চোখ মানুষের অমূল্য সম্পদ। বিশাল শরীরের তুলনায় ক্ষুদ্র এক জোড়া চোখ দেখতে অনেকটাই নগণ্য। কিন্তু এর পাতা বন্ধ করলেই সারা দুনিয়া অন্ধকার। বিশাল দেহ তখন আলোকবর্তিকা বিহীন। জন্মের পর ধীরে ধীরে এ চোখ জোড়া বিকশিত হতে থাকে। একটা পর্যায়ে আবার চোখের দৃষ্টি শক্তি বা দেখার ক্ষমতা নানা কারণে হ্রাস পেতে থাকে।
আবার কিছু প্রাত্যহিক অভ্যাসের মাধ্যমে চোখের দৃষ্টি শক্তি অটুট রাখা যায়। কিন্তু আমাদের মধ্যের অনেকেই সে সব বিষয় সম্পর্কে তেমন একটা ওয়াকিবহাল নই। একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এ ব্যাপারে পাঁচটি তথ্য উপস্থাপন করেছেন। তার ভাষায়, পাঁচটি উপায় অবলম্বন করলে দীর্ঘদিন দৃষ্টি শক্তি ধরে রাখা সম্ভব। এর মধ্যে চারটি হচ্ছে খাদ্য গ্রহণ সম্পর্কিত এবং একটি চোখের ব্যায়াম।ড. মাওশিং নাই-গমের ঐ বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, বিভিন্ন ফলমূল ও সবজির জুস চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করতে সহায়ক তার মতে, সেলরি (এক প্রকার শাক), পিপারমিন্ট এবং পার্সলে নামক এক প্রচার চীনা শাকের সঙ্গে পানি মিশিয়ে জুস তৈরি করে নিয়মিত পান করলে দৃষ্টিশক্তি দীর্ঘদিন অটুট থাকে। দ্বিতীয় স্তরে কিছু সবজির ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে স্পিনিজ নামের এক জাতীয় সবজিতে রয়েছে লুটেইন ও জিয়াক্সনথিন নামক দুইটি এন্টিঅক্সিডেন্ট রসায়ন। আর ঐ রসায়ন দুইটি চোখের রেটিনাকে ক্ষয়প্রাপ্তি থেকে রক্ষা করে। তবে একই সঙ্গে মনে রাখা দরকার চর্বি চোখের রেটিনার শত্রু। সবজি হিসাবে স্পিনিজ খাওয়ার বেলায় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। যেমন ঐ সবজি রান্না করতে হয় সামান্য পরিমাণ অলিভঅয়েলে এবং অল্প তাপে উল্লিখিত দুইটি রসায়ন সমৃদ্ধ অন্যান্য সবজির মধ্যে রয়েছে ব্রুকলি, শালগম, সরিষা শাক, মিষ্টি কুমড়া, কর্ণ, মটরশুটি, স্পিরুলিনা প্রভৃতি। তৃতীয় পর্যায়ে জোরে দেয়া হয়েছে প্রচুর পরিমাণ পানি পানের ওপর। চতুর্থ স্তরে ৪ আউন্স স্পিনিজ ৪ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে চায়ের মতো প্রতিদিন চারবার পান করতে বলা হয়েছে সর্বশেষ দুই চোখের পাতায় দুই হাতের বুড়ো আঙ্গুল রেখে চক্রাকারে ঘোরানো, চোখের পাতা বারবার খুলে এবং বন্ধ করে ফোকাসিং করার কথা বলা হয়েছে। এতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। যাতে রেটিনাও সুস্থ থাকে।
1 Comment:
দৃষ্টি শক্তি ধরে রাখতে এবং আনুসাঙ্গিক সাস্থ্যের কথাও চিন্তা করতে হবে। তাই বর্তমানের যেই দাঁত মাজার নিয়ম নীতি চলে আসছে তাতেও একটু পরিবর্তন আনা চাই। দাঁতের সুস্থ্যতা বজায় রাখতে নিয়মিত ব্যবহার করা চাই মেসওয়াক, তাই মেসওয়াক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকটি অনুসরন করতে পারেন। ধন্যবাদ।
http://www.holymessagebd.com/?p=411
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন