রোজালিন এলসি ফন্সাঙ্কলিন একজন ইংরেজ অণুজীববিজ্ঞানী, ভৌত রসায়নবিদ ও ক্রিস্টালবিদ ছিলেন। ডিএনএ, ভাইরাস, কয়লা এবং গ্রাফাইটের গঠন-কাঠামো সংক্রান্ত গবেষণায় বিশেষ অবদান রেখেছেন নারী এই বিজ্ঞানী। খ্যাতিমান এই বিজ্ঞানীকে নিয়ে লিখেছেন মামুন আল করিম।
মহাবিশ্ব সৃষ্টির পর থেকেই নারী ও পুরুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে। সভ্যতা শুরুর প্রথম দিকে নারীদের হাতেই সূচনা হয় কৃষিকাজের। শুধু কৃষি নয়, নারীরা কাজ করেছেন বিজ্ঞান, চিকিৎসাপদ্ধতির মতো জটিল বিষয় নিয়েও। ইতিহাসের শুরু থেকে দেখা গেছে বিজ্ঞান, গণিতশাস্ত্র ও চিকিৎসাবিজ্ঞান সর্বত্রই নারীরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। নারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন হাইপেশিয়া, লরা বেসি, সোফিয়া কোভালেভস্ক্যায়া, লিস মিটনারের, ক্যারলিন হার্সেল, মেরি অ্যানি ল্যাভিয়েসিয়ের এবং ডিএনএ গবেষক রোজালিন ফন্সাঙ্কলিনের মতো নারীরা বিশ্ব গড়ায় অনবদ্য অবদান রেখেছেন।
১৯২০ সালে রোজালিন এলসি ফন্সাঙ্কলিন লন্ডনের একটি সচ্ছল ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪৫ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জন করেন। এরপর একজন গবেষণা সহকারী হিসেবে লন্ডনের কিংস কলেজে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর নিত্যনতুন গবেষণাসংক্রান্ত ধারণা প্রদানের মাধ্যমে নিজের কর্মদক্ষতার পরিচয় দিতে থাকেন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৫০ সালে তিনি ফন্সান্সের প্যারিসে একটি গবেষণাগারে কাজ করেন। এখানেই তিনি রঞ্জনরশ্মি বিচ্ছিন্নকরণ কৌশল শিখেছিলেন। খুুব সাধারণ কিছু সরঞ্জাম নিয়ে ফন্সাঙ্কলিন ডিএনএ’র একক তন্তুর উচ্চ বিশেষণীয় ফটোগ্রাফ নেয়ার জন্য একটি ব্যবস্খার প্রবর্তন করেন। ১৯৫৩ সালে ডিএনএ’র গঠন-কাঠামো আবিষ্কারের পেছনে তার উল্লেখযোগ্য ভূমিকার জন্যই তিনি সর্বাধিক পরিচিতি পান। রোজালিন ফন্সাঙ্কলিনের ডিএনএ’র গঠন সম্পর্কিত কাজ ওয়াটসন, ক্রিক ও উইলকিনস কর্তৃক উপস্খাপিত ডাবল হেলিক্স মডেলের পরীক্ষামূলক সমর্থন জুগিয়েছিল। ১৯৬২ সালে জেমস ওয়াটসন, ফন্সানসিস ক্রিক এবং মরিস উইলকিনসকে ডিএনএ’র ডাবল হেলিক্স গঠনের জন্য নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়। তবে অবাক করার বিষয় রোজালিন ফন্সাঙ্কলিনকে এই অমূল্য কাজের জন্য কোনো কৃতিত্বই দেয়া হয়নি। ১৯৫৮ সালে মাত্র ৩৭ বছর বয়সে জরায়ুর ক্যান্সারজনিত কারণে মারা যান রোজালিন ফন্সাঙ্কলিন। সেই থেকে ডিএনএ’র গঠন কাঠামো আবিষ্কারের গল্পকে এখনো বলা হয় একটি প্রতিযোগিতামূলক ষড়যন্ত্র।
মহাবিশ্ব সৃষ্টির পর থেকেই নারী ও পুরুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে। সভ্যতা শুরুর প্রথম দিকে নারীদের হাতেই সূচনা হয় কৃষিকাজের। শুধু কৃষি নয়, নারীরা কাজ করেছেন বিজ্ঞান, চিকিৎসাপদ্ধতির মতো জটিল বিষয় নিয়েও। ইতিহাসের শুরু থেকে দেখা গেছে বিজ্ঞান, গণিতশাস্ত্র ও চিকিৎসাবিজ্ঞান সর্বত্রই নারীরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। নারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন হাইপেশিয়া, লরা বেসি, সোফিয়া কোভালেভস্ক্যায়া, লিস মিটনারের, ক্যারলিন হার্সেল, মেরি অ্যানি ল্যাভিয়েসিয়ের এবং ডিএনএ গবেষক রোজালিন ফন্সাঙ্কলিনের মতো নারীরা বিশ্ব গড়ায় অনবদ্য অবদান রেখেছেন।
১৯২০ সালে রোজালিন এলসি ফন্সাঙ্কলিন লন্ডনের একটি সচ্ছল ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪৫ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জন করেন। এরপর একজন গবেষণা সহকারী হিসেবে লন্ডনের কিংস কলেজে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর নিত্যনতুন গবেষণাসংক্রান্ত ধারণা প্রদানের মাধ্যমে নিজের কর্মদক্ষতার পরিচয় দিতে থাকেন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৫০ সালে তিনি ফন্সান্সের প্যারিসে একটি গবেষণাগারে কাজ করেন। এখানেই তিনি রঞ্জনরশ্মি বিচ্ছিন্নকরণ কৌশল শিখেছিলেন। খুুব সাধারণ কিছু সরঞ্জাম নিয়ে ফন্সাঙ্কলিন ডিএনএ’র একক তন্তুর উচ্চ বিশেষণীয় ফটোগ্রাফ নেয়ার জন্য একটি ব্যবস্খার প্রবর্তন করেন। ১৯৫৩ সালে ডিএনএ’র গঠন-কাঠামো আবিষ্কারের পেছনে তার উল্লেখযোগ্য ভূমিকার জন্যই তিনি সর্বাধিক পরিচিতি পান। রোজালিন ফন্সাঙ্কলিনের ডিএনএ’র গঠন সম্পর্কিত কাজ ওয়াটসন, ক্রিক ও উইলকিনস কর্তৃক উপস্খাপিত ডাবল হেলিক্স মডেলের পরীক্ষামূলক সমর্থন জুগিয়েছিল। ১৯৬২ সালে জেমস ওয়াটসন, ফন্সানসিস ক্রিক এবং মরিস উইলকিনসকে ডিএনএ’র ডাবল হেলিক্স গঠনের জন্য নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়। তবে অবাক করার বিষয় রোজালিন ফন্সাঙ্কলিনকে এই অমূল্য কাজের জন্য কোনো কৃতিত্বই দেয়া হয়নি। ১৯৫৮ সালে মাত্র ৩৭ বছর বয়সে জরায়ুর ক্যান্সারজনিত কারণে মারা যান রোজালিন ফন্সাঙ্কলিন। সেই থেকে ডিএনএ’র গঠন কাঠামো আবিষ্কারের গল্পকে এখনো বলা হয় একটি প্রতিযোগিতামূলক ষড়যন্ত্র।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন