পদার্থবিদ্যার ইতিহাসে যে ক'জন মানুষের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে, তিনি তাদের অন্যতম। নেদারল্যান্ডসের এই মহান পদার্থবিদের নাম ফ্রিটস জের্নিক। পদার্থবিজ্ঞানে অসাধারণ অবদানের জন্য তিনি ১৯৫৩ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি এমন এক অণুবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কার করেন, যার মাধ্যমে কোষকে কোনো রাসায়নিক দ্রবণে সিক্ত না করেই এর ভেতরের উপাদান দেখা সম্ভব। তার এই অণুবীক্ষণ যন্ত্র চিকিৎসাবিজ্ঞানে ব্যাপক সাফল্য বয়ে আনে বলে তিনি চিকিৎসাবিজ্ঞানেরও এক স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। বাবা কার্ল ফ্রেডরিক অগাস্ট জের্নিক এবং মা এন্টজি ডাইপারিংক দু'জনেই ছিলেন গণিতের শিক্ষক। কিন্তু ফ্রিটস ভালোবাসতেন পদার্থবিদ্যা। স্কুলজীবনেই তিনি বিভিন্ন অভিনব জিনিস তৈরি করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতেন। তার বাবাও নানা জিনিসপত্র কিনে দিয়ে তাকে সাহায্য করতেন। এভাবে স্কুলজীবন থেকেই গবেষণার কাজ শুরু করেন তিনি। একসময় তিনি রঙিন ছবি তোলার ক্যামেরা নিয়েও গবেষণা শুরু করেন, কিন্তু বেশিদূর এগুতে পারেননি। পদার্থবিদ্যা বিষয়ে অতি উৎসাহের সঙ্গে তিনি বাবা-মার সঙ্গে আলোচনা করতেন এবং পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন জটিল সমীকরণের সমাধান বের করতেন। পদার্থবিদ্যার প্রতি ছেলের আগ্রহ দেখে তারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। ১৯০৫ সালে তিনি রসায়ন, পদার্থ এবং গণিত বিষয় নিয়ে আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯১৩ সালে তিনি গ্রোনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ্যাবিষয়ক গবেষণাগারের সহকারী হিসেবে যোগ দেন। কিন্তু শুধু চাকরি নিয়ে ব্যস্ত থাকলে কি চলে? তিনি এবং তার বন্ধু অর্নস্টেইন মিলে একটি জটিল সমীকরণ নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তাদের এই গবেষণার তত্ত্বের নাম অর্নস্টেইন-জের্নিক সমীকরণ। পদার্থবিদ্যা নিয়ে এমন গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে আসেন তিনি। ফলে পদোন্নতি লাভ করে তাত্তি্বক পদার্থবিদ্যার পূর্ণ অধ্যাপক নির্বাচন করা হয়।
১৯৩০ সালে জের্নিক বর্ণালি সংক্রান্ত গবেষণা পরিচালনা করেন। তিনি আবিষ্কার করেন কথিত আবছায়া যে অপবর্তনের মাধ্যমে বর্ণালি সৃষ্টি করে, তা প্রত্যেক প্রাথমিক পথে ডানে অথবা বামে ঘটে এবং ৯০ ডিগ্রি কৌনিকে তাদের পর্যায় স্থানান্তরিত হয়। ১৯৩৩ সালে জের্নিক তার আবিষ্কৃত অণুবীক্ষণ যন্ত্র প্রদর্শন করেন এবং এর কার্যকারিতা সম্পর্কে বর্ণনা করেন। এছাড়া পদার্থবিদ্যার আরও অনেক বিষয় নিয়ে তিনি গবেষণা করেন সারা জীবন।
মহান এই বিজ্ঞানীর জন্ম ১৮৮৮ সালের ১৬ জুলাই নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে। উচ্চশিক্ষিত বাবা-মার কারণে তার সব ভাই-বোনই ছিলেন উচ্চশিক্ষিত এবং নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। তার এক ভাই ছিলেন পদার্থবিদ্যার শিক্ষক এবং বোন ছিলেন সাহিত্যিক। পদার্থবিদ্যায় অবদানের জন্য জের্নিক জীবনে অনেক সম্মানিত হয়েছেন। লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটি তাকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করে। চিকিৎসাবিদ্যায় অবদানের জন্য আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানজনক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। ১৯৬৬ সালের ১০ মার্চ মহান এ বিজ্ঞানী মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৩০ সালে জের্নিক বর্ণালি সংক্রান্ত গবেষণা পরিচালনা করেন। তিনি আবিষ্কার করেন কথিত আবছায়া যে অপবর্তনের মাধ্যমে বর্ণালি সৃষ্টি করে, তা প্রত্যেক প্রাথমিক পথে ডানে অথবা বামে ঘটে এবং ৯০ ডিগ্রি কৌনিকে তাদের পর্যায় স্থানান্তরিত হয়। ১৯৩৩ সালে জের্নিক তার আবিষ্কৃত অণুবীক্ষণ যন্ত্র প্রদর্শন করেন এবং এর কার্যকারিতা সম্পর্কে বর্ণনা করেন। এছাড়া পদার্থবিদ্যার আরও অনেক বিষয় নিয়ে তিনি গবেষণা করেন সারা জীবন।
মহান এই বিজ্ঞানীর জন্ম ১৮৮৮ সালের ১৬ জুলাই নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে। উচ্চশিক্ষিত বাবা-মার কারণে তার সব ভাই-বোনই ছিলেন উচ্চশিক্ষিত এবং নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। তার এক ভাই ছিলেন পদার্থবিদ্যার শিক্ষক এবং বোন ছিলেন সাহিত্যিক। পদার্থবিদ্যায় অবদানের জন্য জের্নিক জীবনে অনেক সম্মানিত হয়েছেন। লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটি তাকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করে। চিকিৎসাবিদ্যায় অবদানের জন্য আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানজনক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। ১৯৬৬ সালের ১০ মার্চ মহান এ বিজ্ঞানী মৃত্যুবরণ করেন।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন