‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা আমরা তোমাদের ভুলব না...।’ বছর ঘুরে আবার ফিরে এলো রক্তঝরা মার্চ, স্বাধীনতার মাস। গত শতাব্দীর ১৯৭১ সালের মার্চে শুরু হয় স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত লড়াই—সশস্ত্র সংগ্রাম। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর লাল-সবুজ পতাকার দেশ বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। বিশ্ব মানচিত্রে নতুন একটি দেশের অভ্যুদয় ঘটে অগণিত প্রাণের বিনিময়ে।
এদেশের শোষিত, নিপীড়িত, অধিকারবঞ্চিত মানুষ স্বাধিকারের জন্য লড়াই করে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। মহান ভাষা আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ছিল জাতিসত্তার স্বরূপ অন্বেষার এক একটি মাইলফলক। সত্তরের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পরও তত্কালীন পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তরে নানা ষড়যন্ত্র ও টালবাহানা করছিল।
আজ থেকে ৪১ বছর আগে মার্চ মাসের এই দিনে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে কোনো স্বাধীন দেশের অস্তিত্ব ছিল না। তত্কালীন পাকিস্তানের পূর্ব অংশ অর্থাত্ পূর্ব পাকিস্তানের সাড়ে সাত কোটি বাঙালির মনে লালিত একটি স্বপ্ন, একটিমাত্র আকাঙ্ক্ষাই জাগ্রত ছিল—তা হলো পরিপূর্ণ স্বাধীনতা। দীর্ঘকাল ধরে চলতে থাকা নিগ্রহ, শোষণ, বঞ্চনা ও নিপীড়নের নাগপাশ ছিঁড়ে সগর্বে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর দুর্মর আকাঙ্ক্ষা ছিল প্রবল।
১৯৭১ সালের ১ মার্চ পাকিস্তানি স্বৈরাচারী সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের নির্ধারিত অধিবেশন বাতিল করেন। এ অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল ৩ মার্চ। ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ গোটা পাকিস্তানেই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। শেখ মুজিবের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার হীন, কূট ষড়যন্ত্র হিসেবে অধিবেশন বাতিলের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ ক্রোধে, ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে। বঞ্চিত, লাঞ্ছিত, অধিকারহীন মানুষ ফেটে পড়ে বিক্ষোভে। অফিস-আদালত থেকে সব মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় নেমে এই ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ করেন। স্লোগান ওঠে—বীর বাঙালি অস্ত্র ধর/বাংলাদেশ স্বাধীন কর।
ঐতিহাসিক ১ মার্চ থেকেই পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে অঘোষিত অসহযোগ শুরু হয়ে যায়। প্রতিবাদ-প্রতিরোধে ও লড়াইয়ের ইস্পাতকঠিন প্রত্যয়ে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতে থাকে দেশ। একাত্তরের আগুনঝরা মার্চে বীর বাঙালি সেই যে ঘর থেকে বেরিয়েছিল, বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত, দেশ স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত আর ঘরে ফেরেনি। মুক্তিযুদ্ধে অগণিত প্রাণ উত্সর্গ করতে হয়েছে, অগণিত মা-বোনকে হারাতে হয়েছে সম্ভ্রম। আহত ও পঙ্গু হতে হয়েছে এদেশের অগণিত মানুষকে। লাখো মানুষের অপরিসীম ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ।
সূত্র : আমার দেশ
এদেশের শোষিত, নিপীড়িত, অধিকারবঞ্চিত মানুষ স্বাধিকারের জন্য লড়াই করে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। মহান ভাষা আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ছিল জাতিসত্তার স্বরূপ অন্বেষার এক একটি মাইলফলক। সত্তরের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পরও তত্কালীন পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তরে নানা ষড়যন্ত্র ও টালবাহানা করছিল।
আজ থেকে ৪১ বছর আগে মার্চ মাসের এই দিনে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে কোনো স্বাধীন দেশের অস্তিত্ব ছিল না। তত্কালীন পাকিস্তানের পূর্ব অংশ অর্থাত্ পূর্ব পাকিস্তানের সাড়ে সাত কোটি বাঙালির মনে লালিত একটি স্বপ্ন, একটিমাত্র আকাঙ্ক্ষাই জাগ্রত ছিল—তা হলো পরিপূর্ণ স্বাধীনতা। দীর্ঘকাল ধরে চলতে থাকা নিগ্রহ, শোষণ, বঞ্চনা ও নিপীড়নের নাগপাশ ছিঁড়ে সগর্বে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর দুর্মর আকাঙ্ক্ষা ছিল প্রবল।
১৯৭১ সালের ১ মার্চ পাকিস্তানি স্বৈরাচারী সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের নির্ধারিত অধিবেশন বাতিল করেন। এ অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল ৩ মার্চ। ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ গোটা পাকিস্তানেই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। শেখ মুজিবের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার হীন, কূট ষড়যন্ত্র হিসেবে অধিবেশন বাতিলের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ ক্রোধে, ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে। বঞ্চিত, লাঞ্ছিত, অধিকারহীন মানুষ ফেটে পড়ে বিক্ষোভে। অফিস-আদালত থেকে সব মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় নেমে এই ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ করেন। স্লোগান ওঠে—বীর বাঙালি অস্ত্র ধর/বাংলাদেশ স্বাধীন কর।
ঐতিহাসিক ১ মার্চ থেকেই পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে অঘোষিত অসহযোগ শুরু হয়ে যায়। প্রতিবাদ-প্রতিরোধে ও লড়াইয়ের ইস্পাতকঠিন প্রত্যয়ে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতে থাকে দেশ। একাত্তরের আগুনঝরা মার্চে বীর বাঙালি সেই যে ঘর থেকে বেরিয়েছিল, বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত, দেশ স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত আর ঘরে ফেরেনি। মুক্তিযুদ্ধে অগণিত প্রাণ উত্সর্গ করতে হয়েছে, অগণিত মা-বোনকে হারাতে হয়েছে সম্ভ্রম। আহত ও পঙ্গু হতে হয়েছে এদেশের অগণিত মানুষকে। লাখো মানুষের অপরিসীম ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ।
সূত্র : আমার দেশ
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন