আমি হচ্ছি সেই বাঘ, যার চরিত্রকে কটাক্ষ করে একটা গল্প এই দেশে চালু আছে। গল্পটা সবাই জানে, বইপত্রে তার শিরোনাম হচ্ছে দুষ্টু বাঘ। গল্পটা এ রকম:
এক বাড়ির সামনে একটা খাঁচায় একটা বাঘকে আটকে রাখা হয়েছে। সেই খাঁচার সামনে দিয়ে যে-ই যায় বাঘ তাকে অনুনয়-বিনয় করে তাকে ছেড়ে দিতে বলে। একজন বোকাসোকা পণ্ডিত সত্যি সত্যি খাঁচা খুলে বাঘকে ছেড়ে দিল। বাঘ বের হয়েই পণ্ডিতকে বলল, ‘আমি তোমাকে খাব।’ পণ্ডিত বলল, ‘আমি তোমাকে ছেড়ে দিলাম আর তুমি আমাকে খাবে, এটা কেমন কথা!’ বাঘ বলল, ‘এটাই জগতের নিয়ম।’ ঠিক এ রকম সময় সেদিক দিয়ে একটা শেয়াল যাচ্ছিল। পণ্ডিতমশায় তখন তাকে সাক্ষী মানল। বলল, ‘ভাই শেয়াল, এই বাঘটা খাঁচার মাঝে আটকা ছিল, আমি এই পথে যাচ্ছিলাম, তখন বাঘটা বলল তাকে ছেড়ে দিতে।’ শেয়াল বলল, ‘এই পথটা খাঁচার মাঝে আটকা পড়েছিল। তখন বাঘটা হেঁটে যাচ্ছিল?’ পণ্ডিত বলল, ‘আরে না, না—বাঘটা খাঁচার মাঝে আটকা পড়েছিল, আমি হেঁটে যাচ্ছিলাম।’ শেয়াল বলল, ‘তুমি খাঁচার মাঝে ছিলে, বাঘটা হেঁটে যাচ্ছিল?’ বাঘটা বলল, ‘ধুর বোকা। তুমি কিছুই বোঝ না। আমি খাঁচার মাঝে ছিলাম, পণ্ডিত হেঁটে যাচ্ছিল।’ শেয়াল তবুও বোঝে না। বাঘ বিরক্ত হয়ে বলল, ‘তুমি কিছুই বোঝ না।’ সে তখন খাঁচার ভেতরে ঢুকে বলল, ‘আমি এইভাবে খাঁচার মাঝে ছিলাম।’ তখন শেয়াল খাঁচা বন্ধ করে তালা মেরে দিল। তারপর পণ্ডিতকে বলল, ‘এখন তুমি বাড়ি যাও। আর শোনো, ভবিষ্যতে কখনো কোনো দুষ্টু বাঘের উপকার করতে যেয়ো না। তাহলে সে নির্ঘাত তোমার ঘাড় মটকে খাবে।’
এইটা হচ্ছে গল্প আর এই গল্প দিয়ে এই দেশের ছেলে, বুড়ো সবাইকে বোঝানো হয়েছে আমি দুষ্টু এবং আমাকে বোকা বানিয়ে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আমার মনে হয় এখন সত্যি কথা বলার সময় হয়েছে। আমি মোটেও দুষ্টু বাঘ নই এবং সত্যি কথা বলতে কি আমার প্রতি আসলে ঘোরতর অবিচার করা হয়েছিল। আমি এখন জাতির সামনে সত্যিকারের কাহিনীটা তুলে ধরতে চাই।
সবাই নিশ্চয়ই লক্ষ করেছে গল্পের শুরুতে বলা হয়েছে একটা বাঘকে একটা খাঁচার মাঝে আটকে রাখা হয়েছে। আমি মুক্ত এবং স্বাধীন একটা বাঘ, সুন্দরবনে আমি ঘুরে বেড়াই, দেশ-বিদেশ থেকে লোকজন আমাকে দেখতে সুন্দরবনে যায়, আমার ফটো তোলে। আমাকে কেমন করে খাঁচায় আটকানো হলো সেই কথাটা কেউ বলে না। আসলে একটা অজ্ঞান পার্টি আমার খাবারে বিষ দিয়ে অজ্ঞান করে খাঁচার ভেতরে নিয়ে এসেছিল। একটা বন্য পশুকে খাঁচার ভেতরে আটকে রাখলে বন্য পশু অধিদপ্তরের কঠোর শাস্তি দেওয়ার কথা কিন্তু অনেক টাকা ঘুষ দিয়ে কর্মকর্তাদের মুখ বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।
যাই হোক, স্বাভাবিক কারণেই আমি খাঁচা থেকে বের হতে চাইতাম এবং যে-ই আসত, তাকেই বলতাম আমাকে বের করে দেওয়ার জন্য। নিষ্ঠুর মানুষেরা কেউ আমার খাঁচা খুলে দিল না। একদিন একটা বোকা পণ্ডিত খাঁচার সামনে দাঁড়িয়ে একটা লাঠি দিয়ে আমাকে খোঁচা দিতে লাগল। পশু নির্যাতন আইনে তার বিচার হওয়া উচিত, কিন্তু কে তার বিচার করবে? আমি তাকে বললাম, ‘কেন আমাকে খোঁচাখুঁচি করছ। তার চাইতে তুমি আমাকে ছেড়ে দাও আমি তোমাকে সুন্দরবনে একটা প্লট জোগাড় করে দেব। সেইখানে তুমি একটা হোটেল বানাতে পারবে। সুন্দরবন যখন সপ্তাশ্চর্য হয়ে যাবে তখন লাখ লাখ টাকা কামাই করতে হবে।’ লোভী পণ্ডিত তখন খাঁচার দরজা খুলে দিল। বের হয়ে আমি পণ্ডিতের টুঁটি চেপে ধরে বললাম, ‘ব্যাটা পণ্ডিত, তোকে আমি খাব।’ এইখানে বলে নেওয়া দরকার, আমি মোটেও তাকে খেতাম না, শুধু ভয় দেখানোর জন্য বলেছিলাম। সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগাররা শুকনো হাড় জিরজিরে মানুষ খায় না, তারা সুস্বাদু হরিণের মাংস খায়। আমার কথা বিশ্বাস না হলে উইকিপিডিয়াতে গিয়ে আমাদের খাদ্য কী সেটা যে কেউ দেখতে পারে।
যাই হোক, আমার কথা শুনে বোকা এবং লোভী পণ্ডিত এতই ভয় পেয়ে গেল যে তার কাপড় নষ্ট হয়ে গেল—আমি তার আর বিস্তারিত বর্ণনা দিতে চাই না। ঠিক তখন শেয়াল এদিক দিয়ে যাচ্ছিল। সবাই জানে শেয়াল হচ্ছে প্রতারক, ধূর্ত এবং ঠগ। নিরীহ কুমিরছানাদের খেয়ে ফেলার জন্য তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী আইনে মামলা আছে। পণ্ডিত শেয়ালকে বলল, ‘ভাই শেয়াল, আমাকে বাঁচাও।’ শেয়াল আমাকে বলল, ‘বাঘ ভাই, এই শুকনো হাড় জিরজিরে পণ্ডিতকে মেরে কী হবে, ব্যাটাকে ছেড়ে দেন। খাঁচায় দীর্ঘদিন থেকে আপনার চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে, আমার কাছে চোখের ক্রিম আছে আপনার চোখে লাগিয়ে দিই।’
আমার শেয়ালকে বিশ্বাস করা ঠিক হয় নাই। আমি সত্ এবং ন্যায়বান, ধরে নিই সবাই বুঝি আমার মতন। আমি তখনও জানি না যে শেয়াল মলম পার্টিতে যোগ দিয়েছে। সে আমার দুই চোখে মলম লাগিয়ে দিল। সঙ্গে সঙ্গে আমার চোখে কী যন্ত্রণা! চোখে কিছু দেখি না, কোন দিকে যাচ্ছি কিছুই বুঝতে পারি না। একটা লাফ দিয়েছি, ভুল করে খাঁচার ভেতরেই ঢুকে গেছি। সঙ্গে সঙ্গে খাঁচার দরজা বন্ধ করে শেয়াল তালা মেরে দিয়েছে।
সেই থেকে আমি এখনো খাঁচার ভেতরে আটকা। খবর পেয়েছি শেয়াল ক্রসফায়ারে মারা পড়েছে। পণ্ডিত চিনি মজুদ করে ব্যবসা করে অনেক টাকা কামিয়েছে। আমি বন্য পশু অধিদপ্তরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। একদিন নিশ্চয়ই আমি যুক্ত হব, আবার সুন্দরবনে ফিরে যাব। ফিরে যাওয়ার আগে আমি সংবাদ সম্মেলন করে সত্য কথাটি সবার সামনে প্রকাশ করে যাব। যতদিন সেটা না হচ্ছে ততদিন আমি সবাইকে জানাতে চাই আমি দুষ্টু বাঘ নই, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার একটি অবহেলিত, নির্যাতিত নিপীড়িত বাঘ।
বইপত্রে আমাদের সম্পর্কে লেখা মিথ্যা গল্প পড়ে কেউ যেন আর বিভ্রান্ত না হন।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো,
এক বাড়ির সামনে একটা খাঁচায় একটা বাঘকে আটকে রাখা হয়েছে। সেই খাঁচার সামনে দিয়ে যে-ই যায় বাঘ তাকে অনুনয়-বিনয় করে তাকে ছেড়ে দিতে বলে। একজন বোকাসোকা পণ্ডিত সত্যি সত্যি খাঁচা খুলে বাঘকে ছেড়ে দিল। বাঘ বের হয়েই পণ্ডিতকে বলল, ‘আমি তোমাকে খাব।’ পণ্ডিত বলল, ‘আমি তোমাকে ছেড়ে দিলাম আর তুমি আমাকে খাবে, এটা কেমন কথা!’ বাঘ বলল, ‘এটাই জগতের নিয়ম।’ ঠিক এ রকম সময় সেদিক দিয়ে একটা শেয়াল যাচ্ছিল। পণ্ডিতমশায় তখন তাকে সাক্ষী মানল। বলল, ‘ভাই শেয়াল, এই বাঘটা খাঁচার মাঝে আটকা ছিল, আমি এই পথে যাচ্ছিলাম, তখন বাঘটা বলল তাকে ছেড়ে দিতে।’ শেয়াল বলল, ‘এই পথটা খাঁচার মাঝে আটকা পড়েছিল। তখন বাঘটা হেঁটে যাচ্ছিল?’ পণ্ডিত বলল, ‘আরে না, না—বাঘটা খাঁচার মাঝে আটকা পড়েছিল, আমি হেঁটে যাচ্ছিলাম।’ শেয়াল বলল, ‘তুমি খাঁচার মাঝে ছিলে, বাঘটা হেঁটে যাচ্ছিল?’ বাঘটা বলল, ‘ধুর বোকা। তুমি কিছুই বোঝ না। আমি খাঁচার মাঝে ছিলাম, পণ্ডিত হেঁটে যাচ্ছিল।’ শেয়াল তবুও বোঝে না। বাঘ বিরক্ত হয়ে বলল, ‘তুমি কিছুই বোঝ না।’ সে তখন খাঁচার ভেতরে ঢুকে বলল, ‘আমি এইভাবে খাঁচার মাঝে ছিলাম।’ তখন শেয়াল খাঁচা বন্ধ করে তালা মেরে দিল। তারপর পণ্ডিতকে বলল, ‘এখন তুমি বাড়ি যাও। আর শোনো, ভবিষ্যতে কখনো কোনো দুষ্টু বাঘের উপকার করতে যেয়ো না। তাহলে সে নির্ঘাত তোমার ঘাড় মটকে খাবে।’
এইটা হচ্ছে গল্প আর এই গল্প দিয়ে এই দেশের ছেলে, বুড়ো সবাইকে বোঝানো হয়েছে আমি দুষ্টু এবং আমাকে বোকা বানিয়ে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আমার মনে হয় এখন সত্যি কথা বলার সময় হয়েছে। আমি মোটেও দুষ্টু বাঘ নই এবং সত্যি কথা বলতে কি আমার প্রতি আসলে ঘোরতর অবিচার করা হয়েছিল। আমি এখন জাতির সামনে সত্যিকারের কাহিনীটা তুলে ধরতে চাই।
সবাই নিশ্চয়ই লক্ষ করেছে গল্পের শুরুতে বলা হয়েছে একটা বাঘকে একটা খাঁচার মাঝে আটকে রাখা হয়েছে। আমি মুক্ত এবং স্বাধীন একটা বাঘ, সুন্দরবনে আমি ঘুরে বেড়াই, দেশ-বিদেশ থেকে লোকজন আমাকে দেখতে সুন্দরবনে যায়, আমার ফটো তোলে। আমাকে কেমন করে খাঁচায় আটকানো হলো সেই কথাটা কেউ বলে না। আসলে একটা অজ্ঞান পার্টি আমার খাবারে বিষ দিয়ে অজ্ঞান করে খাঁচার ভেতরে নিয়ে এসেছিল। একটা বন্য পশুকে খাঁচার ভেতরে আটকে রাখলে বন্য পশু অধিদপ্তরের কঠোর শাস্তি দেওয়ার কথা কিন্তু অনেক টাকা ঘুষ দিয়ে কর্মকর্তাদের মুখ বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।
যাই হোক, স্বাভাবিক কারণেই আমি খাঁচা থেকে বের হতে চাইতাম এবং যে-ই আসত, তাকেই বলতাম আমাকে বের করে দেওয়ার জন্য। নিষ্ঠুর মানুষেরা কেউ আমার খাঁচা খুলে দিল না। একদিন একটা বোকা পণ্ডিত খাঁচার সামনে দাঁড়িয়ে একটা লাঠি দিয়ে আমাকে খোঁচা দিতে লাগল। পশু নির্যাতন আইনে তার বিচার হওয়া উচিত, কিন্তু কে তার বিচার করবে? আমি তাকে বললাম, ‘কেন আমাকে খোঁচাখুঁচি করছ। তার চাইতে তুমি আমাকে ছেড়ে দাও আমি তোমাকে সুন্দরবনে একটা প্লট জোগাড় করে দেব। সেইখানে তুমি একটা হোটেল বানাতে পারবে। সুন্দরবন যখন সপ্তাশ্চর্য হয়ে যাবে তখন লাখ লাখ টাকা কামাই করতে হবে।’ লোভী পণ্ডিত তখন খাঁচার দরজা খুলে দিল। বের হয়ে আমি পণ্ডিতের টুঁটি চেপে ধরে বললাম, ‘ব্যাটা পণ্ডিত, তোকে আমি খাব।’ এইখানে বলে নেওয়া দরকার, আমি মোটেও তাকে খেতাম না, শুধু ভয় দেখানোর জন্য বলেছিলাম। সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগাররা শুকনো হাড় জিরজিরে মানুষ খায় না, তারা সুস্বাদু হরিণের মাংস খায়। আমার কথা বিশ্বাস না হলে উইকিপিডিয়াতে গিয়ে আমাদের খাদ্য কী সেটা যে কেউ দেখতে পারে।
যাই হোক, আমার কথা শুনে বোকা এবং লোভী পণ্ডিত এতই ভয় পেয়ে গেল যে তার কাপড় নষ্ট হয়ে গেল—আমি তার আর বিস্তারিত বর্ণনা দিতে চাই না। ঠিক তখন শেয়াল এদিক দিয়ে যাচ্ছিল। সবাই জানে শেয়াল হচ্ছে প্রতারক, ধূর্ত এবং ঠগ। নিরীহ কুমিরছানাদের খেয়ে ফেলার জন্য তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী আইনে মামলা আছে। পণ্ডিত শেয়ালকে বলল, ‘ভাই শেয়াল, আমাকে বাঁচাও।’ শেয়াল আমাকে বলল, ‘বাঘ ভাই, এই শুকনো হাড় জিরজিরে পণ্ডিতকে মেরে কী হবে, ব্যাটাকে ছেড়ে দেন। খাঁচায় দীর্ঘদিন থেকে আপনার চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে, আমার কাছে চোখের ক্রিম আছে আপনার চোখে লাগিয়ে দিই।’
আমার শেয়ালকে বিশ্বাস করা ঠিক হয় নাই। আমি সত্ এবং ন্যায়বান, ধরে নিই সবাই বুঝি আমার মতন। আমি তখনও জানি না যে শেয়াল মলম পার্টিতে যোগ দিয়েছে। সে আমার দুই চোখে মলম লাগিয়ে দিল। সঙ্গে সঙ্গে আমার চোখে কী যন্ত্রণা! চোখে কিছু দেখি না, কোন দিকে যাচ্ছি কিছুই বুঝতে পারি না। একটা লাফ দিয়েছি, ভুল করে খাঁচার ভেতরেই ঢুকে গেছি। সঙ্গে সঙ্গে খাঁচার দরজা বন্ধ করে শেয়াল তালা মেরে দিয়েছে।
সেই থেকে আমি এখনো খাঁচার ভেতরে আটকা। খবর পেয়েছি শেয়াল ক্রসফায়ারে মারা পড়েছে। পণ্ডিত চিনি মজুদ করে ব্যবসা করে অনেক টাকা কামিয়েছে। আমি বন্য পশু অধিদপ্তরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। একদিন নিশ্চয়ই আমি যুক্ত হব, আবার সুন্দরবনে ফিরে যাব। ফিরে যাওয়ার আগে আমি সংবাদ সম্মেলন করে সত্য কথাটি সবার সামনে প্রকাশ করে যাব। যতদিন সেটা না হচ্ছে ততদিন আমি সবাইকে জানাতে চাই আমি দুষ্টু বাঘ নই, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার একটি অবহেলিত, নির্যাতিত নিপীড়িত বাঘ।
বইপত্রে আমাদের সম্পর্কে লেখা মিথ্যা গল্প পড়ে কেউ যেন আর বিভ্রান্ত না হন।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো,
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন