প্রচ্ছদ
এ অংশে সুন্দর একটা ছবির ওপর বড় করে বইয়ের নাম এবং লেখকের নাম লেখা থাকে। সহজ বাংলায় একে বলা হয় ‘প্রচ্ছদ’। প্রচ্ছদটা দিয়ে বোঝানো হয় যে এটা বইয়ের শুরু, এদিক থেকেই পাতা ওল্টাতে হবে। তা না হলে অনেকেই পেছন দিক থেকে বই শুরু করত।
এ অংশে সুন্দর একটা ছবির ওপর বড় করে বইয়ের নাম এবং লেখকের নাম লেখা থাকে। সহজ বাংলায় একে বলা হয় ‘প্রচ্ছদ’। প্রচ্ছদটা দিয়ে বোঝানো হয় যে এটা বইয়ের শুরু, এদিক থেকেই পাতা ওল্টাতে হবে। তা না হলে অনেকেই পেছন দিক থেকে বই শুরু করত।
প্রিন্টার্স লাইন
ভালো-খারাপ যা-ই হোক, প্রচ্ছদ দেখেই সবার মনে হয়, ‘প্রচ্ছদটা কে করেছে?’ এ প্রশ্নের উত্তর থাকে এই পাতায়। যে প্রকাশক বইটি প্রকাশ করেছেন, তাঁর নাম-ঠিকানাও লেখা থাকে এ পাতায়। আর পুরো বইয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটি এখানে লেখা থাকে। সেটি হচ্ছে বইয়ের দাম।
উৎসর্গ
সাধারণত এ পাতায় কিছু ব্যক্তির নাম লেখা থাকে, যাঁদের আমরা চিনি না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ পাতার মাধ্যমে লেখকের আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও পছন্দের মানুষের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।
ভূমিকা
এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। পুরো বইটি না পড়েই কেউ একজন বই সম্পর্কে ভালো ভালো কিছু কথা লেখেন এই অংশে। একে ভূমিকা বলা হয়।
পাতা
গাছের পাতা নয়, এটি বইয়ের পাতা। তবে গাছের পাতায় যেমন অসংখ্য শিরা থাকে, বইয়ের পাতায়ও থাকে অসংখ্য কালো কালো অক্ষর। গাছের পাতার মতো বইয়ের পাতায়ও পোকা বাসা বাঁধে। দেশের ঝালমুড়ি সম্প্রদায়ের কাছে বইয়ের পাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পৃষ্ঠা নম্বর
পাঠকদের সুবিধার জন্য প্রতিটি পাতায় নম্বর দেওয়া থাকে। নম্বর থাকায় বইটি মোট কত পৃষ্ঠার, তা আর কষ্ট করে গুনতে হয় না।
ফিতা
বইয়ের মাঝখানে একটি চিকন ফিতা থাকে। ভাব নেওয়ার জন্য এই ফিতার গুরুত্ব অপরিসীম। বইয়ের পাতার ফাঁকে ফিতাটি রেখে সহজেই বোঝানো যায় যে বইটা পড়া হচ্ছে।
পুট
আলমারিতে কায়দা করে রাখার জন্য এ অংশটি ব্যবহূত হয়। এ অংশে বই ও লেখকের নাম লম্বালম্বিভাবে লেখা থাকে। ফলে পড়ার জন্য বইটি বের করা ঠিক হবে কি না, তা বাইরে থেকে দেখেই বোঝা যায়।
ফ্ল্যাপ
বইয়ের এ অংশটিকে আদর করে ‘ফ্ল্যাপ’ নামে ডাকা হয়। সাধারণত এ অংশে লেখক দূরদিগন্তে বেশ ভাব নিয়ে তাকিয়ে আছেন—এ টাইপের একটি ছবি থাকে। ছবির নিচে ফটোগ্রাফারের নামও থাকে, যাতে ছবি খারাপ হলে লেখক তাঁর ওপর দোষ চাপাতে পারেন। লেখক সম্পর্কে যত ভালো ভালো কথা বলা সম্ভব, তার সবই ফ্ল্যাপে উল্লেখ করা হয়। লেখক কী কী লিখেছেন, কয়টি পুরস্কার পেয়েছেন, বাংলা সাহিত্যকে তিনি কোন জায়গায় নিয়ে গেছেন—এসব ফ্ল্যাপে উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক। অতিচালাক লেখকেরা ফ্ল্যাপের লেখাগুলো নিজে লিখে ‘কাছের বন্ধুরা’ নাম দিয়ে বোঝাতে চান, লেখাটি তিনি লেখেননি। বর্তমানে এ স্টাইলটি বেশ জনপ্রিয়।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন