আমরা প্রতিদিন একটি রৌদ্রোজ্জ্বল সকালের প্রত্যাশায় থাকি। সুন্দর সকাল, সুন্দর দিনের সূচনা এমন কথাও প্রচলিত। দিনের আলোর প্রয়োজনীয়তার কথা লিখে শেষ করা যাবে না। সূর্যের আলো চোখে দেখি কিন্তু যা দেখতে পাই না তা হলো_ আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি, যা ক্ষতিকর। সূর্যের আলোতে বর্তমান আল্ট্র্রাভায়োলেট রশ্মি তরঙ্গ মান অনুযায়ী তিন ধরনের। এর মধ্যে ইউভি-বি (২৯০-৩২০ ন্যানোমি) ও ইউভি-এ (৩২০-৩৯০ ন্যানোমি) পৃথিবীতে সূর্যের আলোর সঙ্গে পেঁৗছায় এবং এর প্রভাব আমাদের ওপর পড়ে। আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি শুধু সরাসরি সূর্যের আলোতেই থাকে না, পুকুর-নদী-সমুদ্রের পানি, বালু, কংক্রিটের দেয়াল, জানালার কাচ ইত্যাদি থেকে প্রতিনিয়ত প্রতিফলিত আলোর মাঝেই আছে আমাদের পরিবেশের সঙ্গে। যত বেশি নগরায়ন এবং গাছপালা কাটা হবে ততই আমরা আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মির ক্ষতির শিকার হবো। আমাদের চোখে আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মির প্রভাব ও ক্ষতির ধরন অনেক আগেই ভালোভাবে নির্ণীত হয়েছে। আনুমানিক ২০ লাখ যন্ত্রাংশে তৈরি আমাদের চোখের ভিন্ন ভিন্ন কোষকলা ভিন্ন তরঙ্গ মানের আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি শোষণ করে এবং তাদের প্রতিক্রিয়াও ভিন্ন।
আমাদের চোখের কর্নিয়া ইউভি-বি'র থেকে ইউভি-সি (২০০-২৯০ ন্যানেমি)'র প্রতি বেশি সংবেদনশীল, যা ওয়েল্ডিংয়ের আলোর ঝলকানিতে আছে। সূর্যের আলোতে বর্তমান থাকলেও উচ্চাকাশ ভেদ করে পৃথিবীতে পৌঁছায় না। ইউভি-সি (২০০-২৯০ ন্যানোমি) আমরাই তৈরি করি। যার প্রভাবে চোখে কাঁটা কাঁটা ফোটা, পানি পড়া, তীব্র ব্যথা অনুভূত হয় ৩০ মিনিট থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে। যারা প্রতিনিয়ত এবং বেশি সময় ধরে এর সংস্পর্শে থাকেন তাদের কর্নিয়ার কোষ ধ্বংস হতে দেখা গেছে। অথচ রাস্তা-ফুটপাতের পাশে অহরহই আমরা ওয়েল্ডিংয়ের আলোর ঝলকানি দেখতে পাই। ইউভি রশ্মির তরঙ্গ মান ২৯০ ন্যানোমির বেশি হলে কর্নিয়া কোষের শোষণ নাটকীয়ভাবে কমে যায়। ইউভি-এর বেশিরভাগ এবং ইউভি-বি'র কিছু অংশ চোখের কর্নিয়া ও এক্যুয়াস ভেদ করে চোখের লেন্সে সম্পূর্ণভাবে শোষিত হয়, যা চোখের লেন্স কোষের প্রোটিনের পরিবর্তন করে এবং চোখে ছানি দেখা দেয়। তাই আমাদের দেশে ছানি রোগীর সংখ্যা বেশি। বিশেষ করে যারা মাঠে কাজ করে। বড় তরঙ্গ মানের আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি চোখের লেন্স ভেদ করে রেটিনার বিভিন্ন কোষকলাকে নষ্ট করে, বিশেষ করে ম্যাকুলা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বর্তমান বিশ্বে সভ্য মানুষের আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মির প্রভাব থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত থাকা সম্ভব নয়। প্রতিনিয়ত বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত ফ্লুরেসেন্ট বাতি, টিভি-কম্পিউটার মনিটর থেকে নির্গত খুব সীমিত পরিমাণের বড় তরঙ্গ মানের আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মির কিউমিলেটিভ প্রভাব অস্বীকারের কোনো উপায় নেই। এসব যন্ত্র কম ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
বর্তমান বাজারে হাই ইনডেক্স, ফটোক্রোমিক ও পরিকার্বনেট লেন্স প্রায় ৯৯% আল্টাভায়োলেট রশ্মি প্রতিরোধে সক্ষম এবং আমাদের একমাত্র ভরসা। ভবিষ্যৎ বংশধরদের নির্মল সুস্থ জীবনের জন্য নগরায়ন না করে সবুজায়ন করার প্রতিজ্ঞা করি, যা হবে তাদের আসল ও নিরাপদ সম্পদ।
লেখক : চক্ষুবিশেষজ্ঞ,
কসমেটিক ও অক্যুলার সার্জন। ফোন : ০১৭১১৮১৪৫৬৫
আমাদের চোখের কর্নিয়া ইউভি-বি'র থেকে ইউভি-সি (২০০-২৯০ ন্যানেমি)'র প্রতি বেশি সংবেদনশীল, যা ওয়েল্ডিংয়ের আলোর ঝলকানিতে আছে। সূর্যের আলোতে বর্তমান থাকলেও উচ্চাকাশ ভেদ করে পৃথিবীতে পৌঁছায় না। ইউভি-সি (২০০-২৯০ ন্যানোমি) আমরাই তৈরি করি। যার প্রভাবে চোখে কাঁটা কাঁটা ফোটা, পানি পড়া, তীব্র ব্যথা অনুভূত হয় ৩০ মিনিট থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে। যারা প্রতিনিয়ত এবং বেশি সময় ধরে এর সংস্পর্শে থাকেন তাদের কর্নিয়ার কোষ ধ্বংস হতে দেখা গেছে। অথচ রাস্তা-ফুটপাতের পাশে অহরহই আমরা ওয়েল্ডিংয়ের আলোর ঝলকানি দেখতে পাই। ইউভি রশ্মির তরঙ্গ মান ২৯০ ন্যানোমির বেশি হলে কর্নিয়া কোষের শোষণ নাটকীয়ভাবে কমে যায়। ইউভি-এর বেশিরভাগ এবং ইউভি-বি'র কিছু অংশ চোখের কর্নিয়া ও এক্যুয়াস ভেদ করে চোখের লেন্সে সম্পূর্ণভাবে শোষিত হয়, যা চোখের লেন্স কোষের প্রোটিনের পরিবর্তন করে এবং চোখে ছানি দেখা দেয়। তাই আমাদের দেশে ছানি রোগীর সংখ্যা বেশি। বিশেষ করে যারা মাঠে কাজ করে। বড় তরঙ্গ মানের আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি চোখের লেন্স ভেদ করে রেটিনার বিভিন্ন কোষকলাকে নষ্ট করে, বিশেষ করে ম্যাকুলা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বর্তমান বিশ্বে সভ্য মানুষের আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মির প্রভাব থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত থাকা সম্ভব নয়। প্রতিনিয়ত বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত ফ্লুরেসেন্ট বাতি, টিভি-কম্পিউটার মনিটর থেকে নির্গত খুব সীমিত পরিমাণের বড় তরঙ্গ মানের আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মির কিউমিলেটিভ প্রভাব অস্বীকারের কোনো উপায় নেই। এসব যন্ত্র কম ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
বর্তমান বাজারে হাই ইনডেক্স, ফটোক্রোমিক ও পরিকার্বনেট লেন্স প্রায় ৯৯% আল্টাভায়োলেট রশ্মি প্রতিরোধে সক্ষম এবং আমাদের একমাত্র ভরসা। ভবিষ্যৎ বংশধরদের নির্মল সুস্থ জীবনের জন্য নগরায়ন না করে সবুজায়ন করার প্রতিজ্ঞা করি, যা হবে তাদের আসল ও নিরাপদ সম্পদ।
লেখক : চক্ষুবিশেষজ্ঞ,
কসমেটিক ও অক্যুলার সার্জন। ফোন : ০১৭১১৮১৪৫৬৫
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন