আলোকিত শিশুই আলোকিত কিছু মানুষের সূচনা। শিশু তার জন্মলগ্ন থেকে তার পরিবার, স্কুল তার সমাজে তার স্বীয় প্রতিভা ও মেধা বিকাশের মধ্যে সমাজকে আলোকিত করে। সমাজে আলোকিত শিশুর জন্ম ও বিকাশ না হলে আলোকিত মানুষে জন্ম হবে না। তাই অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাইদ এর সে কথা আমার মনে পড়ে আলোকিত মানুষ চাই। কিন্তু আমার উক্তি হচ্ছে শুধু আলোকিত মানুষই নয়- আলোকিত শিশু চাই। ছোট বেলায় আমি পড়েছিলাম মানুষ জীবের উপর কোন হাত নেই। কিন্তু কর্মে আছে তার পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ। অর্থাৎ জন্ম হোক যথা কর্ম হোক ভাল। একটি শিশুর প্রথম শিক্ষক হচ্ছে তার মা। মায়ের কাছ থেকেই একটি শিশু তার জ্ঞানের প্রথম ছোঁয়ায় সিক্ত হয়। সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি সারাদিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি। কবি এই অমর কবিতাটি প্রথম জ্ঞান ও জীবনে দিকনির্দেশনা দিয়ে শিশুর জীবনে ভাল মন্দের ব্যবধায় শিখায়। জীবনে এসে খুঁজে পায় নতুন জীবনের নতুন দিগন্ত। খুঁজে পায় সহপাঠী,বন্ধু, বাবর মত শিক্ষাগুরু। সেই সাথে খুঁজে পায় নতুন জীবনে নতুন সমাজ। সেখান থেকেই খুঁজে পায় বাস্তবতার নতুন ছোঁয়া। জীবনকে কাছ থেকে দেখে বাস্তব জীবনের নিরিখে। সমাজের ভাল মন্দ উপলদ্ধি করতে শিখে। শিশু জীবনে রেখাপাত করে সেই ভাল মন্দের ছোঁয়া। স্কুলে দাঁড়িয়ে পড়া বলা, কবিতা আবৃত্তি চর্চা, প্রতিদিন এসেম্বলিতে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত ও শপথ পাঠ করা। শারীরিক কসরত বা পিটি করা। শিশু বেলা থেকে আবার অনেক বিষয়ে অনেকের মাঝে নেতৃত্বের চর্চা শুরু হয়। ক্লাস ক্যাপটেন ও ক্লাস লিডারের মাধ্যমে তাদের মধ্যে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জিত হয়। এই ভাবে অর্জিত হয় মেধা বিকাশ। হাই স্কুল ও কলেজ জীবনে এসে সে অনেক বাস্তবতার মাঝে বেড়ে উঠে। সেই সাথে সে তখন ভাল মন্দ বিচার করতে শিখে। সামাজিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিষয় তার সামনে আসে। সেখানে এসে আবার খুঁজে পায় নতুন পথের সন্ধান। এখানে এই সময়টি তার জীবনে কঠিন সিদ্ধান্ত ও বাস্তবতার নতুন দিগন্ত। ছেলে মানসী আর জীবন পথে বিভ্রান্তিতে অনেকেই হারিয়ে যায় অন্ধকারে। কলেজ জীবনে এসে জ্ঞানের নতুন আলোয় আলোকিত হয়। জ্ঞান ভান্ডার প্রসারিত করে। অনেকে স্কাউট, রেডক্রিসেন্ট, বিএনসিসি কার্যক্রম সংযুক্ত হয়ে জ্ঞান ও আলোকিত মানুষ হবার স্বপ্ন দেখে। নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করে। এই সময় অনেকে সামাজিক কাজে অংশ নেয়, সাংস্কৃতিক খেলাধূলা, সাংবাদিকতার চর্চায় নিজেকে ব্যস্ত রাখে। তাই তাদের মধ্যে লেখাপড়ার পাশাপাশি জ্ঞানের বহু মাত্রিক গুনাবলীর বিকাশ ঘটে। নেতৃত্ব প্রদানে যে বিকশিত হয় শিক্ষাজীবন শেষে বিভিন্ন পর্যায়ে সে তার স্বীয় যোগ্যতার অবদান রাখার পাশাপাশি সে তার অর্জিত আলোক ধারা জীবনে প্রতিটি বিকশিত করার মধ্যে তার অবদান রাখে। ছোট পরিসরে আমার এই লেখাটি শুধুমাত্র আলোকিত মানুষ খুঁজতে নয়, আমি সব সময় আলোকিত শিশু, আলোকিত তরুণ, আলোকিত যুবক খুঁজতে। আমাদের আগামী প্রজন্মকে একটি সুন্দর জীবন ও সমাজ উপহার দেওয়া আমাদের উচিত। আলোকিত শিশুর জীবন বিকাশের পথে সহযোগিতা করা। সামাজিক স্বীকৃতি আর পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া আলোকিত শিশুর জীবন বিকাশের পথকে বাঁধা সৃষ্টি করা। সামাজিক ভাবে আমরা আমাদের শিশুদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে একজন আলোকিত মানুষ পরিণত করতে পারি। সেই জন্য আমাদের প্রয়োজন সমাজে অবস্থিত কালিমা গুলোকে দূরে সরিয়ে আলোকিত মানুষের জন্য আলোকিত পথকে স্বাগত জানানো। তবেই সমাজ থেকে বেরিয়ে আসবে আলোকিত মানুষ।
লেখক: তরুন সংগঠন
লেখক: তরুন সংগঠন
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন