তোমার সাথে শেষ দেখা হয়েছিল সেই বিকেলের পর
সন্ধ্যা তখন ছুঁই ছুঁই করছে।
তুমি মাথা নীচু করে রাখছিলে আর কথা খুজছিলে,
আমি অন্যদিকে তাকিয়ে ছিলাম, কোন কথা খুঁজে পাই নি।
আমরা বুঝতে পারছিলাম যে আমাদের আর কখনও দেখা হবে না।
তুমি চলে যাবে তোমার পথে, আমি আমার।
আমাদের জীবনটা খুব সহজেই পালটে যাচ্ছিল।
আমরা বুঝতেও পারছিলাম না আমরা কি করছি।
আলাদা হতে খুব একটা সময় লাগে না,
যতটা লাগে জোড়া লাগতে।
তুমি কি রংয়ের শাড়ী পড়েছিলে তা ভুলে গেছি,
অথবা তোমার পায়ের স্যান্ডেলটা কেমন ছিল দেখতে,
তাও আজ মনে নেই।
তোমার চোখের দিকে তাকাতেও অস্বস্তি লাগছিল।
মানুষ কত সহজেই পর হয়ে যায়।
সম্পর্কের সুতোগুলো পুড়িয়ে ফেলে একদম।
সন্ধ্যা ছুঁই ছুঁই করছিল সেদিন।
রাজপথে ছিল অনেক যানবাহন আর ল্যাম্পপোষ্ট।
আচ্ছা এ নগরীর বুকে প্রতিদিন কতগুলো সম্পর্ক তৈরী হয় আর ভাঙ্গে?
সেই মিশুকের নগরী।
সেই বেলুনের আর হাওয়াই মিঠাইয়ের নগরী।
পিজি হাসপাতাল আর রেডিও অফিসের নগরী।
স্মৃতিসৌধের দূর থেকে দেখা লাল আলোর নগরী।
বহুতল বাড়ীগুলোর জানালা থেকে হলুদ আলো বের হয়ে আসা নগরী।
আমি হারিয়ে ফেলেছি সেই নগরী।
তুমিও হারিয়ে গেছ।
অথচ জীবনটা হতে পারত সম্পূর্ণ বিপ্রতীপ।
এখন প্রচুর গাড়ী নগরীতে।
রেডিও অফিসের থেকে
বেসরকারী টিভি চ্যানেলগুলোর অফিসই বেশী কার্যকর।
রোদটা এখন অন্যরকম দেখতে।
রঙ্গীন টেলিভিশন এখন সহজলভ্য।
অথচ আমরা একটা স্বপ্ন দেখেছিলাম,
একটা রঙ্গীন টেলিভিশন কিনব,
একটা ফ্রীজ কিনব।
নাহ বড্ড এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে সব।
মৃত্যুই এখন আমার শেষ পরিণতি।
সর্বগ্রাসী মৃত্যু।
আমার কোন দায় নেই এ পৃথিবীতে।
আমার কোন বংশধর নেই।
আমার কোন সম্পর্কের সুতো নেই।
সব সুতোগুলো পুড়ে গেছে।
আমি যে কি আমি তা নিজেও এখন জানি না।
তুমি এখন কোথায় আছ আজ খুব জানতে ইচ্ছে করছে।
তোমার কি একটা মেয়ে আছে?
মেয়েটা নিশ্চই এতদিনে কলেজে পড়ছে।
তুমি নিশ্চই এখন ওকে নিয়ে স্বপ্ন দেখ,
একদিন ও ডাক্তার হবে।
তোমার বা আমার আসলে এখন চাওয়ার কিছুই অবশিষ্ট নেই আর।
আমাদের কর্মক্ষেত্র, সম্পর্কের ব্যররথতার ভয়, সফলতার আনন্দ,
সব এখন নিরর্থক।
এখন আর আমাদের সেই বিদায় সন্ধ্যাটা নেই,
নেই সেদিনের কথা খুঁজে না পাওয়া।
তবে তুমি তোমার স্বপ্ন হয়তো ছড়িয়ে দেবে,
তোমার সন্তানের মাঝে,
তোমার হারাবার কিছু নেই।
আমারও হারাবার কিছু নেই,
আমি আগেই সব হারিয়ে বসেছি।
সন্ধ্যা তখন ছুঁই ছুঁই করছে।
তুমি মাথা নীচু করে রাখছিলে আর কথা খুজছিলে,
আমি অন্যদিকে তাকিয়ে ছিলাম, কোন কথা খুঁজে পাই নি।
আমরা বুঝতে পারছিলাম যে আমাদের আর কখনও দেখা হবে না।
তুমি চলে যাবে তোমার পথে, আমি আমার।
আমাদের জীবনটা খুব সহজেই পালটে যাচ্ছিল।
আমরা বুঝতেও পারছিলাম না আমরা কি করছি।
আলাদা হতে খুব একটা সময় লাগে না,
যতটা লাগে জোড়া লাগতে।
তুমি কি রংয়ের শাড়ী পড়েছিলে তা ভুলে গেছি,
অথবা তোমার পায়ের স্যান্ডেলটা কেমন ছিল দেখতে,
তাও আজ মনে নেই।
তোমার চোখের দিকে তাকাতেও অস্বস্তি লাগছিল।
মানুষ কত সহজেই পর হয়ে যায়।
সম্পর্কের সুতোগুলো পুড়িয়ে ফেলে একদম।
সন্ধ্যা ছুঁই ছুঁই করছিল সেদিন।
রাজপথে ছিল অনেক যানবাহন আর ল্যাম্পপোষ্ট।
আচ্ছা এ নগরীর বুকে প্রতিদিন কতগুলো সম্পর্ক তৈরী হয় আর ভাঙ্গে?
সেই মিশুকের নগরী।
সেই বেলুনের আর হাওয়াই মিঠাইয়ের নগরী।
পিজি হাসপাতাল আর রেডিও অফিসের নগরী।
স্মৃতিসৌধের দূর থেকে দেখা লাল আলোর নগরী।
বহুতল বাড়ীগুলোর জানালা থেকে হলুদ আলো বের হয়ে আসা নগরী।
আমি হারিয়ে ফেলেছি সেই নগরী।
তুমিও হারিয়ে গেছ।
অথচ জীবনটা হতে পারত সম্পূর্ণ বিপ্রতীপ।
এখন প্রচুর গাড়ী নগরীতে।
রেডিও অফিসের থেকে
বেসরকারী টিভি চ্যানেলগুলোর অফিসই বেশী কার্যকর।
রোদটা এখন অন্যরকম দেখতে।
রঙ্গীন টেলিভিশন এখন সহজলভ্য।
অথচ আমরা একটা স্বপ্ন দেখেছিলাম,
একটা রঙ্গীন টেলিভিশন কিনব,
একটা ফ্রীজ কিনব।
নাহ বড্ড এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে সব।
মৃত্যুই এখন আমার শেষ পরিণতি।
সর্বগ্রাসী মৃত্যু।
আমার কোন দায় নেই এ পৃথিবীতে।
আমার কোন বংশধর নেই।
আমার কোন সম্পর্কের সুতো নেই।
সব সুতোগুলো পুড়ে গেছে।
আমি যে কি আমি তা নিজেও এখন জানি না।
তুমি এখন কোথায় আছ আজ খুব জানতে ইচ্ছে করছে।
তোমার কি একটা মেয়ে আছে?
মেয়েটা নিশ্চই এতদিনে কলেজে পড়ছে।
তুমি নিশ্চই এখন ওকে নিয়ে স্বপ্ন দেখ,
একদিন ও ডাক্তার হবে।
তোমার বা আমার আসলে এখন চাওয়ার কিছুই অবশিষ্ট নেই আর।
আমাদের কর্মক্ষেত্র, সম্পর্কের ব্যররথতার ভয়, সফলতার আনন্দ,
সব এখন নিরর্থক।
এখন আর আমাদের সেই বিদায় সন্ধ্যাটা নেই,
নেই সেদিনের কথা খুঁজে না পাওয়া।
তবে তুমি তোমার স্বপ্ন হয়তো ছড়িয়ে দেবে,
তোমার সন্তানের মাঝে,
তোমার হারাবার কিছু নেই।
আমারও হারাবার কিছু নেই,
আমি আগেই সব হারিয়ে বসেছি।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন