রমজানুল মুবারক প্রতি বছর আসে উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য রহমত, মাগফেরাত ও কবর আজাব মুক্তির সুমহান বার্তা নিয়ে। এ মাসে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার প্রিয় বান্দাদের জন্য খুলে দেন ফজিলতের অগণিত দ্বার। এ জন্য আমাদের সবার উচিত মহিমান্বিত এ মাসের প্রতিটি মুহূর্তকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা।
রমজান মাসের ফজিলত ও বরকত সম্পর্কে রাসূলে করিম (স.)-এর অসংখ্য মহান বাণী তথা হাদিস ইরশাদ রয়েছে। যেমন বুখারি শরীফে ‘সওম’ তথা রোজা অধ্যায়ে প্রসিদ্ধ। সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.)-এর বরাতে বর্ণিত হয় : ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন রমজান মাস আরম্ভ হয়, তখন থেকে ঊর্ধ্ব জগতের (তথা রহমতের) দ্বারগুলো খুলে দেয়া হয় (সে মতে বেহেশতের দরজাগুলোও খুলে দেয়া হয়) এবং জাহান্নামের সমুদয় দরজা বন্ধ করে দেয়া হয় (অধিক দুষ্ট-ক্ষতিকর, নেতৃস্থানীয়)। শয়তানগুলোকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়।
বক্ষমাণ হাদিসের এই বর্ণনায় ঊর্ধ্ব জগতের দরজাগুলো খুলে দেয়ার উল্লেখ করা হয়েছে। অন্য এক বর্ণনায় রহমতের দরজা খোলার উল্লেখ আছে এবং আরেক বর্ণনায় বেহেশতের দরজা খোলার উল্লেখ আছে। সব বর্ণনার মূল তাত্পর্য একই। রমজান মাসে বিশেষরূপে অতিমাত্রায় এবং কোনো নির্দিষ্ট সময়ের বিশেষত্ব লক্ষ্য না করে সর্বদা আল্লাহর রহমত ও নেয়ামতের প্রধান কেন্দ্র বেহেশতের দরজাগুলোও রমজান মাসের সম্মানার্থে খুলে রাখা হয়।
রমজান মাসের বিশেষত্ব হিসেবে বিশ্ববাসীর প্রতি যেমন রহমত অবতীর্ণ করার ব্যবস্থা রাখা হয়, তেমনি রহমতের বিপরীত আল্লাহতায়ালার গজব ও আজাবের কারণ তথা শয়তানি আন্দোলন ও কার্যকলাপ কম করার ব্যবস্থাও করা হয়, বড় শয়তানগুলোকে বন্দি করে রাখা হয়।
আল্লাহতায়ালা সর্বশক্তিমান। শয়তানি আন্দোলন ও কার্যকলাপ সমূলে উচ্ছেদ করার ইচ্ছা করলে মুহূর্তের মধ্যে তিনি তা করতে পারেন। কিন্তু এতে জাগতিক জীবনের পরীক্ষার উদ্দেশ্য পণ্ড হয়, তাই আল্লাহতায়ালা তা করেন না। এ জন্যই ইবলিসের সাধারণ অনুচররা এবং মানুষের আকৃতিতে শয়তান প্রকৃতির ব্যক্তি ও মানুষের নফসে আম্মারা তদুপরি ১১ মাস শয়তানি আন্দোলনের প্রতিক্রিয়া প্রভৃতির সক্রিয়তা বন্ধ করা হয় না। অবশ্য আল্লাহতায়ালা রমজান মাসের সম্মানার্থে স্বীয় বান্দাদের বিশেষ সুযোগ প্রদানার্থে নেতৃস্থানীয় বড় শয়তানগুলোকে বন্দি করেছেন। ফলে আল্লাহর প্রতি ধাবিত হওয়ার পথ ধরা সহজ হয়ে যায়। মানুষ যেন এই সুবর্ণ সুযোগ হেলায় না হারায়, সে জন্য করুণাময় আল্লাহতায়ালার তরফ থেকে একজন ফেরেস্তা পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহর বান্দাদের প্রতিদিন এই আহ্বান জানাতে থাকে : ‘হে সত্যান্বেষী! সুপথের পথিক দ্রুত সম্মুখ পানে অগ্রসর হও; উন্নতি লাভ কর। হে কুপথগামী (হেলায় এ সুযোগ হারিও না)। এ পবিত্র রমজান মাসে স্বীয় আত্মসংশোধন ও পবিত্রতা লাভে সচেষ্ট হও এবং কুকার্য থেকে ক্ষান্ত হও, সতর্ক হও অর্থাত্ যেহেতু পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহতায়ালার রহমতের দরজাগুলো সর্বদা খোলা থাকে, রহমত লাভ করা সহজ-সুলভ হয়, তাই এ সুযোগের প্রতিটি মুহূর্তকে স্বীয় উন্নতির সম্বলরূপে গ্রহণ কর। আপন জীবনের উন্নতি সাধনে অগ্রসর হও, অগ্রণী হওয়ার চেষ্টা কর, যেরূপ কোনো ব্যবসায়ী স্বীয় ব্যবসার জন্য মৌসুম-সুযোগ ও মার্কেট, মেলা বা প্রদর্শনীকে উন্নতির বিশেষ সহায়ক ও সম্বলরূপে গ্রহণ করে থাকে।
পক্ষান্তরে রমজান মাসে অসত্যের ও কুপথের বড় আন্দোলনকারীরা আবদ্ধ রয়েছে, কুপথ থেকে ফিরে আসা ও কুকার্যকে ত্যাগ করা অপেক্ষাকৃত সহজসাধ্য হয়েছে। অসংখ্য বাধা-বিপত্তির উপশম হয়েছে ফেরার পথের বেড়াজালগুলোর লাঘব ঘটেছে। এই সুবর্ণ সুযোগকে হেলায় হারিও না। এই সোনালি সময়কে চৈতন্যহীন অবস্থায় অতিবাহিত কর না। সুযোগের সদ্ব্যবহার কর, অতীত জীবনের অন্ধকারময় পথে আর অগ্রসর হয়ো না! থামো। এই সুযোগে পেছনে ফেলে আসা আলোর পথে ফিরে আস।
আল্লাহতায়ালা কত মেহেরবান, করুণাময়! স্বীয় বান্দাদের সুযোগ দান করে সেই সুযোগের ঘোষণা এবং আহ্বান জানাচ্ছেন। শুধু এক দু’বার নয়, বরং সুযোগের প্রতিটি দিনই এই আহ্বান আসতে থাকে। যাদের রুহানি শ্রবণশক্তি আছে, তারা সরাসরি সেই আহ্বান শুনতে পারেন। যারা সেই স্তরে পৌঁছতে পারেননি, আল্লাহতায়ালা তাদের সত্য রাসুলের মারফত সেই আহ্বানের সংবাদ পৌঁছে দিয়েছেন। সুতরাং রমজান মাসের প্রতিটি মুহূর্ত অত্যন্ত গুরুত্ববহ ও ফজিলতপূর্ণ। তাই এ মাসের প্রতিটি ক্ষণ যাতে আল্লাহর ইবাদতে অতিবাহিত হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা দরকার। রমজান মাসে যাতে অবশ্যই কোনো ফরজ ইবাদত নষ্ট না হয়, সে বিষয়ে যেমনি সচেতন থাকতে হবে, তেমনি নফল ইবাদতগুলোও বেশি বেশি আদায় করতে হবে।
নফল ইবাদতের মধ্যে সবচেয়ে মহত্তম ইবাদত হলো আল-কোরআন তেলাওয়াত, যে সব ফাজায়েলের কারণে রমজান মাস এত বরকতপূর্ণ মাসে পরিণত হয়েছে, তার মাঝে অন্যতম একটি কারণ এই যে, এই মাসে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে তার প্রিয় রাসুল (সা.)-এর ওপর কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। কোরআন নাজিলের মাস এই রমজানে সবার উচিত বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করা। অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে রমজানের পালিত ইবাদতের সওয়াব ও প্রতিদান অনেক অনেক বেশি। হাদিস শরীফে এসেছে—অন্য যে কোনো সময়ের ফরজের যে সওয়াব রমজানের নফল পালনে সে সওয়াব পাওয়া যায়। সুতরাং ফরজ আদায়ের পাশাপাশি অধিক পরিমাণে নফলও আদায় করা দরকার।
এবাদত পালনের পাশাপাশি সব প্রকার পাপাচার ও গুনাহ থেকেও আমাদের বেঁচে থাকতে হবে। এ মাসে যাতে একটি গুনাহও না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, বিশেষত রোজা অবস্থায় যাতে কোনো গুনাহ না হয় এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। আল্লাহপাক আমাদের রমজানের বরকত ও ফজিলত পরিপূর্ণ নসিব করুন এবং রোজাকে যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন ছুম্মা আমিন।
রমজান মাসের ফজিলত ও বরকত সম্পর্কে রাসূলে করিম (স.)-এর অসংখ্য মহান বাণী তথা হাদিস ইরশাদ রয়েছে। যেমন বুখারি শরীফে ‘সওম’ তথা রোজা অধ্যায়ে প্রসিদ্ধ। সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.)-এর বরাতে বর্ণিত হয় : ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন রমজান মাস আরম্ভ হয়, তখন থেকে ঊর্ধ্ব জগতের (তথা রহমতের) দ্বারগুলো খুলে দেয়া হয় (সে মতে বেহেশতের দরজাগুলোও খুলে দেয়া হয়) এবং জাহান্নামের সমুদয় দরজা বন্ধ করে দেয়া হয় (অধিক দুষ্ট-ক্ষতিকর, নেতৃস্থানীয়)। শয়তানগুলোকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়।
বক্ষমাণ হাদিসের এই বর্ণনায় ঊর্ধ্ব জগতের দরজাগুলো খুলে দেয়ার উল্লেখ করা হয়েছে। অন্য এক বর্ণনায় রহমতের দরজা খোলার উল্লেখ আছে এবং আরেক বর্ণনায় বেহেশতের দরজা খোলার উল্লেখ আছে। সব বর্ণনার মূল তাত্পর্য একই। রমজান মাসে বিশেষরূপে অতিমাত্রায় এবং কোনো নির্দিষ্ট সময়ের বিশেষত্ব লক্ষ্য না করে সর্বদা আল্লাহর রহমত ও নেয়ামতের প্রধান কেন্দ্র বেহেশতের দরজাগুলোও রমজান মাসের সম্মানার্থে খুলে রাখা হয়।
রমজান মাসের বিশেষত্ব হিসেবে বিশ্ববাসীর প্রতি যেমন রহমত অবতীর্ণ করার ব্যবস্থা রাখা হয়, তেমনি রহমতের বিপরীত আল্লাহতায়ালার গজব ও আজাবের কারণ তথা শয়তানি আন্দোলন ও কার্যকলাপ কম করার ব্যবস্থাও করা হয়, বড় শয়তানগুলোকে বন্দি করে রাখা হয়।
আল্লাহতায়ালা সর্বশক্তিমান। শয়তানি আন্দোলন ও কার্যকলাপ সমূলে উচ্ছেদ করার ইচ্ছা করলে মুহূর্তের মধ্যে তিনি তা করতে পারেন। কিন্তু এতে জাগতিক জীবনের পরীক্ষার উদ্দেশ্য পণ্ড হয়, তাই আল্লাহতায়ালা তা করেন না। এ জন্যই ইবলিসের সাধারণ অনুচররা এবং মানুষের আকৃতিতে শয়তান প্রকৃতির ব্যক্তি ও মানুষের নফসে আম্মারা তদুপরি ১১ মাস শয়তানি আন্দোলনের প্রতিক্রিয়া প্রভৃতির সক্রিয়তা বন্ধ করা হয় না। অবশ্য আল্লাহতায়ালা রমজান মাসের সম্মানার্থে স্বীয় বান্দাদের বিশেষ সুযোগ প্রদানার্থে নেতৃস্থানীয় বড় শয়তানগুলোকে বন্দি করেছেন। ফলে আল্লাহর প্রতি ধাবিত হওয়ার পথ ধরা সহজ হয়ে যায়। মানুষ যেন এই সুবর্ণ সুযোগ হেলায় না হারায়, সে জন্য করুণাময় আল্লাহতায়ালার তরফ থেকে একজন ফেরেস্তা পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহর বান্দাদের প্রতিদিন এই আহ্বান জানাতে থাকে : ‘হে সত্যান্বেষী! সুপথের পথিক দ্রুত সম্মুখ পানে অগ্রসর হও; উন্নতি লাভ কর। হে কুপথগামী (হেলায় এ সুযোগ হারিও না)। এ পবিত্র রমজান মাসে স্বীয় আত্মসংশোধন ও পবিত্রতা লাভে সচেষ্ট হও এবং কুকার্য থেকে ক্ষান্ত হও, সতর্ক হও অর্থাত্ যেহেতু পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহতায়ালার রহমতের দরজাগুলো সর্বদা খোলা থাকে, রহমত লাভ করা সহজ-সুলভ হয়, তাই এ সুযোগের প্রতিটি মুহূর্তকে স্বীয় উন্নতির সম্বলরূপে গ্রহণ কর। আপন জীবনের উন্নতি সাধনে অগ্রসর হও, অগ্রণী হওয়ার চেষ্টা কর, যেরূপ কোনো ব্যবসায়ী স্বীয় ব্যবসার জন্য মৌসুম-সুযোগ ও মার্কেট, মেলা বা প্রদর্শনীকে উন্নতির বিশেষ সহায়ক ও সম্বলরূপে গ্রহণ করে থাকে।
পক্ষান্তরে রমজান মাসে অসত্যের ও কুপথের বড় আন্দোলনকারীরা আবদ্ধ রয়েছে, কুপথ থেকে ফিরে আসা ও কুকার্যকে ত্যাগ করা অপেক্ষাকৃত সহজসাধ্য হয়েছে। অসংখ্য বাধা-বিপত্তির উপশম হয়েছে ফেরার পথের বেড়াজালগুলোর লাঘব ঘটেছে। এই সুবর্ণ সুযোগকে হেলায় হারিও না। এই সোনালি সময়কে চৈতন্যহীন অবস্থায় অতিবাহিত কর না। সুযোগের সদ্ব্যবহার কর, অতীত জীবনের অন্ধকারময় পথে আর অগ্রসর হয়ো না! থামো। এই সুযোগে পেছনে ফেলে আসা আলোর পথে ফিরে আস।
আল্লাহতায়ালা কত মেহেরবান, করুণাময়! স্বীয় বান্দাদের সুযোগ দান করে সেই সুযোগের ঘোষণা এবং আহ্বান জানাচ্ছেন। শুধু এক দু’বার নয়, বরং সুযোগের প্রতিটি দিনই এই আহ্বান আসতে থাকে। যাদের রুহানি শ্রবণশক্তি আছে, তারা সরাসরি সেই আহ্বান শুনতে পারেন। যারা সেই স্তরে পৌঁছতে পারেননি, আল্লাহতায়ালা তাদের সত্য রাসুলের মারফত সেই আহ্বানের সংবাদ পৌঁছে দিয়েছেন। সুতরাং রমজান মাসের প্রতিটি মুহূর্ত অত্যন্ত গুরুত্ববহ ও ফজিলতপূর্ণ। তাই এ মাসের প্রতিটি ক্ষণ যাতে আল্লাহর ইবাদতে অতিবাহিত হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা দরকার। রমজান মাসে যাতে অবশ্যই কোনো ফরজ ইবাদত নষ্ট না হয়, সে বিষয়ে যেমনি সচেতন থাকতে হবে, তেমনি নফল ইবাদতগুলোও বেশি বেশি আদায় করতে হবে।
নফল ইবাদতের মধ্যে সবচেয়ে মহত্তম ইবাদত হলো আল-কোরআন তেলাওয়াত, যে সব ফাজায়েলের কারণে রমজান মাস এত বরকতপূর্ণ মাসে পরিণত হয়েছে, তার মাঝে অন্যতম একটি কারণ এই যে, এই মাসে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে তার প্রিয় রাসুল (সা.)-এর ওপর কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। কোরআন নাজিলের মাস এই রমজানে সবার উচিত বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করা। অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে রমজানের পালিত ইবাদতের সওয়াব ও প্রতিদান অনেক অনেক বেশি। হাদিস শরীফে এসেছে—অন্য যে কোনো সময়ের ফরজের যে সওয়াব রমজানের নফল পালনে সে সওয়াব পাওয়া যায়। সুতরাং ফরজ আদায়ের পাশাপাশি অধিক পরিমাণে নফলও আদায় করা দরকার।
এবাদত পালনের পাশাপাশি সব প্রকার পাপাচার ও গুনাহ থেকেও আমাদের বেঁচে থাকতে হবে। এ মাসে যাতে একটি গুনাহও না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, বিশেষত রোজা অবস্থায় যাতে কোনো গুনাহ না হয় এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। আল্লাহপাক আমাদের রমজানের বরকত ও ফজিলত পরিপূর্ণ নসিব করুন এবং রোজাকে যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন ছুম্মা আমিন।
অনুলিখন : মাওঃ গাজী মোহাম্মদ সানাউল্লাহ
সূত্র : আমার দেশ
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন