আজ ২ মার্চ। ১৯৭১ সালের এদিনে বিক্ষোভে উত্তাল ছিল ঢাকা। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর কারফিউ ভঙ্গ করে দিন-রাত চলে আন্দোলন-বিক্ষোভ। বিক্ষোভে নির্বিচারে গুলি চালালে নিহত হন ২৩ জন দেশপ্রেমিক। এদিন প্রথম ওড়ানো হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা। ২ মার্চ সকাল থেকেই দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ ঢাকার রাজপথে অবস্থান নেয়। জনসমুদ্র হয়ে ওঠে রাজপথ। আর সব মিছিলের একটিই
লক্ষ্য—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের ডাকে এক বিশাল ছাত্রসমাবেশ ছিল সব আয়োজনের কেন্দ্র। সকাল ১০টার মধ্যে এ সমাবেশে উপস্থিত হয় হাজার হাজার মানুষ। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই অনুষ্ঠান শুরু হয়। এখানেই বেলা ১১টায় প্রথম উত্তোলিত হয় গাঢ় সবুজ জমিনের মাঝখানে লাল বৃত্তে অঙ্কিত মানচিত্র ‘স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা’। ডাকসুর তত্কালীন সহ-সভাপতি আ স ম আবদুর রব সংগ্রামী ছাত্রসমাজের পক্ষে প্রথম বাংলাদেশের মানচিত্রসহ স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।
আর এরই মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় ছুটে এসে একজন জানান, ফার্মগেট এলাকায় গোলাগুলির কথা। বিক্ষোভ মিছিল বের হয় ক্যাম্পাস থেকে। বিকালে জনসভা অনুষ্ঠিত হয় বায়তুল মোকাররম ও পল্টন ময়দানে।
১ মার্চ বেতার ভাষণে ৩ মার্চের গণপরিষদের অধিবেশন অপ্রত্যাশিতভাবেই স্থগিত ঘোষণা করেন পাকিস্তানের তত্কালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান। এতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ছাত্র-জনতা। ইয়াহিয়া খানের বক্তব্যের প্রতিবাদেই মূলত ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ১১টায় জমায়েত হয়।
২ মার্চ সন্ধ্যার পর হঠাত্ করেই পুরো শহরে কারফিউ জারির ঘোষণা দেয়া হয়। রাত ৯টা থেকে পরদিন ৩ মার্চ সকাল ৭টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করে সামরিক জান্তা এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে বলে জানানো হয়।
বেতারে কারফিউ জারির ঘোষণা হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে লোকজন নেমে আসে রাস্তায়। ব্যারিকেড তৈরি করে কারফিউ ভেঙে গভীররাত পর্যন্ত মিছিল বের করে। হাজার মানুষের স্লোগান চূর্ণ করে দেয় রাতের নিস্তব্ধতা। বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় পাকসেনারা এবং সে রাতেই হত্যা করা হয় ২৩ জনকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকসেনাদের এমন বর্বর আচরণকে গণহত্যার সঙ্গে তুলনা করেন এবং ৩ মার্চ ‘জাতীয় শোক দিবস’ পালনের আহ্বান জানান।
লক্ষ্য—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের ডাকে এক বিশাল ছাত্রসমাবেশ ছিল সব আয়োজনের কেন্দ্র। সকাল ১০টার মধ্যে এ সমাবেশে উপস্থিত হয় হাজার হাজার মানুষ। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই অনুষ্ঠান শুরু হয়। এখানেই বেলা ১১টায় প্রথম উত্তোলিত হয় গাঢ় সবুজ জমিনের মাঝখানে লাল বৃত্তে অঙ্কিত মানচিত্র ‘স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা’। ডাকসুর তত্কালীন সহ-সভাপতি আ স ম আবদুর রব সংগ্রামী ছাত্রসমাজের পক্ষে প্রথম বাংলাদেশের মানচিত্রসহ স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।
আর এরই মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় ছুটে এসে একজন জানান, ফার্মগেট এলাকায় গোলাগুলির কথা। বিক্ষোভ মিছিল বের হয় ক্যাম্পাস থেকে। বিকালে জনসভা অনুষ্ঠিত হয় বায়তুল মোকাররম ও পল্টন ময়দানে।
১ মার্চ বেতার ভাষণে ৩ মার্চের গণপরিষদের অধিবেশন অপ্রত্যাশিতভাবেই স্থগিত ঘোষণা করেন পাকিস্তানের তত্কালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান। এতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ছাত্র-জনতা। ইয়াহিয়া খানের বক্তব্যের প্রতিবাদেই মূলত ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ১১টায় জমায়েত হয়।
২ মার্চ সন্ধ্যার পর হঠাত্ করেই পুরো শহরে কারফিউ জারির ঘোষণা দেয়া হয়। রাত ৯টা থেকে পরদিন ৩ মার্চ সকাল ৭টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করে সামরিক জান্তা এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে বলে জানানো হয়।
বেতারে কারফিউ জারির ঘোষণা হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে লোকজন নেমে আসে রাস্তায়। ব্যারিকেড তৈরি করে কারফিউ ভেঙে গভীররাত পর্যন্ত মিছিল বের করে। হাজার মানুষের স্লোগান চূর্ণ করে দেয় রাতের নিস্তব্ধতা। বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় পাকসেনারা এবং সে রাতেই হত্যা করা হয় ২৩ জনকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকসেনাদের এমন বর্বর আচরণকে গণহত্যার সঙ্গে তুলনা করেন এবং ৩ মার্চ ‘জাতীয় শোক দিবস’ পালনের আহ্বান জানান।
সুত্র : আমার দেশ
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন