মুনিয়া আপুর ফিতের মতো সরু নদীটি এঁকেবেঁকে বয়ে গেছে বহু দূরে। কিন্তু কতো দূরে, কেউ তা জানে না। সেই নদীর বুকে ঝিলমিল করছে ছোট ছোট ঢেউ। সেই ঢেউয়ের ওপর ভেসে যাচ্ছে ছইঅলা একটি নৌকা। পিয়া আর দাদু সেই নৌকায় চড়ে বাড়ি যাচ্ছেন।
এই প্রথম দাদাবাড়ি যাওয়া পিয়ার। এই প্রথম নৌকায় চড়া। এই প্রথম নদী দেখাও ওর। তাই ছোট ছোট ঢেউয়ের মতো বিস্ময়ের পর বিস্ময় তিরতির করছে পিয়ার মনের ভেতর। পিয়ার মনে হচ্ছে, নদীর চেয়ে সুন্দর যেনো আর কিছু নেই। নদীর বুকে ভেসে ভেসে যাচ্ছে আসছে কতো নৌকা। কোনোটা ছোট, কোনোটা বড়ো। কোনো নৌকা লাল-নীল পাল তুলে মাল বোঝাই হয়ে যাচ্ছে। মাঝিরা বসে আছে হাল ধরে। গলা ছেড়ে গাইছে গান। গায়ে এসে লাগছে পাখির পালকের মতো নরম হাওয়া—আহ! প্রাণ জুড়িয়ে যায়।
দাদু বসেছিলেন পাশে। নাকের ডগায় মোটা লেন্সের চশমা বসিয়ে খবরের কাগজ পড়ছেন তিনি। সেদিকে তাকিয়ে পিয়ার খুব রাগ হলো। দাদুকে ছোট্ট করে একটা ধাক্কা মেরে পিয়া বললো, কী ব্যাপার বলো তো দাদু! নৌকায় ওঠার পর থেকে তুমি শুধু পেপারই পড়ছো। এই যে এতো সুন্দর একটা নদী, এই যে রঙিন রঙিন পাল তুলে নৌকাগুলো এদিক-ওদিক যাচ্ছে, মাঝিরা হাল ধরে গান গাইছে—তুমি একবার তা তাকিয়েও দেখছো না! দাদু, নদী তোমার ভালো লাগে না?
খবর কাগজটাকে ভাঁজ করে পাশে রেখে দাদু বললেন, খুব ভালো লাগে। তবে তার চেয়েও বেশি ভালো লাগে তোমাকে।
পিয়া বললো, এ কথা সবাই বলে। মুনিয়া আপু বলেন, পিয়া লক্ষ্মী বোন। পিয়া আমার পুতুল খেলার সাথী। মা বলেন, পিয়া আমার জীবন। আর আমাকে না দেখে অফিসে গেলে সেদিন নাকি বাবার কাজ এলোমেলো হয়ে যায়। বাদ দাও ওসব কথা। তুমি বলো তো দাদু, এ নদীটা যেতে যেতে কোথায় গিয়ে শেষ হয়েছে?
দাদু অসহায় চোখে তাকালেন নদীর দিকে। ভাবলেন, তাই তো, এ নদীটা কোথায় গিয়ে শেষ হয়েছে? আশ্চর্য! এতোদিন ধরে এ নদীর ওপর দিয়ে তিনি যাচ্ছেন-আসছেন। কিন্তু কখনো তো এ প্রশ্নটি মনে আসেনি—কোথায় গেছে নদীটা?
দাদু বললেন, একটা নদী যেতে যেতে আরেকটা নদীর বুকে মিশে গেছে। সেই নদীটা মিশেছে আবার অন্য একটা নদীর বুকে। এভাবে এক নদী অন্য নদীর সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে বয়ে চলেছে হাজার হাজার বছর ধরে। তাই ঠিক কোথায় গিয়ে শেষ হয়েছে, আমার তা জানা হয়নি।
পিয়া বললো, এতো বুড়ো হয়েছো, অথচ আমার একটা প্রশ্নের জবাবই দিতে পারলে না। মনে হচ্ছে তুমি খুব ফাঁকিবাজ ছাত্র ছিলে।
দাদু বললেন, ততোটা ফাঁকিবাজ ছিলাম না। কারণ এ নদী সম্পর্কে একটা প্রশ্নের জবাব জানি। সেই প্রশ্নটা অবশ্য তুমি এখনো আমাকে জিজ্ঞেস করোনি।
: কোন প্রশ্ন?
চোখ নাচিয়ে দাদুর দিকে তাকালো পিয়া। দাদু মিটি মিটি হেসে বললেন, কোথায় গিয়ে শেষ হয়েছে, তা জানি না! তবে এ নদীটা কোথা থেকে শুরু হয়েছে তা জানি। নেপালে যে আকাশছোঁয়া হিমালয় পর্বত রয়েছে, তার গা বেয়ে নেমে আসা বরফগলা পানি থেকে সৃষ্টি হয়েছে এসব নদী।
দাদুর বলা আকাশছোঁয়া শব্দটা খুব ভালো লাগলো পিয়ার। পিয়া বললো, তুমি খুব মিষ্টি কথা শোনালে—আকাশছোঁয়া হিমালয়। আকাশের দিকে তাকালেই মনটা কেমন বড়ো হয়ে যায়। আমার হয়—তোমারও হয় দাদু?
দাদু বললেন, হয়। আকাশ দেখে মন উদার হয়ে যায়।
: আকাশে পাখি ওড়ে। আমার পাখি হয়ে উড়ে বেড়াতে ইচ্ছে করে। দাদু! মানুষ না হয়ে তুমি আর আমি যদি পাখি হতাম, তাহলে খুব মজা হতো, ডানা মেলে উড়ে উড়ে বাড়ি চলে যেতাম। আর সেই আকাশছোঁয়া হিমালয়টাকেও দেখে আসতাম।
কেমন একটা মায়া মায়া কণ্ঠে কথাগুলো বললো পিয়া। তারপর তাকালো আকাশের বুকে। অমনি ভালোলাগায় মন ভরে গেলো ওর। পিয়া দেখলো, কী বিশাল আকাশ! কী গাঢ় নীল তার রঙ! নীলের ফাঁকে ফাঁকে ভেসে বেড়াচ্ছে তুলোর মতো সাদা সাদা মেঘ। ছোট ছোট বিন্দুর মতো পাখিরা পাল্লা দিয়ে উড়ছে মেঘের পাশে পাশে। আহ্ কী সুন্দর!
আনন্দে নেচে উঠলো পিয়ার মন। উত্তেজনায় কেঁপে কেঁপে উঠলো ওর ছোট্ট শরীরটা—উহ্! পাখিরা কতো সুখী। আর মেঘরা কী ভাগ্যবান—ডানা নেই তবু রাতদিন উড়ে বেড়াতে পারে। ধ্যাত, পিয়া কেনো মানুষ হলো, পিয়া তো একটা লাল-সবুজ পাখিও হতে পারতো!
ততোক্ষণে নৌকা চলে এসেছিলো খালের ভেতর। সেই খালের দু’পাশে সার বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে কাশফুলের গাছ। বাতাস ছুঁয়ে যাচ্ছে কাশফুলের চূড়া। সেই বাতাসের হালকা ছোঁয়ায় খালের দু’পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে যে হাজার হাজার কাশফুল গাছ, তারা এদিকে হেলছে, ওদিকে দুলছে। যেনো মাথা ঝুঁকিয়ে স্বাগত জানাচ্ছে পিয়াকে।
পিয়া বসে ছিলো, এবার ছইয়ের গায়ে হেলান দিয়ে উঠে দাঁড়ালো। তারপর তাকালো সামনে, তাকালো পেছনেও। পিয়া দেখতে পেলো, যতোদূর দেখা যাচ্ছে, ততোদূর শুধু কাশফুল হেলেদুলে খেলা করছে। যেনো এক রুপালি নদী বয়ে যাচ্ছে দৃষ্টিজুড়ে। কী যে সুন্দর লাগছে ওই নীল আকাশ, ওই ভেসে বেড়ানো টুকরো টুকরো মেঘ আর কাশফুল দেখতে, পিয়া কী করে তা অন্যকে বোঝাবে?
বেশি ভালো লাগলে পিয়া কেমন অন্য পিয়া হয়ে যায়। সব ছবি মুছে গিয়ে মনজুড়ে তখন ফুটে থাকে ভালোলাগা ছবিটি। চোখ বুজে, নিজের মাঝে নিজেকে বিলীন করে দিয়ে সেই ভালোলাগা উপভোগ করে পিয়া। আজও তাই করলো—কাশফুল, নদী আর মেঘদের সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে নিঃশেষে লীন করে দিয়ে চোখ বুজে বসে রইলো পিয়া। এভাবে কাটিয়ে দিলো কতোটা সময় কে জানে! তারপর যেনো ঘুম ভেঙে গেলো, অমন করে চোখ খুললো পিয়া। সেই চোখের তারায় তারায় তখন খেলা করছে হাজার বিস্ময়। সেই বিস্ময় বাঁধভাঙা স্রোতের মতো বেরিয়ে এলো পিয়ার কণ্ঠ চিরে—হায় আল্লাহ! কী সুন্দর এ পৃথিবী! ওহ্ দাদু, এতোদিন এই সৌন্দর্য কোথায় লুকিয়ে ছিলো? কার আঁচলে বাঁধা ছিলো এই সৌন্দর্যের ছবি?
দাদু বললেন, ঋতুৃর রানী শরত্—সেই শরতের আঁচলে প্রকৃতির সৌন্দর্য বাঁধা ছিলো। শরত্ আজ তার আঁচলের বাঁধন খুলে দিয়েছে। প্রকৃতি তাই এমন করে সেজেছে।
পিয়া বললো, আর সেই সুন্দর প্রকৃতি দেখে তোমার-আমার মন ভালোলাগায় ভালোলাগায় ভরে উঠেছে।
এই প্রথম দাদাবাড়ি যাওয়া পিয়ার। এই প্রথম নৌকায় চড়া। এই প্রথম নদী দেখাও ওর। তাই ছোট ছোট ঢেউয়ের মতো বিস্ময়ের পর বিস্ময় তিরতির করছে পিয়ার মনের ভেতর। পিয়ার মনে হচ্ছে, নদীর চেয়ে সুন্দর যেনো আর কিছু নেই। নদীর বুকে ভেসে ভেসে যাচ্ছে আসছে কতো নৌকা। কোনোটা ছোট, কোনোটা বড়ো। কোনো নৌকা লাল-নীল পাল তুলে মাল বোঝাই হয়ে যাচ্ছে। মাঝিরা বসে আছে হাল ধরে। গলা ছেড়ে গাইছে গান। গায়ে এসে লাগছে পাখির পালকের মতো নরম হাওয়া—আহ! প্রাণ জুড়িয়ে যায়।
দাদু বসেছিলেন পাশে। নাকের ডগায় মোটা লেন্সের চশমা বসিয়ে খবরের কাগজ পড়ছেন তিনি। সেদিকে তাকিয়ে পিয়ার খুব রাগ হলো। দাদুকে ছোট্ট করে একটা ধাক্কা মেরে পিয়া বললো, কী ব্যাপার বলো তো দাদু! নৌকায় ওঠার পর থেকে তুমি শুধু পেপারই পড়ছো। এই যে এতো সুন্দর একটা নদী, এই যে রঙিন রঙিন পাল তুলে নৌকাগুলো এদিক-ওদিক যাচ্ছে, মাঝিরা হাল ধরে গান গাইছে—তুমি একবার তা তাকিয়েও দেখছো না! দাদু, নদী তোমার ভালো লাগে না?
খবর কাগজটাকে ভাঁজ করে পাশে রেখে দাদু বললেন, খুব ভালো লাগে। তবে তার চেয়েও বেশি ভালো লাগে তোমাকে।
পিয়া বললো, এ কথা সবাই বলে। মুনিয়া আপু বলেন, পিয়া লক্ষ্মী বোন। পিয়া আমার পুতুল খেলার সাথী। মা বলেন, পিয়া আমার জীবন। আর আমাকে না দেখে অফিসে গেলে সেদিন নাকি বাবার কাজ এলোমেলো হয়ে যায়। বাদ দাও ওসব কথা। তুমি বলো তো দাদু, এ নদীটা যেতে যেতে কোথায় গিয়ে শেষ হয়েছে?
দাদু অসহায় চোখে তাকালেন নদীর দিকে। ভাবলেন, তাই তো, এ নদীটা কোথায় গিয়ে শেষ হয়েছে? আশ্চর্য! এতোদিন ধরে এ নদীর ওপর দিয়ে তিনি যাচ্ছেন-আসছেন। কিন্তু কখনো তো এ প্রশ্নটি মনে আসেনি—কোথায় গেছে নদীটা?
দাদু বললেন, একটা নদী যেতে যেতে আরেকটা নদীর বুকে মিশে গেছে। সেই নদীটা মিশেছে আবার অন্য একটা নদীর বুকে। এভাবে এক নদী অন্য নদীর সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে বয়ে চলেছে হাজার হাজার বছর ধরে। তাই ঠিক কোথায় গিয়ে শেষ হয়েছে, আমার তা জানা হয়নি।
পিয়া বললো, এতো বুড়ো হয়েছো, অথচ আমার একটা প্রশ্নের জবাবই দিতে পারলে না। মনে হচ্ছে তুমি খুব ফাঁকিবাজ ছাত্র ছিলে।
দাদু বললেন, ততোটা ফাঁকিবাজ ছিলাম না। কারণ এ নদী সম্পর্কে একটা প্রশ্নের জবাব জানি। সেই প্রশ্নটা অবশ্য তুমি এখনো আমাকে জিজ্ঞেস করোনি।
: কোন প্রশ্ন?
চোখ নাচিয়ে দাদুর দিকে তাকালো পিয়া। দাদু মিটি মিটি হেসে বললেন, কোথায় গিয়ে শেষ হয়েছে, তা জানি না! তবে এ নদীটা কোথা থেকে শুরু হয়েছে তা জানি। নেপালে যে আকাশছোঁয়া হিমালয় পর্বত রয়েছে, তার গা বেয়ে নেমে আসা বরফগলা পানি থেকে সৃষ্টি হয়েছে এসব নদী।
দাদুর বলা আকাশছোঁয়া শব্দটা খুব ভালো লাগলো পিয়ার। পিয়া বললো, তুমি খুব মিষ্টি কথা শোনালে—আকাশছোঁয়া হিমালয়। আকাশের দিকে তাকালেই মনটা কেমন বড়ো হয়ে যায়। আমার হয়—তোমারও হয় দাদু?
দাদু বললেন, হয়। আকাশ দেখে মন উদার হয়ে যায়।
: আকাশে পাখি ওড়ে। আমার পাখি হয়ে উড়ে বেড়াতে ইচ্ছে করে। দাদু! মানুষ না হয়ে তুমি আর আমি যদি পাখি হতাম, তাহলে খুব মজা হতো, ডানা মেলে উড়ে উড়ে বাড়ি চলে যেতাম। আর সেই আকাশছোঁয়া হিমালয়টাকেও দেখে আসতাম।
কেমন একটা মায়া মায়া কণ্ঠে কথাগুলো বললো পিয়া। তারপর তাকালো আকাশের বুকে। অমনি ভালোলাগায় মন ভরে গেলো ওর। পিয়া দেখলো, কী বিশাল আকাশ! কী গাঢ় নীল তার রঙ! নীলের ফাঁকে ফাঁকে ভেসে বেড়াচ্ছে তুলোর মতো সাদা সাদা মেঘ। ছোট ছোট বিন্দুর মতো পাখিরা পাল্লা দিয়ে উড়ছে মেঘের পাশে পাশে। আহ্ কী সুন্দর!
আনন্দে নেচে উঠলো পিয়ার মন। উত্তেজনায় কেঁপে কেঁপে উঠলো ওর ছোট্ট শরীরটা—উহ্! পাখিরা কতো সুখী। আর মেঘরা কী ভাগ্যবান—ডানা নেই তবু রাতদিন উড়ে বেড়াতে পারে। ধ্যাত, পিয়া কেনো মানুষ হলো, পিয়া তো একটা লাল-সবুজ পাখিও হতে পারতো!
ততোক্ষণে নৌকা চলে এসেছিলো খালের ভেতর। সেই খালের দু’পাশে সার বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে কাশফুলের গাছ। বাতাস ছুঁয়ে যাচ্ছে কাশফুলের চূড়া। সেই বাতাসের হালকা ছোঁয়ায় খালের দু’পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে যে হাজার হাজার কাশফুল গাছ, তারা এদিকে হেলছে, ওদিকে দুলছে। যেনো মাথা ঝুঁকিয়ে স্বাগত জানাচ্ছে পিয়াকে।
পিয়া বসে ছিলো, এবার ছইয়ের গায়ে হেলান দিয়ে উঠে দাঁড়ালো। তারপর তাকালো সামনে, তাকালো পেছনেও। পিয়া দেখতে পেলো, যতোদূর দেখা যাচ্ছে, ততোদূর শুধু কাশফুল হেলেদুলে খেলা করছে। যেনো এক রুপালি নদী বয়ে যাচ্ছে দৃষ্টিজুড়ে। কী যে সুন্দর লাগছে ওই নীল আকাশ, ওই ভেসে বেড়ানো টুকরো টুকরো মেঘ আর কাশফুল দেখতে, পিয়া কী করে তা অন্যকে বোঝাবে?
বেশি ভালো লাগলে পিয়া কেমন অন্য পিয়া হয়ে যায়। সব ছবি মুছে গিয়ে মনজুড়ে তখন ফুটে থাকে ভালোলাগা ছবিটি। চোখ বুজে, নিজের মাঝে নিজেকে বিলীন করে দিয়ে সেই ভালোলাগা উপভোগ করে পিয়া। আজও তাই করলো—কাশফুল, নদী আর মেঘদের সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে নিঃশেষে লীন করে দিয়ে চোখ বুজে বসে রইলো পিয়া। এভাবে কাটিয়ে দিলো কতোটা সময় কে জানে! তারপর যেনো ঘুম ভেঙে গেলো, অমন করে চোখ খুললো পিয়া। সেই চোখের তারায় তারায় তখন খেলা করছে হাজার বিস্ময়। সেই বিস্ময় বাঁধভাঙা স্রোতের মতো বেরিয়ে এলো পিয়ার কণ্ঠ চিরে—হায় আল্লাহ! কী সুন্দর এ পৃথিবী! ওহ্ দাদু, এতোদিন এই সৌন্দর্য কোথায় লুকিয়ে ছিলো? কার আঁচলে বাঁধা ছিলো এই সৌন্দর্যের ছবি?
দাদু বললেন, ঋতুৃর রানী শরত্—সেই শরতের আঁচলে প্রকৃতির সৌন্দর্য বাঁধা ছিলো। শরত্ আজ তার আঁচলের বাঁধন খুলে দিয়েছে। প্রকৃতি তাই এমন করে সেজেছে।
পিয়া বললো, আর সেই সুন্দর প্রকৃতি দেখে তোমার-আমার মন ভালোলাগায় ভালোলাগায় ভরে উঠেছে।
সূত্র : আমার দেশ
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন