৬ মার্চ মঙ্গলবার। একাত্তর সালের এদিনে সংগ্রামী বাংলা ছিল বিক্ষোভে উত্তাল জনসমুদ্র। অন্তহীন মিছিল-সমাবেশের দেশে পরিণত হয়েছিল সারা বাংলা। দিকে দিকে ছিল স্বাধিকারকামী জনতার দৃপ্ত পদচারণা। তাদের কণ্ঠে ছিল যেন সাগরের ক্ষুব্ধ গর্জন। এদিনেও দেশে সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়। ৬ মার্চে প্রকাশিত পত্রিকাগুলোর খবরেও বিক্ষুব্ধ জনতার ক্ষোভ আরও বাড়ে। বাংলাকে স্বাধীন করার সংকল্প তাদের মধ্যে দৃঢ় হয়ে ওঠে।
৬ মার্চ দুপুর ১টা ৫ মিনিটে রেডিও পাকিস্তানের জাতীয় অনুষ্ঠানে ইয়াহিয়া খান জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। ভাষণে ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশন আহ্বানের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। এ ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা হয়।
৬ মার্চ ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে সেনাবাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান ৭ কয়েদি আর আহত হন ৩০ জন। খুলনায় সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত হন ১৮ জন আর আহত হন ৬৪ জন।
৬ মার্চে প্রকাশিত পত্রিকাগুলোর খবরের মধ্যে স্বাধীনতার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে নিহত হওয়ার খবরগুলোকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় এসব বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়। এদিন (৬ মার্চ) দৈনিক ইত্তেফাক ৫ মার্চের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদের বিবৃতি ‘বাংলার বুকে এ গণহত্যা বন্ধ করো’ শিরোনামে প্রধান খবর হিসেবে ৬ কলামে প্রকাশ করে। এছাড়া ইত্তেফাক ‘টঙ্গীতে গুলিবর্ষণে ৪ জন নিহত, ২৫ জন আহত’, ‘শেখ মুজিব সকাশে আসগর খান’, ‘কল্পনার ফানুস-শেখ মুজিব, ‘শেখ মুজিবের ভাষণ রিলে করিতে হইবে-ঢাকা বেতার কেন্দ্রের প্রতি তোফায়েল আহমদ’ শিরোনামে ৫ মার্চের ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করে। দৈনিক আজাদ এদিন ‘অন্যূন ৪ জন নিহত, ৩০ ব্যক্তি আহত : টঙ্গীতে গুলিবর্ষণ’ শিরোনামে প্রধান খবর হিসেবে ৮ কলামে প্রকাশ করে। আজাদে গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত অন্য সংবাদগুলোর শিরোনাম ছিল—‘আওয়ামী লীগ নেতা তাজউদ্দীনের বিবৃতি : বাংলার মানুষ স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে বাঁচিতে চায়’, ‘স্বাধিকার আন্দোলনের পঞ্চম দিবস : বাংলাদেশব্যাপী হরতাল’। আর সংবাদ এদিন ‘টঙ্গীতে শ্রমিকদের ওপর সেনাবাহিনীর গুলিতে ২ জন নিহত’ শিরোনামে প্রধান খবর হিসেবে ৮ কলামে প্রকাশ করে।
অন্যদিকে দিন যতই গড়াচ্ছিল, অসহযোগ আন্দোলনের গন্তব্যও তত স্পষ্ট হয়ে উঠছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপরও চাপ বাড়ছিল। ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে তিনি কী ভাষণ দেবেন তা শোনার জন্য সারাদেশ ও আন্তর্জাতিক মহল অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল। ৭ মার্চের জনসভায় শেখ মুজিব কী ঘোষণা দেবেন তা ঠিক করতে তিনি দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুসারে সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা করা হবে কিনা সেটাই ছিল প্রশ্ন।
৬ মার্চ দুপুর ১টা ৫ মিনিটে রেডিও পাকিস্তানের জাতীয় অনুষ্ঠানে ইয়াহিয়া খান জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। ভাষণে ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশন আহ্বানের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। এ ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা হয়।
৬ মার্চ ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে সেনাবাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান ৭ কয়েদি আর আহত হন ৩০ জন। খুলনায় সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত হন ১৮ জন আর আহত হন ৬৪ জন।
৬ মার্চে প্রকাশিত পত্রিকাগুলোর খবরের মধ্যে স্বাধীনতার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে নিহত হওয়ার খবরগুলোকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় এসব বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়। এদিন (৬ মার্চ) দৈনিক ইত্তেফাক ৫ মার্চের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদের বিবৃতি ‘বাংলার বুকে এ গণহত্যা বন্ধ করো’ শিরোনামে প্রধান খবর হিসেবে ৬ কলামে প্রকাশ করে। এছাড়া ইত্তেফাক ‘টঙ্গীতে গুলিবর্ষণে ৪ জন নিহত, ২৫ জন আহত’, ‘শেখ মুজিব সকাশে আসগর খান’, ‘কল্পনার ফানুস-শেখ মুজিব, ‘শেখ মুজিবের ভাষণ রিলে করিতে হইবে-ঢাকা বেতার কেন্দ্রের প্রতি তোফায়েল আহমদ’ শিরোনামে ৫ মার্চের ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করে। দৈনিক আজাদ এদিন ‘অন্যূন ৪ জন নিহত, ৩০ ব্যক্তি আহত : টঙ্গীতে গুলিবর্ষণ’ শিরোনামে প্রধান খবর হিসেবে ৮ কলামে প্রকাশ করে। আজাদে গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত অন্য সংবাদগুলোর শিরোনাম ছিল—‘আওয়ামী লীগ নেতা তাজউদ্দীনের বিবৃতি : বাংলার মানুষ স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে বাঁচিতে চায়’, ‘স্বাধিকার আন্দোলনের পঞ্চম দিবস : বাংলাদেশব্যাপী হরতাল’। আর সংবাদ এদিন ‘টঙ্গীতে শ্রমিকদের ওপর সেনাবাহিনীর গুলিতে ২ জন নিহত’ শিরোনামে প্রধান খবর হিসেবে ৮ কলামে প্রকাশ করে।
অন্যদিকে দিন যতই গড়াচ্ছিল, অসহযোগ আন্দোলনের গন্তব্যও তত স্পষ্ট হয়ে উঠছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপরও চাপ বাড়ছিল। ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে তিনি কী ভাষণ দেবেন তা শোনার জন্য সারাদেশ ও আন্তর্জাতিক মহল অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল। ৭ মার্চের জনসভায় শেখ মুজিব কী ঘোষণা দেবেন তা ঠিক করতে তিনি দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুসারে সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা করা হবে কিনা সেটাই ছিল প্রশ্ন।
সূত্র : আমার দেশ
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন