পাখির মতো হতে চায় না কে! আমাদের যদি ডানা থাকতো? আমরাও যদি উড়তে পারতাম! সবাই এরকমটাই ভাবে। আর এরকম ভাবে বলেই না আজকে আমরা এরোপ্লেন আবিষ্কার করেছি। যদিও নিজেরা উড়তে পারি না তবুও তো দুধের স্বাদ ঘোলে মেটে। শুধু কি ওড়ার জন্য, সময় বাঁচাতে যে এরোপ্লেনে চড়ার কোনো বিকল্প নেই। তবে যদি পাখির কথা বলি চট করে আমাদের মাথায় চলে আসে হাজারো পাখির নাম। বিশেষ করে ময়না, টিয়া, দোয়েলের নাম তো সবার আগেই আসে। এগুলোই যে মানুষ বেশি চেনে, তাই তো এদের নামই আগে বলবে।এছাড়াও পৃথিবীতে রয়েছে হাজার হাজার পাখি। তবে সবাইকে নিয়ে কথা বলতে গেলে তো রাতই ফুরিয়ে যাবে। তাই আজকে আমরা শুধু সবচেয়ে ছোটো আর সবচেয়ে বড়ো পাখির কথা শুনবো। চলো তবে শুরু করা যাক।
হামিং বার্ড
পৃথিবীর সবচেয়ে ছোটো পাখিটি হচ্ছে হামিং বার্ড। এর ওজন মাত্র ১.৮ গ্রাম আর দৈর্ঘ্য ৫ মিটার। তবে মজার বিষয় হচ্ছে পুরুষ হামিং বার্ড গুলো কিন্তু আকারে মেয়ে হামিং বার্ড থেকে ছোটো হয়ে থাকে। শুধু আকারে নয় আরো পার্থক্য আছে মেয়ে এবং পুরুষ হামিং বার্ডের মধ্যে।
পুরুষ পাখি গুলোর লোম সবুজ রঙের হয়। এদের পাখা গুলো উপরের দিকটা নীল বর্ণের আর শরীরের নিচের দিকটা বেশিরভাগ সময় ধূসর সাদা হয়ে থাকে। অপরদিকে মেয়ে পাখিদের মাথার ওপরের দিকটা নীলচে সবুজ রঙ এর হয়, সরু লেজটিতে থাকে সাদা রঙের ফোটা ফোটা দাগ। হামিং বার্ড যে শুধু তার রঙের জন্য বিখ্যাত তা কিন্তু ভেবো না। ছোটো হলে কি হবে এদের শরীরে কিন্তু অনেক শক্তি আছে। হেলিকপ্টার যত উঁচুতে উড়ে হামিং বার্ডও ঐ উচ্চতায় উঠতে পারে। আর সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হলো এরা প্রজাতিভেদে সেকেন্ডে ১২ থেকে ৯০ বার নিজেদের পাখা নাড়াতে পারে। এ কারণেই চোখের পলকে অনেকটা দূরে চলে যেতে পারে হামিং বার্ড। সাধারণত এদের ওড়ার গতি ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার। মজার ব্যাপার হলো এরা কেবল সামনে নয়, পেছন দিকেও উড়তে পারে।
পৃথিবীর সবচেয়ে ছোটো পাখিটি হচ্ছে হামিং বার্ড। এর ওজন মাত্র ১.৮ গ্রাম আর দৈর্ঘ্য ৫ মিটার। তবে মজার বিষয় হচ্ছে পুরুষ হামিং বার্ড গুলো কিন্তু আকারে মেয়ে হামিং বার্ড থেকে ছোটো হয়ে থাকে। শুধু আকারে নয় আরো পার্থক্য আছে মেয়ে এবং পুরুষ হামিং বার্ডের মধ্যে।
পুরুষ পাখি গুলোর লোম সবুজ রঙের হয়। এদের পাখা গুলো উপরের দিকটা নীল বর্ণের আর শরীরের নিচের দিকটা বেশিরভাগ সময় ধূসর সাদা হয়ে থাকে। অপরদিকে মেয়ে পাখিদের মাথার ওপরের দিকটা নীলচে সবুজ রঙ এর হয়, সরু লেজটিতে থাকে সাদা রঙের ফোটা ফোটা দাগ। হামিং বার্ড যে শুধু তার রঙের জন্য বিখ্যাত তা কিন্তু ভেবো না। ছোটো হলে কি হবে এদের শরীরে কিন্তু অনেক শক্তি আছে। হেলিকপ্টার যত উঁচুতে উড়ে হামিং বার্ডও ঐ উচ্চতায় উঠতে পারে। আর সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হলো এরা প্রজাতিভেদে সেকেন্ডে ১২ থেকে ৯০ বার নিজেদের পাখা নাড়াতে পারে। এ কারণেই চোখের পলকে অনেকটা দূরে চলে যেতে পারে হামিং বার্ড। সাধারণত এদের ওড়ার গতি ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার। মজার ব্যাপার হলো এরা কেবল সামনে নয়, পেছন দিকেও উড়তে পারে।
তবে উঁচুতে উড়তে পারলেও এরা অনান্য পাখিদের মত হাঁটতে পারে না। দেহের আকার ছোটো এবং সেই সঙ্গে তাদের ডানাগুলো বেশ বড়ো হয় বলে হামিং বার্ড বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। খাবার দাবারের বেলায় হামিং বার্ড একটু এগিয়েই রয়েছে অন্য সবার তুলনায়। কারণ এরা সারাদিন খায়। ছোটোগুলো মায়ের দেয়া খাবার খায় আর বড়োগুলো খায় ফুলের মধু। সারাদিন কেবল এই ফুল থেকে ঐ ফুলে ঘুরে বেড়ায় হামিং বার্ড।
আমাদের মতো এদেরও কিন্তু রঙের পছন্দ অপছন্দ আছে। এরা লাল রঙের ফুল বেশি পছন্দ করে। তাই বেশির ভাগ সময় হামিং বার্ড লাল রঙের ফুল থেকেই মধু সংগ্রহ করে থাকে। মধু খাবার সঙ্গে সঙ্গে এরা গাছেরও কিছু উপকার করে দেয়। কারণ হামিং বার্ড যখন ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ায় তখন এদের পায়ের এবং পাখার সঙ্গে ফুলের রেণু জড়িয়ে যায়। এতে গাছের পরাগায়ণ ভালো হয়। এই কাজগুলো সাধারণত করে থাকে মৌমাছি। মৌমাছির সঙ্গে এদের স্বভাবের মিলের কারণে অনেকেই হামিং বার্ডকে বড়ো মৌমাছি বলে থাকে। হামিং বার্ড দিনে প্রায় ১৫০০ ফুলের মধু সংগ্রহ করে থাকে।
আমাদের মতো এদেরও কিন্তু রঙের পছন্দ অপছন্দ আছে। এরা লাল রঙের ফুল বেশি পছন্দ করে। তাই বেশির ভাগ সময় হামিং বার্ড লাল রঙের ফুল থেকেই মধু সংগ্রহ করে থাকে। মধু খাবার সঙ্গে সঙ্গে এরা গাছেরও কিছু উপকার করে দেয়। কারণ হামিং বার্ড যখন ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ায় তখন এদের পায়ের এবং পাখার সঙ্গে ফুলের রেণু জড়িয়ে যায়। এতে গাছের পরাগায়ণ ভালো হয়। এই কাজগুলো সাধারণত করে থাকে মৌমাছি। মৌমাছির সঙ্গে এদের স্বভাবের মিলের কারণে অনেকেই হামিং বার্ডকে বড়ো মৌমাছি বলে থাকে। হামিং বার্ড দিনে প্রায় ১৫০০ ফুলের মধু সংগ্রহ করে থাকে।
বাসা বানানোর ব্যাপারে পুরুষ পাখিগুলোর কোনো মাথাব্যাথা নেই। এই কাজ মেয়ে পাখিগুলোকেই করতে হয়। বাসা তৈরি করার জন্য এরা মাকড়সার জাল, গাছের বাকল এবং বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক ব্যবহার করে। বাসার আকার দেখতে হয় ঠিক কাপের মতো। একটি মেয়ে হামিং বার্ড এক সঙ্গে দুইটি ডিম পাড়ে। এদের ডিমগুলো এতই ছোটো যে দেখলে শস্য দানা মনে হয়। মা পাখিটি ডিমগুলো তার ছোট্ট বাসায় রাখে।
পৃথিবীর সবচেয়ে ছোটো এই পাখিটি বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। এদের গড় আয়ু ৩ থেকে ৫ বছর হয়।
পৃথিবীর সবচেয়ে ছোটো এই পাখিটি বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। এদের গড় আয়ু ৩ থেকে ৫ বছর হয়।
উট পাখি
বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো পাখিটি হচ্ছে উট পাখি। যদিও এরা সবচেয়ে বড়ো পাখি কিন্তু এদের ওড়ার ক্ষমতা নেই। তবে দারুণ জোরে ছুটতে পারে এরা। উট পাখিরা ঘন্টায় ৭০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে। তবেই বোঝো এদের ছোটার ক্ষমতা! এদেরকে সাধারণত আফ্রিকাতে পাওয়া যায়।
বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো পাখিটি হচ্ছে উট পাখি। যদিও এরা সবচেয়ে বড়ো পাখি কিন্তু এদের ওড়ার ক্ষমতা নেই। তবে দারুণ জোরে ছুটতে পারে এরা। উট পাখিরা ঘন্টায় ৭০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে। তবেই বোঝো এদের ছোটার ক্ষমতা! এদেরকে সাধারণত আফ্রিকাতে পাওয়া যায়।
এদের উচ্চতা প্রায় ৩ মিটার আর ওজন ১৫০ কেজিরও বেশি হতে পারে। ভাবো একবার, কি পরিমাণ ওজন! এদের রয়েছে বিশাল বিশাল পাখা। কত বিশাল বলো তো, পুরোটা মেলে ধরলে প্রায় ৭ ফুট হবে এর দৈর্ঘ্য। এই বড়ো বড়ো পাখার জন্যই তো এরা উড়তে না পারলেও পাখি। পুরুষ পাখি গুলোর পাখার রঙ হয় কালো। এর সঙ্গে থাকে সাদা লেজ। মেয়েগুলোর পাখার রঙ হয় ধুসর বাদামী। বলতেই পারো যে এত বড়ো পাখা থাকার পরও কেন এরা উড়তে পারে না? কারণ এদের শরীরের ওজন অনেক বেশি। এত বেশি ওজন নিয়ে ওড়ার মতো শক্তি তাদের ওই বড়ো পাখাতেও নেই। এজন্যই এরা উড়তে পারে না।
উট পাখিদের এত জোরে ছুটতে পারার ক্ষমতার জন্য এদের দৌড় প্রতিযোগিতা হয়। এই প্রতিযোগিতা নিয়ে মানুষেরা আবার অনেক আনন্দ করে থাকে। দেখতে অনেক বড়োসড়ো হলেও উট পাখিরা কিন্তু মোটেও হিংম্বর নয়। এদের প্রধান খাদ্য হলো বিভিন্ন শস্যদানা। কোনো কোনো সময় অবশ্য এরা পোকামাকড়ও খেয়ে থাকে। এদের তো দাত নেই। সেজন্য খাবার খাওয়ার সময় উট পাখিরা কিছু পাথর খেয়ে নেয়। এই পাথর এদের পাকস্থলীতে খাদ্যদানা হজম করতে পেষার কাজটি করে। একটি পূর্ণাঙ্গ উট পাখি এদের পাকস্থলীতে ১ কেজি পাথর খেয়ে ঘুরে বেড়াতে পারে। ভাবো তো একবার, খুবই অদ্ভূত তাই না?
উট পাখিদের এত জোরে ছুটতে পারার ক্ষমতার জন্য এদের দৌড় প্রতিযোগিতা হয়। এই প্রতিযোগিতা নিয়ে মানুষেরা আবার অনেক আনন্দ করে থাকে। দেখতে অনেক বড়োসড়ো হলেও উট পাখিরা কিন্তু মোটেও হিংম্বর নয়। এদের প্রধান খাদ্য হলো বিভিন্ন শস্যদানা। কোনো কোনো সময় অবশ্য এরা পোকামাকড়ও খেয়ে থাকে। এদের তো দাত নেই। সেজন্য খাবার খাওয়ার সময় উট পাখিরা কিছু পাথর খেয়ে নেয়। এই পাথর এদের পাকস্থলীতে খাদ্যদানা হজম করতে পেষার কাজটি করে। একটি পূর্ণাঙ্গ উট পাখি এদের পাকস্থলীতে ১ কেজি পাথর খেয়ে ঘুরে বেড়াতে পারে। ভাবো তো একবার, খুবই অদ্ভূত তাই না?
উট পাখি দেখতে তোমাকে কিন্তু আফ্রিকাতে যেতে হবে না। তুমি ইচ্ছে করলেই ঢাকার চিড়িয়াখানাতে গিয়ে দেখে আসতে পারো। আর যারা দেখে ফেলেছো তাদের তো নতুন করে দেখতে যেতে বাধা নেই, তাই না?
বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/সুমনা/এসএ/এইচবি/নভেম্বর ০৪/১০
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন