তরুণ-যুবকদের মাথায় শুধু মাত্র খুনের নেশা আসে কেন? মানুষে মানুষে এত দূরত্ব কেন? একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে খুনের চিন্তা শুধু মাত্র তখনই করতে পারে যখনি জিঘাংশা বৃদ্ধি চরমে পৌঁছে। একজন আরেকজনকে তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করলেও তাতে তার মধ্যে সংুব্ধতা জেগে উঠতে পারে। শুধু আর্থিকভাবে বঞ্চনা নয়, সে বঞ্চনা প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পরামর্শ মায়া মমতা থেকে বঞ্চিত করলেও। মানবিক পারিবারিক ও সামাজিক ব্যবস্থায় এসবের গুরুত্বকে অবহেলা করা চলে না।
আমাদের চার পাশে বড় হওয়া আমাদেরই সন্তান যখন বখাটে হয়ে বড় হয়। নানা নেশায় আসক্ত হয়। খুনের মত ঘটনা ঘটায়-তাতে আজকের কলুষিত পরিবেশের পাশাপাশি অভিভাবক শ্রেণীরও দায় আছে।
সাংবাদিক ফরহাদ খাঁ দম্পতি হত্যাকান্ড। ফরহাদ খাঁর আপন ভাগ্নে মামা-মামিকে নৃশংস ও পাষন্ড কায়দায় হত্যা করলো। পুলিশের কাছে খুনির জবানবন্দি মতে, বিষয়টি আর্থিক এবং আপন আত্মীয় থেকে প্রবঞ্চিত হওয়ার পুঞ্জীভূত ােভের বহিঃ প্রকাশ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, একজন তরুণ যতই বেকারত্বের অভিশাপে জর্জরিত হোক- সে কেন নেশা করবে? তার মাথায় কেন খুনের পরিকল্পনা আসবে? আমাদের দেশে অর্থ উপার্জনের নানা উপায়- অবলম্বন আছে। সেদিকে তারা না গিয়ে তারা বখাটে হয়, তারা নেশা গ্রস্ত হয়- এর জন্য দায়ী কারা?
কিছুদিন আগে ঢাকা ইন্দিরা রোডে খৃস্টান মা-ছেলেকে যে গাড়ীর ওয়ার্কশপের তরুণ কর্মচারী খুন করলো- তাও আর্থিক লেন-দেনের বিষয়কে কেন্দ্র করে বলে শুনা গেছে। কেউ কাউকে আর্থিকভাবে লেন-দেনে বঞ্চিত করলে অথবা পতারণা করলে তার জন্যে কোর্ট-কাচারী অথবা সামাজিক সংস্থা আছে। যে সব কতটুকু ফলদায়ক ভূক্তভোগীরাই জানেন। বছরের পর বছর কোর্ট-কাচারীতে ঘুরো, আর অর্থ দন্ড দাও- এ হচ্ছে আমাদের দেশের বৃটিশ প্রণীত মান্ধাতা আমলের অবয়মান য়িষ্ণু বিচার ব্যবস্থা। আর সামাজিক সালিশ বিচারে চাঁদাবাজ, ঘুশ খোর, বিচারের নামে প্রহশনের বড়-ছোট গডফাদাররা বসে আছে সালিশ বাণিজ্য নিয়ে। সেখানেও নানা প্রতারণার বিচিত্র জাল।
কিন্তু আমি ভাবছিলাম, খুনের দায় কাঁধে নিয়ে কারো পাওনা পরিশোধের সম্ভাবনা দূরের কথা। খুন না করে কৌশলে অর্থ সম্পদ লুট করে নিয়ে গেলেতো (যদিও আমি অন্যায় লুটের পে নয়) অপরাধীরা পাওনার চাইতেও বেশী লাভবান হয়। তার পরও কেন ওদের মাথায় খুনের নেশা আসে। চিন্তার এ জঘন্য ব্যভিচার কেন? যুগের এ জঘন্য প্রবণতা কেন? সাংবাদিক ফরহাদ খাঁ দম্পতি হত্যা এবং ইন্দিরা রোডের মা-পুত্র হত্যার ঘটনার বেলায় এ প্রশ্নগুলো আসে।
এ প্রসঙ্গে মনে পড়ে এক বিজ্ঞানীর সাথে এক যুবকের কাহিনী। এক যুবক বিজ্ঞানীর কাছে গিয়েছিল তাকে কাজ দেওয়ার জন্য। বিনিময়ে সে যুবক সারা জীবন বিজ্ঞানীর চাকর হিসেবে গোলামী করবে। বিজ্ঞানী জানতেন, যুবকদের সুপ্ত সম্ভাবনার কথা। তিনি যুবকের চেতনা জাগ্রত করার মানসে প্রস্তাব করলেন। হে যুবক, তুমি সারা জীবন আমার গোলামী করা লাগবো না। তোমার একটি হাত আমাকে দাও, তার বিনিময়ে আমি তোমাকে অনেক অর্থ দেব। সে যুবক রাজী হয়নি। (কাহিনীটি সংেেপ বলা হল) বিজ্ঞানী যুবকটিকে বোঝাতে চাইলেন- তোমার মহা মূল্যবান হাত-পা-মাথা এরকম বহু মহামূল্যবান উপার্জনের হাতিয়ার জন্মগতভাবে অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও তুমি কেন অপরের গোলামীর বিনিময়ে দু’মুঠো ভাত যোগাড়ের চিন্তায় অস্থির? এই যে মানুষের সামর্থ, যোগ্যতা, সম্ভাবনা ও শ্রেষ্ঠত্ব। মানুষ মেধা ও শ্রমকে কাজে লাগিয়ে কি না করতে পারে? বিজ্ঞানী যুবকের মর্মমূলে সেদিন প্রচন্ড আঘাত হানলেন, তোমারও দু’টো অলস হাত হতে পারে মহা কর্মের হাত- ভিার হাত নয়।
ভিা বৃত্তিকে নিন্দা করতে উৎসাহিত করা হয়, কিন্তু আজ যে তরুণদের খুন বৃত্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে? এর প্রতিকার কি? এত অসাম্য-অসংগতি, প্রবঞ্চনা, প্রতারণা, অবিচার ও বিচারহীনতা এবং অধিকার দলন, এতটা দায়িত্বহীনতা ও নিষ্ঠুর ভোগবাদিতা এ সমাজকে এতটা নিষ্ঠুর নিয়তির পথে নিয়ে যাচ্ছে। যার উপসর্গ হচ্ছে তরুণদের মাঝে আজ খুনের গরল নেশা উম্মাদিত হয়ে উঠছে। যার করুণ পরিনতি নিদ্রার যে স্বাভাবিক নিরাপত্তা, তারই মাঝে বেঘোরে প্রাণ দিতে হয়; একান্ত স্বজনদের হাতে আমাদের সমাজের শিক, সাংবাদিক, উকিল, বৃদ্ধিজীবী, ব্যবসায়ী, প্রবীণ গৃহবধুদের পর্যন্ত। এ সমাজে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি কোথায়?
আমাদের চার পাশে বড় হওয়া আমাদেরই সন্তান যখন বখাটে হয়ে বড় হয়। নানা নেশায় আসক্ত হয়। খুনের মত ঘটনা ঘটায়-তাতে আজকের কলুষিত পরিবেশের পাশাপাশি অভিভাবক শ্রেণীরও দায় আছে।
সাংবাদিক ফরহাদ খাঁ দম্পতি হত্যাকান্ড। ফরহাদ খাঁর আপন ভাগ্নে মামা-মামিকে নৃশংস ও পাষন্ড কায়দায় হত্যা করলো। পুলিশের কাছে খুনির জবানবন্দি মতে, বিষয়টি আর্থিক এবং আপন আত্মীয় থেকে প্রবঞ্চিত হওয়ার পুঞ্জীভূত ােভের বহিঃ প্রকাশ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, একজন তরুণ যতই বেকারত্বের অভিশাপে জর্জরিত হোক- সে কেন নেশা করবে? তার মাথায় কেন খুনের পরিকল্পনা আসবে? আমাদের দেশে অর্থ উপার্জনের নানা উপায়- অবলম্বন আছে। সেদিকে তারা না গিয়ে তারা বখাটে হয়, তারা নেশা গ্রস্ত হয়- এর জন্য দায়ী কারা?
কিছুদিন আগে ঢাকা ইন্দিরা রোডে খৃস্টান মা-ছেলেকে যে গাড়ীর ওয়ার্কশপের তরুণ কর্মচারী খুন করলো- তাও আর্থিক লেন-দেনের বিষয়কে কেন্দ্র করে বলে শুনা গেছে। কেউ কাউকে আর্থিকভাবে লেন-দেনে বঞ্চিত করলে অথবা পতারণা করলে তার জন্যে কোর্ট-কাচারী অথবা সামাজিক সংস্থা আছে। যে সব কতটুকু ফলদায়ক ভূক্তভোগীরাই জানেন। বছরের পর বছর কোর্ট-কাচারীতে ঘুরো, আর অর্থ দন্ড দাও- এ হচ্ছে আমাদের দেশের বৃটিশ প্রণীত মান্ধাতা আমলের অবয়মান য়িষ্ণু বিচার ব্যবস্থা। আর সামাজিক সালিশ বিচারে চাঁদাবাজ, ঘুশ খোর, বিচারের নামে প্রহশনের বড়-ছোট গডফাদাররা বসে আছে সালিশ বাণিজ্য নিয়ে। সেখানেও নানা প্রতারণার বিচিত্র জাল।
কিন্তু আমি ভাবছিলাম, খুনের দায় কাঁধে নিয়ে কারো পাওনা পরিশোধের সম্ভাবনা দূরের কথা। খুন না করে কৌশলে অর্থ সম্পদ লুট করে নিয়ে গেলেতো (যদিও আমি অন্যায় লুটের পে নয়) অপরাধীরা পাওনার চাইতেও বেশী লাভবান হয়। তার পরও কেন ওদের মাথায় খুনের নেশা আসে। চিন্তার এ জঘন্য ব্যভিচার কেন? যুগের এ জঘন্য প্রবণতা কেন? সাংবাদিক ফরহাদ খাঁ দম্পতি হত্যা এবং ইন্দিরা রোডের মা-পুত্র হত্যার ঘটনার বেলায় এ প্রশ্নগুলো আসে।
এ প্রসঙ্গে মনে পড়ে এক বিজ্ঞানীর সাথে এক যুবকের কাহিনী। এক যুবক বিজ্ঞানীর কাছে গিয়েছিল তাকে কাজ দেওয়ার জন্য। বিনিময়ে সে যুবক সারা জীবন বিজ্ঞানীর চাকর হিসেবে গোলামী করবে। বিজ্ঞানী জানতেন, যুবকদের সুপ্ত সম্ভাবনার কথা। তিনি যুবকের চেতনা জাগ্রত করার মানসে প্রস্তাব করলেন। হে যুবক, তুমি সারা জীবন আমার গোলামী করা লাগবো না। তোমার একটি হাত আমাকে দাও, তার বিনিময়ে আমি তোমাকে অনেক অর্থ দেব। সে যুবক রাজী হয়নি। (কাহিনীটি সংেেপ বলা হল) বিজ্ঞানী যুবকটিকে বোঝাতে চাইলেন- তোমার মহা মূল্যবান হাত-পা-মাথা এরকম বহু মহামূল্যবান উপার্জনের হাতিয়ার জন্মগতভাবে অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও তুমি কেন অপরের গোলামীর বিনিময়ে দু’মুঠো ভাত যোগাড়ের চিন্তায় অস্থির? এই যে মানুষের সামর্থ, যোগ্যতা, সম্ভাবনা ও শ্রেষ্ঠত্ব। মানুষ মেধা ও শ্রমকে কাজে লাগিয়ে কি না করতে পারে? বিজ্ঞানী যুবকের মর্মমূলে সেদিন প্রচন্ড আঘাত হানলেন, তোমারও দু’টো অলস হাত হতে পারে মহা কর্মের হাত- ভিার হাত নয়।
ভিা বৃত্তিকে নিন্দা করতে উৎসাহিত করা হয়, কিন্তু আজ যে তরুণদের খুন বৃত্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে? এর প্রতিকার কি? এত অসাম্য-অসংগতি, প্রবঞ্চনা, প্রতারণা, অবিচার ও বিচারহীনতা এবং অধিকার দলন, এতটা দায়িত্বহীনতা ও নিষ্ঠুর ভোগবাদিতা এ সমাজকে এতটা নিষ্ঠুর নিয়তির পথে নিয়ে যাচ্ছে। যার উপসর্গ হচ্ছে তরুণদের মাঝে আজ খুনের গরল নেশা উম্মাদিত হয়ে উঠছে। যার করুণ পরিনতি নিদ্রার যে স্বাভাবিক নিরাপত্তা, তারই মাঝে বেঘোরে প্রাণ দিতে হয়; একান্ত স্বজনদের হাতে আমাদের সমাজের শিক, সাংবাদিক, উকিল, বৃদ্ধিজীবী, ব্যবসায়ী, প্রবীণ গৃহবধুদের পর্যন্ত। এ সমাজে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি কোথায়?
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন