গ্রীষ্মের ছুটিতে টগর নানুবাড়ি বেড়াতে যাবে ঠিক হওয়ার পর থেকেই খুব আনন্দ লাগছে তার। বারবার মন চাইছে আজই যদি সে নানুর কাছে ছুটে যেতে পারত, তবে খুব মজা হতো। এবার নানুবাড়ি থেকে আসার সময় নানু টগরকে ভূতের ছানা দিতে চেয়েছেন। কিন্তু টগর জানে ভূতের ছানা শুধু গল্পেই থাকে, বাস্তবে থাকে না। তারপরও টগরের ভূতের গল্প খুব পছন্দ। নানু ছাড়া এত মজার গল্প আর কেউ বলতে পারে না।
টগর এবার মামার সঙ্গে নানুবাড়ি যাবে। বাবা-মা যেতে পারবেন না, কারণ তাদের অফিস ছুটি হয়নি। এই প্রথম টগর বাবা-মাকে ছাড়া একা যাচ্ছে। ভাবতেই তার দারুণ লাগছে। সে এখন আর সেই ছোট্ট টগর নেই। সে ক্লাস ফোরে পড়ে। মামা টগরের খুব পছন্দের। মা’র মতো মামা টগরকে ছোটাছুটি করতে নিষেধ করেন না।
মামা আর টগর সন্ধ্যার ট্রেনে নানুবাড়ি যাবে। এর আগে টগর কখনও ট্রেনে ওঠেনি। মা টগরের সঙ্গে যেতে পারবেন না ভেবে একটু কষ্টও হচ্ছে। এসব ভাবতে ভাবতে কখন টগর ঘুমিয়ে পড়ল। সকালে ওঠে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে টগর ওর ব্যাগ গুছিয়ে নিল। মামাও বিকালে এসে তার ব্যাগ গুছিয়ে নিলেন। টগর মামার ঘরে উঁকি দিয়ে দেখল মামার বিছানায় ক্যামেরা রাখা। এবার মামা গ্রামের অনেক ছবি তুলে আনবেন। মামা বলেছেন টগরকেও তিনি কীভাবে ছবি তুলতে হয় শিখিয়ে দেবেন।
সন্ধ্যার আগেই টগররা স্টেশনের উদ্দেশে রওনা হলো। ট্রেনে ওঠে এত লোক দেখে টগর অবাক হয়ে গেল। ওরা বসল একটি জানালার পাশে। বাংলার সবুজ-শ্যামল মাঠ টগর মুগ্ধ হয়ে দেখতে লাগল। টগরের মনে হলো স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে আনতে পারলে আরও মজা হতো। এদিকে মামা অনেক আগেই ঘুমিয়ে পড়েছেন। অনেক রাত হয়ে গেছে, তবুও টগরের ঘুম নেই চোখে। সে মুগ্ধ হয়ে অন্য যাত্রীদের দিকে তাকিয়ে আছে। হঠাত্ খুব জোরের সঙ্গে ট্রেন ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে গেল। মামার ঘুমটাও ভেঙে গেল। সামনের রাস্তায় গাছ ভেঙে পড়ায় ট্রেন আর সামনে যেতে পারবে না জেনে যাত্রীরা হইচই শুরু করেছিল। এর মাঝেই শুরু হলো প্রচণ্ড বৃষ্টি। ততক্ষণে সব যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করেছে। মামা কাছে এসে বললেন, টগর চল আমরা হেঁটে নবীনগর যাব। এখান থেকে ৩ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে গেলেই নবীনগর।
টগর ও রাজি হয়ে গেল। বলল, বেশ, তাই চলো।
কাদা মাটির পথ ধরে বৃষ্টিতে ভিজে যখন ওরা বাড়ি পৌঁছাল ওদের দেখে চেনার উপায় নেই। সারা শরীর কাদায় মাখা। ভোরের আগেই ওরা বাড়ি পৌঁছে গেল। তখনও আলো ফোটেনি। এ আঁধারে ওদের দু’জনকে নানুর গল্পের ভূতের মতো দেখাচ্ছে। নানু ভোরের আলো ফোটার আগেই জেগে ওঠেন। নানুকে দেখে টগর ছুটে এলো তার কাছে, কিন্তু নানু তাকে দেখে ভূত, ভূত বলে চেঁচাতে লাগলেন। টগর তো অবাক। এদিকে নানু জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন। জ্ঞান ফেরার পর যখন নানু টগরকে দেখলেন আর সব কথা শুনলেন, তখন তার হাসি আর থামেই না।
নানু টগরকে কাছে ডেকে বললেন, তাহলে তুই ছিলি সেই ভূতের ছানা?
এত বড় হলেও যে নানু ভূতে ভয় পান, এটা ভেবে টগরেরও হাসি পেয়ে গেল।
টগর এবার মামার সঙ্গে নানুবাড়ি যাবে। বাবা-মা যেতে পারবেন না, কারণ তাদের অফিস ছুটি হয়নি। এই প্রথম টগর বাবা-মাকে ছাড়া একা যাচ্ছে। ভাবতেই তার দারুণ লাগছে। সে এখন আর সেই ছোট্ট টগর নেই। সে ক্লাস ফোরে পড়ে। মামা টগরের খুব পছন্দের। মা’র মতো মামা টগরকে ছোটাছুটি করতে নিষেধ করেন না।
মামা আর টগর সন্ধ্যার ট্রেনে নানুবাড়ি যাবে। এর আগে টগর কখনও ট্রেনে ওঠেনি। মা টগরের সঙ্গে যেতে পারবেন না ভেবে একটু কষ্টও হচ্ছে। এসব ভাবতে ভাবতে কখন টগর ঘুমিয়ে পড়ল। সকালে ওঠে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে টগর ওর ব্যাগ গুছিয়ে নিল। মামাও বিকালে এসে তার ব্যাগ গুছিয়ে নিলেন। টগর মামার ঘরে উঁকি দিয়ে দেখল মামার বিছানায় ক্যামেরা রাখা। এবার মামা গ্রামের অনেক ছবি তুলে আনবেন। মামা বলেছেন টগরকেও তিনি কীভাবে ছবি তুলতে হয় শিখিয়ে দেবেন।
সন্ধ্যার আগেই টগররা স্টেশনের উদ্দেশে রওনা হলো। ট্রেনে ওঠে এত লোক দেখে টগর অবাক হয়ে গেল। ওরা বসল একটি জানালার পাশে। বাংলার সবুজ-শ্যামল মাঠ টগর মুগ্ধ হয়ে দেখতে লাগল। টগরের মনে হলো স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে আনতে পারলে আরও মজা হতো। এদিকে মামা অনেক আগেই ঘুমিয়ে পড়েছেন। অনেক রাত হয়ে গেছে, তবুও টগরের ঘুম নেই চোখে। সে মুগ্ধ হয়ে অন্য যাত্রীদের দিকে তাকিয়ে আছে। হঠাত্ খুব জোরের সঙ্গে ট্রেন ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে গেল। মামার ঘুমটাও ভেঙে গেল। সামনের রাস্তায় গাছ ভেঙে পড়ায় ট্রেন আর সামনে যেতে পারবে না জেনে যাত্রীরা হইচই শুরু করেছিল। এর মাঝেই শুরু হলো প্রচণ্ড বৃষ্টি। ততক্ষণে সব যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করেছে। মামা কাছে এসে বললেন, টগর চল আমরা হেঁটে নবীনগর যাব। এখান থেকে ৩ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে গেলেই নবীনগর।
টগর ও রাজি হয়ে গেল। বলল, বেশ, তাই চলো।
কাদা মাটির পথ ধরে বৃষ্টিতে ভিজে যখন ওরা বাড়ি পৌঁছাল ওদের দেখে চেনার উপায় নেই। সারা শরীর কাদায় মাখা। ভোরের আগেই ওরা বাড়ি পৌঁছে গেল। তখনও আলো ফোটেনি। এ আঁধারে ওদের দু’জনকে নানুর গল্পের ভূতের মতো দেখাচ্ছে। নানু ভোরের আলো ফোটার আগেই জেগে ওঠেন। নানুকে দেখে টগর ছুটে এলো তার কাছে, কিন্তু নানু তাকে দেখে ভূত, ভূত বলে চেঁচাতে লাগলেন। টগর তো অবাক। এদিকে নানু জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন। জ্ঞান ফেরার পর যখন নানু টগরকে দেখলেন আর সব কথা শুনলেন, তখন তার হাসি আর থামেই না।
নানু টগরকে কাছে ডেকে বললেন, তাহলে তুই ছিলি সেই ভূতের ছানা?
এত বড় হলেও যে নানু ভূতে ভয় পান, এটা ভেবে টগরেরও হাসি পেয়ে গেল।
সূত্র: আমার দেশ
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন