প্রিয় পাঠক লক্ষ্য করুন

জোনাকী অনলাইন লাইব্রেরীতে আপনাকে স্বাগতম | জোনাকী যদি আপনার ভালো লাগে তবে আপনার বন্ধুদের সাথে লিংকটি শেয়ার করার অনুরোধ জানাচ্ছি | এছাড়াও যারা ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করতে আগ্রহী তারা jaherrahman@gmail.com এ মেইল করার অনুরোধ করা হচ্ছে | আপনার অংশগ্রহণে সমৃদ্ধ হোক আপনার প্রিয় অনলাইন লাইব্রেরী। আমাদের সকল লেখক, পাঠক- শুভানুধ্যায়ীদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা- অভিনন্দন।

আসলে কী ঘটেছিল | ইমদাদুল হক মিলন


এই বাড়ির কাজের লোকটির নাম বারেক।
তিরিশ একত্রিশ বছর বয়স। এখনও বিয়ে করেনি। রোগা পটকা কেংলা ধরনের। চেহারায় মিষ্টতা আছে, চোখ দুটো সুন্দর। এক বালতি পানি এনে দরজার বাইরে একপাশে রাখল সে। সন্ধ্যা প্রায় হয়ে আসছে। তবু বালতি ভরা টলটলে পরিষ্কার পানিটা দেখতে পেলাম। বারেককে জিজ্ঞেস করলাম, এখানে এভাবে বালতি ভরা পানি রাখলে কেন?
বারেক কী রকম একটু রহস্যময় ভঙ্গিতে হাসল। গ্রামের লোক হলেও কথা সে মোটামুটি শুদ্ধভাষায় বলে। শুধু দুয়েকটা শব্দের গণ্ডগোল হয়। বিক্রমপুরের মানুষ বলে এলাকার দুয়েকটা শব্দ শুদ্ধভাষার মধ্যে ঢুকে যায়।

এখনও ঢুকল। ‘এমতেই রাখলাম।’
বুঝলাম, ‘এমতেই’ মানে এমনি। বললাম, এমনি এমনি এক বালতি পানি সারারাত এখানে থাকবে?

বারেক আবারও সেই হাসিটা হাসল। থাকলে অসুবিধা কী? পানি অনেক দরকারি জিনিস। কত সময় কত কাজে লাগতে পারে। এই ধরেন রাত্রে আপনার পাও ধোয়ার দরকার হইল, হাতমুখ ধোয়ার দরকার হইল, তখন কষ্ট কইরা চাপকলের ওইখানে না গিয়া এই বালতির পানি দিয়াই কাজটা আপনে সারলেন।

আমার ওসবের দরকার হবে না। আমার ঘুম খুব গভীর। শুয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে যাই। একঘুমে রাত শেষ করি। সকাল সাতটার আগে ঘুম ভাঙে না।

নতুন জাগায় একটু অসুবিধা হইতে পারে।

কিসের অসুবিধা?

ঘুমের। অনেক মানুষ আছে জায়গা বদল করলে, বিছানা বদল করলে সহজে ঘুমাইতে পারে না। আপনে অনেকদিন পর নানারবাড়িতে বেড়াইতে আসছেন। এখানে ঢাকা শহরের মতন ঘুম আপনের নাও হইতে পারে।

ঘরে ঢুকে পুরনো আমলের পালঙ্কে পা ঝুলিয়ে বসলাম।

আমার নানাবাড়ি গ্রাম এলাকার বিশাল বনেদী এক বাড়ি। বাইরের দিকে একতলা পুরনো একটা দালান। সেটাকে বলে কাছারি ঘর। লোকজন এলে ওই ঘরে বসে। তারপর ভেতরবাড়ি। ভেতরবাড়ির চারদিকে চারটা বড় বড় টিনের ঘর। মাঝখানে মাঠের মতন বিশাল উঠোন। পুনুখালা আর বাড়ির বহুকালের পুরনো ঝি রহিমা যে ঘরটায় থাকে তার পাশেই রান্নাঘর। নানা নানী মারা যাওয়ার আগেই বিধবা হয়েছেন পুনুখালা। তাঁর একটা মাত্র মেয়ে। সেই মেয়ে থাকে অস্ট্রেলিয়ায়। স্বামী স্ত্রী দুজনেই সিডনিতে ভাল চাকরি করে। আমার কোনও মামা নেই বলে মা আর পুনুখালা এখন এই বাড়ির মালিক। মা তো ঢাকাতেই থাকেন, পুনুখালা থাকেন এই বাড়িতে। দুচার বছরে এক আধবার মা হয়তো আসেন। মার সঙ্গে আমিও এসেছি কয়েকবার। একা কয়েকদিন পুনুখালার কাছে থাকার জন্য এই প্রথম এলাম। আমার এমবিএ শেষ হয়েছে কদিন আগে। এখন কিছুদিন অলস সময় কাটাবো। তারপর চাকরি বাকরিতে ঢুকবো। মা বললেন, যা তোর খালার কাছ থেকে বেড়িয়ে আয়। চলে এলাম।

এতবড় বাড়িটায় তিনজন মাত্র মানুষ। পুনুখালা রহিমা আর বারেক। আজ আমি এলাম বলে লোক হয়েছে চারজন। দুপুরবেলা এসে পৌঁছাবার পর দিনমজুর ধরনের কয়েকজন পুরুষ মহিলা দেখেছি। তারা কেউ গোলাঘরের কাজ করছিল, উঠোনের রোদে ধান শুকিয়ে বস্তায় ভরছিল। কেউ কেউ কাজ করছিল বাড়ির পেছন দিককার সবজি বাগানে। বড় পুকুরটার পারেও আরেকটা সবজি বাগান, সেখানেও কাজ করছিল কয়েকজন। সন্ধ্যার আগে আগেই যে যার কাজ শেষ করে চলে গেছে। এখন বাড়িটা একেবারেই নির্জন।

বিকেলবেলা বারেককে নিয়ে পুরো বাড়ি ঘুরে দেখতে দেখতে আমার মনে হয়েছে বাড়িটা আসলে একটা খামারবাড়ি। ফার্ম হাউজ। বনজ ফলজ আর ঔষধি গাছে ভর্তি। নানা প্রকারের সবজি ফলছে বাগানে। পুকুরগুলো ভরে আছে মাছে। শুধু একটা জিনিসই নেই, গরু। বাড়িতে গরু নেই। পুনুখালা গরু পছন্দ করেন না। গোবরের গন্ধে তাঁর বমি আসে।

আমি আবার গরু খুব ভালবাসি। বাবার বন্ধু আরেফিন আংকেলের একটা গরুর খামাড় আছে ময়মনসিংহের ফুলপুরে। একবার সেই খামার দেখতে গিয়েছিলাম। গরুগুলোকে যা ভাল লেগেছে! সবচে’ ভাল লেগেছে গরুদের পানি খাওয়া দেখতে। গামলায় মুখ দিয়ে অদ্ভুত এক শব্দে পানি খাচ্ছিল। সেই শব্দটা এখনও কানে লেগে আছে।

আহা এই বাড়িতে যদি দুয়েকটা গরু থাকতো তাহলে গরুদের পানি খাওয়াটা আবার দেখতে পেতাম। অদ্ভুত সেই শব্দটা শুনতে পেতাম।

এই বাড়িতে পল্লীবিদ্যুৎ আছে। কিন্তু রাত নটার পর থাকে না। এজন্য সাড়ে আটটা পৌনে নটার মধ্যে খাওয়া দাওয়া শেষ করে সবাই শুয়ে পরে।
আজও তাই হলো।

পুনুখালা বললেন, তুই দক্ষিণের ঘরে থাক বাবা। ওই ঘরের পালঙ্কটা সুন্দর। তোর নানা শুতেন। নানার খাটে নাতী শুলে ঘুম ভাল হবে। বারেকও থাকবে তোর সঙ্গে।

আমার একা ঘরে ঘুমানোর অভ্যাস। বারেক সঙ্গে থাকবে শুনে একটু গাঁইগুই করলাম। আমি একাই থাকতে পারবো খালা। বারেক অন্যঘরে ঘুমাক।

খালা বললেন, বারেক রোজ রাতেই ওই ঘরে ঘুমায়। ও ঘুমাবে মেঝেতে আর তুই পালঙ্কে। অসুবিধা কী? এত নির্জন বাড়ি, রাতে যদি ভয় পাস?

ভয় পাবে কেন?

ভূতের ভয় পেতে পারিস।

আমি ভূতে বিশ্বাস করি না। ভূতের ভয় আমার নেই। ঠিক আছে তুমি যখন বলছ বারেক থাক আমার সঙ্গে। অসুবিধা নেই।

পালঙ্কে উঠে বসেছি, বারেক মেঝেতে তার বিছানা মাত্র শেষ করেছে, পল্লীবিদ্যুৎ চলে গেল। ঘুটঘুটে অন্ধকারে ভরে গেল ঘর। বারেক বলল, দেখছেন অবস্থা? কী রকম অন্ধকার!

আমার ভালই লাগছে।

বলেন কী? এই রকম অন্ধকার আপনের ভাল লাগতেছে?

হ্যাঁ। কারণ আমি এখনই শুয়ে পড়ব, আর শোয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘুম। ঘুটঘুটে অন্ধকারে ঘুম খুব জমে।

তয় জমাইয়া ঘুম দেন। রাত্রে যদি ঘুম ভাঙ্গে, যদি কোনও দরকার হয়, ডাইকেন আমারে।

মনে হয় দরকার হবে না।

বারেক কথা বলল না। মৃদু শব্দে হাসল।
শুয়ে পড়তে পড়তে বললাম, হাসছ কেন?

এমতেই হাসছি।

ঠিক আছে। আমি ঘুমিয়ে পড়লাম বারেক। গুড নাইট।

বারেকও এসব আধুনিক কায়দা জানে। সেও বলল, গুড নাইট।

রাত দুপুরে ঘুম ভেঙে গেল। ঘুমের ভেতর থেকেই কী রকম একটা শব্দ পাচ্ছিলাম, অচেনা একটা গন্ধ এসে লাগছিল নাকে। ঘুম ভাঙার পর টের পেলাম শব্দটা আসছে দরজার বাইরে থেকে। চব চব, চব চব এইরকম শব্দ। কোনও একটা জন্য যেন পানি খাচ্ছে।
milon_ki_ghoechilo_5 কয়েকটা মাত্র মুহূর্ত, শব্দটা চিনে ফেললাম। আরে, এ তো গরুর পানি খাওয়ার শব্দ! আরেফিন আংকেলের ফুলপুরের খামারে গরুদের পানি খাওয়ার শব্দ পরিষ্কার মনে আছে আমার। ঠিক এইরকম শব্দ। গন্ধটা চিনতেও দেরি হলো না। গরুর গায়ের গন্ধ। দরজার বাইরে বালতিতে যে পানি সন্ধ্যাবেলা রেখেছিল বারেক সেই পানি গরুতে খাচ্ছে। অনেকক্ষণ ধরে খাচ্ছে। খাওয়া যেন থামছেই না।

কিন্তু এই বাড়িতে তো গরু নেই। গরু নামের জন্যটা দুই চক্ষে দেখতে পারেন না পুনুখালা। গোবরের গন্ধে তাঁর বমি আসে। তাহলে এত রাতে কোত্থেকে এলো গরু? কাদের গরু এত রাতে এই বাড়িতে এসে বারেকের রাখা বালতিভরা পানি খাচ্ছে? তাছাড়া গরু খুবই দামি প্রাণী। গৃহস্থরা গরু খুবই যত্নে গোয়াল ঘরে বেঁধে রাখে রাত্রে। কেউ কেউ রাত জেগে পাহারা দেয়। গরু চোরের অভাব নেই দেশগ্রামে। শুনেছি চান্স পেলেই গৃহসে’র গোয়াল থেকে গরুচুরি করে গ্রামের হাট বাজারে বিক্রি করে দেয় গরুচোরগুলো। কসাইদের কাছে বিক্রি করে দেয়, যাতে মুহূর্তেই চামড়া বিক্রি হয়ে যায় ট্যানারিঅলাদের কাছে, কেজি দরে মাংস বিক্রি হয়ে যায় খদ্দেরদের কাছে। বিক্রমপুর এলাকায় গরুর নাড়িভূড়িকে বলে ‘আতড়ি উঝুড়ি’। সেই জিনিসও পরিষ্কার করে, তেল মশলা দিয়ে রান্না করে খায় অনেকে। খুবই নাকি টেস্টি জিনিস। গরুর হাড়মাথাও আজকাল ফেলনা জিনিস না। টোকাইরা কুড়িয়ে নিয়ে হাড্ডিঅলাদের কাছে বিক্রি করে দেয়। সেই জিনিস চালান হয়ে যায় বিদেশে। গরুর হাড্ডি শুকিয়ে পাউডার করে সেই পাউডার থেকে তৈরি হয় সিরামিকসের প্লেট পেয়ালা। আর দুধ এবং মাংসের জন্য গরু, হালচাষের জন্য গরু, সবমিলিয়ে গরু হচ্ছে অপরিসীম প্রয়োজনীয় এক প্রাণী।

এইরকম প্রয়োজনীয় দামি প্রাণী কোন বাড়ির গোয়াল থেকে ছুটে এসে রাত দুপুরে আমার নানাবাড়ির পানি খাচ্ছে?
গরুর পানি খাওয়ার শব্দটা তখনও সমানে চলছে। শব্দের সঙ্গে গায়ের গন্ধটাও ঘরে এসে ঢুকছে। একটু যেন গোবরের গন্ধও পাওয়া যাচ্ছে। তার মানে পানি খাওয়ার ফাঁকে ওই কাজটাও সেরে নিচ্ছে গরুটা।
ইস পুনুখালা নিশ্চয় সকালবেলা খুব বিরক্ত হবেন। গোবরের গন্ধে তার বমি হয়ে যেতে পারে।

আস্তে করে বারেককে ডাকলাম। বারেক।

বারেক সঙ্গে সঙ্গে জবাব দিল। জ্বি।

তার মানে গরুর পানি খাওয়ার শব্দে বারেকেরও ঘুম ভেঙে গেছে।

শুনতে পাচ্ছ?

জ্বি পাইতেছি।

এত রাত্রে গরু এলো কোত্থেকে? কাদের বাড়ির গরু এসে বালতির পানি খেয়ে যাচ্ছে। গোবরের গন্ধও পাচ্ছি। আমরা কি উঠবো? দুজনে মিলে গরুটা তাড়াবো?

বারেক ভয়র্ত গলায় বলল, আপনের কি মাথা খারাপ হইছে? চুপচাপ শুইয়া থাকেন। কথাও বইলেন না।

কেন?

সকালবেলা ঘটনা আপনেরে বলবো।

আমাদের কথাবার্তার শব্দেই কী না কে জানে, হঠাৎ পানি খাওয়ার শব্দটা বন্ধ হলো, আর পানির বালতিটা যেন উল্টে পড়ল। গরুটাও যেন দৌড়ে চলে গেল। তার ভারী শরীরের দৌড়ে মৃদু একটা কাঁপন লাগল মাটিতে, পালঙ্কে শুয়েও সেটা টের পেলাম আমি। বাড়ির পাশ দিয়ে ট্রেন কিংবা ভারী ট্রাক চলে গেলে মাটি যেমন কাঁপে ঠিক তেমন করে কাঁপলো পালঙ্ক।

সকালবেলা আমাকে ডেকে তুললো বারেক। ওঠেন ওঠেন, মজার একটা কারবার দেখাই আপনেরে।

উঠলাম। বারেকের সঙ্গে দরজা খুলে বেরুলাম।

বারেক বলল, দেখেন, বালতির দিকে চাইয়া দেখেন।

ঘুম ভাঙা চোখে বালতির দিকে তাকালাম। তাকিয়ে বড় রকমের একটা ধাক্কা খেলাম। চোখ কচলে আবার তাকালাম। না, দৃশ্য বদলায়নি! দৃশ্য একই। বালতিভরা পানি ঠিকই আছে। এক ফোটাও কমেনি। বারেক যেভাবে রেখেছিল ঠিক সেইভাবে আছে বালতি, সেইভাবেই আছে পানি। মাঝরাতে গরুতে তাহলে খেল কী? এতক্ষণ ধরে পানি খাওয়ার শব্দ পেলাম, ওই নিয়ে বারেকের সঙ্গে কথা বলল। আমাদের কথাবার্তার শব্দে বালতি উল্টে দিয়ে ছুটে গেল গরুটা সেই শব্দও পেলাম। আর এখন দেখছি সবই ঠিক আছে। বালতি আছে বালতির জায়গায়, পানি ভরা আছে আগের মতোই। ব্যাপার কী?

আমি তারপর গোবর খুঁজলাম। গোবরের গন্ধ যে পেয়েছিলাম সেই বস্তুটাই বা উধাও হয়ে গেল কোথায়? কোনও চিহ্নই তো নেই।

কাল সন্ধ্যার সেই রহস্যময় হাসিটা হাসল বারেক। বুঝলেন কিছু?

ফ্যাল ফ্যাল করে বারেকের দিকে তাকালাম। মাথা নাড়লাম। না, কিছুই বুঝলাম না। সবই দেখি ঠিক আছে। মাঝরাতে অতক্ষণ ধরে গরুটায় তাহলে খেল কী? শব্দ পেলাম, গরুর গায়ের গন্ধ, গোবরের গন্ধ সবই পেলাম। দৌড়ে চলে যাওয়ার শব্দও পেলাম। আর এখন দেখি বালতিভরা পানি যেমন ছিল তেমনই আছে। গোবরের চিহ্নও নেই।

কোথা থেকে থাকবে? গরু বলে কোনও জিনিস তো আসে নাই।

তাহলে কী এসেছিল? বারেক, তুমি আমার সঙ্গে ফাজলামো করো না। গরুর পানি খাওয়ার শব্দ আমার চেনা। গা এবং গোবর দুটোর গন্ধই চেনা। বালতি উল্টে দৌড়ে চলে যাওয়ার শব্দ আমি পেয়েছি। তুমিও পেয়েছ। এত কিছুর পর বলছ গরু বলে কোনও জিনিস আসেনি। তাহলে কী এসেছিল? আমার মনে হয় তুমি কিছু একটা চালাকি করেছ।

বারেক বিস্মিত চোখে তাকাল। আমি কী চালাকী করবো?

নিশ্চয় আমার ঘুম ভাঙার আগে উঠে চাপকল থেকে বালতি ভরে পানি এনে রেখেছ, গোবর পরিষ্কার করে রেখেছ।
সেইটা কইরা আমার লাভ কী? দরজা খুইলা ঘর থেকে বাহির হইলে সেই আওয়াজ আপনে পাইতেন। চাপকল থেকে ঘুটঘুটে অন্ধকারে কেন এত কষ্ট করে পানি আনতে যাবো আমি? অন্ধকারে গোবরই বা পরিষ্কার করবো কীভাবে? রাত্রে এই কাজগুলি সারবার কোনও দরকার নাই। দরকার থাকলে সকালবেলা সারবো। আমারে তো কেউ তাড়া দেয় নাই।

বারেকের কথায় যুক্তি আছে। ঠিকই তো। বারেক কেন অন্ধকার রাতে ঘর থেকে বেরিয়ে এসব কাজ সারতে যাবে? কাজটা তো এমন কিছু জরুরি না।

বললাম, তাহলে ব্যাপারটা কী?

বারেক গম্ভীর গলায় আবার সেই কথাটা বলল। গরু বলে কোনও জিনিস আসে নাই।

তাহল কী এসেছিল?

আপনে বোঝেন নাই?

না।

এত সহজ জিনিসটা বুঝতাছেন না?

এবার গা কাঁটা দিয়ে উঠল আমার। গলা কেমন শুকিয়ে এলো। ঢোক গিলে বারেকের দিকে তাকালাম।

বারেক বলল, যদি সত্য সত্যই গরু হইতো তাহলে আপনের কথায় আমি রাজি হইতাম। দুইজনে বাহির হইয়া গরুটা তখনই তাড়ায়া দিতাম। আমার হাতের কাছে ম্যাচ থাকে, হারিকেন থাকে। হারিকেন জ্বালাইয়া দুইজনে বাহির হইলে গরু তাড়ানো কঠিন কোনও কাজ ছিল না। আর একটা কথা হইল, এই বাড়িতে গরু নাই, গরু ঢুকবারও কোনও পথ নাই। বাড়ির চারদিকে কাঁটাতারের বেড়া। নানান পদের সবজির চাষ হয় বাড়িতে। গরু ছাগল ঢুকলে ক্ষেতের সবজি বিনাশ কইরা ফালাইবো। সামনের দিককার গেটটাও রাত্রে বন্ধ করি আমি নিজহাতে। তাহলে গরু আসবে কোথা থেকে?

শুকনো গলায় বললাম, তাহলে কী এসেছিল?

যে এসেছিল সে মাঝে মাঝেই আসে। কোনও রাতে আমি টের পাই, কোনও রাতে পাই না। তবে সে পানি খাইতে খুবই ভালবাসে। আর তিনাদের পানি খাওয়া আজব রকমের। পানি খাইবেন ঠিকই কিন্তু সেই পানি ফুরাইবো না। তিনার জন্য পানি আমি রোজ সন্ধ্যাবেলাই দরজার বাইরে রাইখা দেই। কোন রাত্রে তিনি আসবেন, কোন রাত্রে পানি খাবেন! যদি মুখের কাছে পানি না পান তাহলে আমার উপরে চেইতা যাইবেন। আমি একলা এইঘরে থাকি। যদি ঘরে ঢুইকা…। ঘরে ঢুকবার জন্য তিনাদের কোনও দরজা লাগে না। হাওয়ার সঙ্গে ঢুকবেন, হাওয়ার সঙ্গে বাহির হইবেন।

ভয়ার্ত গলায় বললাম, ঘটনাটা কি খালা জানেন? রহিমা বুয়া জানে?

না, কেউ জানে না। আমি কাউরে বলি না। বললে যদি আমার উপরে তিনি চেইতা যান? ভাইজান, আপনেও কেউরে বইলেন না।

Stumble
Delicious
Technorati
Twitter
Facebook

0 Comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন

নির্বাচিত বিষয়গুলো দেখুন

কবিতা ছোটগল্প গল্প নিবন্ধ ছড়া টিপস রম্য গল্প প্রেমের কবিতা স্বাস্থ্য কথা কৌতুক ইসলামী সাহিত্য কম্পিউটার টিপস জানা অজানা লাইফ স্ট্যাইল স্বাধীনতা স্থির চিত্র ফিচার শিশুতোষ গল্প ইসলাম কবি পরিচিতি প্রবন্ধ ইতিহাস চিত্র বিচিত্র প্রকৃতি বিজ্ঞান রম্য রচনা লিরিক ঐতিহ্য পাখি মুক্তিযুদ্ধ শরৎ শিশু সাহিত্য বর্ষা আলোচনা বিজ্ঞান ও কম্পিউটার বীরশ্রেষ্ঠ লেখক পরিচিতি স্বাস্থ টিপস উপন্যাস গাছপালা জীবনী ভিন্ন খবর হারানো ঐতিহ্য হাসতে নাকি জানেনা কেহ ছেলেবেলা ফল ফুল বিরহের কবিতা অনু গল্প প্রযুক্তি বিউটি টিপস ভ্রমণ মজার গণিত সংস্কৃতি সাক্ষাৎকার ঔষধ ডাউনলোড প্যারডী ফেসবুক মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য রম্য কবিতা সাধারণ জ্ঞান সাহিত্যিক পরিচিতি সায়েন্স ফিকশান স্বাধীনতার কবিতা স্বাধীনতার গল্প কৃষি তথ্য চতুর্দশপদী প্রেমের গল্প মোবাইল ফোন রুপকথার গল্প কাব্য ক্যারিয়ার গবেষণা গৌরব জীবনের গল্প ফটোসপ সবুজ সভ্যতা
অতনু বর্মণ অদ্বৈত মারুত অধ্যাপক গোলাম আযম অনন্ত জামান অনিন্দ্য বড়ুয়া অনুপ সাহা অনুপম দেব কানুনজ্ঞ অমিয় চক্রবর্তী অয়ন খান অরুদ্ধ সকাল অর্ক আ.শ.ম. বাবর আলী আইউব সৈয়দ আচার্য্য জগদীশচন্দ্র বসু আজমান আন্দালিব আতাউর রহমান কাবুল আতাউস সামাদ আতোয়ার রহমান আত্মভোলা (ছন্দ্রনাম) আদনান মুকিত আনিসা ফজলে লিসি আনিসুর রহমান আনিসুল হক আনোয়ারুল হক আন্জুমান আরা রিমা আবদুল ওহাব আজাদ আবদুল কুদ্দুস রানা আবদুল গাফফার চৌধুরী আবদুল মান্নান সৈয়দ আবদুল মাবুদ চৌধুরী আবদুল হাই শিকদার আবদুল হামিদ আবদুস শহীদ নাসিম আবিদ আনোয়ার আবু মকসুদ আবু সাইদ কামাল আবু সাঈদ জুবেরী আবু সালেহ আবুল কাইয়ুম আহম্মেদ আবুল মোমেন আবুল হায়াত আবুল হাসান আবুল হোসেন আবুল হোসেন খান আবেদীন জনী আব্দুল কাইয়ুম আব্দুল মান্নান সৈয়দ আব্দুল হালিম মিয়া আমানত উল্লাহ সোহান আমিনুল ইসলাম চৌধুরী আমিনুল ইসলাম মামুন আরিফুন নেছা সুখী আরিফুর রহমান খাদেম আল মাহমুদ আলম তালুকদার আশীফ এন্তাজ রবি আসমা আব্বাসী আসাদ চৌধুরী আসাদ সায়েম আসিফ মহিউদ্দীন আসিফুল হুদা আহমদ - উজ - জামান আহমদ বাসির আহমেদ আরিফ আহমেদ খালিদ আহমেদ রাজু আহমেদ রিয়াজ আহসান হাবিব আহসান হাবীব আহাম্মেদ খালিদ ইকবাল আজিজ ইকবাল খন্দকার ইব্রাহিম নোমান ইব্রাহীম মণ্ডল ইমদাদুল হক মিলন ইয়াসির মারুফ ইলিয়াস হোসেন ইশতিয়াক উত্তম মিত্র উত্তম সেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী এ কে আজাদ এ টি এম শামসুজ্জামান এ.বি.এম. ইয়াকুব আলী সিদ্দিকী একরামুল হক শামীম একে আজাদ এনামুল হায়াত এনায়েত রসুল এম আহসাবন এম. মুহাম্মদ আব্দুল গাফফার এম. হারুন অর রশিদ এরশাদ মজুদার এরশাদ মজুমদার এস এম নাজমুল হক ইমন এস এম শহীদুল আলম এস. এম. মতিউল হাসান এসএম মেহেদী আকরাম ওমর আলী ওয়াসিফ -এ-খোদা ওয়াহিদ সুজন কবি গোলাম মোহাম্মদ কমিনী রায় কাজী আনিসুল হক কাজী আবুল কালাম সিদ্দীক কাজী নজরুল ইসলাম কাজী মোস্তাক গাউসুল হক শরীফ কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম কাপালিক কামরুল আলম সিদ্দিকী কামাল উদ্দিন রায়হান কায়কোবাদ (কাজেম আলী কোরেশী) কার্তিক ঘোষ কৃষ্ণকলি ইসলাম কে এম নাহিদ শাহরিয়ার কেজি মোস্তফা খন্দকার আলমগীর হোসেন খন্দকার মুহাম্মদ হামিদুল্লাহ্ খান মুহাম্মদ মইনুদ্দীন খালেদ রাহী গাজী গিয়াস উদ্দিন গিয়াস উদ্দিন রূপম গিরিশচন্দ সেন গোলাম কিবরিয়া পিনু গোলাম নবী পান্না গোলাম মোস্তফা গোলাম মোহাম্মদ গোলাম সরোয়ার চন্দন চৌধুরী চৌধুরী ফেরদৌস ছালেহা খানম জুবিলী জ. রহমান জয়নাল আবেদীন বিল্লাল জসিম মল্লিক জসীম উদ্দিন জহির উদ্দিন বাবর জহির রহমান জহির রায়হান জাওয়াদ তাজুয়ার মাহবুব জাকিয়া সুলতানা জাকির আবু জাফর জাকির আহমেদ খান জান্নাতুল করিম চৌধুরী জান্নাতুল ফেরদাউস সীমা জাফর আহমদ জাফর তালুকদার জায়ান্ট কজওয়ে জাহাঙ্গীর আলম জাহান জাহাঙ্গীর ফিরোজ জাহিদ হোসাইন জাহিদুল গণি চৌধুরী জিয়া রহমান জিল্লুর রহমান জীবনানন্দ দাশ জুবাইদা গুলশান আরা জুবায়ের হুসাইন জুলফিকার শাহাদাৎ জেড জাওহার ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া ড. কাজী দীন মুহম্মদ ড. ফজলুল হক তুহিন ড. ফজলুল হক সৈকত ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ ড. মুহা. বিলাল হুসাইন ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ড. রহমান হাবিব ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ডক্টর সন্দীপক মল্লিক ডা: সালাহ্উদ্দিন শরীফ ডা. দিদারুল আহসান তমিজ উদদীন লোদী তাজনীন মুন তানজিল রিমন তাপস রায় তামান্না শারমিন তারক চন্দ্র দাস তারাবাঈ তারেক রহমান তারেক হাসান তাসনুবা নূসরাত ন্যান্সী তাসলিমা আলম জেনী তাহমিনা মিলি তুষার কবির তৈমুর রেজা তৈয়ব খান তৌহিদুর রহমান দর্পণ কবীর দিলওয়ার হাসান দেলোয়ার হোসেন ধ্রুব এষ ধ্রুব নীল নঈম মাহমুদ নবাব আমিন নাইমুর রশিদ লিখন নাইয়াদ নাজমুন নাহার নাজমুল ইমন নাফিস ইফতেখার নাবিল নাসির আহমেদ নাসির উদ্দিন খান নাহার মনিকা নাহিদা ইয়াসমিন নুসরাত নিজাম কুতুবী নির্জন আহমেদ অরণ্য নির্মলেন্দু গুণ নিসরাত আক্তার সালমা নীল কাব্য নীলয় পাল নুরে জান্নাত নূর মোহাম্মদ শেখ নূর হোসনা নাইস নৌশিয়া নাজনীন পীরজাদা সৈয়দ শামীম শিরাজী পুলক হাসান পুষ্পকলি প্রাঞ্জল সেলিম প্রীতম সাহা সুদীপ ফকির আবদুল মালেক ফজল শাহাবুদ্দীন ফয়সাল বিন হাফিজ ফররুখ আহমদ ফাতিহা জামান অদ্রিকা ফারুক আহমেদ ফারুক নওয়াজ ফারুক হাসান ফাহিম আহমদ ফাহিম ইবনে সারওয়ার ফেরদৌসী মাহমুদ বাদশা মিন্টু বাবুল হোসেইন বিকাশ রায় বিন্দু এনায়েত বিপ্রদাশ বড়ুয়া বেগম মমতাজ জসীম উদ্দীন বেগম রোকেয়া বেলাল হোসাইন বোরহান উদ্দিন আহমদ ম. লিপ্স্কেরভ মঈনুল হোসেন মজিবুর রহমান মন্জু মতিউর রহমান মল্লিক মতিন বৈরাগী মধু মনসুর হেলাল মনিরা চৌধুরী মনিরুল হক ফিরোজ মরুভূমির জলদস্যু মর্জিনা আফসার রোজী মশিউর রহমান মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর মা আমার ভালোবাসা মাইকেল মধুসূদন দত্ত মাওলানা মুহাম্মাদ মাকসুদা আমীন মুনিয়া মাখরাজ খান মাগরিব বিন মোস্তফা মাজেদ মানসুর মুজাম্মিল মানিক দেবনাথ মামুন হোসাইন মায়ফুল জাহিন মারজান শাওয়াল রিজওয়ান মারুফ রায়হান মালিহা মালেক মাহমুদ মাসুদ আনোয়ার মাসুদ মাহমুদ মাসুদা সুলতানা রুমী মাসুম বিল্লাহ মাহফুজ উল্লাহ মাহফুজ খান মাহফুজুর রহমান আখন্দ মাহবুব আলম মাহবুব হাসান মাহবুব হাসানাত মাহবুবা চৌধুরী মাহবুবুল আলম কবীর মাহমুদা ডলি মাহমুদুল বাসার মাহমুদুল হাসান নিজামী মাহ্‌মুদুল হক ফয়েজ মিতা জাহান মু. নুরুল হাসান মুজিবুল হক কবীর মুন্সি আব্দুর রউফ মুফতি আবদুর রহমান মুরাদুল ইসলাম মুস্তাফিজ মামুন মুহম্মদ নূরুল হুদা মুহম্মদ শাহাদাত হোসেন মুহাম্মদ আনছারুল্লাহ হাসান মুহাম্মদ আবু নাসের মুহাম্মদ আমিনুল হক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল মুহাম্মদ মহিউদ্দিন মুহাম্মাদ হাবীবুল্লাহ মুহিউদ্দীন খান মেজবাহ উদ্দিন মেহনাজ বিনতে সিরাজ মেহেদি হাসান শিশির মো: জামাল উদ্দিন মো. আরিফুজ্জামান আরিফ মোঃ আহসান হাবিব মোঃ তাজুল ইসলাম সরকার মোঃ রাকিব হাসান মোঃ রাশেদুল কবির আজাদ মোঃ সাইফুদ্দিন মোমিন মেহেদী মোর্শেদা আক্তার মনি মোশাররফ মোশাররফ হোসেন খান মোশারেফ হোসেন পাটওয়ারী মোহসেনা জয়া মোহাম্মদ আল মাহী মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন মোহাম্মদ নূরুল হক মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ্ মোহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ মোহাম্মদ সা'দাত আলী মোহাম্মদ সাদিক মোহাম্মদ হোসাইন মৌরী তানিয় যতীন্দ্র মোহন বাগচী রজনীকান্ত সেন রণক ইকরাম রফিক আজাদ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রহমান মাসুদ রহিম রায়হান রহিমা আখতার কল্পনা রাখাল রাজিব রাজিবুল আলম রাজীব রাজু আলীম রাজু ইসলাম রানা হোসেন রিয়াজ চৌধুরী রিয়াদ রুমা মরিয়ম রেজা উদ্দিন স্টালিন রেজা পারভেজ রেজাউল হাসু রেহমান সিদ্দিক রোকনুজ্জামান খান রোকেয়া খাতুন রুবী শওকত হোসেন শওকত হোসেন লিটু শওগাত আলী সাগর শফিক আলম মেহেদী শরীফ আতিক-উজ-জামান শরীফ আবদুল গোফরান শরীফ নাজমুল শাইখুল হাদিস আল্লামা আজীজুল হক শামছুল হক রাসেল শামসুজ্জামান খান শামসুর রহমান শামস্ শামীম হাসনাইন শারমিন পড়শি শাহ আব্দুল হান্নান শাহ আলম শাহ আলম বাদশা শাহ আহমদ রেজা শাহ নেওয়াজ চৌধুরী শাহ মুহাম্মদ মোশাহিদ শাহজাহান কিবরিয়া শাহজাহান মোহাম্মদ শাহনাজ পারভীন শাহাদাত হোসাইন সাদিক শাহাবুদ্দীন আহমদ শাহাবুদ্দীন নাগরী শাহিন শাহিন রিজভি শিউল মনজুর শিরিন সুলতানা শিশিরার্দ্র মামুন শুভ অংকুর শেখ হাবিবুর রহমান সজীব সজীব আহমেদ সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত সাইদা সারমিন রুমা সাইফ আলি সাইফ চৌধুরী সাইফ মাহাদী সাইফুল করীম সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদূদী সাকিব হাসান সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ সানজানা রহমান সাবরিনা সিরাজী তিতির সামছুদ্দিন জেহাদ সামিয়া পপি সাযযাদ কাদির সারোয়ার সোহেন সালমা আক্তার চৌধুরী সালমা রহমান সালেহ আকরাম সালেহ আহমদ সালেহা সুলতানা সিকদার মনজিলুর রহমান সিমু নাসের সিরহানা হক সিরাজুল ইসলাম সিরাজুল ফরিদ সুকান্ত ভট্টাচার্য সুকুমার বড়ুয়া সুকুমার রায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সুফিয়া কামাল সুভাষ মুখোপাধ্যায় সুমন সোহরাব সুমনা হক সুমন্ত আসলাম সুমাইয়া সুহৃদ সরকার সৈয়দ আরিফুল ইসলাম সৈয়দ আলমগীর সৈয়দ আলী আহসান সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন সিরাজী সৈয়দ তানভীর আজম সৈয়দ মুজতবা আলী সৈয়দ সোহরাব হানিফ মাহমুদ হামিদুর রহমান হাসান আলীম হাসান ভূইয়া হাসান মাহবুব হাসান শরীফ হাসান শান্তনু হাসান হাফিজ হাসিনা মমতাজ হুমায়ূন আহমেদ হুমায়ূন কবীর ঢালী হেলাল মুহম্মদ আবু তাহের হেলাল হাফিজ হোসেন মাহমুদ হোসেন শওকত হ্নীলার বাঁধন

মাসের শীর্ষ পঠিত

 
রায়পুর তরুণ ও যুব ফোরাম

.::jonaaki online::. © ২০১১ || টেমপ্লেট তৈরি করেছেন জোনাকী টিম || ডিজাইন ও অনলাইন সম্পাদক জহির রহমান || জোনাকী সম্পর্কে পড়ুন || জোনাকীতে বেড়াতে আসার জন্য ধন্যবাদ