PHC :: Program for Human Care
পি এইচ সি গঠনে চিন্তার ক্রমবিকাশ
আমি অথবা আমার মত একজন যাত্রী গাড়ীতে উঠে বসল। একটা কিশোরী সবার হাতে একটা করে ছোট্ট কাগজ ধরিয়ে দিল। তাতে লেখা : আমি অসহায় পিতা মাতা হারা একটা মেয়ে ঢাকায় ছোট কয়েক ভাই বোন নিয়ে খুব কস্টে আছি। আপনাদের বোন হিসেবে আমাকে সহযোগিতা করুন। কেউ দু দশটাকা করে দিল। ঐ যাত্রী নিজেও কয়েকজনকে বলে কয়ে কিছু আদায় করে দিল। পাশের দুএকজন বললো - আরে ভাই জানেন না, এরা প্রতারক চক্রের। দেখেন না ফার্ম গেটে ওখানে সেখানে এদেরকে পংগু করে কিভাবে বসিয়ে রাখা হয়। যদি এরা একসিডেন্টলি পঙ্গু হত তবে এত বিদঘুটে ভাবে আকৃতি পরিবর্তন হত না। দেখেন হাত পা শরীর কেমন ভয়ংকরভাবে দুমডে মুচডে যায়। ঐ যাত্রী চিন্তায় পড়ে গেল আসলে এভাবে করলে কি মেয়েটার উপকার আসলেই হবে। আর নাকি এরা প্রতারক চক্রের ক্রীড়নক।
২. আবার কখনো সেই যাত্রী কমলাপুরে, টংগীতে অথবা অন্য কোন ট্রেন স্টেশনে স্টেশনে দেখলে অসহায় বিপন্ন বুভুক্ষু মানুষের ভীড়। তাদের কি অমানুষিক অবস্থা। সভ্য সাধারন মানুষেরা এদের দিকে তাকাতেও বিব্রবোধ করে, দ্রুত অতিক্রম করে পাছে চোখ পড়ে। এরা পশু পাখির চেয়ে ও অসহায়, চরিত্রহীন, স্বভাবহীন। চরম অবস্থা মানুষকে কত নিকৃষ্ট করে দেয়। এজন্যে হয়তো শুধু ওরা নয়, পুরো সমাজটাই দায়ী। আমরা চাইলে বদলাতে পারি। শ্লোগান দিয়ে নয়। স্বচ্ছ সিস্টেম দিয়ে।
৩. ঢাকা নির্জন রাজপথে চলতে গিয়ে দেখে এরকম কোন মেয়ে রাস্তায় ঘুমিয়ে আছে। সাত বছর বয়স হয়তো। রাতে অবশ্যই কোন হায়েনার শিকার হবে সে। এটা তার নিয়তি হয়ে গেছে । কি করবে সে, একে বাসায় নিয়ে যাবে? কিছু খেতে দেবে। কাজের মেয়ে হিসেবে থাকবে। কিন্তু কজনকে কাজ দিয়ে পুনর্বাসন করবে? এরকম পুরো ঢাকায় আরো শত শত। বিপন্ন শিশু কিশোর কিশোরী, তেমনি বিপন্ন নেশাখোর হায়েনাও শত শত। কি করা যায়। অনেক কিছু করা যায়। আমার অনেক কিছু নেই কিন্তু সবার সব মিলে অনেক অনেক আছে আমাদের। সেই অনেক যারা তাদেরকে একমত যদি করা যায়, সিস্টেম যদি স্বচ্ছ হয় সবার ঐক্য সম্ভব
৪. এরকম আরো শতশত ঘটনা তার মধ্যে চিন্তার বিবর্তন ঘটায়। যেমন এক বৃদ্ধ বোঝা নিয়ে গাড়ীতে উঠতে পারছেনা। কয়েকজন বৃদ্ধ দাড়িয়ে আছে বাসে। হুমড়িখেয়ে পড়ছে। অনেক তরুন সিটে বসে আছে। কয়জনকে সে গাড়ীতে উঠাবে। কয়জনকে সে বসতে দেবে। অথচ বিষয়টা এরকম যে ১০জন যুবকের সিট ছেড়ে দেয়ার ইচ্ছে আছে। দরকার ৫টা সিট। অনেকের মন আছে। এই মনগুলো সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নেয়নি। যদি নিত তবে সমাজটা আরেকটু ভাল হত। অনেক ভাল হত। এটাই পিএইচ সি। মানবিক চিন্তাধারাকে সম্মিলিত রূপ দেয়ার উদ্যেগ। যে উদ্যেগ সবাই কামনা করেছে।
৫. চক্ষু হাসপাতাল বা পংগু হাসপতাল আছে। কিন্তু দৃষ্টি প্রতিবন্ধীকে বা শারিরিক প্রতিবন্ধীকে হাসপাতাল রাস্তা থেকে তুলে নেয় না। সে নিজেও যেতে পারেনা। চিনে না বা যাওয়ার সাধ্যও নাই। এদেরকে হাসপাতালে নিতে বেশি টাকা লাগবে না। অথচ অনেক উপকার হবে তাদের। ৫০টাকা লাগবে হয়তো। ৫০ টাকা অনেকের আছে। খরচ করতেও পারে। তার সময়ও আছে। যেমন একজন যুবক সপ্তাহে চারটা সিনেমা দেখে। তার ২০০টাকা ব্যয় হয়। সময় যায় ১২ ঘন্টা। সে যদি সিদ্ধান্ত নেয় যে এই টাকার অর্ধেক সে মানব কল্যাণ দিবে তবে সে মাসে ২টি ছবি/সিনেমা দেখুক। আর বাকীটা দিয়ে সে একজন প্রতিবন্ধীকে হাসপাতালে দিয়ে আসুক। তার ৬ ঘন্টা সময় দুটি ছবি না দেখার কারণে বেচে যাচ্ছে। কিন্তু এসময়টা দেয়া হয়না কারণ সে একা। সেকয়জনকে এভাবে সাহায্য করতে পারবে। ১জনকে পুনর্বাসন করে তো আসলেই কোন পরিবর্তন হবেনা। এরকম আরো শতশত পড়ে আছে। তাই আর করাই হয়না। এভাবেই চলছে বছরের পর বছর। সভ্য মানুষের চোখের সামনে নির্মম অমানবিকতা।
অথচ এই বিষয়টাকে একটু অন্যভাবে দেখা যাক। ঐ এলাকায় ১০০০ জন লোক আছে সম্মিলিত উদ্যেগ নেয়া হলে তারা এইকাজে সামান্য সহযোগীতা করতে পারে। তাদের সামান্য সহযোগীতায় সে এলাকার অনেক সমস্যা সমাধান হতে পারে।
গ্রামে অনেকের সময় আছে আড্ডা দেয়ার। একা একা তার বসে থাকতে ইচ্ছে করে না। এই ১ঘন্টা সময় সে আড্ডা অথবা সিনেমায় না দিয়ে সে দরিদ্র ছেলে মেয়েদেরকে শিখাতে পারে। তার মত ৬জনকে একত্রিত করলে কারো বাসায় একটা ফ্রি স্কুল করা যেতে পারে। অনেক ক্লাশ এইট পর্যন্ত পড়েছে এরকম একজন লোক অবশ্যই বাচ্চাকাচ্চাদেরকে সাধারণ বর্ণমালা যোগ বিয়োগ ইত্যাদি শেখাতে পারে।
২. আবার কখনো সেই যাত্রী কমলাপুরে, টংগীতে অথবা অন্য কোন ট্রেন স্টেশনে স্টেশনে দেখলে অসহায় বিপন্ন বুভুক্ষু মানুষের ভীড়। তাদের কি অমানুষিক অবস্থা। সভ্য সাধারন মানুষেরা এদের দিকে তাকাতেও বিব্রবোধ করে, দ্রুত অতিক্রম করে পাছে চোখ পড়ে। এরা পশু পাখির চেয়ে ও অসহায়, চরিত্রহীন, স্বভাবহীন। চরম অবস্থা মানুষকে কত নিকৃষ্ট করে দেয়। এজন্যে হয়তো শুধু ওরা নয়, পুরো সমাজটাই দায়ী। আমরা চাইলে বদলাতে পারি। শ্লোগান দিয়ে নয়। স্বচ্ছ সিস্টেম দিয়ে।
৩. ঢাকা নির্জন রাজপথে চলতে গিয়ে দেখে এরকম কোন মেয়ে রাস্তায় ঘুমিয়ে আছে। সাত বছর বয়স হয়তো। রাতে অবশ্যই কোন হায়েনার শিকার হবে সে। এটা তার নিয়তি হয়ে গেছে । কি করবে সে, একে বাসায় নিয়ে যাবে? কিছু খেতে দেবে। কাজের মেয়ে হিসেবে থাকবে। কিন্তু কজনকে কাজ দিয়ে পুনর্বাসন করবে? এরকম পুরো ঢাকায় আরো শত শত। বিপন্ন শিশু কিশোর কিশোরী, তেমনি বিপন্ন নেশাখোর হায়েনাও শত শত। কি করা যায়। অনেক কিছু করা যায়। আমার অনেক কিছু নেই কিন্তু সবার সব মিলে অনেক অনেক আছে আমাদের। সেই অনেক যারা তাদেরকে একমত যদি করা যায়, সিস্টেম যদি স্বচ্ছ হয় সবার ঐক্য সম্ভব
৪. এরকম আরো শতশত ঘটনা তার মধ্যে চিন্তার বিবর্তন ঘটায়। যেমন এক বৃদ্ধ বোঝা নিয়ে গাড়ীতে উঠতে পারছেনা। কয়েকজন বৃদ্ধ দাড়িয়ে আছে বাসে। হুমড়িখেয়ে পড়ছে। অনেক তরুন সিটে বসে আছে। কয়জনকে সে গাড়ীতে উঠাবে। কয়জনকে সে বসতে দেবে। অথচ বিষয়টা এরকম যে ১০জন যুবকের সিট ছেড়ে দেয়ার ইচ্ছে আছে। দরকার ৫টা সিট। অনেকের মন আছে। এই মনগুলো সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নেয়নি। যদি নিত তবে সমাজটা আরেকটু ভাল হত। অনেক ভাল হত। এটাই পিএইচ সি। মানবিক চিন্তাধারাকে সম্মিলিত রূপ দেয়ার উদ্যেগ। যে উদ্যেগ সবাই কামনা করেছে।
৫. চক্ষু হাসপাতাল বা পংগু হাসপতাল আছে। কিন্তু দৃষ্টি প্রতিবন্ধীকে বা শারিরিক প্রতিবন্ধীকে হাসপাতাল রাস্তা থেকে তুলে নেয় না। সে নিজেও যেতে পারেনা। চিনে না বা যাওয়ার সাধ্যও নাই। এদেরকে হাসপাতালে নিতে বেশি টাকা লাগবে না। অথচ অনেক উপকার হবে তাদের। ৫০টাকা লাগবে হয়তো। ৫০ টাকা অনেকের আছে। খরচ করতেও পারে। তার সময়ও আছে। যেমন একজন যুবক সপ্তাহে চারটা সিনেমা দেখে। তার ২০০টাকা ব্যয় হয়। সময় যায় ১২ ঘন্টা। সে যদি সিদ্ধান্ত নেয় যে এই টাকার অর্ধেক সে মানব কল্যাণ দিবে তবে সে মাসে ২টি ছবি/সিনেমা দেখুক। আর বাকীটা দিয়ে সে একজন প্রতিবন্ধীকে হাসপাতালে দিয়ে আসুক। তার ৬ ঘন্টা সময় দুটি ছবি না দেখার কারণে বেচে যাচ্ছে। কিন্তু এসময়টা দেয়া হয়না কারণ সে একা। সেকয়জনকে এভাবে সাহায্য করতে পারবে। ১জনকে পুনর্বাসন করে তো আসলেই কোন পরিবর্তন হবেনা। এরকম আরো শতশত পড়ে আছে। তাই আর করাই হয়না। এভাবেই চলছে বছরের পর বছর। সভ্য মানুষের চোখের সামনে নির্মম অমানবিকতা।
অথচ এই বিষয়টাকে একটু অন্যভাবে দেখা যাক। ঐ এলাকায় ১০০০ জন লোক আছে সম্মিলিত উদ্যেগ নেয়া হলে তারা এইকাজে সামান্য সহযোগীতা করতে পারে। তাদের সামান্য সহযোগীতায় সে এলাকার অনেক সমস্যা সমাধান হতে পারে।
গ্রামে অনেকের সময় আছে আড্ডা দেয়ার। একা একা তার বসে থাকতে ইচ্ছে করে না। এই ১ঘন্টা সময় সে আড্ডা অথবা সিনেমায় না দিয়ে সে দরিদ্র ছেলে মেয়েদেরকে শিখাতে পারে। তার মত ৬জনকে একত্রিত করলে কারো বাসায় একটা ফ্রি স্কুল করা যেতে পারে। অনেক ক্লাশ এইট পর্যন্ত পড়েছে এরকম একজন লোক অবশ্যই বাচ্চাকাচ্চাদেরকে সাধারণ বর্ণমালা যোগ বিয়োগ ইত্যাদি শেখাতে পারে।
-তারেক হাসান শুভ
PHC এর মুল ধারণা
PHC গড়ে উঠবে অনেকটা open source community(যেমনঃ Wikipedia, open source software) এর উপর ভিত্তি করে যেখানে অনেক সেচ্ছাসেবক কাজ করে এবং অনেকে উন্নতির জন্য অনুদান দেয়।PHC এর প্রধান লক্ষইয় হবে উন্নত দেশের মত বাংলাদেশে পরনির্ভরশিলতা কমানো(যেমনঃ ভিক্ষাবৃত্তি)। এর কাজ প্রথমে ঢাকা থেকে শুরু হবে। প্রতি স্কুলে ৪জন সেচ্ছাসেবি প্রতিনিধি থাকবে যাদের ১টি যোথ একাউন্ট থাকবে। এতে ওই এলাকার লোকজন এর দান করা টাকা জমা হবে।আর টাকা উঠাতে হলে ৪ জন এর সই লাগবে।
ব্যক্তিবিশেষের donation থেকে Fund Automatically ব্যবহ্রিত হবে দুঃস্থদের কল্যানে যেখানে অনি্যম , সেচ্ছাচারিতার সুযোগ থাকবে না।এজন্য PHC এর পরিচালনা কমিটি হবে Decentralized. যেখানে যে কেউ, যে কোন সময় এসে সেচ্ছা শ্রম দিতে পারে। কেন্দ্রিয় কমিটি বলে কিছু থাকবে না।
- PHC এর Structure/গঠনপ্রণালি এমনভাবে গঠিত/প্রনিত হবে যাতে সর্বস্তরে সর্বোচ্চ সচ্ছতা বজায় রাখা যায়। এজন্য PHC Structure টি প্রখ্যাত ব্যক্তি দিয়ে পরিক্ষা ও সংশোধন করা হবে। এবং সকল আয়-ব্যয় এর হিসাব সবাই দেখতে পারবে।
ব্যক্তিবিশেষের donation থেকে Fund Automatically ব্যবহ্রিত হবে দুঃস্থদের কল্যানে যেখানে অনি্যম , সেচ্ছাচারিতার সুযোগ থাকবে না।এজন্য PHC এর পরিচালনা কমিটি হবে Decentralized. যেখানে যে কেউ, যে কোন সময় এসে সেচ্ছা শ্রম দিতে পারে। কেন্দ্রিয় কমিটি বলে কিছু থাকবে না।
- PHC এর Structure/গঠনপ্রণালি এমনভাবে গঠিত/প্রনিত হবে যাতে সর্বস্তরে সর্বোচ্চ সচ্ছতা বজায় রাখা যায়। এজন্য PHC Structure টি প্রখ্যাত ব্যক্তি দিয়ে পরিক্ষা ও সংশোধন করা হবে। এবং সকল আয়-ব্যয় এর হিসাব সবাই দেখতে পারবে।
- আবু বকর সিদ্দিক রচিত
Program for Human Care (PHP) রূপরেখা
প্রায়ই আমরা বিপন্ন মানুষের সম্মুখিন হই। একক ভাবে তাদের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। তাইতো কিছু আত্মত্যাগী যুব শক্তিকে একত্র করে গঠন করতে যাচ্ছি পোগ্রাম ফর হিউম্যান কেয়ার।
নিছে পোগ্রাম ফর হিউম্যান কেয়ার এর (প্রস্তাবিত) রূপরেখা তুলে ধরা হলো।
১। কেন্দ্রীয় প্রর্যায়েঃ
ক) কেন্দ্রীয় প্রর্যায়ে কোন কমিটি হবেনা। কোন সমস্যা হলে প্রত্যেক প্রতিনিধির মিলিত সিদ্ধান্তই গ্রহণীয় হবে। প্রত্যেক প্রতিনিধি হবে সমমানের।
খ) যেহেতু কেন্দ্রীয় কমিটি থাকবেনা সেহেতু অফিস বা স্টাফ ও থাকবেনা। কেননা এতে অনেকটা বাড়তি খরচ হয়ে যাবে কিংবা আত্মসাতের সম্ভাবনা থাকে।
গ) তবে বিশেষ প্রয়োজনে সাময়িক প্রয়োজনে প্রত্যেক প্রতিনিধির মতামতের আলোকে একজনকে উপদ্রেষ্টা করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রতিনিধি নিয়ে উপদ্রেষ্টা পরিষদ গঠিত হবে যারা নির্দিষ্ট কাজ শেষে এমনিতেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
২। প্রতিনিধি হবে:
ক) স্কুল প্রর্যায়ে
খ) কলেজ প্রর্যায়ে
গ) বিশ্ববিদ্যালয় প্রর্যায়ে
ঘ) স্থানীয় প্রর্যায়ে
স্কুল প্রর্যায়ের জন্য একজন শিক্ষক অবশ্যই প্রতিনিধি প্যানেলে রাখতে চেষ্টা করতে হবে। এবং প্রতিনিধিগন আত্মত্যাগের মানুষিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। এখান থেকে প্রতিনিধিদের পাওয়ার কোন সুযোগ থাকবেনা বরঞ্চ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নিজ থেকে দিতে হবে। এখানে শুধু সেই সময়টুকু দিতে হবে যা আপনার কাজ শেষে অবশিষ্ট থাকে। প্রতিনিধি এমন হবে যাদের বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতির রেকর্ড নাই। সকলের মতামতের উপর ভিত্তি করেই প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন।
৩। কর্মকান্ড গুলোঃ
ক) পরনির্ভরশীলতা এবং তাদের পুণরবাসনঃ পরনির্ভরশীলতা কমানোর জন্য কাজ করা। প্রয়োজনে ক্ষুদে শিল্প প্রতিষ্ঠায় সহযোগীতা করা।
খ) করজে হাসানা প্রদাণঃ যার দ্বারা ক্ষুদে শিল্প প্রতিষ্ঠা করে পরে লাভ থেকে টাকাটা ফেরত দিতে পারলে ফেরত দেবে।
গ) ঋণ প্রদানঃ বিনা সুদে গরীব অসহায়দের ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করা। যার দ্বারা সে ক্ষুদে শিল্প গড়ে তার আয় দিয়ে আমাদের টাকা গুলো ফেরত দেবে।
ঘ) পথশিশু/টোকাই/সুবিধা বঞ্চিতদের শিক্ষা ও অন্নের ব্যবস্থাঃ স্বেচ্ছা শিক্ষক দিয়ে তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
ঙ) হয়রানীমুলক কর্মকান্ড বন্ধ করাঃ সমাজের সকল প্রকার হয়রানীমূলক কর্মকান্ড বন্ধ করতে কাজ করা। প্রয়োজনে আইনি সহায়তা প্রদান করা।
চ) বাল্য বিবাহ বন্ধ করাঃ অনেক সন্তান অনিচ্ছা থাকা সত্বেও মাবাবার মুখের দিকে তাকিয়ে মুখ বুজে সহ্য করে নেয় যদিও দেশে আইন করে এগুলো বন্ধ করা হয়েছে। আমরা তাদের মা-বাবা কে বুঝাতে পারি। বাল্যে বিবাহের ক্ষতিকর দিক গুলো তুলে ধরতে পারি কেননা, এই বাল্য বিবাহের কারণে অপ্রাপ্ত বয়সে মাতৃত্বলাভ করতে গিয়ে অনেকেই মৃত্যুমুখে পতিত হয়। প্রয়োজনে কোন মানবাধীকার বা আইনকে ইনফর্ম করতে পারি।
ছ) বৃদ্ধ ও অসহায়দের বিভিন্ন কাজে সহযোগীতা করা।
জ) শ্রমিক মজুরীর প্রাপ্য আদায়ে সহযোগীতা করা।
ঞ) পত্র-পত্রিকায় বিবৃতিঃ বিভিন্ন সময় সাময়িক বিষয়ের আলোকে পত্র/পত্রিকায় বিবৃতি প্রদান করা।
ট) রক্তদানঃ কখনও কখনও এমন হয় যে একজন মুমূর্ষ রোগীর জন্য রক্তের প্রয়োজন কিন্তু রক্ত পাওয়া যাচ্ছেনা। সেক্ষেত্রে যদি আপনার রক্তের সাথে মিলে যায় তবে রক্ত দিয়ে তাকে বাঁচিয়ে তুলতে চেষ্টা করা। রক্ত সংগ্রহ করে দিতে চেষ্টা করা।
ঠ) গরীব মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের পড়ালেখা চালিয়ে নেওয়াতে সহযোগীতা করা।
৪। ফান্ড- আয়/ব্যয়ঃ
ক) ফান্ড গঠন করা হবে এলাকা/স্কুল/বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজ প্রর্যায়ে।
খ) ফান্ডের অর্থ আসবে সাধারনতঃ প্রতিনিধিদের দানে, উপদ্রেষ্টা, শুভাকাংখী দাতা শ্রেণীর দানে।
গ) অর্থ সাধারনতঃ কর্মকান্ডগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় হবে।
ঘ) চার জনের নামে একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হবে এবং টাকা তুলতে চারজনেরই স্বাক্ষর লাগবে।
ঙ) স্থানীয় প্রভাবশালী দ্বারা অডিট করা হবে।
নিছে পোগ্রাম ফর হিউম্যান কেয়ার এর (প্রস্তাবিত) রূপরেখা তুলে ধরা হলো।
১। কেন্দ্রীয় প্রর্যায়েঃ
ক) কেন্দ্রীয় প্রর্যায়ে কোন কমিটি হবেনা। কোন সমস্যা হলে প্রত্যেক প্রতিনিধির মিলিত সিদ্ধান্তই গ্রহণীয় হবে। প্রত্যেক প্রতিনিধি হবে সমমানের।
খ) যেহেতু কেন্দ্রীয় কমিটি থাকবেনা সেহেতু অফিস বা স্টাফ ও থাকবেনা। কেননা এতে অনেকটা বাড়তি খরচ হয়ে যাবে কিংবা আত্মসাতের সম্ভাবনা থাকে।
গ) তবে বিশেষ প্রয়োজনে সাময়িক প্রয়োজনে প্রত্যেক প্রতিনিধির মতামতের আলোকে একজনকে উপদ্রেষ্টা করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রতিনিধি নিয়ে উপদ্রেষ্টা পরিষদ গঠিত হবে যারা নির্দিষ্ট কাজ শেষে এমনিতেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
২। প্রতিনিধি হবে:
ক) স্কুল প্রর্যায়ে
খ) কলেজ প্রর্যায়ে
গ) বিশ্ববিদ্যালয় প্রর্যায়ে
ঘ) স্থানীয় প্রর্যায়ে
স্কুল প্রর্যায়ের জন্য একজন শিক্ষক অবশ্যই প্রতিনিধি প্যানেলে রাখতে চেষ্টা করতে হবে। এবং প্রতিনিধিগন আত্মত্যাগের মানুষিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। এখান থেকে প্রতিনিধিদের পাওয়ার কোন সুযোগ থাকবেনা বরঞ্চ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নিজ থেকে দিতে হবে। এখানে শুধু সেই সময়টুকু দিতে হবে যা আপনার কাজ শেষে অবশিষ্ট থাকে। প্রতিনিধি এমন হবে যাদের বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতির রেকর্ড নাই। সকলের মতামতের উপর ভিত্তি করেই প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন।
৩। কর্মকান্ড গুলোঃ
ক) পরনির্ভরশীলতা এবং তাদের পুণরবাসনঃ পরনির্ভরশীলতা কমানোর জন্য কাজ করা। প্রয়োজনে ক্ষুদে শিল্প প্রতিষ্ঠায় সহযোগীতা করা।
খ) করজে হাসানা প্রদাণঃ যার দ্বারা ক্ষুদে শিল্প প্রতিষ্ঠা করে পরে লাভ থেকে টাকাটা ফেরত দিতে পারলে ফেরত দেবে।
গ) ঋণ প্রদানঃ বিনা সুদে গরীব অসহায়দের ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করা। যার দ্বারা সে ক্ষুদে শিল্প গড়ে তার আয় দিয়ে আমাদের টাকা গুলো ফেরত দেবে।
ঘ) পথশিশু/টোকাই/সুবিধা বঞ্চিতদের শিক্ষা ও অন্নের ব্যবস্থাঃ স্বেচ্ছা শিক্ষক দিয়ে তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
ঙ) হয়রানীমুলক কর্মকান্ড বন্ধ করাঃ সমাজের সকল প্রকার হয়রানীমূলক কর্মকান্ড বন্ধ করতে কাজ করা। প্রয়োজনে আইনি সহায়তা প্রদান করা।
চ) বাল্য বিবাহ বন্ধ করাঃ অনেক সন্তান অনিচ্ছা থাকা সত্বেও মাবাবার মুখের দিকে তাকিয়ে মুখ বুজে সহ্য করে নেয় যদিও দেশে আইন করে এগুলো বন্ধ করা হয়েছে। আমরা তাদের মা-বাবা কে বুঝাতে পারি। বাল্যে বিবাহের ক্ষতিকর দিক গুলো তুলে ধরতে পারি কেননা, এই বাল্য বিবাহের কারণে অপ্রাপ্ত বয়সে মাতৃত্বলাভ করতে গিয়ে অনেকেই মৃত্যুমুখে পতিত হয়। প্রয়োজনে কোন মানবাধীকার বা আইনকে ইনফর্ম করতে পারি।
ছ) বৃদ্ধ ও অসহায়দের বিভিন্ন কাজে সহযোগীতা করা।
জ) শ্রমিক মজুরীর প্রাপ্য আদায়ে সহযোগীতা করা।
ঞ) পত্র-পত্রিকায় বিবৃতিঃ বিভিন্ন সময় সাময়িক বিষয়ের আলোকে পত্র/পত্রিকায় বিবৃতি প্রদান করা।
ট) রক্তদানঃ কখনও কখনও এমন হয় যে একজন মুমূর্ষ রোগীর জন্য রক্তের প্রয়োজন কিন্তু রক্ত পাওয়া যাচ্ছেনা। সেক্ষেত্রে যদি আপনার রক্তের সাথে মিলে যায় তবে রক্ত দিয়ে তাকে বাঁচিয়ে তুলতে চেষ্টা করা। রক্ত সংগ্রহ করে দিতে চেষ্টা করা।
ঠ) গরীব মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের পড়ালেখা চালিয়ে নেওয়াতে সহযোগীতা করা।
৪। ফান্ড- আয়/ব্যয়ঃ
ক) ফান্ড গঠন করা হবে এলাকা/স্কুল/বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজ প্রর্যায়ে।
খ) ফান্ডের অর্থ আসবে সাধারনতঃ প্রতিনিধিদের দানে, উপদ্রেষ্টা, শুভাকাংখী দাতা শ্রেণীর দানে।
গ) অর্থ সাধারনতঃ কর্মকান্ডগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় হবে।
ঘ) চার জনের নামে একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হবে এবং টাকা তুলতে চারজনেরই স্বাক্ষর লাগবে।
ঙ) স্থানীয় প্রভাবশালী দ্বারা অডিট করা হবে।
- জহির রহমান
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন