১৫.
যদি আমি ঝ’রে যাই একদিন কার্তিকের নীল কুয়াশায়
যখন ঝরিছে ধান বাংলার খেতে-খেতে ম্লান চোখ বুজে
যখন চড়াই পাখি কাঁঠালিচাঁপার নীড়ে ঠোঁট আছে গুঁজে
যখন হলুদ পাতা মিশিতেছে উঠানের খয়েরি পাতায়
যখন পুকুরে হাঁস সোঁদাজলে শিশিরের গন্ধ শুধু পায়
শামুক গুগলিগুলো প’ড়ে আছে শ্যাওলার মলিন সবুজে
তখন আমারে যদি পাও নাকো লালশাক ছাওয়া মাঠে খুঁজে
ঠেস দিয়ে ব’সে আর থাকি নাকো যদি বুনো চালতার গায়
তাহলে জানিও তুমি আসিয়াছে অন্ধকারে মৃত্যুর আহ্বান
যার ডাক শুনে রাঙা রৌদ্রেরো চিল আর শালিখের ভিড়
একদিন ছেড়ে যাবে আম জাম বনে নীল বাংলার তীর
যার ডাক শুনে আজ খেতে-খেতে ঝরিতেছে খই আর মৌরীর ধান
কবে যে আসিবে মৃত্যু : বাসমতী চালে ভেজা শাদা হাতখান
রাখো বুকে, হে কিশোরী, গোরচনারূপে আমি করিবো যে স্নান—
১৬.
মনে হয় একদিন আকাশের শুকতারা দেখিবো না আর
দেখিবো না হেলেঞ্চার ঝোপ থেকে একঝাড় জোনাকি কখন
নিভে যায়—দেখিবো না আর আমি পরিচিত এই বাঁশবন
শুকনো বাঁশের পাতা-ছাওয়া মাটি হ’য়ে যাবে গভীর আঁধার
আমার চোখের কাছে—লক্ষ্মীপূর্ণিমার রাতে সে কবে আবার
পেঁচা ডাকে জ্যোত্স্নায়—হিজলের বাঁকা ডাল করে গুঞ্জরণ
সারারাত কিশোরীর লালপাড় চাঁদে ভাসে—হাতের কাঁকন
বেজে ওঠে : বুঝি না—গঙ্গাজল, নারকোলনাড়ুগুলো তার
জানি না সে কারে দেবে—জানি না সে চিনি আর শাদা তালশাঁস
হাতে ল’য়ে পলাশের দিকে চেয়ে দুয়ারে দাঁড়ায়ে রবে কি না...
আবার কাহার সাথে ভালোবাসা হবে তার—আমি তা জানি না
মৃত্যুরে কে মনে রাখে?... কীর্তিনাশা খুঁড়ে খুঁড়ে চলে বারোমাস
নতুন ডাঙার দিকে—পিছনের অবিরল মৃত চর বিনা
দিন তার কেটে যায়—শুকতারা নিভে গেলে কাঁদে কি আকাশ?
যদি আমি ঝ’রে যাই একদিন কার্তিকের নীল কুয়াশায়
যখন ঝরিছে ধান বাংলার খেতে-খেতে ম্লান চোখ বুজে
যখন চড়াই পাখি কাঁঠালিচাঁপার নীড়ে ঠোঁট আছে গুঁজে
যখন হলুদ পাতা মিশিতেছে উঠানের খয়েরি পাতায়
যখন পুকুরে হাঁস সোঁদাজলে শিশিরের গন্ধ শুধু পায়
শামুক গুগলিগুলো প’ড়ে আছে শ্যাওলার মলিন সবুজে
তখন আমারে যদি পাও নাকো লালশাক ছাওয়া মাঠে খুঁজে
ঠেস দিয়ে ব’সে আর থাকি নাকো যদি বুনো চালতার গায়
তাহলে জানিও তুমি আসিয়াছে অন্ধকারে মৃত্যুর আহ্বান
যার ডাক শুনে রাঙা রৌদ্রেরো চিল আর শালিখের ভিড়
একদিন ছেড়ে যাবে আম জাম বনে নীল বাংলার তীর
যার ডাক শুনে আজ খেতে-খেতে ঝরিতেছে খই আর মৌরীর ধান
কবে যে আসিবে মৃত্যু : বাসমতী চালে ভেজা শাদা হাতখান
রাখো বুকে, হে কিশোরী, গোরচনারূপে আমি করিবো যে স্নান—
১৬.
মনে হয় একদিন আকাশের শুকতারা দেখিবো না আর
দেখিবো না হেলেঞ্চার ঝোপ থেকে একঝাড় জোনাকি কখন
নিভে যায়—দেখিবো না আর আমি পরিচিত এই বাঁশবন
শুকনো বাঁশের পাতা-ছাওয়া মাটি হ’য়ে যাবে গভীর আঁধার
আমার চোখের কাছে—লক্ষ্মীপূর্ণিমার রাতে সে কবে আবার
পেঁচা ডাকে জ্যোত্স্নায়—হিজলের বাঁকা ডাল করে গুঞ্জরণ
সারারাত কিশোরীর লালপাড় চাঁদে ভাসে—হাতের কাঁকন
বেজে ওঠে : বুঝি না—গঙ্গাজল, নারকোলনাড়ুগুলো তার
জানি না সে কারে দেবে—জানি না সে চিনি আর শাদা তালশাঁস
হাতে ল’য়ে পলাশের দিকে চেয়ে দুয়ারে দাঁড়ায়ে রবে কি না...
আবার কাহার সাথে ভালোবাসা হবে তার—আমি তা জানি না
মৃত্যুরে কে মনে রাখে?... কীর্তিনাশা খুঁড়ে খুঁড়ে চলে বারোমাস
নতুন ডাঙার দিকে—পিছনের অবিরল মৃত চর বিনা
দিন তার কেটে যায়—শুকতারা নিভে গেলে কাঁদে কি আকাশ?
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন