প্রিয় পাঠক লক্ষ্য করুন

জোনাকী অনলাইন লাইব্রেরীতে আপনাকে স্বাগতম | জোনাকী যদি আপনার ভালো লাগে তবে আপনার বন্ধুদের সাথে লিংকটি শেয়ার করার অনুরোধ জানাচ্ছি | এছাড়াও যারা ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করতে আগ্রহী তারা jaherrahman@gmail.com এ মেইল করার অনুরোধ করা হচ্ছে | আপনার অংশগ্রহণে সমৃদ্ধ হোক আপনার প্রিয় অনলাইন লাইব্রেরী। আমাদের সকল লেখক, পাঠক- শুভানুধ্যায়ীদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা- অভিনন্দন।

জননন্দিত হুমায়ূন আহমেদ | মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ্


জননন্দিত কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের ইন্তেকালে আমি গভীরভাবে শোকাহত। সমগ্র জাতির শোকের সঙ্গে আমার শোক ও অশ্রু মিশে একাকার হয়ে গেছে। বাংলা সাহিত্যের এক অনন্যসাধারণ দক্ষ রূপকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন গভীর ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন। দুর্ভাগ্য আমার, দীর্ঘদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় এবং আমার দৃষ্টিশক্তি ও চলত্শক্তি প্রায় রহিত হওয়ায় আমি আমার পরম প্রিয় হুমায়ূন আহমেদের তাঁর শেষ বিদায়ের সময় শোকযাত্রা ও জানাজায় শামিল হতে পারিনি। বাধ্য হয়েই আমাকে গৃহবন্দি অবস্থায় রোগশয্যায় বসে টেলিভিশনের মাধ্যমে তাঁর শেষ যাত্রার দৃশ্যাদি দেখতে এবং শোকাশ্রু বিসর্জন করতে হয়েছে। এদিক থেকে আমি একজন হতভাগ্য ব্যক্তি।
এই শোকবিধুর পরিবেশেও আমার স্মৃতিপটে ভেসে উঠেছে হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় এবং তাঁর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ পাঠ করে আমার অভিভূত হওয়ার এবং গ্রন্থটিকে ‘হৃদয় দিয়ে লেখা’ বলে অভিহিত করার কথা। হুমায়ূন আহমেদ তাঁর প্রতিভার স্পর্শে এবং সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বহু গ্রন্থের প্রণেতা হিসেবে বাংলা ভাষাভাষী পাঠকের মনোহরণ করেছেন এবং হৃদয় জয় করেছেন। তিনি হয়েছেন সাহিত্য-শিল্পের একজন অসাধারণ স্রষ্টা; জনপ্রিয় ও জননন্দিত কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। তাঁর এই জনপ্রিয়তা এবং অভাবনীয় সাফল্যের বিষয়ে তাঁর মৃত্যুর পর থেকেই বোদ্ধা সাহিত্য পাঠক, চলচ্চিত্র দর্শক অনেক কথা বলেছেন। তারা বিভিন্নভাবে হুমায়ূন আহমেদের মূল্যায়ন করেছেন। আমার বিশ্বাস, তাঁর জীবন ও সাহিত্যকর্মের বিষয়ে আলোচনা-সমালোচনা ও মূল্যায়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমার পক্ষে হুমায়ূনের সার্বিক মূল্যায়ন বর্তমানে সম্ভব নয়।
আমার কেবলই মনে হচ্ছে, তাঁর প্রথম গ্রন্থ ‘নন্দিত নরকে’র বিষয়ে আমার মূল্যায়নের কথা। ১৯৭২ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় প্রকাশিত গ্রন্থটির আলোচনায় আমি শিরোনাম দিয়েছিলাম ‘নন্দিত নরকে হৃদয় দিয়ে লেখা’। আজ মনে হচ্ছে শুধু নন্দিত নরকেই নয়, তিনি তাঁর সব উপন্যাস, ছোটগল্প ও নাটক হৃদয় দিয়েই লিখেছেন। এমনকি চলচ্চিত্র নির্মাণেও তিনি ঢেলে দিয়েছেন তাঁর হৃদয়। লেখা যত কঠিন, হৃদয় দিয়ে লেখা তার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন। তিনি হৃদয় দিয়ে লিখেছেন বলেই পাঠক-দর্শক এবং শ্রোতার হৃদয় হরণ করতে পেরেছেন। কথায় বলে, ‘কলম, কাগজ, মন লেখে তিনজন’ কিন্তু শুধু মন দিয়ে লিখলেই হয় না, হৃদয় দিয়েও লিখতে হয়। হুমায়ূন আহমেদ এ ব্যাপারে অসাধারণ সাফল্যের পরিচয় দিয়েছেন। ‘নন্দিত নরকে’ গ্রন্থটির আলোচনায় আমি যা লিখেছিলাম তার কিছু এখানে উদ্ধৃত করছি, ‘উপন্যাসের আরেকটি আকর্ষণীয় গুণ এখানে যে মনোবিশ্লেষণের নামে, কিংবা আত্ম-অন্তর্মুখীনতার অজুহাতে বর্ণনায় অতিরেক ঘটিয়ে কাহিনীকে বোরিং করে তোলা হয়নি। সহজ, সাবলীল অথচ প্রাণময় ভাষায় তিনি যথার্থ দ্রষ্টা এবং স্রষ্টার মতো নির্লিপ্ত চেতনায় কাহিনী বিন্যাস করে গেছেন। তাঁর রচনায় এবং কাহিনী বিন্যাসে এমন একটি অন্তর্গত আকর্ষণ আছে, যা মনকে কখনও ক্লান্ত করে না, বরং একাধিক পাঠেও অপরিসীম আনন্দ দেয়। এই হৃদয়বান দক্ষ কথাশিল্পীকে আমরা স্বাগত জানাই।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে ঘরে বসে সময় কাটাচ্ছি এবং কেবলই মনে পড়ছে হুমায়ূন আহমেদের রচনার কিছু বৈশিষ্ট্যের কথা। তিনি শুধু একজন সৃষ্টিধর্মী লেখকই নন, বিশেষ করে কথাসাহিত্যে ও নাটকে জনমনের এবং সমগ্র জাতির হৃদয় স্পর্শ করতে হলে কী ধরনের জিনিস রচনায় দেয়া দরকার, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের রূপায়ণ ঘটানো অপরিহার্য, সে বিষয়ে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সচেতন এবং জাগ্রত সত্তা। তিনি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন, সাধারণভাবে মানুষ এবং বিশেষভাবে বাংলাদেশের মানুষ স্বদেশপ্রেমী, প্রকৃতিপ্রেমী ও সঙ্গীতপ্রেমী এবং পারলৌকিক জীবন ও সে বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে অভ্যস্ত। তারা যেমন বর্তমান জীবন সম্পর্কে ভাবেন, তেমনি পরকালের জীবন তথা পারলৌকিক জীবন সম্পর্কে ভাবতেও অভ্যস্ত। এর পরিচয় প্রায়ই আমরা পাই লোকসাহিত্যে, লোকসঙ্গীতে এবং বিশেষ করে মরমী গানে। হুমায়ূন আহমেদের কথাসাহিত্য, নাটক, চলচ্চিত্রের সঙ্গে যারা পরিচিত তারা লক্ষ্য করেছেন, এই অসাধারণ কথাশিল্পী, নাট্যকার, চলচ্চিত্রকার যেমন তাঁর উপন্যাসে নাটকের কাহিনী ও চরিত্রসৃজনের মাধ্যমে পাঠকের মনোহরণ করেছেন, তেমনি তিনি লোকসঙ্গীত, মরমী গান সৃষ্টিকর্মে ব্যবহার করেছেন অনন্যসাধারণ দক্ষতায়। তাঁর মৃত্যুর পর বিভিন্ন টেলিভিশন মাধ্যমে প্রচারিত নাটক এবং চলচ্চিত্র, যেগুলো আমি রোগশয্যায় বসে দেখেছি, সেগুলোর জীবনবাস্তবতা এবং সৃষ্টিধর্মিতা যেমন আমাকে কাঁদিয়েছে, তেমনি কাঁদিয়েছে সিনেমায়, নাটকে ব্যবহৃত লোকসঙ্গীত বিশেষ করে মরমী সঙ্গীত। আরেকটি কথা অনেকেই বলেছেন, কিন্তু আমি বিশেষভাবে বলতে চাই যে, হুমায়ূন আহমেদ তাঁর অসাধারণ দক্ষতায় এবং সৃষ্টিধর্মী প্রেরণায় মিডিয়াকে বিশেষ করে টেলিভিশনকে ব্যবহার করেছেন। তাঁর নাটক ও টেলিফিল্ম প্রচারে প্রায় বাধ্য করে অসাধারণ সাফল্যের পরিচিতি দিয়েছেন। হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টিধর্মিতা যেমন তাঁকে জনপ্রিয়তা দিয়েছে, তেমনি তাঁর বিশাল জনপ্রিয়তার পেছনে কাজ করেছে ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে ব্যবহারের ক্ষমতা। শুধু শিক্ষিত লোকেরাই নয়, শিক্ষাবঞ্চিত লোকেরাও যে তাঁর সৃষ্টিকর্মে মুগ্ধ হয়েছেন, তার একটা বড় কারণ ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অর্থাত্ টেলিভিশন ও সিনেমার মাধ্যমে প্রচারিত তাঁর গল্প-উপন্যাসের কাহিনী।
শিক্ষার অভাবে অর্থাত্ পড়তে না জানার কারণে যারা তাঁর গল্প, উপন্যাস কিংবা নাটক পড়তে পারেননি, তারা টেলিভিশনে এবং চলচ্চিত্রে কাহিনীর সঙ্গে পরিচিত হয়ে এবং বাস্তবজীবনের রূপায়ণ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। হুমায়ূন আহমেদ শুধু তাঁর লেখায় দক্ষতার পরিচয় দিয়ে পাঠকের হৃদয় হরণ করেননি, তিনি তাঁর বিপুল সাহিত্যকর্ম দিয়ে পাঠকহৃদয় হরণ করেছেন। সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক তথ্যে জানলাম, তার গ্রন্থসংখ্যা ৩২২টি, বলাবাহুল্য এর বেশিরভাগই উপন্যাস ও নাটক। এই সংখ্যা থেকে তাঁর সৃষ্টিধর্মিতা এবং লেখার সাবলীল ক্ষমতা ও প্রাণশক্তি সহজেই অনুমেয়। তিনি যে লেখাকে সমগ্র হৃদয় দিয়ে ধারণ করেছিলেন এবং সেই ধারণক্ষমতাকে রচনার মাধ্যমে উত্সারিত করেছেন, তার পরিচয় এই সংখ্যতত্ত্বেও পাওয়া যায়। ৩২২টি গ্রন্থ রচনা এক অসাধারণ সৃজনক্ষমতার সাক্ষ্য বহন করে।
অনেকে বলেন, যারা বেশি লেখেন, তারা খারাপ লেখেন। এ কথা হুমায়ূন আহমেদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তিনি বেশি লিখলেও একটি মান বজায় রেখেছেন। বেশি লেখা, কম লেখা সম্পর্কে বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত কবি-প্রাবন্ধিক ও সাহিত্য সমালোচক বুদ্ধদেব বসু বলেছেন, অনেকের ধারণা, যারা বেশি লেখেন তারা খারাপ লেখেন, কিন্তু আমি বলতে চাই, আমরা যে প্রতিভা নিয়ে জন্মাই তাতে বেশি লিখি বলেই আমরা সাহিত্যিক হিসেবে প্রতিষ্ঠালাভ করি। তিনি প্রশ্ন করেছেন—রবীন্দ্রনাথ কি বেশি লেখেননি? তার রচনাবলি তো ২৭ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। বুদ্ধদেব বসুর এই বক্তব্য স্মৃতি থেকে উদ্ধৃত। বাংলাসাহিত্যে বহু প্রতিভাবান লেখক আছেন, যারা বেশি লিখেছেন এবং সৃষ্টিক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু সবাই কি হুমায়ূন আহমেদের মতো তিন শতাধিক বই লিখেছেন? এই প্রশ্নের জবাব সাহিত্য সমালোচকরাই দিতে পারেন।
এসব কথা বলতে গিয়ে স্মৃতিপটে ভেসে উঠল হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুসংবাদের পরবর্তী একটি ঘটনা। সেদিন রাতে দিগন্ত টেলিভিশনে প্রচারিত হচ্ছিল মিউজিক আওয়ার নামে একটি সঙ্গীতানুষ্ঠান। তাতে লালনসঙ্গীত পরিবেশন করছিলেন প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন। সেই সময় এলো হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুসংবাদ। অনুষ্ঠানটি থামিয়ে দিয়ে এর উপস্থাপক মৃত্যুসংবাদটি প্রচার করলেন। কিন্তু তিনি আবেগে এবং শোকে কথা ভালোভাবে সাজিয়ে বলতে পারছিলেন না। তিনি ফরিদা পারভীনকে একটি সঙ্গীত পরিবেশনের অনুরোধ জানালেন। ফরিদা পারভীন লালনসঙ্গীতের একজন প্রখ্যাত গায়িকা। তিনি শোকাহত কণ্ঠে পরিবেশন করলেন জীবন-মৃত্যু সম্পর্কিত একটি লালনসঙ্গীত। শ্রোতাদের তরফ থেকে অনুরোধ এলো একটি বিশেষ লালনসঙ্গীত পরিবেশনের জন্য। এই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ফরিদা গাইলেন লালনের সেই বিখ্যাত গান—খাঁচার ভিতর অচিন পাখি ‘কমনে আসে-যায়/ ধরতে পারলে মনও বেড়ি দিতাম পাখির পায়। গানটি শুনে আমিও শোকাহত হয়ে গেলাম। আমার দুই চোখ হয়ে উঠল অশ্রুসিক্ত। বর্তমানে অসুস্থ অবস্থায় জীবন-মৃত্যুর ভাবনাই তো আমার নিত্যদিনের ভাবনা। কোন দিন আমার জীবনখাঁচার পাখি উড়াল দিয়ে চলে যাবে, তা কি আমি জানি?
ওই দিনের একটি অনুষ্ঠানে জনৈক অধ্যাপককে (দুঃখের বিষয় তার নামটি আমি শুনতে পাইনি) প্রশ্ন করা হয়েছিল—অনেকেই বলেন, হুমায়ূন আহমেদের রচনা কালজয়ী হবে না। আপনি স্যার কী বলেন? অধ্যাপক মহোদয় একটি চমত্কার উত্তর দিলেন—হুমায়ূন আহমেদ কালজয়ী হবেন কিনা, এই প্রশ্নের উত্তর আমি এখন কী করে দেব। এখনও তো হুময়ূনের কাল অতিক্রান্ত হয়নি। আমি তার উত্তরে মুগ্ধ হলাম। তিনি আরও বলেছিলেন, হুমায়ূনের কাল অতিক্রান্ত হলে তবেই বোঝা যাবে, তিনি কালজয়ী কিনা। এখন এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজা অবান্তর।
আমি স্মৃতি থেকে কথাগুলো বললাম। এতে হয়তো সামান্য হেরফের ঘটে থাকতে পারে। কিন্তু অধ্যাপক মহোদয়ের মূল কথা ছিল এই। হুমায়ূনের জন্যে টেলিভিশনে শোক প্রকাশ করতে গিয়ে নাটক ও সিনেমার কোনো কোনো শিল্পী বলেছেন, বর্তমানে শিল্প-সাহিত্যের ক্ষেত্রে ‘হুমায়ূনের যুগ’ চলছে। কেউ কেউ বলেছেন যেমন রবীন্দ্রযুগ, তেমনি বর্তমান কালটি হুমায়ূনের যুগ।
তাঁর মৃত্যুর পর অগণিত শিক্ষিত ও নিরক্ষর লোক শোকমিছিলে এবং জানাজায় শরিক হয়েছেন। এর পেছনে তাঁর রচনা ও চলচ্চিত্রের স্বাতন্ত্র্য এবং বৈশিষ্ট্যই কাজ করেছে। হুমায়ূন আহমেদ যে জনপ্রিয় ও জননন্দিত কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা, এটা একটা প্রতিষ্ঠিত সত্য। বলা আবশ্যক যে, জনপ্রিয় লেখক এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা আর জননন্দিত লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতার মধ্যে একটি সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে। বাংলা সাহিত্যে অনেক জনপ্রিয় শিল্পী-সাহিত্যিক আছেন, কিন্তু তারা সবাই জননন্দিত নন। জননন্দিত সেই শিল্পী-সাহিত্যিকই হন, যিনি সর্বস্তরের জনসাধারণের হৃদয় হরণ করেন। নিরক্ষর লোকেরাও যার রচনার দ্বারা মুগ্ধ ও আবিষ্ট হন। এটাকে বলা যেতে পারে এক ধরনের ম্যাজিক। কথাশিল্পী, নাট্যকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ যেন এই ম্যাজিক করায়ত্ত করেছিলেন। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ তাঁকে বেহেশত নসিব করুন।
শ্রুতিলিখন : আহমদ বাসির
সূত্র : আমার দেশ

Stumble
Delicious
Technorati
Twitter
Facebook

0 Comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন

নির্বাচিত বিষয়গুলো দেখুন

কবিতা ছোটগল্প গল্প নিবন্ধ ছড়া টিপস রম্য গল্প প্রেমের কবিতা স্বাস্থ্য কথা কৌতুক ইসলামী সাহিত্য কম্পিউটার টিপস জানা অজানা লাইফ স্ট্যাইল স্বাধীনতা স্থির চিত্র ফিচার শিশুতোষ গল্প ইসলাম কবি পরিচিতি প্রবন্ধ ইতিহাস চিত্র বিচিত্র প্রকৃতি বিজ্ঞান রম্য রচনা লিরিক ঐতিহ্য পাখি মুক্তিযুদ্ধ শরৎ শিশু সাহিত্য বর্ষা আলোচনা বিজ্ঞান ও কম্পিউটার বীরশ্রেষ্ঠ লেখক পরিচিতি স্বাস্থ টিপস উপন্যাস গাছপালা জীবনী ভিন্ন খবর হারানো ঐতিহ্য হাসতে নাকি জানেনা কেহ ছেলেবেলা ফল ফুল বিরহের কবিতা অনু গল্প প্রযুক্তি বিউটি টিপস ভ্রমণ মজার গণিত সংস্কৃতি সাক্ষাৎকার ঔষধ ডাউনলোড প্যারডী ফেসবুক মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য রম্য কবিতা সাধারণ জ্ঞান সাহিত্যিক পরিচিতি সায়েন্স ফিকশান স্বাধীনতার কবিতা স্বাধীনতার গল্প কৃষি তথ্য চতুর্দশপদী প্রেমের গল্প মোবাইল ফোন রুপকথার গল্প কাব্য ক্যারিয়ার গবেষণা গৌরব জীবনের গল্প ফটোসপ সবুজ সভ্যতা
অতনু বর্মণ অদ্বৈত মারুত অধ্যাপক গোলাম আযম অনন্ত জামান অনিন্দ্য বড়ুয়া অনুপ সাহা অনুপম দেব কানুনজ্ঞ অমিয় চক্রবর্তী অয়ন খান অরুদ্ধ সকাল অর্ক আ.শ.ম. বাবর আলী আইউব সৈয়দ আচার্য্য জগদীশচন্দ্র বসু আজমান আন্দালিব আতাউর রহমান কাবুল আতাউস সামাদ আতোয়ার রহমান আত্মভোলা (ছন্দ্রনাম) আদনান মুকিত আনিসা ফজলে লিসি আনিসুর রহমান আনিসুল হক আনোয়ারুল হক আন্জুমান আরা রিমা আবদুল ওহাব আজাদ আবদুল কুদ্দুস রানা আবদুল গাফফার চৌধুরী আবদুল মান্নান সৈয়দ আবদুল মাবুদ চৌধুরী আবদুল হাই শিকদার আবদুল হামিদ আবদুস শহীদ নাসিম আবিদ আনোয়ার আবু মকসুদ আবু সাইদ কামাল আবু সাঈদ জুবেরী আবু সালেহ আবুল কাইয়ুম আহম্মেদ আবুল মোমেন আবুল হায়াত আবুল হাসান আবুল হোসেন আবুল হোসেন খান আবেদীন জনী আব্দুল কাইয়ুম আব্দুল মান্নান সৈয়দ আব্দুল হালিম মিয়া আমানত উল্লাহ সোহান আমিনুল ইসলাম চৌধুরী আমিনুল ইসলাম মামুন আরিফুন নেছা সুখী আরিফুর রহমান খাদেম আল মাহমুদ আলম তালুকদার আশীফ এন্তাজ রবি আসমা আব্বাসী আসাদ চৌধুরী আসাদ সায়েম আসিফ মহিউদ্দীন আসিফুল হুদা আহমদ - উজ - জামান আহমদ বাসির আহমেদ আরিফ আহমেদ খালিদ আহমেদ রাজু আহমেদ রিয়াজ আহসান হাবিব আহসান হাবীব আহাম্মেদ খালিদ ইকবাল আজিজ ইকবাল খন্দকার ইব্রাহিম নোমান ইব্রাহীম মণ্ডল ইমদাদুল হক মিলন ইয়াসির মারুফ ইলিয়াস হোসেন ইশতিয়াক উত্তম মিত্র উত্তম সেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী এ কে আজাদ এ টি এম শামসুজ্জামান এ.বি.এম. ইয়াকুব আলী সিদ্দিকী একরামুল হক শামীম একে আজাদ এনামুল হায়াত এনায়েত রসুল এম আহসাবন এম. মুহাম্মদ আব্দুল গাফফার এম. হারুন অর রশিদ এরশাদ মজুদার এরশাদ মজুমদার এস এম নাজমুল হক ইমন এস এম শহীদুল আলম এস. এম. মতিউল হাসান এসএম মেহেদী আকরাম ওমর আলী ওয়াসিফ -এ-খোদা ওয়াহিদ সুজন কবি গোলাম মোহাম্মদ কমিনী রায় কাজী আনিসুল হক কাজী আবুল কালাম সিদ্দীক কাজী নজরুল ইসলাম কাজী মোস্তাক গাউসুল হক শরীফ কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম কাপালিক কামরুল আলম সিদ্দিকী কামাল উদ্দিন রায়হান কায়কোবাদ (কাজেম আলী কোরেশী) কার্তিক ঘোষ কৃষ্ণকলি ইসলাম কে এম নাহিদ শাহরিয়ার কেজি মোস্তফা খন্দকার আলমগীর হোসেন খন্দকার মুহাম্মদ হামিদুল্লাহ্ খান মুহাম্মদ মইনুদ্দীন খালেদ রাহী গাজী গিয়াস উদ্দিন গিয়াস উদ্দিন রূপম গিরিশচন্দ সেন গোলাম কিবরিয়া পিনু গোলাম নবী পান্না গোলাম মোস্তফা গোলাম মোহাম্মদ গোলাম সরোয়ার চন্দন চৌধুরী চৌধুরী ফেরদৌস ছালেহা খানম জুবিলী জ. রহমান জয়নাল আবেদীন বিল্লাল জসিম মল্লিক জসীম উদ্দিন জহির উদ্দিন বাবর জহির রহমান জহির রায়হান জাওয়াদ তাজুয়ার মাহবুব জাকিয়া সুলতানা জাকির আবু জাফর জাকির আহমেদ খান জান্নাতুল করিম চৌধুরী জান্নাতুল ফেরদাউস সীমা জাফর আহমদ জাফর তালুকদার জায়ান্ট কজওয়ে জাহাঙ্গীর আলম জাহান জাহাঙ্গীর ফিরোজ জাহিদ হোসাইন জাহিদুল গণি চৌধুরী জিয়া রহমান জিল্লুর রহমান জীবনানন্দ দাশ জুবাইদা গুলশান আরা জুবায়ের হুসাইন জুলফিকার শাহাদাৎ জেড জাওহার ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া ড. কাজী দীন মুহম্মদ ড. ফজলুল হক তুহিন ড. ফজলুল হক সৈকত ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ ড. মুহা. বিলাল হুসাইন ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ড. রহমান হাবিব ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ডক্টর সন্দীপক মল্লিক ডা: সালাহ্উদ্দিন শরীফ ডা. দিদারুল আহসান তমিজ উদদীন লোদী তাজনীন মুন তানজিল রিমন তাপস রায় তামান্না শারমিন তারক চন্দ্র দাস তারাবাঈ তারেক রহমান তারেক হাসান তাসনুবা নূসরাত ন্যান্সী তাসলিমা আলম জেনী তাহমিনা মিলি তুষার কবির তৈমুর রেজা তৈয়ব খান তৌহিদুর রহমান দর্পণ কবীর দিলওয়ার হাসান দেলোয়ার হোসেন ধ্রুব এষ ধ্রুব নীল নঈম মাহমুদ নবাব আমিন নাইমুর রশিদ লিখন নাইয়াদ নাজমুন নাহার নাজমুল ইমন নাফিস ইফতেখার নাবিল নাসির আহমেদ নাসির উদ্দিন খান নাহার মনিকা নাহিদা ইয়াসমিন নুসরাত নিজাম কুতুবী নির্জন আহমেদ অরণ্য নির্মলেন্দু গুণ নিসরাত আক্তার সালমা নীল কাব্য নীলয় পাল নুরে জান্নাত নূর মোহাম্মদ শেখ নূর হোসনা নাইস নৌশিয়া নাজনীন পীরজাদা সৈয়দ শামীম শিরাজী পুলক হাসান পুষ্পকলি প্রাঞ্জল সেলিম প্রীতম সাহা সুদীপ ফকির আবদুল মালেক ফজল শাহাবুদ্দীন ফয়সাল বিন হাফিজ ফররুখ আহমদ ফাতিহা জামান অদ্রিকা ফারুক আহমেদ ফারুক নওয়াজ ফারুক হাসান ফাহিম আহমদ ফাহিম ইবনে সারওয়ার ফেরদৌসী মাহমুদ বাদশা মিন্টু বাবুল হোসেইন বিকাশ রায় বিন্দু এনায়েত বিপ্রদাশ বড়ুয়া বেগম মমতাজ জসীম উদ্দীন বেগম রোকেয়া বেলাল হোসাইন বোরহান উদ্দিন আহমদ ম. লিপ্স্কেরভ মঈনুল হোসেন মজিবুর রহমান মন্জু মতিউর রহমান মল্লিক মতিন বৈরাগী মধু মনসুর হেলাল মনিরা চৌধুরী মনিরুল হক ফিরোজ মরুভূমির জলদস্যু মর্জিনা আফসার রোজী মশিউর রহমান মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর মা আমার ভালোবাসা মাইকেল মধুসূদন দত্ত মাওলানা মুহাম্মাদ মাকসুদা আমীন মুনিয়া মাখরাজ খান মাগরিব বিন মোস্তফা মাজেদ মানসুর মুজাম্মিল মানিক দেবনাথ মামুন হোসাইন মায়ফুল জাহিন মারজান শাওয়াল রিজওয়ান মারুফ রায়হান মালিহা মালেক মাহমুদ মাসুদ আনোয়ার মাসুদ মাহমুদ মাসুদা সুলতানা রুমী মাসুম বিল্লাহ মাহফুজ উল্লাহ মাহফুজ খান মাহফুজুর রহমান আখন্দ মাহবুব আলম মাহবুব হাসান মাহবুব হাসানাত মাহবুবা চৌধুরী মাহবুবুল আলম কবীর মাহমুদা ডলি মাহমুদুল বাসার মাহমুদুল হাসান নিজামী মাহ্‌মুদুল হক ফয়েজ মিতা জাহান মু. নুরুল হাসান মুজিবুল হক কবীর মুন্সি আব্দুর রউফ মুফতি আবদুর রহমান মুরাদুল ইসলাম মুস্তাফিজ মামুন মুহম্মদ নূরুল হুদা মুহম্মদ শাহাদাত হোসেন মুহাম্মদ আনছারুল্লাহ হাসান মুহাম্মদ আবু নাসের মুহাম্মদ আমিনুল হক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল মুহাম্মদ মহিউদ্দিন মুহাম্মাদ হাবীবুল্লাহ মুহিউদ্দীন খান মেজবাহ উদ্দিন মেহনাজ বিনতে সিরাজ মেহেদি হাসান শিশির মো: জামাল উদ্দিন মো. আরিফুজ্জামান আরিফ মোঃ আহসান হাবিব মোঃ তাজুল ইসলাম সরকার মোঃ রাকিব হাসান মোঃ রাশেদুল কবির আজাদ মোঃ সাইফুদ্দিন মোমিন মেহেদী মোর্শেদা আক্তার মনি মোশাররফ মোশাররফ হোসেন খান মোশারেফ হোসেন পাটওয়ারী মোহসেনা জয়া মোহাম্মদ আল মাহী মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন মোহাম্মদ নূরুল হক মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ্ মোহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ মোহাম্মদ সা'দাত আলী মোহাম্মদ সাদিক মোহাম্মদ হোসাইন মৌরী তানিয় যতীন্দ্র মোহন বাগচী রজনীকান্ত সেন রণক ইকরাম রফিক আজাদ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রহমান মাসুদ রহিম রায়হান রহিমা আখতার কল্পনা রাখাল রাজিব রাজিবুল আলম রাজীব রাজু আলীম রাজু ইসলাম রানা হোসেন রিয়াজ চৌধুরী রিয়াদ রুমা মরিয়ম রেজা উদ্দিন স্টালিন রেজা পারভেজ রেজাউল হাসু রেহমান সিদ্দিক রোকনুজ্জামান খান রোকেয়া খাতুন রুবী শওকত হোসেন শওকত হোসেন লিটু শওগাত আলী সাগর শফিক আলম মেহেদী শরীফ আতিক-উজ-জামান শরীফ আবদুল গোফরান শরীফ নাজমুল শাইখুল হাদিস আল্লামা আজীজুল হক শামছুল হক রাসেল শামসুজ্জামান খান শামসুর রহমান শামস্ শামীম হাসনাইন শারমিন পড়শি শাহ আব্দুল হান্নান শাহ আলম শাহ আলম বাদশা শাহ আহমদ রেজা শাহ নেওয়াজ চৌধুরী শাহ মুহাম্মদ মোশাহিদ শাহজাহান কিবরিয়া শাহজাহান মোহাম্মদ শাহনাজ পারভীন শাহাদাত হোসাইন সাদিক শাহাবুদ্দীন আহমদ শাহাবুদ্দীন নাগরী শাহিন শাহিন রিজভি শিউল মনজুর শিরিন সুলতানা শিশিরার্দ্র মামুন শুভ অংকুর শেখ হাবিবুর রহমান সজীব সজীব আহমেদ সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত সাইদা সারমিন রুমা সাইফ আলি সাইফ চৌধুরী সাইফ মাহাদী সাইফুল করীম সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদূদী সাকিব হাসান সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ সানজানা রহমান সাবরিনা সিরাজী তিতির সামছুদ্দিন জেহাদ সামিয়া পপি সাযযাদ কাদির সারোয়ার সোহেন সালমা আক্তার চৌধুরী সালমা রহমান সালেহ আকরাম সালেহ আহমদ সালেহা সুলতানা সিকদার মনজিলুর রহমান সিমু নাসের সিরহানা হক সিরাজুল ইসলাম সিরাজুল ফরিদ সুকান্ত ভট্টাচার্য সুকুমার বড়ুয়া সুকুমার রায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সুফিয়া কামাল সুভাষ মুখোপাধ্যায় সুমন সোহরাব সুমনা হক সুমন্ত আসলাম সুমাইয়া সুহৃদ সরকার সৈয়দ আরিফুল ইসলাম সৈয়দ আলমগীর সৈয়দ আলী আহসান সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন সিরাজী সৈয়দ তানভীর আজম সৈয়দ মুজতবা আলী সৈয়দ সোহরাব হানিফ মাহমুদ হামিদুর রহমান হাসান আলীম হাসান ভূইয়া হাসান মাহবুব হাসান শরীফ হাসান শান্তনু হাসান হাফিজ হাসিনা মমতাজ হুমায়ূন আহমেদ হুমায়ূন কবীর ঢালী হেলাল মুহম্মদ আবু তাহের হেলাল হাফিজ হোসেন মাহমুদ হোসেন শওকত হ্নীলার বাঁধন

মাসের শীর্ষ পঠিত

 
রায়পুর তরুণ ও যুব ফোরাম

.::jonaaki online::. © ২০১১ || টেমপ্লেট তৈরি করেছেন জোনাকী টিম || ডিজাইন ও অনলাইন সম্পাদক জহির রহমান || জোনাকী সম্পর্কে পড়ুন || জোনাকীতে বেড়াতে আসার জন্য ধন্যবাদ