মাংস ভক্ষণকারীদের তুলনায় নিরামিষ ভোজীদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম। ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে-এর অর্থায়নে একদল বিজ্ঞানী ব্যাপক গবেষণা শেষে এতথ্য জানিয়েছেন।
যুক্তরাজ্য ও নিউজিল্যান্ডের একদল গবেষক ৬১,৫৬৬ জন ব্রিটিশ পুরুষ ও মহিলার ওপর সমীক্ষা চালান, যারমধ্যে ছিল মাংস, মাছ ও নিরামিষভোজী তাতে প্রতীয়মান হয়েছে-সাধারণত প্রতি একশ’ জনের মধ্যে প্রায় ৩৩ জনই ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে।
তবে যারা মাংস একেবারেই এড়িয়ে চলেন তাদের ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি মাত্র ২৯ ভাগ।যুক্তরাজ্য ও নিউজিল্যান্ডের একদল গবেষক ৬১,৫৬৬ জন ব্রিটিশ পুরুষ ও মহিলার ওপর সমীক্ষা চালান, যারমধ্যে ছিল মাংস, মাছ ও নিরামিষভোজী তাতে প্রতীয়মান হয়েছে-সাধারণত প্রতি একশ’ জনের মধ্যে প্রায় ৩৩ জনই ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে।
ব্রিটিশ-জার্নাল প্রকাশিত এ সংক্রান্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে নিরামিষ ও মাংস ভক্ষণকারীদের মধ্যে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পার্থক্য উল্লেখযোগ্য। বিশেষ করে লসিকা ও ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার বেলায় মাংসভক্ষণকারীদের তুলনায় নিরামিষ ভোজীদের ঝুঁকি অর্ধেক কম। পক্ষান্তরে নিরামিষভোজীদের মজ্জায় ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি মাংস ভক্ষণকারীদের তুলনায় ৭৫ ভাগ কম। ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে-এর একজন মুখপাত্র বলেছেন, আমরা আগেই জানতাম-লাল মাংস ও প্রক্রিয়াজাতকরণ মাংস ভক্ষণে পাকস্থলীতে ক্যান্সার হতে পারে। নতুন গবেষণায় পাওয়া তথ্য তার সঙ্গে যোগ হলো। ব্রিটিশ চিকিৎসা বিজ্ঞানী মাইলোমা ক্যান্সার থেকে বাঁচতে তার রোগীদের আঁশ সমৃদ্ধ স্বাস্থ্য সম্মত সুষম খাদ্য বিশেষ করে ফলমূল ও সবজি জাতীয় আহার গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। এড়িয়ে চলতে বলেছেন চর্বি, লবণ এবং লাল ও প্রক্রিয়াজাত মাংস। সূত্র : বিবিসি ওয়েব সাইট
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন