আমাদের সমাজের অধিকাংশ মানুষ-ই নামাজ পড়ে না। তার চেয়েও বেশি মানুষ পর্দা করে না। অনেকে বোরখা পরেও পর্দা করে না। অনেক মেয়েই ইদানিং বোরখার মতো একটা গায়ে পরে কিন্তু মাথাটা ঢাকে না।
আমি ঠিক বুঝে পাই না পর্দা করাই যদি উদ্দেশ্য না হয় তাহলে এই গরমের মধ্যে এই জুব্বাটা পরে থাকার প্রয়োজন কি? একদিন সহযাত্রী এক মেয়েকে বললাম, এই গরমের মধ্যে এই পোষাকটা কেন পরেছ?
মেয়েটি আমাকে পাল্টা প্রশ্ন করল, আপনি কেন পরেছেন? বললাম, আমি পরেছি পর্দা করার জন্য। আল্লাহ আমার জন্য পর্দা ফরজ করেছেন। আমার হাতের পাতা, পায়ের পাতা ও মুখমণ্ডল বাদে সারা দেহ ঢেকে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
মেয়েটির ওড়না এতক্ষণ গলায় ঝুলানো ছিল। মাথায় তুলে দিতে বললাম, সে বলল, আমিও এই উদ্দেশ্যেই পরি। তবে নতুন শুরু করেছি তো তাই এখনও অভ্যাস করে উঠতে পারিনি।
আর একদিন এক মেয়েকে জিজ্ঞেস করতেই বলল, বিশেষ প্রয়োজনে তাড়াতাড়ি বাইরে আসতে হয়েছে, পরনের পোষাক চেঞ্জ করার সময় পাইনি। তাই যা পরা ছিলাম তার ওপরে এটা পরে এসেছি। বললাম, তার মানে পর্দা করার নিয়তে পরোনি। ম্পষ্ট উত্তর দিল মেয়েটি ‘না’। যে নিয়তেই পরুক। মাথা ঢাকুক চাই না ঢাকুক নামকাওয়াস্তে হলেও এরা যে মুসলমান তা বোঝা যায় এই পোষাকটি পরলে। কারণ অন্য ধর্মাবলাম্বী কোনো মেয়ে কোনো অবস্থাতেই এই পোষাকটি পরে না।
পোষাকের ব্যাপারে অবশ্য আমাদের দেশে একটা বিরাট পরিবর্তন এসেছে। এ দেশে এককালে শুধু শাড়িই পরত। স্কুলে পড়ার সময় স্কুল ড্রেসের ব্লক পায়জামা কিংবা সালোয়ার কামিজ পরলেও বিয়ের পর সবাই শাড়ি পরত। এরপর সন্তানাদি হওয়ার আগ পর্যন্ত সালোয়ার কামিজ পরতে দেখা যেত কাউকে কাউকে। আর এখন তো ধনী-গরীব হিন্দু-মুসলমান অল্প বয়স্ক, অধিক বয়স্ক নির্বিশেষে অধিকাংশ মহিলাই থ্রিপিস নামক সালোয়ার কামিজই পরে। শাড়ি পরা এখন একেবারেই শখের ব্যাপার। শহর থেকে এখন গ্রামগঞ্জে পরিলক্ষিত হচ্ছে এই পরিবর্তন।
১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত যশোর সিটি কলেজেই পড়াশুনা করেছি। আমাদের কলেজে কোনো বোরখা পড়া মেয়ে দেখিনি। খুব সম্ভব ১৯৭৮ সালে বিএসসিতে মনোয়ারা বেগম নামে এক মেয়ে ভর্তি হলো আমাদের কলেজে বোরখা পরা। অবাক হলাম! বাসায় এসে বাবার কাছে বললাম, বোরখা পরা মেয়েটির কথা। বাবার কাছে খুঁটি নাটি সব কথাই বলতাম তো! বাবা বললেন, মেয়েটি মনে হয় বিবাহিতা অর্থাৎ তখন বাঙালি মুসলিম বিবাহিতা মেয়ে ছাড়া কেউ বোরখা পোষাকটি পড়ত না। তবে মনোয়ারা বিবাহিতা ছিল না। পারিবারিক পরিবেশ-ই হয়ত ওর ধার্মিক ছিল। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই মনোয়ারার বান্ধবীরা তার বোরখা খুলে ফেলতে সক্ষম হলো। এরপর দেখেছি বাড়ি থেকে বোরখা পরে আসলেও কলেজে এসে মনোয়ারা প্রায়ই বোরখা খুলে ফেলতে বাধ্য হতো বান্ধবীদের যন্ত্রণায়। সত্যি কথা বলতে কি আমাদের স্কুল কলেজে তখন বোরখা পরা মেয়ে একদম ছিল না। সেই তুলনায় আজকে মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়েরা অনেক ভালো ও অনেক শালিন।
উচ্ছৃংখল, বেপর্দা বে আব্র“ মেয়েও প্রচুর আছে। কিছু কিছু মেয়েকে দেখি জিন্সপ্যান্ট পায়ের নিচ থেকে একফিট পরিমাণ ভাঁজ করে উপরে তুলে রেখেছে। তার সাথেই হেটে যাচ্ছে যে ছেলেটি তার প্যান্ট গোড়ালির নিচে পর্যন্ত ঝুলিয়ে দিয়েছে। ইবলিশের কৃতিত্ব দেখে অবাক হয়ে যাই। অথচ আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের (সাঃ) শিক্ষা হল পুরুষের টাখনু খোলা থাকবে। তার প্যান্ট থাকবে ঢাখনুর উপরে আর নারীদের পোষাক থাকবে পায়ের পাতা পর্যন্ত। যে সব মেয়েরা খোলা মেলা বাইরে ঘোরা ফিরা করে এরা সবাই মুসলমানের মেয়ে। মাওলানা দিয়ে এদের বিয়ে পড়ানো হয়। আকিকা দেওয়া হয়, মরে গেলে জানাযা পড়া হবে, ‘মিল্লাতে রাসূলুল্লাহ বলে তাকে কবরে পৌঁছে দেওয়া হবে।
এক শ্রেণীর মহিলাদের কথা তো আগেই বলেছি এরা বোরখা নামক একটা কিছু পরে ঠিকই কিন্তু পর্দা করে না এবং পর্দা করার নিয়তেও পোষাকটা পরে না। তবু মনে হয় এরা বেশ কিছুটা নমনীয় তবে আর একশ্রেণীর মেয়ে আছে যারা জিন্স, ফতুয়াও পরে না কোনো প্রকারের বেরাখাও পরেনা। তারা শাড়ী কিংবা সালোয়ার কামিজ পরতেই অভ্যস্ত। এরা জিন্স ফতুয়াকে যতটা অপছন্দ করে তার চেয়ে বোধ হয় বেশী অপছন্দ করে বোরখা পরাকে।
এরা নামাজ পড়ে, রোযা রাখে, নফল নামাজ রোজায়ও এদের আগ্রহ আছে। আল কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের আমল করে সারা বছর। অন্তত রমযানে কুরআন খতমও করে। কুরআনের বিশেষ বিশেষ আয়াত এদের মুখস্তও আছে। প্রয়ো জনে তারা কুরআনের আমল করে কিন্তু কুরআন অনুযায়ী কাজ করে না। আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা কতো জোরালো এবং স্পষ্ট ভাবে বলেছেন, পর্দার কথা ‘মুমিন পুরুষদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং লজ্জা স্থানের হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা রয়েছে। নিশ্চয়ই তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন। মুমিন নারীদেরও বলুন তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং তাদের লজ্জা স্থানের হেফাজত করে। আর তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান তাছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেনো তাদের মাথার ওড়না বুকের উপর ঝুলিয়ে দেয় এবং তারা যেনো তাদের স্বামী, পিতা শশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, নিজেদের পরিচিত স্ত্রীলোক বৃদ্ধ যৌন কামনা মুক্ত পুরুষ ও বালক যারা নারীদের সম্পর্কে এখনও অবগত নয় তাদের ছাড়া আর কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। তারা যেনো তাদের গোপন সাজসজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারনা না করে। হে মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তাওবা করো। যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো। (সূরা আননূরঃ ২৭-৩১)
আবার বলা হয়েছে ‘হে নবী আপনি আপনার স্ত্রী এবং কন্যাদের এবং মুমিনদের স্ত্রীদের বলুন তারা যেন তাদের চাদরের কিছু অংশ নিজেদের মুখমণ্ডলের উপর টেনে দেয়। এতে তাদের চেনা সহজ হবে। ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। (সূরা আহযাব: ৫৯) যারা কুরআন খতম করে তারা নিশ্চয়ই এই আয়াত গুলো পড়ে কিন্তু তা তারা মানে না। এদেরকেই আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরা কুরআনের কিছু আয়াত মানবে আর কিছু অস্বিকার করবে?’
আল্লাহ সুবহানাল্লাহ বলেছেন, হে ঈমানদারগণ তোমরা পরিপূর্ণ ভাবে ইসলামের মধ্যে দাখিল হও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ করো না।’ পর্দা না করলে তো পরিপূর্ণ ভাবে ইসলামের মধ্যে দাখিল হওয়া গেল না। তাহলে যারা পর্দা করে না তারা শয়তানের দেখানো পথে চলে।
উপরে যে তিন শ্রেণীর বেপর্দা মেয়ে কথা আলোচনা করেছি। এরা ছাড়াও আরও এক শ্রেণীর মহিলা আছে যারা পর্দা করে। তারা আল্লাহকে ভালোবাসে, ভয় করে। সন্তুষ্ট চিত্তে আখেরাতের মুক্তির আশায় পর্দা করে।
আর যারা পর্দা করে না তারাও জানে যে পর্দা করা ফরয। পর্দা করা আল্লাহর নির্দেশ। এই নির্দেশ অমান্য করলে গুনাহগার হবে । এরা আলাদা কোনো সমাজের লোক না, আমাদেরই আত্মীয় স্বজন অতিপ্রিয়জন। এদের বিপদে বিচলিত হই অসুখে বিসুখে সেবা যতœ করি এদের সুখে সুখি হই ও এদের কষ্টে কষ্ট পাই। এরা তো আমাদেরই একজন। আল্লাহর ষ্পষ্ট হুকুম অমান্য করার পরও আমরা মুসলমান।
আমি ঠিক বুঝে পাই না পর্দা করাই যদি উদ্দেশ্য না হয় তাহলে এই গরমের মধ্যে এই জুব্বাটা পরে থাকার প্রয়োজন কি? একদিন সহযাত্রী এক মেয়েকে বললাম, এই গরমের মধ্যে এই পোষাকটা কেন পরেছ?
মেয়েটি আমাকে পাল্টা প্রশ্ন করল, আপনি কেন পরেছেন? বললাম, আমি পরেছি পর্দা করার জন্য। আল্লাহ আমার জন্য পর্দা ফরজ করেছেন। আমার হাতের পাতা, পায়ের পাতা ও মুখমণ্ডল বাদে সারা দেহ ঢেকে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
মেয়েটির ওড়না এতক্ষণ গলায় ঝুলানো ছিল। মাথায় তুলে দিতে বললাম, সে বলল, আমিও এই উদ্দেশ্যেই পরি। তবে নতুন শুরু করেছি তো তাই এখনও অভ্যাস করে উঠতে পারিনি।
আর একদিন এক মেয়েকে জিজ্ঞেস করতেই বলল, বিশেষ প্রয়োজনে তাড়াতাড়ি বাইরে আসতে হয়েছে, পরনের পোষাক চেঞ্জ করার সময় পাইনি। তাই যা পরা ছিলাম তার ওপরে এটা পরে এসেছি। বললাম, তার মানে পর্দা করার নিয়তে পরোনি। ম্পষ্ট উত্তর দিল মেয়েটি ‘না’। যে নিয়তেই পরুক। মাথা ঢাকুক চাই না ঢাকুক নামকাওয়াস্তে হলেও এরা যে মুসলমান তা বোঝা যায় এই পোষাকটি পরলে। কারণ অন্য ধর্মাবলাম্বী কোনো মেয়ে কোনো অবস্থাতেই এই পোষাকটি পরে না।
পোষাকের ব্যাপারে অবশ্য আমাদের দেশে একটা বিরাট পরিবর্তন এসেছে। এ দেশে এককালে শুধু শাড়িই পরত। স্কুলে পড়ার সময় স্কুল ড্রেসের ব্লক পায়জামা কিংবা সালোয়ার কামিজ পরলেও বিয়ের পর সবাই শাড়ি পরত। এরপর সন্তানাদি হওয়ার আগ পর্যন্ত সালোয়ার কামিজ পরতে দেখা যেত কাউকে কাউকে। আর এখন তো ধনী-গরীব হিন্দু-মুসলমান অল্প বয়স্ক, অধিক বয়স্ক নির্বিশেষে অধিকাংশ মহিলাই থ্রিপিস নামক সালোয়ার কামিজই পরে। শাড়ি পরা এখন একেবারেই শখের ব্যাপার। শহর থেকে এখন গ্রামগঞ্জে পরিলক্ষিত হচ্ছে এই পরিবর্তন।
১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত যশোর সিটি কলেজেই পড়াশুনা করেছি। আমাদের কলেজে কোনো বোরখা পড়া মেয়ে দেখিনি। খুব সম্ভব ১৯৭৮ সালে বিএসসিতে মনোয়ারা বেগম নামে এক মেয়ে ভর্তি হলো আমাদের কলেজে বোরখা পরা। অবাক হলাম! বাসায় এসে বাবার কাছে বললাম, বোরখা পরা মেয়েটির কথা। বাবার কাছে খুঁটি নাটি সব কথাই বলতাম তো! বাবা বললেন, মেয়েটি মনে হয় বিবাহিতা অর্থাৎ তখন বাঙালি মুসলিম বিবাহিতা মেয়ে ছাড়া কেউ বোরখা পোষাকটি পড়ত না। তবে মনোয়ারা বিবাহিতা ছিল না। পারিবারিক পরিবেশ-ই হয়ত ওর ধার্মিক ছিল। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই মনোয়ারার বান্ধবীরা তার বোরখা খুলে ফেলতে সক্ষম হলো। এরপর দেখেছি বাড়ি থেকে বোরখা পরে আসলেও কলেজে এসে মনোয়ারা প্রায়ই বোরখা খুলে ফেলতে বাধ্য হতো বান্ধবীদের যন্ত্রণায়। সত্যি কথা বলতে কি আমাদের স্কুল কলেজে তখন বোরখা পরা মেয়ে একদম ছিল না। সেই তুলনায় আজকে মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়েরা অনেক ভালো ও অনেক শালিন।
উচ্ছৃংখল, বেপর্দা বে আব্র“ মেয়েও প্রচুর আছে। কিছু কিছু মেয়েকে দেখি জিন্সপ্যান্ট পায়ের নিচ থেকে একফিট পরিমাণ ভাঁজ করে উপরে তুলে রেখেছে। তার সাথেই হেটে যাচ্ছে যে ছেলেটি তার প্যান্ট গোড়ালির নিচে পর্যন্ত ঝুলিয়ে দিয়েছে। ইবলিশের কৃতিত্ব দেখে অবাক হয়ে যাই। অথচ আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের (সাঃ) শিক্ষা হল পুরুষের টাখনু খোলা থাকবে। তার প্যান্ট থাকবে ঢাখনুর উপরে আর নারীদের পোষাক থাকবে পায়ের পাতা পর্যন্ত। যে সব মেয়েরা খোলা মেলা বাইরে ঘোরা ফিরা করে এরা সবাই মুসলমানের মেয়ে। মাওলানা দিয়ে এদের বিয়ে পড়ানো হয়। আকিকা দেওয়া হয়, মরে গেলে জানাযা পড়া হবে, ‘মিল্লাতে রাসূলুল্লাহ বলে তাকে কবরে পৌঁছে দেওয়া হবে।
এক শ্রেণীর মহিলাদের কথা তো আগেই বলেছি এরা বোরখা নামক একটা কিছু পরে ঠিকই কিন্তু পর্দা করে না এবং পর্দা করার নিয়তেও পোষাকটা পরে না। তবু মনে হয় এরা বেশ কিছুটা নমনীয় তবে আর একশ্রেণীর মেয়ে আছে যারা জিন্স, ফতুয়াও পরে না কোনো প্রকারের বেরাখাও পরেনা। তারা শাড়ী কিংবা সালোয়ার কামিজ পরতেই অভ্যস্ত। এরা জিন্স ফতুয়াকে যতটা অপছন্দ করে তার চেয়ে বোধ হয় বেশী অপছন্দ করে বোরখা পরাকে।
এরা নামাজ পড়ে, রোযা রাখে, নফল নামাজ রোজায়ও এদের আগ্রহ আছে। আল কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের আমল করে সারা বছর। অন্তত রমযানে কুরআন খতমও করে। কুরআনের বিশেষ বিশেষ আয়াত এদের মুখস্তও আছে। প্রয়ো জনে তারা কুরআনের আমল করে কিন্তু কুরআন অনুযায়ী কাজ করে না। আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা কতো জোরালো এবং স্পষ্ট ভাবে বলেছেন, পর্দার কথা ‘মুমিন পুরুষদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং লজ্জা স্থানের হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা রয়েছে। নিশ্চয়ই তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন। মুমিন নারীদেরও বলুন তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং তাদের লজ্জা স্থানের হেফাজত করে। আর তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান তাছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেনো তাদের মাথার ওড়না বুকের উপর ঝুলিয়ে দেয় এবং তারা যেনো তাদের স্বামী, পিতা শশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, নিজেদের পরিচিত স্ত্রীলোক বৃদ্ধ যৌন কামনা মুক্ত পুরুষ ও বালক যারা নারীদের সম্পর্কে এখনও অবগত নয় তাদের ছাড়া আর কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। তারা যেনো তাদের গোপন সাজসজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারনা না করে। হে মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তাওবা করো। যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো। (সূরা আননূরঃ ২৭-৩১)
আবার বলা হয়েছে ‘হে নবী আপনি আপনার স্ত্রী এবং কন্যাদের এবং মুমিনদের স্ত্রীদের বলুন তারা যেন তাদের চাদরের কিছু অংশ নিজেদের মুখমণ্ডলের উপর টেনে দেয়। এতে তাদের চেনা সহজ হবে। ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। (সূরা আহযাব: ৫৯) যারা কুরআন খতম করে তারা নিশ্চয়ই এই আয়াত গুলো পড়ে কিন্তু তা তারা মানে না। এদেরকেই আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরা কুরআনের কিছু আয়াত মানবে আর কিছু অস্বিকার করবে?’
আল্লাহ সুবহানাল্লাহ বলেছেন, হে ঈমানদারগণ তোমরা পরিপূর্ণ ভাবে ইসলামের মধ্যে দাখিল হও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ করো না।’ পর্দা না করলে তো পরিপূর্ণ ভাবে ইসলামের মধ্যে দাখিল হওয়া গেল না। তাহলে যারা পর্দা করে না তারা শয়তানের দেখানো পথে চলে।
উপরে যে তিন শ্রেণীর বেপর্দা মেয়ে কথা আলোচনা করেছি। এরা ছাড়াও আরও এক শ্রেণীর মহিলা আছে যারা পর্দা করে। তারা আল্লাহকে ভালোবাসে, ভয় করে। সন্তুষ্ট চিত্তে আখেরাতের মুক্তির আশায় পর্দা করে।
আর যারা পর্দা করে না তারাও জানে যে পর্দা করা ফরয। পর্দা করা আল্লাহর নির্দেশ। এই নির্দেশ অমান্য করলে গুনাহগার হবে । এরা আলাদা কোনো সমাজের লোক না, আমাদেরই আত্মীয় স্বজন অতিপ্রিয়জন। এদের বিপদে বিচলিত হই অসুখে বিসুখে সেবা যতœ করি এদের সুখে সুখি হই ও এদের কষ্টে কষ্ট পাই। এরা তো আমাদেরই একজন। আল্লাহর ষ্পষ্ট হুকুম অমান্য করার পরও আমরা মুসলমান।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন