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১ মার্চ থেকে সূচিত অসহযোগ আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ২৫ মার্চের কালোরাতে পাক হানাদার বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়লে তিনি পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিন্ন করে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ রাতের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন”।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামাত অশুভ জোটের অসাংবিধানিক ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করার দৃঢ় প্রত্যয়ে প্রতিবারের ন্যায় এবারও সমগ্র জাতির সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিনটিকে স্মরণ ও পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
একই সঙ্গে তিনি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া আহূত ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের জন্য চারটি দাবি উত্থাপন করেন। রেসকোর্স ময়দানে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের ঘোষণাটি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা নয়। কিন্তু ওই সময় তার এই ভাষণই মুক্তিকামী মানুষকে উদ্দীপ্ত ও অনুপ্রাণিত করে।
একাত্তরের ৭ মার্চ দুপুরের পর রেসকোর্স ময়দানে ছিল শুধু মানুষ আর মানুষ। লাঠি হাতে প্রতিবাদী মানুষ, শহরের মানুষ, গ্রামের মানুষ, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, ধনী-গরিব, বৃদ্ধ-যুবা— সর্বস্তরের মানুষ। এর আগের ঘটনাপ্রবাহে সেদিনের জনসভাটি পরিণত হয় স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষের মিলন মোহনায়।
এই দিনে শেখ মুজিব মাত্র ২০ মিনিটের ভাষণে পাকিস্তানি বাহিনীর সম্ভাব্য আক্রমণ ঠেকাতে যার যা আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকার নির্দেশসহ এদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের প্রাণের দাবি উত্থাপন করেন। সেদিন প্রতিটি মিছিলেরই গন্তব্য ছিল রেসকোর্স ময়দান। পরাধীনতার দীর্ঘ প্রহর শেষে এমন একটি মাহেন্দ্রক্ষণের জন্যই যেন অধীর অপেক্ষায় ছিল পুরো জাতি।
এই ঐতিহাসিক ভাষণ ‘ঢাকা বেতার কেন্দ্র’ সম্প্রচার না করায় বাঙালি কর্মচারীরা এ দিন কাজ বন্ধ করে দেন। ফলে সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে টেলিভিশনে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ সম্প্রচার করা হলেও এ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা বেতার কেন্দ্রের কর্মচারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে। ফলে টেলিভিশনের অনুষ্ঠান সম্প্রচারও বন্ধ হয়ে যায়। গভীর রাতে ঢাকা বেতার কেন্দ্রের কর্মচারীদের সঙ্গে সামরিক কর্তৃপক্ষের দীর্ঘ আলোচনার পর ৮ মার্চ (সোমবার) সকাল ৬টা হতে রেডিও সম্প্রচার শুরু এবং সাড়ে ৮টায় রেসকোর্সের বক্তৃতার পূর্ণ বিবরণী ঢাকাসহ দেশের সকল কেন্দ্র থেকে সম্প্রচারের সিদ্ধান্ত হয়। অন্যদিকে ‘স্বাধীন বাংলার’ দাবিতে এদিন (৭ মার্চ ) ব্রিটেন প্রবাসী প্রায় ১০ হাজার বাঙালি লন্ডনস্থ পাকিস্তান হাই কমিশনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিক্ষোভকারীরা শত শত ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডসহ ‘ভুট্টোর বিচার চাই’ বলে সেম্লাগান দেয়।
দিনটি উপলক্ষে রাজধানীতে আজ আওয়ামী লীগের গণর্যালি অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল ৩টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানস্থ শিখা চিরন্তনের সামনে থেকে শুরু হয়ে এ গণর্যালিটি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হবে। বিরোধী দলের ১২ মার্চের ঢাকা চলো কর্মসূচির বিপরীতে শো-ডাউন করতে ক্ষমতাসীন দলের গুচ্ছ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ গণর্যালি অনুষ্ঠিত হবে। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ কর্মসূরি ডাক দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ কর্মসূচি উদ্বোধনের কথা রয়েছে। বিএনপির ঢাকা চলো কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে আজকের গণর্যালি ছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট আগামী ১১ মার্চ ঢাকায় মানববন্ধন ও ১৪ মার্চ জনসভা করবে। এছাড়া আগামী ৯ মার্চ জেলায় জেলায় ১৪ দলের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এক বিবৃতিতে দলের পক্ষ থেকে গৃহীত এ কর্মসূচি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য সংগঠনের সকল শাখাসহ আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসমূহের নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী, সর্বস্তরের জনগণ ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান তার বাণীতে বলেন, “১৯৭১ সালের ৭ মার্চ স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তত্কালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশে বজ্রকন্ঠে যে ভাষণ প্রদান করেন তা বাঙালি জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছে। এই ভাষণ ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ। এ ভাষণে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান আমলের ২৩ বছরের শোষণ ও বঞ্চনার ইতিহাস তুলে ধরে ভবিষ্যত্ করণীয়, মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত আহ্বান জানান। ঐতিহাসিক সেই ভাষণ এদেশের জনগণকে বিপুল শক্তি ও সাহস যোগায় এবং মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করে। এই ভাষণের ধারাবাহিকতায় ২৬শে মার্চ ১৯৭১ জাতির পিতা বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ মহান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি বহু কাঙ্ক্ষিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে তাই ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাত্পর্য অপরিসীম। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ কেবল বাঙালি জাতিকে নয়, পৃথিবীর স্বাধীনতাকামী নিপীড়িত ও বঞ্চিত জনগণের আশার দিশারী হিসেবে পথ দেখাবে। বঙ্গবন্ধুর ওই ভাষণ আমাদের প্রেরণার চিরন্তন উত্স হয়ে থাকবে বলে আমার দৃঢ়বিশ্বাস”।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, “বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১ মার্চ থেকে সূচিত অসহযোগ আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ২৫ মার্চের কালোরাতে পাক হানাদার বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়লে তিনি পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিন্ন করে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ রাতের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন”।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামাত অশুভ জোটের অসাংবিধানিক ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করার দৃঢ় প্রত্যয়ে প্রতিবারের ন্যায় এবারও সমগ্র জাতির সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিনটিকে স্মরণ ও পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সূত্র : আমার দেশ
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন